শাহ সিমেন্টের ৭৯ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি
উৎপাদিত পণ্যের কম মূল্য ঘোষণা দিয়ে এবং
অবৈধ উপকরণ রেয়াত নিয়ে ৭৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে আবুল
খায়ের গ্র“পের অন্যতম প্রতিষ্ঠান মেসার্স শাহ সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লি.।
ঢাকার বৃহৎ করদাতা মূল্য সংযোজন কর (এলটিইউ) কর্তৃপক্ষের কড়া নজরদারিতে এ
পর্যন্ত এই পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি চিহ্নিত করা হয়েছে। এখনও প্রতিষ্ঠানটির
অনিয়ম সংক্রান্ত তদন্ত চলছে। আশংকা- এভাবে বেপরোয়া রাজস্ব ফাঁকির পরিমাণ শত
কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
ভ্যাট এলটিইউর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ভ্যাট আইনের কোনো বিধিবিধানই মানতে চায় না শাহ সিমেন্ট। প্রতিষ্ঠানটি দেশের শীর্ষ সিমেন্ট উৎপাদক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ভ্যাট কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত মূল্যে সিমেন্ট সরবরাহ না করে তাদের ঘোষিত মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে এই সিমেন্ট। আবার ঘোষিত মূল্যের চেয়ে উপকরণ মূল্য বেশি দেখিয়ে বিধিবহির্ভূতভাবে বিপুল অংকের অবৈধ ভ্যাট রেয়াত নিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে। কিন্তু ধরা পড়ার পর সরকারের প্রাপ্য রাজস্বও পরিশোধ করছে না প্রতিষ্ঠানটি। এ টাকা আদায়ে এখন আইনি লড়াইয়ের জটিলতায় আটকে আছে ভ্যাট এলটিইউ কর্তৃপক্ষ।
দায়িত্বশীল সূত্র জানান, ভ্যাট কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত মূল্যের বাইরে পণ্য বাজারজাতকরণ সম্পূর্ণ বেআইনি। কিন্তু কোম্পানিটি তা মানছে না। বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও শাহ সিমেন্ট তাদের ঘোষিত মূল্যেই সিমেন্ট বাজারজাত করে অব্যাহতভাবে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য অসংখ্যবার অনিয়ম মামলা দায়েরসহ সরকারের প্রাপ্য পরিশোধে দাবিনামা জারি করা হলেও তার তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। উল্টো আদালতে পাল্টা মামলা করে পুরো বিষয়টি আইনি লড়াইয়ের দীর্ঘসূত্রতার জালে আটকে রাখা হয়েছে। এরপর আবার চলছে একই কৌশলে ভ্যাট ফাঁকি। এ জন্য রীতিমতো গলদঘর্ম এখন ভ্যাট এলটিইউ।
ভ্যাট এলটিইউ কমিশনার আবদুল কাফি বিষয়টি স্বীকার করে জানান, প্রতিষ্ঠানটি কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মানছে না। প্রতি বছরই তাদের ফাঁকি ধরা পড়ছে। দাবিনামা জারি করা হলেও পাওনা পরিশোধ করছে না। এ জন্য ভ্যাট আইন অনুযায়ী কড়া পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
দাবিনামা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, শাহ সিমেন্ট উৎপাদিত স্পেশাল সিমেন্ট প্রতি ৫০ কেজির বস্তার ভ্যাট আরোপযোগ্য মূল্য হচ্ছে ২৮০ টাকা। কিন্তু তা বিক্রি হচ্ছে ২১৮ টাকায়। আবার ৫০ কেজির পপুলার সিমেন্টের ভ্যাট আরোপযোগ্য মূল্যে ২৭৭ টাকার পরিবর্তে বিক্রি করা হচ্ছে ২০৮ টাকায়। একইভাবে শাহ সিমেন্ট বাল্ক প্রতি টনের মূল্য ৫ হাজার ৩৪০ টাকার পরিবর্তে বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ১২৫ টাকায়। এভাবে কম মূল্য ঘোষণা দিয়ে প্রতি মাসেই লাখ লাখ বস্তা সিমেন্ট বাজারজাত করে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চলেছে অসাধু এই প্রতিষ্ঠানটি।
