শাবি পরিস্থিতি- ভিসি থাকছেন নেপথ্যে দুই শিক্ষকের বিরোধ by চৌধুরী মুমতাজ আহমদ
দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিলেন তারা।
ব্যস্ততার কারণে সময় দিতে পারেননি তিনি। সাক্ষাৎ প্রার্থীদেরও বিশেষ
প্রয়োজন তাই অনুমতি না পেলেও দল বেঁধে তার অফিসে চলে যান। রুমে ঢুকলেন
তারা। রুমটি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) ভিসি প্রফেসর ড. আমিনুল হক
ভূঁইয়ার অফিস কক্ষ। হঠাৎ করে নিজের রুমে এতো জনের উপস্থিতির জন্য প্রস্তুত
ছিলেন না ভিসি আমিনুল হক। তিনি বললেন, আপনাদের তো আসতে বলিনি। জরুরি
প্রয়োজন শুনে তিনি তাদের বক্তব্য সংক্ষেপে উপস্থাপনের জন্য বলেন। এমন সময়
মোবাইল ফোন বেজে উঠে ভিসি আমিনুল হকের। ফোনটি রিসিভ করেন তিনি। ফোনের অপর
প্রান্তের ব্যক্তিকে জানালেন আসছেন তিনি, কয়েক মিনিটের মধ্যেই। ফোন রেখে
ভিসি সাক্ষাৎপ্রার্থীদের বললেন খুব দ্রুত শেষ করতে। উপস্থিত শিক্ষকরা
অপমানিত বোধ করেন। কিছুটা উত্তেজিতও হন। ভিসি সবাইকে সংযমী হতে বলেন।
তাগাদা দেন দ্রুত শেষ করতে। তার হাতে সময় কম। ভিসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে
বেরিয়ে আসেন শিক্ষকরা। অপমানিত বোধ করে পদত্যাগ করেন পদার্থ বিজ্ঞান
বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. বদিউজ্জামান ফারুক ও জিওগ্রাফি অ্যান্ড
এনভায়রনমেন্ট সায়েন্স বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. শরীফ মোহাম্মদ শরাফ
উদ্দিন। ঘটনাটি ঘটে ১২ই এপ্রিল বিকালে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন শিক্ষার্থীরাও। তারা আন্দোলনে নামেন। পরদিন ভিসিকে নিজের ভবনে সাড়ে ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পহেলা বৈশাখের কারণে ১৪ই এপ্রিল কোন কর্মসূচি না থাকলেও পরদিন থেকে আবার বিষয়টি নিয়ে নাড়াচাড়া হয়। রাতে শিক্ষকদের একটি অংশ জরুরি বৈঠকে বসেন। সরকার সমর্থিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদের সে বৈঠকে ভিসিকে পদত্যাগের জন্য ৪ দিনের আলটিমেটাম দেয়া হয়। হুমকি দেয়া হয় ভিসি পদত্যাগ না করলে শিক্ষকরাই দল বেঁধে পদত্যাগ করবেন। ৪ দিনের সে আলটিমেটাম শেষ হচ্ছে আজ। তবে শাবি ভিসি আমিনুল হক ভূঁইয়াকে বোধহয় পদত্যাগ করতে হচ্ছে না। পদত্যাগ করবেন না শিক্ষকরাও। এমনটারই নিশ্চিত আভাস মিলেছে শাবি সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র থেকে। আজকের বৈঠকে শান্তিপূর্ণ এমন সিদ্ধান্তই আসছে। নমনীয় হয়েছেন শিক্ষকরা। ভাবছেন, ছোট্ট একটা ভুল বোঝাবুঝি থেকে এমন কঠোর পদক্ষেপ নেয়াটা বোধহয় ঠিক হয়নি। তারা প্রত্যাহার করে নেবেন আলটিমেটাম। আর পদত্যাগকারী শিক্ষকরাও ফিরে যাবেন স্বপদে।
