যৌন হয়রানির দৃশ্য পাচ্ছে না পুলিশ!
টিএসসিতে পয়লা বৈশাখের উৎসবে নারীদেরকে
লাঞ্চিত করা এবং যৌন হয়রানির ঘটনায় আজ শনিবার পর্যন্ত কাউকে আটক করতে
পারেনি পুলিশ। তবে নারীদেরকে ধাক্কা দিয়ে লাঞ্চিত করা হচ্ছে এমন বেশ কিছু
দৃশ্য সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে তারা নিশ্চিত হয়েছেন। তবে যৌন হয়রানির
কোনো দৃশ্য পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি পুলিশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
কর্তৃপক্ষের! এ ঘটনায় অন্তত চারজন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিতও করা হয়েছে। তাদের
নাম ঠিকানা উদ্ধার করে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। অথচ
প্রত্যক্ষদর্শীরা নারীদের বস্ত্র হরণ করে যৌন হয়রানি এবং লাঞ্ছিত করার
দৃশ্যের কথা জানিয়েছিলেন।
ওদিকে টিএসসির এই ঘটনায়
দায়িত্বে অবহেলায় অভিযোগ আসা পুলিশের এসআই আলী আশরাফকে শাহবাগ থানা থেকে
প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, আলী আশরাফের নিকট
ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে তুলে দেয়া হয়। কিন্তু পরে তাদেরকে ছেড়ে
দেয়া হয়েছে। বিষয়টি শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম নিশ্চিত করলেও তিনি
আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজি হননি। কারণ জানতে চাইলে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের
নিষেধ আছে বলে জানিয়ে দেন। ঘটনার বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত
কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
ঘটনার সময় টিএসসি এলাকায় দায়িত্বে ছিলেন শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) সাইদুর রহমানও। তিনিও সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে আটক করেন বলে একাধিক সুত্র দাবি করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও এ ধরণের কথা জানতে পেরেছেন বলে স্বীকার করেছেন। কিন্তু আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে সাইদুর রহমান নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘এসআই আশরাফের বিরুদ্ধে কয়েকজনকে আটক এবং তাদেরকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আমি ওইদিন কাউকে আটক করিনি।’
ঘটনার সময়কার বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচার করা হয়েছে। কিছু ফুটেজ নয়া দিগন্তের হাতেও এসেছে। যেখানে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৬টা ৪০ পর্যন্ত একই স্থানে বেশ কিছু ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়। এর মধ্যে অন্তত দু’জন যুবককে গণপিটুনি দিতে দেখা যায়। ৫-৬ মিনিটের ব্যবধানে কয়েকজন মেয়েকে বেশ কিছু যুবক ঘিরে ধরে একদিকে ঠেলে নেয়ার চেষ্টা করছে। এ ধরণের ঘটনা ১০ মিনিটের মধ্যেই অন্তত চারটি দেখা দেখা যায়।
ঘটনার সময় টিএসসি এলাকায় দায়িত্বে ছিলেন শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) সাইদুর রহমানও। তিনিও সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে আটক করেন বলে একাধিক সুত্র দাবি করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও এ ধরণের কথা জানতে পেরেছেন বলে স্বীকার করেছেন। কিন্তু আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে সাইদুর রহমান নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘এসআই আশরাফের বিরুদ্ধে কয়েকজনকে আটক এবং তাদেরকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আমি ওইদিন কাউকে আটক করিনি।’
ঘটনার সময়কার বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচার করা হয়েছে। কিছু ফুটেজ নয়া দিগন্তের হাতেও এসেছে। যেখানে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৬টা ৪০ পর্যন্ত একই স্থানে বেশ কিছু ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়। এর মধ্যে অন্তত দু’জন যুবককে গণপিটুনি দিতে দেখা যায়। ৫-৬ মিনিটের ব্যবধানে কয়েকজন মেয়েকে বেশ কিছু যুবক ঘিরে ধরে একদিকে ঠেলে নেয়ার চেষ্টা করছে। এ ধরণের ঘটনা ১০ মিনিটের মধ্যেই অন্তত চারটি দেখা দেখা যায়।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পাশে (গোল চিহ্নত) পয়লা বৈশাখে যৌন হয়রানির ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতা নিশাত ইমতিয়াজ বিজয়। |
