তিন খাতে ১০৭ কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ
দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায়
অনুমোদন পাচ্ছে তিন প্রস্তাব। এর ফলে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও দারিদ্র্য
বিমোচনে ১০৭ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা পাবে বাংলাদেশ। এ তালিকায় রয়েছে-
প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন কর্মসূচি-৩ প্রকল্পে ৪০ কোটি ডলার; মাল্টিপারপাস
ডিজাস্টার সেল্টারসে ৩৭ কোটি ডলার ও ইনকাম সাপোর্ট ফর দ্য পুওরেস্ট
প্রোগ্রামের জন্য ৩০ কোটি ডলার। বোর্ড সভায় অনুমোদন হয়ে গেলে শিগগিরই ঋণ
চুক্তি সম্পন্ন করা হবে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও বিশ্বব্যাংকের
ঢাকা অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের জনসংযোগ কর্মকর্তা মেহরীন এ মাহবুব যুগান্তরকে বলেন, ওয়াশিংটনে আজ (বাংলাদেশ সময়) বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় বাংলাদেশকে সহায়তাকল্পে তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন হতে পারে। তিনি বলেন, অনুমোদনের পর শিগগিরই বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঋণ চুক্তি সম্পাদন হবে।
চলতি অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ প্রতিশ্র“তি পাওয়ার আশা করছে ইআরডি। ইতিমধ্যে ১১৭ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি নিশ্চিত করেছে বিশ্বব্যাংক। বাকি সময়ে আরও ১৬৯ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ হিসাবে বছর শেষে ২৮৬ কোটি ডলারের সমপরিমাণ সহায়তা পাওয়া যাবে বলে মনে করছে ইআরডি। চলতি অর্থবছরে আরও কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন হতে পারে। এর মধ্যে বাংলাদেশ আরবান রেজিলেন্স প্রজেক্ট, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন ও নতুন জীবন লাইভলিহুড ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট অন্যতম।
এ প্রসঙ্গে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব কাজী শফিকুল আযম যুগান্তরকে বলেন, চলতি অর্থবছরে প্রতিশ্র“তির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কাজ করছে ইআরডি। জানুয়ারির মধ্যেই বেশ কয়েকটি বড় চুক্তি সম্পন্ন হবে। এ জন্য প্রাথমিক প্রক্রিয়া সবই সম্পন্ন হয়েছে।
ইআরডি সূত্র জানায়, উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে সবচেয়ে সহজ শর্তে ঋণ পাওয়া যায়। অন্য কোনো দাতা সংস্থা বাংলাদেশকে এত সহজ শর্তে আর্থিক সহযোগিতা দেয় না। উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকের ঋণের সার্ভিস চার্জ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ৬ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটিতে ঋণ পরিশোধ করতে হয়।
জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের তালিকায় থাকা প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা খাতে। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়নে ৪০ কোটি ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা) দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি-৩ (পিইডিপি-৩) বাস্তবায়নে এ অর্থ ব্যয় করা হবে।
কন্ডিশনাল ক্যাশ ট্রান্সফার বা দরিদ্র শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে ৩০ কোটি ডলার সহায়তা দিচ্ছে সংস্থাটি। আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা ২৪টি উপজেলায় শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিতকরণে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কিছুদিন আগে প্রণীত দারিদ্র্য মানচিত্র অনুসারে এসব অঞ্চলের পুষ্টিহীন শিশুদের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। প্রকল্প এলাকা হিসেবে ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর অঞ্চলের ২৪টি উপজেলা বেছে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া দারিদ্র্য বিমোচন ও জলবায়ু সক্ষমতা অর্জনেও বিভিন্ন প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক সহায়তা দিচ্ছে।
এ ছাড়া মাল্টিপারপাস ডিজাস্টার সেল্টার ও অ্যাডাপটেশন প্রকল্পে ৩৭ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক। এর মাধ্যমে দুর্যোগপ্রবণ উপকূলীয় অঞ্চলে জানমাল রক্ষায় সাইক্লোন সেন্টার তৈরি করা হবে। একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনে সক্ষমতা অর্জনেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও এ অর্থ ব্যয় করা হবে।
