তিন সিটিতে হেভিওয়েট প্রার্থী দিচ্ছে বিএনপি, তালিকার শীর্ষে আব্বাস মিন্টু আমির খসরু by মঈন উদ্দিন খান
ঢাকা
ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও
প্রার্থী চূড়ান্ত করছে বিএনপি। তিন সিটিতে দলের তরফ থেকে ‘হেভিওয়েট’ তিন
প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে তালিকার শীর্ষে
রয়েছেনÑ ঢাকা দণি সিটিতে নগর বিএনপি আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস, উত্তর সিটিতে
নগরের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আউয়াল মিন্টু এবং চট্টগ্রামে নগর
বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
জানা গেছে, দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সিনিয়র নেতা, বুদ্ধিজীবী ও শুভাকাক্সীদের সাথে পরামর্শ করে তিন সিটির প্রার্থীর বিষয়ে মতামত নিয়েছেন। তাদের মতামত এবং মাঠপর্যায়ের ‘চাওয়া’ বিবেচনায় এনে প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হচ্ছে। জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় মনোনয়ন পাওয়া তিন নেতা বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের সমর্থিত প্রার্থী হবেন।
বিএনপির সিনিয়র এক নেতা গতকাল শনিবার জানিয়েছেন, নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূলে না থাকলে অর্থাৎ প্রার্থীদের হয়রানি এবং ধরপাকড় করা হলে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন বয়কটও করতে পারে বিএনপি।
বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, চলমান আন্দোলন অব্যাহত রেখে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যাচ্ছে দলটি। নির্বাচনের আগে দ্ইু সিটিতে কর্মসূচি শিথিল করা হবে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে এ ব্যাপারেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। সেখানে দল সমর্থিত প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করা হবে।
জানা গেছে, দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা আসন্ন এই নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রের কাছে তাদের মতামত তুলে ধরেছেন। ঢাকা ও চট্টগ্রামে হরতাল প্রত্যাহার করলেও অবরোধ রেখে নির্বাচন করার কথা বলেছেন তারা। একই সাথে সারা দেশে হরতাল এবং অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে। যুক্তি হিসেবে তারা বলেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন আর জাতীয় নির্বাচন পৃথক বিষয়। জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলনে ইতোমধ্যে দল ও জোটের হাজার হাজার নেতাকর্মী তিগ্রস্ত হয়েছেন। যে কারণে আন্দোলনের অংশ হিসেবে সিটি নির্বাচনে যেতে হবে।
দলের এক সিনিয়র নেতা জানিয়েছেন, তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি হেভিওয়েট প্রার্থী দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিন সিটিতেই বিএনপি হেভিওয়েট প্রার্থী দিতে যাচ্ছে, যাতে বিজয় নিশ্চিত করা যায়।
জানা গেছে, তিনজনের নাম প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা হলেও বিকল্প প্রার্থী হিসেবে দলের বিবেচনায় রয়েছেন যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ড. আসাদুজ্জামান রিপন, নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন আহমেদ ও আব্দুল কাইয়ুম।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব:) মাহবুবুর রহমান নয়া দিগন্তকে বলেন, আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। চেয়ারপারসন দু-একদিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রার্থীও তিনি ঠিক করবেন। তবে নির্বাচন নিয়ে সরকার যেন কোনো ফায়দা লুটতে না পারে, সে বিষয়ে বিএনপি সতর্ক আছে।
দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতা জানিয়েছেন, নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে দ্বিমত থাকলেও মাঠ ছেড়ে দেয়ার পক্ষে নয় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গত কয়েক দিনে গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজউদ্দীনসহ কয়েকজন পেশাজীবী নেতা গুলশান কার্যালয়ে গিয়ে খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করেন। তাদের সাথে খালেদা জিয়ার বৈঠকে নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের নবনির্বাচিত দুই আইনজীবী নেতা।
নেতাকর্মীদের যুক্তিÑ কর্মসূচি অব্যাহত রেখে নির্বাচনে জয়ী হলে আন্দোলন নতুন মাত্রা পাবে। চাঙা হয়ে নেতাকর্মীরা আবারো রাস্তায় নেমে আসবেন। তবে বেশির ভাগ নেতাকর্মী আত্মগোপনে আছেন। অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে। অনেকে গ্রেফতারের খড়গ মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ অবস্থায় নির্বাচনের মাঠে এলেই গ্রেফতার হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে দলটি।
জানা গেছে, বিএনপি সিটি নির্বাচন নিয়ে এমনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে চায়, যাতে ক্ষমতাসীনরা বেকায়দায় পড়ে। বিএনপি এমন কৌশল নিতে চায়, যাতে সরকার নির্বাচন দিয়েও ‘বিপদে’ পড়ে, আবার নির্বাচন বন্ধ করলেও বেকায়দায় থাকে।
নেতারা মনে করছেন, বিএনপি নির্বাচনে না গেলে সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানে দলীয় ও প্রশাসনিক সর্বশক্তি নিয়োগ করবে। যেহেতু এটা স্থানীয় নির্বাচন, তাই জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে ভোট বেশিই পড়বে। সরকার যেভাবেই হোক ভোটের হার বেশি দেখাবে এবং আন্তর্জাতিক মহলে এ কথা বলার সুযোগ পাবে যে, জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির সন্ত্রাসের কারণে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেনি। সিটি নির্বাচনে সন্ত্রাস ছিল না বলে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে।