এসব ভিডিওতে লক্ষ করা যায়,
কোনো নারীকে লাঞ্ছিত করা শুরু হলেই সেখানে ১০-১৫ জন যুবক সেখানে জড়ো
হচ্ছেন। যার মাঝে পড়ে নারীদেরকে অত্যন্ত অসহায় অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। ফুটেজের
একাধিক স্থানে রিকসায় থাকা নারীদেরকেও লাঞ্ছিত করতে দেখা যায়। এ ধরণের
ঘটনা বেশ কিছু সময় ধরে লক্ষ করা যায়। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি ছিল মাত্র
দু’তিনজন। যখনই কোথাও কোনো নারী লাঞ্ছিত করা শুরু হচ্ছে তার কিছুক্ষণের
মধ্যে ২-৩ জন পুলিশ বাশি ফুঁকে লাঠি পেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা
করছেন। কিন্তু তারা চলে গেলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই জায়গাগুলো আবার আগের
মত হয়ে যাচ্ছে। হুড়োহুড়িতে কয়েকজন মটরসাইকেল আরোহীকে পড়ে যেতেও দেখা যায়।
পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে নারীদেরকে কিছু যুবক ঘিরে ধাক্কা দিয়ে একদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে এমনটা বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু বস্ত্রহরণ বা যৌন হয়রানির মত যেসব স্পর্শকাতর বিষয়ের কথা বলা হচ্ছে সে ধরণের কিছু ভিডিওতে মিলছে না। এ জন্য তারা আরো তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছেন। কারোর নিকট এ বিষয়ে কোনো ছবি বা বক্তব্য থাকলে সেগুলোও আহবান করছেন। তবে নারীদেরকে যেভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে সেগুলো বেশ খারাপ হয়েছে বলেই পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
এসব ভিডিও ফুটেজ দেখে চার-পাঁচজনকে সন্দেভাজন হিসেবে সনাক্ত করেছেন পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাদের নাম পরিচয় এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এদের দু’একজনের ঠিকানা উদ্ধার এবং আটক করতে পারলে ঘটনার অনেক কিছু জানা যাবে বলে তারা মনে করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ নয়া দিগন্তকে বলেন, ভিডিও ফুটেজে কিছু স্থানে নারীদের ধাক্কা দেয়া হচ্ছে এমনটি দেখা যাচ্ছে। তবে যতটা ভয়াবহ কথা শোনা যাচ্ছিল তেমনটি পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েকজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের নাম ঠিকানা উদ্ধার করে আটক করতে পারলে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
একই ধরণের কথা বলেন শাহবাগ থানা পুলিশের অপারেশন অফিসার একে আজাদ। তিনি সাংবাদিকদেরকে বলেন, নারীদেরকে ধাক্কাধাক্কির ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু বক্তব্যের মত অত স্পর্শকাতর কিছু ভিডিওতে নেই। তবে যে ধরণের ধাক্কাধাক্কি হয়েছে তা কাঙ্খিত নয়। একই ধরণের কথা স্বীকার করলেও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম উর্ধতন নিষেধ থাকায় এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলতে রাজি হননি।
পুলিশের তদন্ত কমিটি : পয়লা বৈশাখে টিএসসি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী কর্তৃক নারী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনার বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও সামাজিক মিডিয়ায় প্রকাশিত দুষ্কৃতিকারী কর্তৃক নারী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা প্রকৃতপক্ষেই সংঘটিত হয়েছিল কি-না এবং তার পাশাপাশি কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের দায়-দায়িত্ব নিরূপনের নিমিত্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
কমিটির সদস্যরা হলেন- সভাপতি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মোহাম্মদ ইব্রাহিম ফাতেমী, সদস্য জয়েন্ট পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ওয়াই এম বেলালুর রহমান ও সদস্য সচিব উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-পূর্ব) মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর। কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে নারীদেরকে কিছু যুবক ঘিরে ধাক্কা দিয়ে একদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে এমনটা বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু বস্ত্রহরণ বা যৌন হয়রানির মত যেসব স্পর্শকাতর বিষয়ের কথা বলা হচ্ছে সে ধরণের কিছু ভিডিওতে মিলছে না। এ জন্য তারা আরো তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছেন। কারোর নিকট এ বিষয়ে কোনো ছবি বা বক্তব্য থাকলে সেগুলোও আহবান করছেন। তবে নারীদেরকে যেভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে সেগুলো বেশ খারাপ হয়েছে বলেই পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