গত অর্থবছরে (২০১৩-১৪) বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বিপরীতে ৯৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার ছাড় করেছে বিশ্বব্যাংক। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) সংস্থাটি ৮ কোটি ৪৫ লাখ ডলার ছাড় করেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের জনসংযোগ কর্মকর্তা মেহরীন এ মাহবুব যুগান্তরকে বলেন, ওয়াশিংটনে আজ (বাংলাদেশ সময়) বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় বাংলাদেশকে সহায়তাকল্পে তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন হতে পারে। তিনি বলেন, অনুমোদনের পর শিগগিরই বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঋণ চুক্তি সম্পাদন হবে।
চলতি অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ প্রতিশ্র“তি পাওয়ার আশা করছে ইআরডি। ইতিমধ্যে ১১৭ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি নিশ্চিত করেছে বিশ্বব্যাংক। বাকি সময়ে আরও ১৬৯ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ হিসাবে বছর শেষে ২৮৬ কোটি ডলারের সমপরিমাণ সহায়তা পাওয়া যাবে বলে মনে করছে ইআরডি। চলতি অর্থবছরে আরও কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন হতে পারে। এর মধ্যে বাংলাদেশ আরবান রেজিলেন্স প্রজেক্ট, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন ও নতুন জীবন লাইভলিহুড ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট অন্যতম।
এ প্রসঙ্গে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব কাজী শফিকুল আযম যুগান্তরকে বলেন, চলতি অর্থবছরে প্রতিশ্র“তির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কাজ করছে ইআরডি। জানুয়ারির মধ্যেই বেশ কয়েকটি বড় চুক্তি সম্পন্ন হবে। এ জন্য প্রাথমিক প্রক্রিয়া সবই সম্পন্ন হয়েছে।
ইআরডি সূত্র জানায়, উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে সবচেয়ে সহজ শর্তে ঋণ পাওয়া যায়। অন্য কোনো দাতা সংস্থা বাংলাদেশকে এত সহজ শর্তে আর্থিক সহযোগিতা দেয় না। উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকের ঋণের সার্ভিস চার্জ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ৬ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটিতে ঋণ পরিশোধ করতে হয়।
জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের তালিকায় থাকা প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা খাতে। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়নে ৪০ কোটি ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা) দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি-৩ (পিইডিপি-৩) বাস্তবায়নে এ অর্থ ব্যয় করা হবে।
কন্ডিশনাল ক্যাশ ট্রান্সফার বা দরিদ্র শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে ৩০ কোটি ডলার সহায়তা দিচ্ছে সংস্থাটি। আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা ২৪টি উপজেলায় শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিতকরণে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কিছুদিন আগে প্রণীত দারিদ্র্য মানচিত্র অনুসারে এসব অঞ্চলের পুষ্টিহীন শিশুদের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। প্রকল্প এলাকা হিসেবে ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর অঞ্চলের ২৪টি উপজেলা বেছে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া দারিদ্র্য বিমোচন ও জলবায়ু সক্ষমতা অর্জনেও বিভিন্ন প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক সহায়তা দিচ্ছে।
এ ছাড়া মাল্টিপারপাস ডিজাস্টার সেল্টার ও অ্যাডাপটেশন প্রকল্পে ৩৭ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক। এর মাধ্যমে দুর্যোগপ্রবণ উপকূলীয় অঞ্চলে জানমাল রক্ষায় সাইক্লোন সেন্টার তৈরি করা হবে। একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনে সক্ষমতা অর্জনেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও এ অর্থ ব্যয় করা হবে।
গত অর্থবছরে (২০১৩-১৪) বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বিপরীতে ৯৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার ছাড় করেছে বিশ্বব্যাংক। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) সংস্থাটি ৮ কোটি ৪৫ লাখ ডলার ছাড় করেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি।
No comments