কাশ্মীরে পাকসেনাদের জিহাদকে সমর্থন করে জামাত-উদ-দাওয়া
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হুরিয়ত নেতা মাসারত আলমের পর এবার নতুন করে বিতর্ক তৈরি করলেন ২৬/১১ মুম্বাই সন্ত্রাসের মূলচক্রী হাফিজ সাঈদ। শুক্রবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তার নেতৃত্বে চালিত নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সাহায্য করে বলে স্বীকার করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে কাশ্মীর ভারতের অংশ নয় বলেও দাবি করেছেন তিনি।
গত সপ্তাহেই কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের পতাকা তোলায় গ্রেফতার করা হয়েছে কট্টরপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা মাসারত আলমকে। এদিন একটি টিভি সাক্ষাৎকারে মাসারতকে পূর্ণ সমর্থন করে হাফিজ সাঈদের বক্তব্য, মাসারত তো দিল্লিতে পাকিস্তানের পতাকা ওড়ায়নি। কাশ্মীর একটি বিতর্কিত এলাকা। ভারতের নয়। তাই মাসারত কোনো ভুল কাজ করেনি। কাশ্মীরসহ ভারতে নানা জঙ্গি কার্যকলাপ প্রসঙ্গে জঙ্গি নেতার বক্তব্য, ‘পাকিস্তান ও জামাত-উদ-দাওয়া কাশ্মীরবাসীকে সাহায্য করে। একেই আমরা জিহাদ বলি। যদি ভারত তাদের (কাশ্মীর) প্রাপ্য অধিকার না দিতে চায়, সংঘর্ষের পথ নেয়, তাহলে আমরাও জিহাদের রাস্তায় হাঁটব। কাশ্মীরবাসীকে স্বাধীনতা দেয়ার জন্য পাকিস্তান সব সময় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।’ এদিকে, ভারত শাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে হুরিয়ত সমর্থকদের বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের গুলিতে এক তরুণ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও দুজন।
শনিবার বাদগাম জেলার নরবলে এ ঘটনা ঘটে। এক সমাবেশে ভারতবিরোধী স্লোগান দেয়ায় এবং পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানোর অভিযোগে শুক্রবার হুরিয়ত নেতা মাসারত আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে পুলওয়ামা জেলার ত্রালে সেনাবাহিনীর গুলিতে দুই যুবক নিহত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার হুরিয়ত নেতা গিলানি শ্রীনগর থেকে ত্রাল পর্যন্ত এক বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু, পুলিশ সেই মিছিলের অনুমতি দেয়নি। অনুমতিহীন সেই মিছিল এ দিন নরবলে পৌঁছতেই পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। মিছিল আটকাতেই পুলিশের দিকে পাথর ছুড়তে শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্য করে গুলি ছোড়ে পুলিশ। গুলিতে আহত হন তিন যুবক। তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সুহেল নামে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
No comments