এসব ভিডিও ফুটেজ দেখে চার-পাঁচজনকে সন্দেভাজন হিসেবে সনাক্ত করেছেন পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাদের নাম পরিচয় এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এদের দু’একজনের ঠিকানা উদ্ধার এবং আটক করতে পারলে ঘটনার অনেক কিছু জানা যাবে বলে তারা মনে করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ নয়া দিগন্তকে বলেন, ভিডিও ফুটেজে কিছু স্থানে নারীদের ধাক্কা দেয়া হচ্ছে এমনটি দেখা যাচ্ছে। তবে যতটা ভয়াবহ কথা শোনা যাচ্ছিল তেমনটি পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েকজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের নাম ঠিকানা উদ্ধার করে আটক করতে পারলে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
একই ধরণের কথা বলেন শাহবাগ থানা পুলিশের অপারেশন অফিসার একে আজাদ। তিনি সাংবাদিকদেরকে বলেন, নারীদেরকে ধাক্কাধাক্কির ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু বক্তব্যের মত অত স্পর্শকাতর কিছু ভিডিওতে নেই। তবে যে ধরণের ধাক্কাধাক্কি হয়েছে তা কাঙ্খিত নয়। একই ধরণের কথা স্বীকার করলেও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম উর্ধতন নিষেধ থাকায় এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলতে রাজি হননি।
পুলিশের তদন্ত কমিটি : পয়লা বৈশাখে টিএসসি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী কর্তৃক নারী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনার বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও সামাজিক মিডিয়ায় প্রকাশিত দুষ্কৃতিকারী কর্তৃক নারী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা প্রকৃতপক্ষেই সংঘটিত হয়েছিল কি-না এবং তার পাশাপাশি কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের দায়-দায়িত্ব নিরূপনের নিমিত্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
কমিটির সদস্যরা হলেন- সভাপতি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মোহাম্মদ ইব্রাহিম ফাতেমী, সদস্য জয়েন্ট পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ওয়াই এম বেলালুর রহমান ও সদস্য সচিব উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-পূর্ব) মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর। কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
প্রতিবাদ করতে গিয়ে হামলায় আহত লিটন নন্দী |
ছাত্র ইউনিয়নের সংবাদ সম্মেলন
: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আজ দুপুরে ছাত্র ইউনিয়ন প্রশাসনের
প্রাতিষ্ঠানিক মিথ্যাচারের প্রতিবাদে ও প্রক্টরের অপসারণের দাবিতে একটি
সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি হাসান তারেক
বলেন, নববর্ষের উৎসবের দিনে সন্ধ্যায় টিএসসি মোড়ের সোহরাওয়ার্দীও গেটের
সামনে নারী ও শিশুর উপর সংঘটিত বর্বরোচিত-ন্যাক্কারজনক-পাশবিক যৌন নিপীড়নের
ঘটনায় দেশবাসী স্তম্ভিত হয়েছে। ঘটনা ঘটার সময় থেকে এখন পর্যন্ত
বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রক্টর দায়িত্ব পালনে
চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন, খেতাব কুড়িয়েছেন অদায়িত্বশীলতার। সর্বশেষ গত
কয়েকদিনে বিভিন্ন গণমাধ্যমে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য প্রদান করে বারংবার
মিথ্যাচার করেছেন। এসময় দায়িত্ব পালনে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ অভিযোগ করে তারা
প্রক্টরের অপসারণ চান।
