ভাঙ্গায় জাফরউল্লাহর পথসভায় গুলি, নানা রহস্য
ফরিদপুরের
ভাঙ্গা উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহর পথসভায়
গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ওসিসহ সাতজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পরস্পরবিরোধী
বক্তব্য পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার লাইসেন্স
করা অস্ত্র থেকে অসাবধানতাবশত গুলি বের হলে ছয় ব্যক্তি আহত হন। তবে ওই
আওয়ামী লীগ নেতা দাবি করেন তিনি ওই সভায় ছিলেন না। অন্যদিকে কাজী
জাফরউল্লাহ মানবজমিনকে জানিয়েছেন, পুলিশের অস্ত্র থেকে মিস ফায়ারিং হওয়ায়
আহতের ঘটনা ঘটে। এদিকে এই গুলির ঘটনায় রহস্য দেখা দিয়েছে এলাকায়ও।
স্থানীয়দের ধারণা একটি ব্রিজ উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এমপি নিক্সন
চৌধুরীর পক্ষের কেউ ওই পথসভায় গুলি করেছে। ভাঙ্গা থানা যুবলীগের সাংগঠনিক
সম্পাদক মামুন শেখ বলেন, কাউলিবেড়ার মুন্সীবাড়ী এলাকায় একটি সেতু
উদ্বোধনকে ঘিরে পথসভায় গুলির ঘটনা ঘটে। স্থানীয় মুন্সীবাজার দোকান মালিক
সমিতির সভাপতি আলী হোসেন বলেন, বাজার সংলগ্ন সেতুটি এক সপ্তাহ আগে
স্থানীয় এমপি নিক্সন চৌধুরী উদ্বোধন করেছিলেন। গতকাল আবার কাজী জাফরউল্লাহ
উদ্বোধন ও পথসভা করতে আসেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়,
এর পরেই গুলির শব্দ শোনা যায়।
এ সময় ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল ইসলাম, ১ জন ইউপি সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের প্রথমে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গুরুতর আহত ৬ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। গুরুতর আহতরা হলেন- সদরপুর উপজেলার চরমানাইর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাহেব আলী (৪৮), ভাঙ্গার আজিমনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩ নং ইউনিটের সভাপতি সোবহান মিয়া (৬৫), কাউলিবেড়া ইউনিয়নের পড়ারন গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী জমির মাতুব্বর (৬২), ফরমান মাতুব্বর (৫৫), খাটরা গ্রামের শাহজাহান মিয়া (৫০), সদরপুরের চরমানাইর গ্রামের ইমারত আকন (৫৮)।
আহত খাটরা গ্রামের শাহজাহান মিয়া জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই মঞ্চের বাম দিক থেকে একটি গুলির শব্দ হয়। এ সময় আমার গায়ে গুলি লাগলে আহত অবস্থায় আমাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য সাহেব আলী (৪৮) বলেন, সভা চলাকালে হঠাৎ একটি বিকট শব্দ হওয়ার পর গুলি এসে মঞ্চে বসা আরও কয়েক জনের গায়ে লাগে। পরে কাউলিবেড়া ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হাসনাত দুদু মিয়া স্থানীয়দের নিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে পথসভা স্থগিত করে কাজী জাফরউল্লাহসহ নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল ইসলাম বলেন, সভা চলাকালে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দিপক মজুমদারের শটগান থেকে অসতর্কতামূলক মিস ফায়ার হয়। এ সময় কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এবিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা দীপক দাবি করেন তিনি ওই সভায় ছিলেন না। তার শটগান থেকে কোন গুলির ঘটনা ঘটেনি।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা ইমরান আলী বলেন, গুলিবিদ্ধ মোট ৭ জন ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাদেরকে চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শটগানের গুলিতে ওসি নাকে ও কাঁধে আহত হয়েছেন। তবে তার আঘাত গুরুতর নয়।
এ সময় ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল ইসলাম, ১ জন ইউপি সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের প্রথমে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গুরুতর আহত ৬ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। গুরুতর আহতরা হলেন- সদরপুর উপজেলার চরমানাইর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাহেব আলী (৪৮), ভাঙ্গার আজিমনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩ নং ইউনিটের সভাপতি সোবহান মিয়া (৬৫), কাউলিবেড়া ইউনিয়নের পড়ারন গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী জমির মাতুব্বর (৬২), ফরমান মাতুব্বর (৫৫), খাটরা গ্রামের শাহজাহান মিয়া (৫০), সদরপুরের চরমানাইর গ্রামের ইমারত আকন (৫৮)।
আহত খাটরা গ্রামের শাহজাহান মিয়া জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই মঞ্চের বাম দিক থেকে একটি গুলির শব্দ হয়। এ সময় আমার গায়ে গুলি লাগলে আহত অবস্থায় আমাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য সাহেব আলী (৪৮) বলেন, সভা চলাকালে হঠাৎ একটি বিকট শব্দ হওয়ার পর গুলি এসে মঞ্চে বসা আরও কয়েক জনের গায়ে লাগে। পরে কাউলিবেড়া ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হাসনাত দুদু মিয়া স্থানীয়দের নিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে পথসভা স্থগিত করে কাজী জাফরউল্লাহসহ নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল ইসলাম বলেন, সভা চলাকালে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দিপক মজুমদারের শটগান থেকে অসতর্কতামূলক মিস ফায়ার হয়। এ সময় কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এবিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা দীপক দাবি করেন তিনি ওই সভায় ছিলেন না। তার শটগান থেকে কোন গুলির ঘটনা ঘটেনি।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা ইমরান আলী বলেন, গুলিবিদ্ধ মোট ৭ জন ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাদেরকে চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শটগানের গুলিতে ওসি নাকে ও কাঁধে আহত হয়েছেন। তবে তার আঘাত গুরুতর নয়।
No comments