সূত্র মতে শাহ সিমেন্টের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ভ্যাট কর্তৃপক্ষ ২৬টি অনিয়ম মামলা দায়ের করেছে। এসব অনিয়ম মামলায় জড়িত মোট রাজস্ব ফাঁকির পরিমাণ ৭৮ কোটি ৮৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। সূত্র মতে, ভ্যাট নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা তদন্ত অধিদফতরের নিরীক্ষাসহ এলটিইউর নিরীক্ষায় একাধিক অবৈধ রেয়াত নেয়ার অনিয়ম উদঘাটিত হয়েছে। উদঘাটিত অতিরিক্ত গৃহীত রেয়াতের অর্থ সরকারের কোষাগারে জমা দিতে একাধিক চূড়ান্ত দাবিনামা জারি করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি আত্মপক্ষ সমর্থন করে জবাব না দিয়ে বা ভ্যাট কর্তৃপক্ষের শুনানিতে অংশ না নিয়ে বিভিন্ন আদালতে মামলা দায়ের করেছে। এছাড়া যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া বিলম্বে এন্ট্রি ও উপকরণের মূল্য বৃদ্ধিজনিত কারণে নতুন মূল্যভিত্তি ঘোষণাপত্র দাখিল না করে বিধিবহির্ভূতভাবে রেয়াত গ্রহণ, দাখিলপত্র পরীক্ষায় বিধিবহির্ভূতভাবে রেয়াত গ্রহণের ঘটনা উদঘাটন, কারণ ছাড়া বিলম্বে এন্ট্রি করে বিধিবহির্ভূতভাবে রেয়াত গ্রহণসহ বহুমুখী ভ্যাট অনিয়ম পাওয়া গেছে।
এছাড়া সবচেয়ে বেশি অনিয়ম করা হচ্ছে মূল্য ঘোষণায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদিত মূল্যে সিমেন্ট সরবরাহ না করে নিজস্ব ঘোষিত মূল্যে বাজারজাত করে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। এ কারণে ভ্যাট আইনে দাবিনামা জারি করার পর শাহ সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত উচ্চ আদালতে ১৬টি রিট মামলা দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।
ভ্যাট এলটিইউর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ভ্যাট আইনের কোনো বিধিবিধানই মানতে চায় না শাহ সিমেন্ট। প্রতিষ্ঠানটি দেশের শীর্ষ সিমেন্ট উৎপাদক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ভ্যাট কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত মূল্যে সিমেন্ট সরবরাহ না করে তাদের ঘোষিত মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে এই সিমেন্ট। আবার ঘোষিত মূল্যের চেয়ে উপকরণ মূল্য বেশি দেখিয়ে বিধিবহির্ভূতভাবে বিপুল অংকের অবৈধ ভ্যাট রেয়াত নিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে। কিন্তু ধরা পড়ার পর সরকারের প্রাপ্য রাজস্বও পরিশোধ করছে না প্রতিষ্ঠানটি। এ টাকা আদায়ে এখন আইনি লড়াইয়ের জটিলতায় আটকে আছে ভ্যাট এলটিইউ কর্তৃপক্ষ।
দায়িত্বশীল সূত্র জানান, ভ্যাট কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত মূল্যের বাইরে পণ্য বাজারজাতকরণ সম্পূর্ণ বেআইনি। কিন্তু কোম্পানিটি তা মানছে না। বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও শাহ সিমেন্ট তাদের ঘোষিত মূল্যেই সিমেন্ট বাজারজাত করে অব্যাহতভাবে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য অসংখ্যবার অনিয়ম মামলা দায়েরসহ সরকারের প্রাপ্য পরিশোধে দাবিনামা জারি করা হলেও তার তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। উল্টো আদালতে পাল্টা মামলা করে পুরো বিষয়টি আইনি লড়াইয়ের দীর্ঘসূত্রতার জালে আটকে রাখা হয়েছে। এরপর আবার চলছে একই কৌশলে ভ্যাট ফাঁকি। এ জন্য রীতিমতো গলদঘর্ম এখন ভ্যাট এলটিইউ।
ভ্যাট এলটিইউ কমিশনার আবদুল কাফি বিষয়টি স্বীকার করে জানান, প্রতিষ্ঠানটি কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মানছে না। প্রতি বছরই তাদের ফাঁকি ধরা পড়ছে। দাবিনামা জারি করা হলেও পাওনা পরিশোধ করছে না। এ জন্য ভ্যাট আইন অনুযায়ী কড়া পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
দাবিনামা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, শাহ সিমেন্ট উৎপাদিত স্পেশাল সিমেন্ট প্রতি ৫০ কেজির বস্তার ভ্যাট আরোপযোগ্য মূল্য হচ্ছে ২৮০ টাকা। কিন্তু তা বিক্রি হচ্ছে ২১৮ টাকায়। আবার ৫০ কেজির পপুলার সিমেন্টের ভ্যাট আরোপযোগ্য মূল্যে ২৭৭ টাকার পরিবর্তে বিক্রি করা হচ্ছে ২০৮ টাকায়। একইভাবে শাহ সিমেন্ট বাল্ক প্রতি টনের মূল্য ৫ হাজার ৩৪০ টাকার পরিবর্তে বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ১২৫ টাকায়। এভাবে কম মূল্য ঘোষণা দিয়ে প্রতি মাসেই লাখ লাখ বস্তা সিমেন্ট বাজারজাত করে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চলেছে অসাধু এই প্রতিষ্ঠানটি।
সূত্র মতে শাহ সিমেন্টের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ভ্যাট কর্তৃপক্ষ ২৬টি অনিয়ম মামলা দায়ের করেছে। এসব অনিয়ম মামলায় জড়িত মোট রাজস্ব ফাঁকির পরিমাণ ৭৮ কোটি ৮৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। সূত্র মতে, ভ্যাট নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা তদন্ত অধিদফতরের নিরীক্ষাসহ এলটিইউর নিরীক্ষায় একাধিক অবৈধ রেয়াত নেয়ার অনিয়ম উদঘাটিত হয়েছে। উদঘাটিত অতিরিক্ত গৃহীত রেয়াতের অর্থ সরকারের কোষাগারে জমা দিতে একাধিক চূড়ান্ত দাবিনামা জারি করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি আত্মপক্ষ সমর্থন করে জবাব না দিয়ে বা ভ্যাট কর্তৃপক্ষের শুনানিতে অংশ না নিয়ে বিভিন্ন আদালতে মামলা দায়ের করেছে। এছাড়া যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া বিলম্বে এন্ট্রি ও উপকরণের মূল্য বৃদ্ধিজনিত কারণে নতুন মূল্যভিত্তি ঘোষণাপত্র দাখিল না করে বিধিবহির্ভূতভাবে রেয়াত গ্রহণ, দাখিলপত্র পরীক্ষায় বিধিবহির্ভূতভাবে রেয়াত গ্রহণের ঘটনা উদঘাটন, কারণ ছাড়া বিলম্বে এন্ট্রি করে বিধিবহির্ভূতভাবে রেয়াত গ্রহণসহ বহুমুখী ভ্যাট অনিয়ম পাওয়া গেছে।
এছাড়া সবচেয়ে বেশি অনিয়ম করা হচ্ছে মূল্য ঘোষণায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদিত মূল্যে সিমেন্ট সরবরাহ না করে নিজস্ব ঘোষিত মূল্যে বাজারজাত করে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। এ কারণে ভ্যাট আইনে দাবিনামা জারি করার পর শাহ সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত উচ্চ আদালতে ১৬টি রিট মামলা দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।
No comments