ঘটনা ঘটেই চলেছে, প্রতিকার কোথায় by মালেকা বানু
ধর্ম-গোত্র-বর্ণ,
ছোট-বড় সবার সর্বজনীন উৎসব বৈশাখী উৎসব। মানুষ নানান আয়োজনে নববর্ষের
প্রথম দিনটি উদ্যাপন করে। অথচ সেই উৎসবে পরিকল্পিতভাবে, সংঘবদ্ধ হয়ে
প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় নিয়ে নারীদের ওপর যৌন হামলা চলেছে। এ ধরনের হামলা
বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। যারা নারীর স্বাধীনতা, বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে বিশ্বাস
করে না, তারাই এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। মৌলবাদী চিন্তা-চেতনা নিয়েই ঘটনা
ঘটিয়েছে। তবে তার চেয়েও ভয়াবহ হলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এ ধরনের
যৌন হামলা যখন চলছে, তখন সেখানে সহস্রাধিক মানুষ ছিল। তারা তাকিয়ে
তাকিয়ে দেখেছে। তারাও পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী। এ ধরনের ঘটনা
প্রতিহত করা বা প্রতিবাদ করার প্রয়োজনীয়তা আছে বলেই মনে হয়নি তাদের।
গুটিকয়েক তরুণ শুধু এগিয়ে এসেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারীর ওপর যৌন হামলা, নিপীড়ন বা নির্যাতনের ঘটনা এবারই প্রথম ঘটেছে, তা নয়। ঘটনা ঘটেই চলেছে। তবে তার প্রতিকার পাওয়া যায়নি। যে গুটিকয়েক তরুণ এবারের ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল, তাদের কাছে ভরসার জায়গা ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে ভরসার জায়গায় গিয়ে তাদের হতাশ হতে হয়েছে। কেননা তারা সহায়তার হাত বাড়ায়নি। তারাও পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব থেকে মনে করেছে কি-ই বা এমন ঘটেছে। ভিড়ের মধ্যে একটু-আধটু এমন ঘটনা ঘটেই থাকে। নারীর প্রতি যে দৃষ্টিভঙ্গি তারই প্রতিফলন ঘটেছে এখানে। তাই যত আইন, বিধি, নীতিই থাকুক না কেন, কোনো লাভ হবে না। তথ্য প্রযুক্তির যুগে এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, সেই ছেলেদের ছবি, অঙ্গভঙ্গি দেখা সম্ভব হচ্ছে। যাঁদের ছেলেরা এ ধরনের কাজ করছে, সেই অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে। সন্তানের বিষয়ে কঠোর হতে হবে। অভিভাবকেরা সন্তানকে না ঠেকালে বা উদ্যোগ না নিলে পরিস্থিতি কঠিন হবে।
সরকার নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মাল্টিসেক্টরাল প্রকল্প শীর্ষক একটি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম এটি। প্রশ্ন জাগে, এ কার্যক্রমের ফলাফল কী? ফলাফল হচ্ছে, নববর্ষের দিন নারীর ওপর যৌন হামলা। নববর্ষের দিন রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এই ক্যামেরাগুলো দেখার দায়িত্ব ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। তবু ভালো যে এই ফুটেজগুলো ছিল। তা না হলে এ বাহিনীর সদস্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যেত। সব ঘটনা হজম করে দিত।
যারা ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধেই নানান অভিযোগ তোলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বিষয়টিকে আমলেই নেওয়া হচ্ছে না। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, রিকশা থেকে টেনে নামানো হচ্ছে, কয়েকজন মিলে ঘিরে ধরে নারীর ওপর যৌন হামলা চালাচ্ছে। তারপরও তাদের কাছে এ ধরনের আচরণ যৌন হামলার পর্যায়ে পড়ছে না। তারা নারীকে বিবস্ত্র করে ফেলা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছে। ঘটনার পর হাইকোর্টের রায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে ফোকাস করতে বাধ্য করেছে।
এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে তার প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী। যাদের দায়িত্বে অবহেলার জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তাদেরও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যারা ঘটনাটিকে ছোট করে দেখতে চাইছে, তাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারীর ওপর যৌন হামলা, নিপীড়ন বা নির্যাতনের ঘটনা এবারই প্রথম ঘটেছে, তা নয়। ঘটনা ঘটেই চলেছে। তবে তার প্রতিকার পাওয়া যায়নি। যে গুটিকয়েক তরুণ এবারের ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল, তাদের কাছে ভরসার জায়গা ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে ভরসার জায়গায় গিয়ে তাদের হতাশ হতে হয়েছে। কেননা তারা সহায়তার হাত বাড়ায়নি। তারাও পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব থেকে মনে করেছে কি-ই বা এমন ঘটেছে। ভিড়ের মধ্যে একটু-আধটু এমন ঘটনা ঘটেই থাকে। নারীর প্রতি যে দৃষ্টিভঙ্গি তারই প্রতিফলন ঘটেছে এখানে। তাই যত আইন, বিধি, নীতিই থাকুক না কেন, কোনো লাভ হবে না। তথ্য প্রযুক্তির যুগে এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, সেই ছেলেদের ছবি, অঙ্গভঙ্গি দেখা সম্ভব হচ্ছে। যাঁদের ছেলেরা এ ধরনের কাজ করছে, সেই অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে। সন্তানের বিষয়ে কঠোর হতে হবে। অভিভাবকেরা সন্তানকে না ঠেকালে বা উদ্যোগ না নিলে পরিস্থিতি কঠিন হবে।
সরকার নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মাল্টিসেক্টরাল প্রকল্প শীর্ষক একটি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম এটি। প্রশ্ন জাগে, এ কার্যক্রমের ফলাফল কী? ফলাফল হচ্ছে, নববর্ষের দিন নারীর ওপর যৌন হামলা। নববর্ষের দিন রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এই ক্যামেরাগুলো দেখার দায়িত্ব ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। তবু ভালো যে এই ফুটেজগুলো ছিল। তা না হলে এ বাহিনীর সদস্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যেত। সব ঘটনা হজম করে দিত।
যারা ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধেই নানান অভিযোগ তোলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বিষয়টিকে আমলেই নেওয়া হচ্ছে না। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, রিকশা থেকে টেনে নামানো হচ্ছে, কয়েকজন মিলে ঘিরে ধরে নারীর ওপর যৌন হামলা চালাচ্ছে। তারপরও তাদের কাছে এ ধরনের আচরণ যৌন হামলার পর্যায়ে পড়ছে না। তারা নারীকে বিবস্ত্র করে ফেলা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছে। ঘটনার পর হাইকোর্টের রায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে ফোকাস করতে বাধ্য করেছে।
এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে তার প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী। যাদের দায়িত্বে অবহেলার জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তাদেরও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যারা ঘটনাটিকে ছোট করে দেখতে চাইছে, তাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
No comments