জানা গেছে, দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সিনিয়র নেতা, বুদ্ধিজীবী ও শুভাকাক্সীদের সাথে পরামর্শ করে তিন সিটির প্রার্থীর বিষয়ে মতামত নিয়েছেন। তাদের মতামত এবং মাঠপর্যায়ের ‘চাওয়া’ বিবেচনায় এনে প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হচ্ছে। জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় মনোনয়ন পাওয়া তিন নেতা বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের সমর্থিত প্রার্থী হবেন।
বিএনপির সিনিয়র এক নেতা গতকাল শনিবার জানিয়েছেন, নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূলে না থাকলে অর্থাৎ প্রার্থীদের হয়রানি এবং ধরপাকড় করা হলে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন বয়কটও করতে পারে বিএনপি।
বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, চলমান আন্দোলন অব্যাহত রেখে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যাচ্ছে দলটি। নির্বাচনের আগে দ্ইু সিটিতে কর্মসূচি শিথিল করা হবে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে এ ব্যাপারেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। সেখানে দল সমর্থিত প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করা হবে।
জানা গেছে, দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা আসন্ন এই নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রের কাছে তাদের মতামত তুলে ধরেছেন। ঢাকা ও চট্টগ্রামে হরতাল প্রত্যাহার করলেও অবরোধ রেখে নির্বাচন করার কথা বলেছেন তারা। একই সাথে সারা দেশে হরতাল এবং অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে। যুক্তি হিসেবে তারা বলেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন আর জাতীয় নির্বাচন পৃথক বিষয়। জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলনে ইতোমধ্যে দল ও জোটের হাজার হাজার নেতাকর্মী তিগ্রস্ত হয়েছেন। যে কারণে আন্দোলনের অংশ হিসেবে সিটি নির্বাচনে যেতে হবে।
দলের এক সিনিয়র নেতা জানিয়েছেন, তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি হেভিওয়েট প্রার্থী দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিন সিটিতেই বিএনপি হেভিওয়েট প্রার্থী দিতে যাচ্ছে, যাতে বিজয় নিশ্চিত করা যায়।
জানা গেছে, তিনজনের নাম প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা হলেও বিকল্প প্রার্থী হিসেবে দলের বিবেচনায় রয়েছেন যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ড. আসাদুজ্জামান রিপন, নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন আহমেদ ও আব্দুল কাইয়ুম।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব:) মাহবুবুর রহমান নয়া দিগন্তকে বলেন, আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। চেয়ারপারসন দু-একদিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রার্থীও তিনি ঠিক করবেন। তবে নির্বাচন নিয়ে সরকার যেন কোনো ফায়দা লুটতে না পারে, সে বিষয়ে বিএনপি সতর্ক আছে।
দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতা জানিয়েছেন, নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে দ্বিমত থাকলেও মাঠ ছেড়ে দেয়ার পক্ষে নয় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গত কয়েক দিনে গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজউদ্দীনসহ কয়েকজন পেশাজীবী নেতা গুলশান কার্যালয়ে গিয়ে খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করেন। তাদের সাথে খালেদা জিয়ার বৈঠকে নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের নবনির্বাচিত দুই আইনজীবী নেতা।
নেতাকর্মীদের যুক্তিÑ কর্মসূচি অব্যাহত রেখে নির্বাচনে জয়ী হলে আন্দোলন নতুন মাত্রা পাবে। চাঙা হয়ে নেতাকর্মীরা আবারো রাস্তায় নেমে আসবেন। তবে বেশির ভাগ নেতাকর্মী আত্মগোপনে আছেন। অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে। অনেকে গ্রেফতারের খড়গ মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ অবস্থায় নির্বাচনের মাঠে এলেই গ্রেফতার হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে দলটি।
জানা গেছে, বিএনপি সিটি নির্বাচন নিয়ে এমনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে চায়, যাতে ক্ষমতাসীনরা বেকায়দায় পড়ে। বিএনপি এমন কৌশল নিতে চায়, যাতে সরকার নির্বাচন দিয়েও ‘বিপদে’ পড়ে, আবার নির্বাচন বন্ধ করলেও বেকায়দায় থাকে।
নেতারা মনে করছেন, বিএনপি নির্বাচনে না গেলে সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানে দলীয় ও প্রশাসনিক সর্বশক্তি নিয়োগ করবে। যেহেতু এটা স্থানীয় নির্বাচন, তাই জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে ভোট বেশিই পড়বে। সরকার যেভাবেই হোক ভোটের হার বেশি দেখাবে এবং আন্তর্জাতিক মহলে এ কথা বলার সুযোগ পাবে যে, জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির সন্ত্রাসের কারণে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেনি। সিটি নির্বাচনে সন্ত্রাস ছিল না বলে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে।
No comments