সেনা মোতায়েনে সরকারের ভয় কেন : আফরোজা আব্বাস

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের পক্ষে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস। এ সময় সেনা মোতায়েনের দাবি পুণর্ব্যক্ত করে তিনি প্রশ্ন তোলেন- সুষ্ঠু নির্বাচন চাইলে সেনা মোতায়েনের সরকারের এত ভয় কেন। নির্বাচনে জয়ী হলে মির্জা আব্বাসের পক্ষ থেকে ঢাকাকে বিশ্বমানের রাজধানীতে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে মির্জা আব্বাসের ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন 'আদর্শ ঢাকা আন্দোলন'-এর আহ্বায়ক অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদ। উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজে সভাপতি শওকত মাহমুদ, ব্রিগেডিয়ার হান্নান শাহ, সুপ্রিম কোর্ট বারের সেক্রেটারি মাহবুব উদ্দিন খোকন, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ এবং সাবেক মন্ত্রী আলতাফ হোসেন।
আধুনিক ঢাকা গড়ে তুলতে নির্বাচনী ইশতেহারে নানা প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। ইশতেহারের প্রধান ব্ক্তব্যগুলি এখানে তুলে ধরা হলো :
নাগরিক সেবা
১. ঢাকাবাসীর ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সমন্বয়ে সবার জন্য বাসযোগ্য মহানগর গড়ে তোলা।
২. নির্বাচিত হলে ভবিষ্যতে ঢাকাবাসীর সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তাদের মতামতের ভিত্তিতে সিটি কর্পোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করা।
নাগরিক বিনোদন
১. বুড়িগঙ্গা দুষণমুক্ত করা ও নদীতীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ। এবং একে ঘিরে বিনোদনকেন্দ্র গড়ে তোলা।
২. সিটি কর্পোরেশনের অধীন বিদ্যমান বিনোদনকেন্দ্রগুলোর আধুনিকায়ন ও উন্নয়ন।
যানজট নিরসন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন
১. ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের অভ্যন্তরীণ রাস্তাঘাটের সংস্কার ও প্রয়োজনীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
২. রাস্তাপারের প্রতিটি ফুটওভার ব্রিজে পর্যায়ক্রমে এসকেলেটর স্থাপন এবং সার্বক্ষণিক প্রহরাসহ নিরাপদ পারাপারের ব্যবস্থা করা।
স্বাস্থ্যসেবা
১. পথচারী ও বাসযাত্রীদের জন্য নারী-পুরুষ সকলের জন্য আধুনিক টয়লেট স্থাপন।
২. প্রতিটি পার্কে একটি করে অত্যাধুনিক প্রাইমারি হেলথ চেকআপ সেন্টার স্থাপন।
শিক্ষাখাত
১. বিভিন্ন স্কুল ও কমিউনিটি সেন্টারে নৈশকালীন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ওয়ার্ডভিত্তিক শতভাগ স্বাক্ষরতা কার্যক্রম চালু করা।
২. সিটি কর্পোরেশনের অধীন স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসাসমূহের আধুনিকায়ন ও সুষ্ঠূ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা
পরিবেশ উন্নয়ন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
১. আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্যানিটারি ল্যান্ডফেরি গড়ে তোলা।
২. আধুনিক নগরীর মতো ডোর-টু-ডোর ওয়েস্ট কালেকশন পদ্ধতিতে বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারণ।
প্রযুক্তির ঢাকা
১. পাবলিক প্লেসে ফ্রি ইন্টারনেট সেবা প্রদানের মাধ্যমে সেবা বর্ধিতকরণ।
২. সকল ধরণের ট্যাক্স অনলাইনে প্রদানের ব্যবস্থা করা।
সমাজসেবা
১. সরকার ও মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য হাসপাতাল ও গার্মেন্টস অধ্যুষিত এলাকায় ডর্মিটরি তৈরির ব্যবস্থা করা।
২. উন্নত নাগরিক সেবা প্রদানে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করা।
জননিরাপত্তা
১. পর্যায়ক্রমে প্রতিটি সড়ক ও লেন সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা।
২. ওয়ার্ডভিত্তিক অপরাধপ্রবণ জায়গাসমূহ চিহ্নিতকরণ এবং সব ধরণের অপরাধ দমনে কর্যকর পদ্ক্ষেপ গ্রহণ করা।
নগর পরিকল্পনা ও প্রশাসন
১. ওয়ার্ডভিত্তিক বাজেট প্রণয়ন ও বাজেট প্রণয়নে বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদগণের মতামত গ্রহণ।
২. নগরের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে স্বল্পমেয়াদে ১৮০ দিনের কর্মসূচী গ্রহণ করা।

No comments

Powered by Blogger.