খালেদা জিয়ার ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর
তাবিথ আউয়ালের নির্বাচনী প্রচারে নেমে হামলার মুখে পড়েছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহর। হামলায় একটি গাড়ি এভাবেই ভাঙচুর করা হয়েছে |
তাবিথ আউয়ালের নির্বাচনী প্রচারে নেমে হামলার মুখে পড়েছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহর |
রাজধানীর
কাওরানবাজারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলা করেছে সরকার
সমর্থকরা। সোমবার বিকালে সরকার সমর্থকরা খালেদা জিয়াকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির
মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ওই সময় কাওরান বাজারের কাঁচা বাজারের সামনে
একটি পথসভায় হ্যান্ড মাইকে বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি। ইটের মুখে তার
নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে নিরাপদে গাড়িতে উঠিয়ে কাওরান বাজার থেকে সরিয়ে নেন।
তবে ইটের আঘাতে খালেদার গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। খালেদা জিয়া অক্ষত থাকলেও তার
নিরাপত্তাকর্মী ও কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন। ইটের আঘাতে বহরে থাকা প্রায় সব
গাড়ির কাচ ভেঙেছে। শ্রমিক লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের একদল কর্মী লাঠিসোটা ও
ইটপাটকেল হাতে এ হামলা চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
‘খালেদা জিয়ার প্রচারে বিঘ্ন সৃষ্টি উসকানিমূলক’ - বিএনপি
বিএনপি
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সিটি করপোরেশন নির্বাচনী প্রচারণায় বিঘœ সৃষ্টি
করা হচ্ছে উল্লেখ করে তা অনভিপ্রেত, উদ্দেশ্যমূলক ও উসকানিমূলক বলে অভিহিত
করেছে দলটি। সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে
বিএনপির আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন এক সংবাদ সম্মেলনে এ
কথা বলেন। তিনি বলেন, আজ সকাল থেকে তাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার
বাসার সামনে থেকে নিয়মিত নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ সরিয়ে নেয়া হয়েছে। মেয়র
পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে প্রচার চালাতে গিয়ে গতকাল রোববার উত্তরায়
কয়েক দফায় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কালোপতাকা বিক্ষোভের মুখে
পড়েন খালেদা জিয়া। আসাদুজ্জামান বলেন, এ ধরনের আচরণ নির্বাচনের পরিবেশকে
উত্তপ্ত করে তুলছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখন সরকারী কোন পদে
নেই। তাই আইন অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচারে তার কোন বাধা নেই। আসাদুজ্জামান
অভিযোগ করেন, আজ সকাল থেকে খালেদা জিয়ার বাসার নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ
সদস্যদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এটি ইঙ্গিতপূর্ণ। তবে তারা ঠিক নিশ্চিত নন
রুটিন মাফিক পুলিশ সদস্যদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে কি না।
No comments