ডিবি পরিচয়ে অপহরণের অপসংস্কৃতি by ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী

এ এক বড় প্রশ্ন। একটি ফ্যাসিবাদী সরকারশাসিত সমাজে এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। জার্মানির ফ্যাসিস্ট হিটলার সরকারের আমলে আধুনিককালে গুমের ঘটনা সারা পৃথিবীর কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এডলফ হিটলার তার বিরোধীদের দমনে ও দলনে গঠন করেন গেস্টাপো বাহিনী। সে বাহিনী যখন যেখান থেকে যাকে খুশি তুলে নিয়ে গুম করে দিত। এর কোনো জবাবদিহিতা হিটলারের আমলে ছিল না। তবে বিস্ময়ের ব্যাপার ছিল এই, সে সময় হিটলারের ইহুদিবিরোধী নীতির কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে তার জনসমর্থনও কম ছিল না। আর বাংলাদেশের বর্তমান সরকারেরও তেমন নীতি আছে বটে, তবে তাদের জনসসমর্থন নেমে গেছে একেবারে নিচের কোঠায়।
ফলে ফ্যাসিবাদী হিটলার সরকারেরও যেটুকু জনসমর্থন ছিল বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সেটুকুও নেই। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার হিটলারের চেয়ে আরো অনেক বেশি বেপরোয়া। পৃথিবীর ইতিহাসে এ রকম অপশাসকের আবির্ভাবের ঘটনা খুব বেশি ঘটেনি। একটি সমাজের বিপর্যয়ের অন্যতম প্রধান লক্ষণ, যখন সেখানকার শাসকেরা মিথ্যা কথা বলতে থাকে। বর্তমান শাসকগোষ্ঠী পদে পদে মিথ্যা কথা বলেই যাচ্ছে। কিন্তু মিথ্যার ওপর একটি সমাজ কখনো দাঁড়াতে পারে না।
দেশে গুম, হত্যা, নির্বিচার খুন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার অবাধে চলছে। আর কোনো ক্ষেত্রেই সরকার এর দায় নিতে চাইছে না। খুনের ক্ষেত্রে চালু করেছে দু’ধরনের বক্তব্য। প্রথমত, ব্যাপক নিন্দিত ‘ক্রসফায়ার’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধ’। এর প্রকৃতি অবিকল একই রকম। সরকার ভিন্নমতের রাজনৈতিক নেতকর্মীদের গভীর রাতে গিয়ে পোশাকে বা সাদা পোশাকে আটক করে নিয়ে আসে। এরপর থানায় যোগাযোগ করতে বলে। কখনো আটককৃতদের দেখা মেলে। কখনো মেলে না। তারপর সকালে বা দু-একদিন পর আশপাশে কোথায়ও, পুকুরে ডোবায় ধানক্ষেতে তাদের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। কখনোবা পাওয়া যায় দূরবর্তী কোনো জেলায় গুলিতে ঝাঁঝরা লাশ।
এ ক্ষেত্রে সরকারের কাহিনী সবক্ষেত্রে প্রায় একই রকম। বলা যায়, যে ব্যক্তিকে ধরা হয়েছিল সে এক ভয়াবহ বন্দুকবাজ সন্ত্রাসী। তার আছে আরো অনেক বন্দুকবাজ সন্ত্রাসী সহযোগী। যুবকটিকে আটক করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে নিয়ে যাচ্ছিল আটক ব্যক্তির অস্ত্রাগারের সন্ধানে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্ধারিত স্থানে যাওয়া আটককৃত ব্যক্তির সহযোগীরা নাকি ওই ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। তাতে আটক ব্যক্তি নিহত হয় এবং বুলেটে তার শরীর ঝাঁঝরা হয়ে যায়। এরা পুলিশের ওপর হামলা চালাতে এসেছিল কোনো দিন তাদের একজনও আহত হয়নি। পুলিশের গাড়িতেও কোনো গুলি লাগেনি। কিংবা আহত হয় না কোনো পুলিশ সদস্যও। সরকার বছরের পর বছর ধরে একই কল্পকাহিনী ধারাবাহিকভাবে প্রচার করে যাচ্ছে। অথচ খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় সামান্য একটি অভিযোগও নেই।
আবার অভিযোগ থাক বা না থাক, অভিযোগ সাজানোর পথও সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় বেশি সহজ করে রেখেছে। ধরা যাক, কোথায়ও একটি বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। সে ক্ষেত্রে পুলিশের মামলা দায়েরের ঘটনাও বড় অদ্ভুত। দুই-চার-পাঁচজন লোকের নাম উল্লেখ করে পুলিশ নাম পরিচয়হীন আরো চার-পাঁচ হাজার লোকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে রাখে। সেভাবে এ পর্যন্ত হয়তো কোটি লোকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে, নিশ্চিত করে বলা কঠিন। এরপর প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক কর্মীকে সেই মামলায় আটক করে খুব সহজেই ক্রসফায়ারের নামে খুন করে ফেলা যাচ্ছে। আবার এসব খুনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়মুক্তি দিয়ে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তাদের এই বলে লেলিয়ে দিয়েছেন, তারা যা খুশি করতে পারে। সে দায়-দায়িত্ব নেবেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। সে-ও এক বিপজ্জনক প্রশ্ন। ভবিষ্যতে যদি কোনো দিন এসব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হয়, তবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হুকুমের আসামি হবেন কিনা জানি না।