তিনি বলেন, কয়েকজন নিপীড়ককে আটক করে ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত পুলিশের কাছে সোপর্দ করলেও পরক্ষণেই পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়। নিপীড়কদের কেন ছেড়ে দেয়া হলো, সে ব্যাখ্যা আপামর ছাত্র সমাজ ও দেশবাসী জানতে চায়। পুলিশের ভাষ্যানুযায়ী সিসি ক্যামেরার ফুটেজে নাকি তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। অথচ টিভিতে পুলিশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়েই দেখিয়েছে সেদিন কী কী ঘটেছিল।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, একই ফুটেজে টিভি পেল, পুলিশ কেন পেল না? তবে কী পুলিশ অপরাধীদের আড়াল করতে চায়? নিপীড়কদের পেছনে কোনো বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি রয়েছে যাদের প্রভাবে পুলিশও নিপীড়কের রক্ষকে পরিণত হয়েছে? তাদের ঘোষিত কর্মসূচি পালনে বাঁধা দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এসময় ঘটনার ছবি তোলা ছাত্র সাব্বির সজীবের ঘটনা সম্পর্কে ফেসবুকের স্ট্যাটাস তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মারুফ বিল্লাহ তন্ময়, ঢাবি শাখা সভাপতি লিটন নন্দী, সাধারণ সম্পাদক তুহিন কান্তি দাস, ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক সুমন সেন গুপ্ত প্রমুখ।
ওদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ বিকেলে টিএসসি রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে নটরডেম কলেজসহ আরো নয়টি কলেজ ও দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে টিএসসিতে ‘মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ চাই’ শীর্ষক এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এছাড়া সকালে একই স্থানে পয়লা বৈশাখে নারী লাঞ্ছিত ও নিপীড়নের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নারী সেল অপর মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এতে প্রাবন্ধিক সৈয়দ আবুল মকসুদ, অ্যাডভোকেট মাকসুদা আক্তার লাইলী, নারী সেলের আহ্বায়ক লক্ষ্মী চক্রবর্তী, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি লুনা নূর, নারী সেলের সদস্য করবী ধর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, কয়েকজন নিপীড়ককে আটক করে ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত পুলিশের কাছে সোপর্দ করলেও পরক্ষণেই পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়। নিপীড়কদের কেন ছেড়ে দেয়া হলো, সে ব্যাখ্যা আপামর ছাত্র সমাজ ও দেশবাসী জানতে চায়। পুলিশের ভাষ্যানুযায়ী সিসি ক্যামেরার ফুটেজে নাকি তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। অথচ টিভিতে পুলিশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়েই দেখিয়েছে সেদিন কী কী ঘটেছিল।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, একই ফুটেজে টিভি পেল, পুলিশ কেন পেল না? তবে কী পুলিশ অপরাধীদের আড়াল করতে চায়? নিপীড়কদের পেছনে কোনো বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি রয়েছে যাদের প্রভাবে পুলিশও নিপীড়কের রক্ষকে পরিণত হয়েছে? তাদের ঘোষিত কর্মসূচি পালনে বাঁধা দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এসময় ঘটনার ছবি তোলা ছাত্র সাব্বির সজীবের ঘটনা সম্পর্কে ফেসবুকের স্ট্যাটাস তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মারুফ বিল্লাহ তন্ময়, ঢাবি শাখা সভাপতি লিটন নন্দী, সাধারণ সম্পাদক তুহিন কান্তি দাস, ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক সুমন সেন গুপ্ত প্রমুখ।
ওদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ বিকেলে টিএসসি রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে নটরডেম কলেজসহ আরো নয়টি কলেজ ও দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে টিএসসিতে ‘মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ চাই’ শীর্ষক এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এছাড়া সকালে একই স্থানে পয়লা বৈশাখে নারী লাঞ্ছিত ও নিপীড়নের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নারী সেল অপর মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এতে প্রাবন্ধিক সৈয়দ আবুল মকসুদ, অ্যাডভোকেট মাকসুদা আক্তার লাইলী, নারী সেলের আহ্বায়ক লক্ষ্মী চক্রবর্তী, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি লুনা নূর, নারী সেলের সদস্য করবী ধর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments