তালা ভেঙে খুলে দেয়া হলো রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
দুর্নীতির
দায়ে অপসারিত সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুল জলিল মিয়ার অনুসারীদের
আন্দোলনের মুখে নতি স্বীকার করলেন না রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি।
টানা চার মাস ২৭ দিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার পর সরকারের উচ্চপর্যায়ের গ্রিন
সিগনালে অবশেষে আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের
উপস্থিতিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং এএসপির নেতৃত্বে তালা ভেঙে
ক্যাম্পাসের একাডেমিক, প্রশাসনিক ভবন ও মূল ফটক আন্দোলকারীদের হাত থেকে
উদ্ধার করেন ভিসি। বিশ্ববিদ্যালয় চালুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই শিক্ষক
শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের পদচারণায় মুখ হয়ে উঠে ক্যাম্পাস।
অন্যদিকে পদত্যাগকারীরা তাদের পদত্যাগপত্র উঠিয়ে না নিলে পদত্যাগপত্র গ্রহণ
করে সেখানে অন্য শিক্ষকদের দায়িত্ব দিয়ে আগামী সপ্তাহেই বহুল কাঙ্খিত
২০১৪-১৫ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হবে বলেও জানিয়েছে
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র। এছাড়া ক্লাস ও কাজে যোগ না দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন
অনুযায়ী আন্দোলনকারী শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা
নেয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
গত বছর ২৭ অক্টোবর থেকে ‘পদোন্নতির’ দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন যৌক্তিকতা হারালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসিকে একগুয়ে দাবি করে তার পদত্যাগের দাবিতে গত ৩ ডিসেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের গেট ও পরবর্তীতে একাডেমিক ভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে আন্দোলন করে আসছিলেন কতিপয় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ২৭টি পদ থেকেও পদত্যাগ পত্র জমা দেন।
ভিসি অফিস থেকে তাদের ব্যাপারে বলা হচ্ছিল এই আন্দোলনকারীরা সবাই দুর্নীতির দায়ে অপসারিত সাবেক ভিসি ড. আব্দুল জলিল মিয়ার অনুসারী এবং তারা অবৈধ সুবিধা আদায়ে চাপ প্রয়োগ করছিলেন বর্তমান প্রশাসনের ওপর। কিন্তু ভিসি আন্দোলনকে অনৈতিক দাবি করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন কঠিন ব্যবস্থা নেননি। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ২০১৪-১৫ শেসনের ঘোষিত ৪, ৫, ৬ ডিসেম্বরের ভর্তি পরীক্ষাও। মহাসঙ্কটে পড়েন আবেদনকারী ৯০ হাজার ৪০২ জন পরীক্ষার্থী। বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনকারীদের সাথে সমাধানের চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ এইচএন আশিকুর রহমান এমপি, রংপুর সিটি মেয়র সরফুদ্দীন আহম্মেদ ঝন্টু, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার দিলোয়ার বখত, জাতীয় পার্টির রংপুর মহানগর কমিটির আহবায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ রংপুরের বিশিষ্টজনেরা।
বিষয়টি নিয়ে ভিসি আন্দোলকারীদের সাথে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় আন্দোলকারীরা বিষয়টি ভিসির দুর্বলতা মনে করে আন্দোলনে অনড় থাকেন। আর তা বাঁচিয়ে রাখেন সাবেক ভিসি ড. জলিল মিয়াসহ ভিসি হতে ইচ্ছুক ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী একাধিক শিক্ষক।
সূত্র জানায়, এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষ থেকে ভিসিকে গ্রিন সিগনাল দেয়া হয়, যেসব শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী কাজ না করে পদত্যাগ করেন, ভর্তি পরীক্ষা না নিয়ে, ক্লাস পরীক্ষা না নিয়ে আন্দোলন করে বেতনভাতা তুলছেন তারা কখনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো চান না। এজন্য সেখান থেকে ভিসিকে ক্যাম্পাস চালুর নির্দেশনা দেয়া হয়। সেই নির্দেশ পেয়েই ভিসি ড. প্রফেসর নুর উন নবী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, সরকারের নীতি নির্ধারণী কর্তা ব্যক্তি, স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে পরামর্শ করে ক্যাম্পাস খোলার সিদ্ধান্ত নেন।
সরকারের সেই গ্রিন সিগনাল পেয়েই আজ বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোরশেদুল আলম রনি, সহকারী প্রক্টর শাহীনুর রহমানের উপস্থিতিতে রংপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান এবং সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) অশোক কুমার পালের নেতৃত্বে বিপুল পুলিশ প্রথমে প্রশাসিনক ভবন, পরে একাডেমিক ভবন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের তালা ভেঙে ক্লাস পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কাজের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়। এসময় শিক্ষার্থী কর্মকর্তা কর্মচারীরা করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান। এরপর তাদের নিয়ে ভিসি প্রশাসন ভবন ও একাডেমিক ভবনের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখেন। ক্লাস খোলার খুশিতে ক্যাম্পাসে প্রাণের স্পন্দন শুরু হয়। করা হয় আনন্দ মিছিল। ক্যাম্পাস খোলার খবর পেয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা আসেন ক্যাম্পাসে। তবে নীল দলের ৬০ থেকে ৬৫ জন শিক্ষক ক্লাস নিলেও আন্দোলনকারী শিক্ষকরা আজ রোববার ক্লাস নেননি।
গত বছর ২৭ অক্টোবর থেকে ‘পদোন্নতির’ দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন যৌক্তিকতা হারালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসিকে একগুয়ে দাবি করে তার পদত্যাগের দাবিতে গত ৩ ডিসেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের গেট ও পরবর্তীতে একাডেমিক ভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে আন্দোলন করে আসছিলেন কতিপয় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ২৭টি পদ থেকেও পদত্যাগ পত্র জমা দেন।
ভিসি অফিস থেকে তাদের ব্যাপারে বলা হচ্ছিল এই আন্দোলনকারীরা সবাই দুর্নীতির দায়ে অপসারিত সাবেক ভিসি ড. আব্দুল জলিল মিয়ার অনুসারী এবং তারা অবৈধ সুবিধা আদায়ে চাপ প্রয়োগ করছিলেন বর্তমান প্রশাসনের ওপর। কিন্তু ভিসি আন্দোলনকে অনৈতিক দাবি করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন কঠিন ব্যবস্থা নেননি। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ২০১৪-১৫ শেসনের ঘোষিত ৪, ৫, ৬ ডিসেম্বরের ভর্তি পরীক্ষাও। মহাসঙ্কটে পড়েন আবেদনকারী ৯০ হাজার ৪০২ জন পরীক্ষার্থী। বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনকারীদের সাথে সমাধানের চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ এইচএন আশিকুর রহমান এমপি, রংপুর সিটি মেয়র সরফুদ্দীন আহম্মেদ ঝন্টু, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার দিলোয়ার বখত, জাতীয় পার্টির রংপুর মহানগর কমিটির আহবায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ রংপুরের বিশিষ্টজনেরা।
বিষয়টি নিয়ে ভিসি আন্দোলকারীদের সাথে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় আন্দোলকারীরা বিষয়টি ভিসির দুর্বলতা মনে করে আন্দোলনে অনড় থাকেন। আর তা বাঁচিয়ে রাখেন সাবেক ভিসি ড. জলিল মিয়াসহ ভিসি হতে ইচ্ছুক ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী একাধিক শিক্ষক।
সূত্র জানায়, এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষ থেকে ভিসিকে গ্রিন সিগনাল দেয়া হয়, যেসব শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী কাজ না করে পদত্যাগ করেন, ভর্তি পরীক্ষা না নিয়ে, ক্লাস পরীক্ষা না নিয়ে আন্দোলন করে বেতনভাতা তুলছেন তারা কখনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো চান না। এজন্য সেখান থেকে ভিসিকে ক্যাম্পাস চালুর নির্দেশনা দেয়া হয়। সেই নির্দেশ পেয়েই ভিসি ড. প্রফেসর নুর উন নবী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, সরকারের নীতি নির্ধারণী কর্তা ব্যক্তি, স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে পরামর্শ করে ক্যাম্পাস খোলার সিদ্ধান্ত নেন।
সরকারের সেই গ্রিন সিগনাল পেয়েই আজ বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোরশেদুল আলম রনি, সহকারী প্রক্টর শাহীনুর রহমানের উপস্থিতিতে রংপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান এবং সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) অশোক কুমার পালের নেতৃত্বে বিপুল পুলিশ প্রথমে প্রশাসিনক ভবন, পরে একাডেমিক ভবন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের তালা ভেঙে ক্লাস পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কাজের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়। এসময় শিক্ষার্থী কর্মকর্তা কর্মচারীরা করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান। এরপর তাদের নিয়ে ভিসি প্রশাসন ভবন ও একাডেমিক ভবনের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখেন। ক্লাস খোলার খুশিতে ক্যাম্পাসে প্রাণের স্পন্দন শুরু হয়। করা হয় আনন্দ মিছিল। ক্যাম্পাস খোলার খবর পেয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা আসেন ক্যাম্পাসে। তবে নীল দলের ৬০ থেকে ৬৫ জন শিক্ষক ক্লাস নিলেও আন্দোলনকারী শিক্ষকরা আজ রোববার ক্লাস নেননি।
No comments