সরকারের এই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে দেশের বিদ্বৎসমাজ থেকে শুরু করে সারা পৃথিবী সোচ্চার। কিন্তু থোড়াই পরোয়া করছে সরকার। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেই যাচ্ছে। ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধ অব্যাহত আছে। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যেহেতু এ ধরনের কর্মকাণ্ডের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে, সুতরাং নরহত্যা এখন স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এই বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিপণ দাবি করে নরহত্যা ও শিশুহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর সর্বশেষ উদাহরণ সিলেটের শিশু সাঈদ (৯) হত্যা। চতুর্থ শ্রেণীতে পড়–য়া সিলেট বিমানবন্দর থানার পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান, আওয়ামী ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক এন ইসলাম তালুকদার ওরফে রাকিব ও র‌্যাবের সোর্স গেদা মিঞা মিলে শিশুটিকে গলাটিপে হত্যা করে সাত-পরত বস্তায় পেঁচিয়ে পুলিশের বাসভবনেরই চিলেকোঠায় লুকিয়ে রাখে। ছেলেটির জন্য দুই লাখ টাকা মুক্তিপণও নিয়েছিল তারা। সাঈদ পরিবারের পূর্ব পরিচিত ছিল ওই পুলিশ কনস্টেবল। শেষ পর্যন্ত তারা ধরা পড়েছে। এই ঘাতকদের দৃষ্টান্তমূলক কোনো শাস্তি হবে, এ কথা কেউ বিশ্বাস করে না। প্রধানমন্ত্রীর দায়মুক্তি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এই পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে।
দ্বিতীয় প্রসঙ্গ গুম। সরকার বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের ধারাবাহিকভাবে গুম করে যাচ্ছে বলে জোরালো অভিযোগ। সাধারণ মানুষের বিশ্বাসও তাই। এই গুমের ঘটনাগুলোর প্রকৃতি প্রায় একই রকম। রাতে কিংবা দিনে প্রধানত ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর দিব্যি অস্বীকার করে পুলিশ কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর এসব রাজনৈতিক কর্মীর আর কোনো হদিস পাওয়া যায় না। তবে গুম হওয়ার পর কখনো কখনো এদের লাশ পাওয়া যায় নিজ এলাকায় কিংবা দূরবর্তী কোনো স্থানে। বাকিদের কোনো খোঁজই মেলে না। যেভাবে খোঁজ মেলেনি বিএনপি নেতা চৌধুরী আলম, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী, যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদের। খোঁজ মেলেনি ২০ দলীয় জোটের আরো অনেক নেতাকর্মীর।
এদের অপহরণের প্রকৃতিও এক। মধ্যরাতে র‌্যাব পুলিশের গাড়ি এসে হাজির হয়। বাড়ির ফটকে নিজেদের পরিচয় দেয়। হল্লাচিল্লার আশঙ্কা দেখা দিলে পরিচয়পত্র পর্যন্ত দেখায়। তারপর বাড়িতে ঢুকে সংশ্লিষ্টকে আটক করে, হ্যান্ডকাফ পরায়, চোখ বাঁধে আবার গাড়িতে করে নিয়ে চলে যায়। পরিবারের সদস্যদের সাথে তাদের কথাবার্তাও হয়। কখনো ভদ্রভাবে বলে যায়, কালকে থানায় খোঁজ করবেন। কখনো বাড়িঘর ভাঙ্চুর করে। কিন্তু যাকে নিতে এসেছে তাকে নিয়েই যায়।
অথচ পরদিন থানা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবাই অস্বীকার করে, এরা এর কিছুই জানে না। এরা রাতে ও বাসায় যায়ওনি, কাউকে গ্রেফতারও করেনি। অথচ কোনো মানুষ যদি নিখোঁজ বা গুম হয়ে যায়, তবে তাকে উদ্ধারের দায়িত্ব সরকারেরই। এখন সরকারও সে দায়িত্ব অস্বীকার করছে। আর সরকারের লোকেরা যা বলছে তা বোধ করি কেবল ঠাণ্ডা মাথার খুনিরাই বলতে পারে। সেসব কথার ভেতরে মানবিকতার লেশমাত্র নেই।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী অপহৃত হয়েছিলেন তার বাসার কাছ থেকেই। পেছন থেকে এসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি তার গাড়িটিকে ধাক্কা দেয়। তারপর তাকে ও তার গাড়ি চালককে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে র‌্যাব লেখা গাড়িতে করে নিয়ে যায়। এই দৃশ্য দেখেছিলেন স্থানীয় ডাব বিক্রেতা, তারও কোনো হদিস নেই। দেখেছিলেন পাশের নির্মাণাধীন ফ্ল্যাটের এক দারোয়ান এবং তিনি সে দৃশ্য ভিডিও করেছিলেন। তারও কোনো হদিস নেই। রাস্তায় হল্লা দেখে কাছাকাছি রেস্টুরেন্টে চা পান করছিলেন যে পুলিশ কর্মকর্তা, তিনি ডাকাতি ভেবে হামলাকারীদের চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তখন হামলাকারীরা তাকে তারা যে র‌্যাবের লোক ছিলেন সেটি পরিচয়পত্র দেখিয়ে নিশ্চিত করেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তা সে স্থান ত্যাগ করে চলে যান। তিনিও এখন আর কর্মরত নেই।
এরপর ইলিয়াস আলী উদ্ধার নিয়ে অনেক নাটক করেছিল সরকার। এই ইলিয়াস আলী গাজীপুর আছেন। এই ইলিয়াস আলী টঙ্গি আছেন। অমুক জায়গায় আছেন। তমুক জায়গায় আছেন। তারপর ইলিয়াস আলীর স্ত্রীকে নিয়ে সেসব জায়গায় তথাকথিত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ইলিয়াস আলীকে পাওয়া যায়নি। প্রধানমন্ত্রী টিপ্পনি কেটে বলেছিলেন, ইলিয়াস আলী নিজেই আত্মগোপন করেছেন; তাকে লুকিয়ে রেখেছেন খালেদা জিয়াই। কিন্তু গত তিন বছরেও ইলিয়াস আলীর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তিনি নিখোঁজই রয়ে গেছেন।
গত ১০ এপ্রিল উত্তরার একটি বাসা থেকে অপহৃত হয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডিবি পুলিশ এবং র‌্যাবের গাড়ি ওই রাস্তায় ঢোকে। এরা আশপাশের বাড়ির দারোয়ানদের কাছে যে বাড়িতে সালাহউদ্দিন থাকতেন সেই নম্বরের বাড়ি কোনটি জানতে চায়। সাদা পোশাকের সশস্ত্র পুলিশ ওই বাড়ির সামনে আসে। গেটের দারোয়ান তাদের পরিচয় জিজ্ঞেস করলে এরা ডিবি পুলিশের সদস্য হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেয় এবং ব্যাজ দেখায়। বাড়ির ভেতরে প্রবেশের আধাঘণ্টা পর তারা নেমে আসে। তাদের সাথে হাতকড়া পরা অবস্থায় সালাহউদ্দিন আহমেদও ছিলেন। তারা তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সেখানে একটি র‌্যাবের গাড়িও দাঁড়িয়ে ছিল।
অথচ সেই থেকে সরকার, র‌্যাব, পুলিশ, ডিবি সবাই অস্বীকার করছে যে, এরা ওই রাতে সেখানে যাননি এবং সালাহউদ্দিনকে ধরে আনেননি। পুলিশের আইজিও একই কথা বলেছেন। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও একই কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আরো এক দফা এগিয়ে। এর আগের দিন গুলশানের নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয় থেকে দুই বস্তা ময়লা নিয়ে যায় ঢাকা সিটি করপোরেশন। প্রধানমন্ত্রী বললেন, ওই ময়লার বস্তায় করে খালেদা জিয়া সালাহউদ্দিনকে পাচার করে দিয়েছেন। ওহ্! কী নিষ্ঠুর উক্তি! অথচ পুলিশ ওই ময়লার বস্তা রাস্তার ওপর ঢেলে দিয়ে তাতে কী ময়লা ছিল তার একটা সিজারলিস্টও করে। সেখানে সালাহউদ্দিন ছিলেন না।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ২০০৭ সাল থেকে অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনের সাথে বাংলাদেশের বলপূর্বক গুমের ঘটনাগুলো নথিভুক্ত করেছে। বেশির ভাগ গুমের ঘটনা ঘটিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এমন অভিযোগ থাকলেও ঘটনাগুলো সম্পর্কে সরকার কোনো তদন্ত করেছে, তার কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই। নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো সদস্যকে তাদের ভূমিকার জন্য জবাবদিহি করতে হয়নি। বর্তমান সরকারের আমলে নিরাপত্তা বাহিনীর এসব দায়মুক্তি মহামারী আকার ধারণ করেছে।
ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী
ডিবি বা পুলিশ বা র‌্যাব সদস্যদের কেউ কাউকে ধরতে এলে সাধারণ মানুষের কর্তব্য কী হবে, মানুষ কি ঢেরা পিটিয়ে ঘোষণা দেবে যে ডিবি পুলিশের গাড়ি নিয়ে ও পরিচয়ে কিছু লোক কাউকে অপহরণ করতে এসেছে। অতএব যে যেখানে আছেন ছুটে আসেন। এ অপহরণ চেষ্টা প্রতিহত করুন। এ চেষ্টা যে একেবারে হয়নি তেমন নয়। বিভিন্ন স্থানে জনগণ সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে এদের প্রতিহত করতে চেয়েছে। কিন্তু তার পরিবর্তে সরকার ওই গোটা জনপদ র‌্যাব-পুলিশ-ডিবি-বিজিবি দিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মিসমার করে দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে সরকারের বিজয় হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এসব কোনো সুফল বয়ে আনে না।
সাংবাদিক ও সাহিত্যিক
rezwansiddiqui@yahoo.com

No comments

Powered by Blogger.