হ্যাঁ, ছোট্ট একটা ভুল বোঝাবুঝিই হয়েছিলো। ভিসির ঘনিষ্ঠ কিছু সূত্র বলছে, কয়েকদিন ধরেই শাবি ভিসি আমিনুল হক ভূঁইয়া মানসিকভাবে কিছুটা অস্থির হয়ে আছেন। তার স্ত্রী অসুস্থ, সন্তানসম্ভবা। তাকে নিয়েই একটু বাড়তি টেনশন তার। সেদিন শিক্ষকদের উপস্থিতিতে যে ফোন কলটি এসেছিলো তা এ সংক্রান্তই। কয়েক মিনিটের মধ্যে তার চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করার কথা, তাই তিনি সময় দিতে পারেননি। মানসিক অস্থিরতার কারণে হয়তো একটু রুক্ষও শুনাচ্ছিলো তার কণ্ঠ। আর এতেই তাকে ভুল বুঝেন শিক্ষকরা। পরবর্তীতে এ ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাতে শিক্ষকদের ডেকেওছিলেন তিনি। তাতে কেউ সাড়া দিয়েছিলেন, কেউ দেননি।
জানা যায়, বিভাগের জায়গা বরাদ্দ নিয়ে ১২ই এপ্রিল স্পেস কমিটির আহ্বায়ক ও ফলিত বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জহির বিন আলমের সঙ্গে পদার্থ বিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। মূলত জায়গার বরাদ্দ নিয়েই কথা কাটাকাটি হয় তাদের মাঝে। অনুসন্ধানে তথ্য মিলেছে, শাবিতে জায়গা নিয়ে সংকট অনেক দিন ধরেই চলে আসছে। পর্যাপ্ত জায়গা বরাদ্দ পেতে আন্দোলনও হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কোন বিভাগে একটি কক্ষে তিন/চারজন শিক্ষককে ভাগাভাগি করে বসতে হয়, আবার কোথাওবা বিভাগীয় প্রধানেরই কক্ষ নেই। অন্যদিকে একাডেমিক ভবন ‘এ’ তে যেসব বিভাগের অবস্থান তারা ভালোই জায়গা বরাদ্দ পাচ্ছেন। এমনও আছে এসব বিভাগের নতুন প্রভাষকের ভাগ্যেও বিশাল কক্ষ জুটে যায়। এ নিয়ে অসন্তোষ আছে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকদের মাঝে। যে শিক্ষকদের সঙ্গে ড. জহির আলমের কথা কাটাকাটি হয় তাদের অবস্থান ভবন ‘এ’ তে। জায়গা সংকট নিরসনের জন্যই তাদের কাছে ছাড় চেয়েছিলেন জহির আলম। কথা বাড়তে বাড়তে তা এক সময় কাটাকাটিতে চলে যায়। জহির বিন আলমের সঙ্গে তাদের এ কথা কাটাকাটির বিষয়টির বিহিত চাইতেই পদার্থ বিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষকরা ভিসির সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। ঘটনার ঘনঘটায় সে বিষয়টিই রূপ নেয় জটিল পরিস্থিতিতে। তবে একটি সূত্র বলছে, ঘটনাটা এতদূর গড়াতো না যদি না জহির বিন আলমের সঙ্গে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ইয়াসমীন হকের ব্যক্তিগত বিরোধ না থাকতো। নানা ইস্যুতে এ দুই শিক্ষকের মধ্যে যে সম্পর্ক ভালো নেই তা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেরই অজানা নেই।
ঘটনাটি জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন শিক্ষার্থীরাও। তারা আন্দোলনে নামেন। পরদিন ভিসিকে নিজের ভবনে সাড়ে ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পহেলা বৈশাখের কারণে ১৪ই এপ্রিল কোন কর্মসূচি না থাকলেও পরদিন থেকে আবার বিষয়টি নিয়ে নাড়াচাড়া হয়। রাতে শিক্ষকদের একটি অংশ জরুরি বৈঠকে বসেন। সরকার সমর্থিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদের সে বৈঠকে ভিসিকে পদত্যাগের জন্য ৪ দিনের আলটিমেটাম দেয়া হয়। হুমকি দেয়া হয় ভিসি পদত্যাগ না করলে শিক্ষকরাই দল বেঁধে পদত্যাগ করবেন। ৪ দিনের সে আলটিমেটাম শেষ হচ্ছে আজ। তবে শাবি ভিসি আমিনুল হক ভূঁইয়াকে বোধহয় পদত্যাগ করতে হচ্ছে না। পদত্যাগ করবেন না শিক্ষকরাও। এমনটারই নিশ্চিত আভাস মিলেছে শাবি সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র থেকে। আজকের বৈঠকে শান্তিপূর্ণ এমন সিদ্ধান্তই আসছে। নমনীয় হয়েছেন শিক্ষকরা। ভাবছেন, ছোট্ট একটা ভুল বোঝাবুঝি থেকে এমন কঠোর পদক্ষেপ নেয়াটা বোধহয় ঠিক হয়নি। তারা প্রত্যাহার করে নেবেন আলটিমেটাম। আর পদত্যাগকারী শিক্ষকরাও ফিরে যাবেন স্বপদে।
