খালেদা জিয়ার নির্বাচনী প্রচারণায় আ’লীগের বাধা
রাজধানীতে
দ্বিতীয় দিনের মতো নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের
বাধার মুখে পরেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আজ রোববার বিকেলে
উত্তরায় গণসংযোগের শুরু থেকে বেশ কয়েকটি জায়গায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের
নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার পথ রোধ করার চেষ্টা করে। তারা এ সময় ক্ষুব্ধ
শ্লোগান দেয়, কালো পতাকা প্রদর্শন করে। খালেদা জিয়ার বহরে বাধা দেয়ার খবর
ছড়িয়ে পরলে ওই এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নামে। উভয় দলের নেতাকর্মীদের
মুখোমুখি অবস্থানে তৈরি হয় উত্তেজনা। তবে তবে এসব আমলে না নিয়েই নির্বাচনী
প্রচারণা চালিয়েছেন বেগম জিয়া। উত্তরা-মিরপুর-মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায়
মানুষের কাছে ভোট চেয়েছেন উত্তরে দলের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ উত্তরায় তাবিথ আউয়ালের পক্ষে ভোট চান। ছবি: ফোকাস বাংলা |
বিকেল
পৌনে ৫টার দিকে উত্তরার ১ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডে আওয়ামী লীগের বাধার
মুখে পরেন বেগম জিয়া। আওয়ামী লীগের উত্তরা থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত
সভাপতি এস এম তোফাজ্জল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসানের নেতৃত্বে শতাধিক
নেতাকর্মী খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের সামনে এসে স্লোগান দিতে থাকে। তারা
খালেদা জিয়াকে কালো পতাকা প্রদর্শন করতে করতে স্লোগান দেয়। এতে করে পুরো
এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।
তবে এই বাধায় বিচলিত হননি বিএনপি চেয়ারপারসন। বাধার তোয়াক্কা না করে তিনি উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ইনফিনিটি প্লাজায় প্রবেশ করে নির্বাচনী প্রচারণা চালান। ভোট চান সাধারণ দোকানদার ও ক্রেতাদের কাছে। ইনফিনিটি প্লাজা থেকে বেরিয়ে তিনি আমির কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রচারণা চালান।
খালেদা জিয়ার বহরে বাধা দেয়ার খবর ছড়িয়ে পরলে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ওই এলাকায় আসতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যে খালেদা জিয়ার গণসংযোগ পথে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নামে। তারা মোটরসাইকেলে তাবিথের পক্ষে মুহুর্মুহু স্লোগান দিতে থাকেন। এতে করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে গণসংযোগ পথে শো ডাউন দিতে থাকে।
সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে প্রথমে রাজউক ভবনের দুই পাশে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারা নিজ নিজ দল সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে স্লোগান দেয়। এরপর নর্থ টাওয়ারের দুই পাশেও তারা মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেয়।
উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের নর্থ টাওয়ারে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে খালেদা জিয়া বের হলে আবারো গাড়িবহর আটকানোর চেষ্টা করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা এসময় কালো পতাকা হাতে নিয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। বিএনপি নেতাকর্মীরাও পুরো এলাকা স্লোগানে মুখর করে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের পাশে অবস্থান নেয়। অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার গাড়িকে ঘিরে রাখে।
তবে এই বাধায় বিচলিত হননি বিএনপি চেয়ারপারসন। বাধার তোয়াক্কা না করে তিনি উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ইনফিনিটি প্লাজায় প্রবেশ করে নির্বাচনী প্রচারণা চালান। ভোট চান সাধারণ দোকানদার ও ক্রেতাদের কাছে। ইনফিনিটি প্লাজা থেকে বেরিয়ে তিনি আমির কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রচারণা চালান।
খালেদা জিয়ার বহরে বাধা দেয়ার খবর ছড়িয়ে পরলে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ওই এলাকায় আসতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যে খালেদা জিয়ার গণসংযোগ পথে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নামে। তারা মোটরসাইকেলে তাবিথের পক্ষে মুহুর্মুহু স্লোগান দিতে থাকেন। এতে করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে গণসংযোগ পথে শো ডাউন দিতে থাকে।
সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে প্রথমে রাজউক ভবনের দুই পাশে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারা নিজ নিজ দল সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে স্লোগান দেয়। এরপর নর্থ টাওয়ারের দুই পাশেও তারা মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেয়।
উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের নর্থ টাওয়ারে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে খালেদা জিয়া বের হলে আবারো গাড়িবহর আটকানোর চেষ্টা করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা এসময় কালো পতাকা হাতে নিয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। বিএনপি নেতাকর্মীরাও পুরো এলাকা স্লোগানে মুখর করে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের পাশে অবস্থান নেয়। অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার গাড়িকে ঘিরে রাখে।
খালেদার গাড়িবহরের গতিরোধ ও ঢিল ছুড়েছে যুবলীগ-ছাত্রলীগ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আজ রোববার বিকেলে উত্তরায় তাবিথ আউয়ালের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালান |
সিটি
নির্বাচনের প্রচারণাকালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের
গতিরোধের চেষ্টা করেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগকর্মীরা। সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের
সময় রাজধানীর উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকায় তারা লাঠিসোটা নিয়ে এ গতিরোধের
চেষ্টা করে। এ সময় খালেদা জিয়ার গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিলও ছুড়েছে তারা। পরে
পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়েছে। এর দেড় ঘণ্টা আগে উত্তরা জসীমউদ্দীন রোডের মুখ ও
উত্তরা মডেল টাউনের এসবি প্লাজার সামনে কালোপতাকা দেখিয়ে তার গাড়ি ঘেরাও
এবং সেøাগান দেয় স্থানীয় যুবলীগ-ছাত্রলীগ কর্মীরা। টানা দ্বিতীয়দিনের মতো
নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় রাজধানীর খালেদা জিয়ার গাড়িবহর জসীমউদ্দীন
রোডের মুখে পৌছালে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে
কালোপতাকা দেখিয়ে সেøাগান দিতে থাকেন। খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর সেখানে না
থেকে এগিয়ে এসবি প্লাজার সামনে পৌঁছালে সেখানে আরেকটি গ্রুপ সেøাগান দিতে
দিতে তার গাড়ি ঘেরাওয়ের চেষ্টা করে। এ সময় খালেদা জিয়ার নিরাপত্তারক্ষী ও
স্থানীয় বিএনপি কর্মী-সমর্থকরা এগিয়ে এলে যুবলীগ-ছাত্রলীগের গ্রুপটি সরে
যায়। পরে খালেদা জিয়া সেখানে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের
প্রতীক বাস মার্কায় লোকজনের কাছে ভোট চান।
খালেদা জিয়া আজ রোববার ঢাকা উত্তরে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তাবিথের পক্ষে উত্তরায় প্রচারণা চালান |
উত্তরায় খালেদা জিয়ার প্রচারণায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল
উত্তরায়
তাবিথ আউয়ালের পক্ষে খালেদা জিয়ার নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে
বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। রোববার বিকেলে উত্তরা এলাকায় আওয়ামী লীগ
নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে
এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ওই এলাকায় আসতে
শুরু করে। এই এলাকায় রোববার সন্ধা সাড়ে ছয়টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত
মুখোমুখি অবস্থানে ছিল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। উত্তরা নর্থ টাওয়ারের দুই পাশে
তারা মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে। তবে এরই মধ্যে হাজারো
নেতাকর্মী পরিবেষ্টিত খালেদা জিয়া নর্থ টাওয়ারে প্রবেশ করেছেন। সেখানে
বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে ভোট চাইছেন।
নির্বাচনে সেনা মোতায়েন চান খালেদা জিয়া
সিটি
করপোরশেন নির্বাচনে সেনা মোতায়েন চেয়েছেন বিএনপি চেয়পারপারসন বেগম খালেদা
জিয়া। তিনি বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সেনা মোতায়েন চায় দেশের
জনগণ। যারা সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না তারাই সেনা মোতায়েনের বিপক্ষে কথা বলে।
রাতে শাহজাদপুরের সুবাস্তু নজড়ভেলী মার্কেটে তাবিথ আউয়ালের পক্ষে প্রচারণা
শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বেগম জিয়া বলেন, সিটি নির্বাচনে
জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। তবে জায়গায় জায়গায় বাধা দেয়া হচ্ছে। আমি
নির্বিঘ্নে নির্দ্বিধায় সবার কাছে যেতে চাই।
No comments