হ্যাঁ, ছোট্ট একটা ভুল বোঝাবুঝিই হয়েছিলো। ভিসির ঘনিষ্ঠ কিছু সূত্র বলছে, কয়েকদিন ধরেই শাবি ভিসি আমিনুল হক ভূঁইয়া মানসিকভাবে কিছুটা অস্থির হয়ে আছেন। তার স্ত্রী অসুস্থ, সন্তানসম্ভবা। তাকে নিয়েই একটু বাড়তি টেনশন তার। সেদিন শিক্ষকদের উপস্থিতিতে যে ফোন কলটি এসেছিলো তা এ সংক্রান্তই। কয়েক মিনিটের মধ্যে তার চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করার কথা, তাই তিনি সময় দিতে পারেননি। মানসিক অস্থিরতার কারণে হয়তো একটু রুক্ষও শুনাচ্ছিলো তার কণ্ঠ। আর এতেই তাকে ভুল বুঝেন শিক্ষকরা। পরবর্তীতে এ ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাতে শিক্ষকদের ডেকেওছিলেন তিনি। তাতে কেউ সাড়া দিয়েছিলেন, কেউ দেননি।
জানা যায়, বিভাগের জায়গা বরাদ্দ নিয়ে ১২ই এপ্রিল স্পেস কমিটির আহ্বায়ক ও ফলিত বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জহির বিন আলমের সঙ্গে পদার্থ বিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। মূলত জায়গার বরাদ্দ নিয়েই কথা কাটাকাটি হয় তাদের মাঝে। অনুসন্ধানে তথ্য মিলেছে, শাবিতে জায়গা নিয়ে সংকট অনেক দিন ধরেই চলে আসছে। পর্যাপ্ত জায়গা বরাদ্দ পেতে আন্দোলনও হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কোন বিভাগে একটি কক্ষে তিন/চারজন শিক্ষককে ভাগাভাগি করে বসতে হয়, আবার কোথাওবা বিভাগীয় প্রধানেরই কক্ষ নেই। অন্যদিকে একাডেমিক ভবন ‘এ’ তে যেসব বিভাগের অবস্থান তারা ভালোই জায়গা বরাদ্দ পাচ্ছেন। এমনও আছে এসব বিভাগের নতুন প্রভাষকের ভাগ্যেও বিশাল কক্ষ জুটে যায়। এ নিয়ে অসন্তোষ আছে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকদের মাঝে। যে শিক্ষকদের সঙ্গে ড. জহির আলমের কথা কাটাকাটি হয় তাদের অবস্থান ভবন ‘এ’ তে। জায়গা সংকট নিরসনের জন্যই তাদের কাছে ছাড় চেয়েছিলেন জহির আলম। কথা বাড়তে বাড়তে তা এক সময় কাটাকাটিতে চলে যায়। জহির বিন আলমের সঙ্গে তাদের এ কথা কাটাকাটির বিষয়টির বিহিত চাইতেই পদার্থ বিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষকরা ভিসির সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। ঘটনার ঘনঘটায় সে বিষয়টিই রূপ নেয় জটিল পরিস্থিতিতে। তবে একটি সূত্র বলছে, ঘটনাটা এতদূর গড়াতো না যদি না জহির বিন আলমের সঙ্গে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ইয়াসমীন হকের ব্যক্তিগত বিরোধ না থাকতো। নানা ইস্যুতে এ দুই শিক্ষকের মধ্যে যে সম্পর্ক ভালো নেই তা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেরই অজানা নেই।
No comments