সিলেটে ব্যবসায়ী প্রশাসন মুখোমুখি by ওয়েছ খছরু ও মিনহাজ উদ্দিন
স্টোন ক্রাশার মিল উচ্ছেদ নিয়ে মুখোমুখি সিলেটের প্রশাসন ও মিল মালিকরা। সংঘর্ষের পর প্রশাসন আপাতত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রাখলেও তারা যেন সময় চালাতে পারেন অভিযান। তবে, বসে নেই স্টোন ক্রাশার মিল মালিকরা। ফের উচ্ছেদ চালালে তারা আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। এজন্য তারা দফায় দফায় বৈঠক করছেন। ওদিকে, প্রশাসন ও স্টোন ক্রাশার মিল মালিকরা মুখোমুখি অবস্থান নেয়ায় বন্ধ রয়েছে জাফলং এলাকার ২০০ স্টোন ক্রাশার কারখানা। এতে করে শ্রমিকরা পড়েছেন বিপাকে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শনিবার সিলেটের জাফলংয়ে অবৈধ স্টোন ক্রাশার মিল উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে গোয়াইনঘাটের প্রশাসন। এ সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের হামলা চালায়। তারা গাড়ি ভাঙচুর ছাড়াও কয়েকজন কর্মকর্তাকে মারধর করে। এতে ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার পর জাফলংয়ে পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। আর অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত করা মামলার এজাহারভুক্ত ২ আসামি আটক করা হয়েছে। গোয়াইনঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল হাই সাংবাদিকদের জানান, হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। জড়িত ২ আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে এ ঘটনায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি। আর ৪৮ ঘণ্টার ভেতরে চলমান স্টোন ক্রাশার মিল
উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করে গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জের সর্বস্তরের পাথর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় না বসলে তামাবিল শুল্ক স্টেশন, দেশের সর্ববৃহৎ পাথর কোয়ারি ভোলাগঞ্জসহ উত্তর সিলেটের রাজস্বগর্ভা তিন উপজেলার পাথর সংশ্লিষ্ট সব শিল্প-কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হবে হুমকি দেয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে। তাদের দাাবি না মানলে প্রয়োজনে আরও লাগাতার কর্মসূচিও ঘোষণা করা হবে বলে আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা। এরই লক্ষ্যে রোববার দুপুরে জৈন্তাপুর উপজেলার স্থানীয় আলু বাগানস্থ একটি বাংলোয় এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জাফলং স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী ইলিয়াছ উদ্দিন লিপুর পরিচালনায় ও তামাবিল পাথর, চুনা পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা স্টোন ক্রাশার মিল ও পাথর ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল আমিন, তামাবিল পাথর, চুনা পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি গোলাম নবী ভুইয়া নবু, ব্যবসায়ী হেনরী লামিন, সারোয়ার হোসেন সেদু, জাফলং স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতির সভাপতি বাবলু বখত, জৈন্তাপুর ট্রাকচালক আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, জাফলং ট্রাকচালক সমবায় সমিতির সভাপতি ফয়জুল ইসলাম প্রমুখ। তামাবিল শুল্ক স্টেশনের আমদানিকারক মেসার্স দস্তগীর এন্টাপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মনিরুজ্জামান মিন্টুকে এ মামলায় জড়িত সন্দেহে রোববার রাতে আটকের প্রতিবাদে সোমবার ৪ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয় তামাবিল শুল্ক স্টেশনে। সকাল ৮ থেকে ১২টা পর্যন্ত সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ ছিল পুরো বন্দরে। এ সময় ভারত থেকে পণ্যবাহী কোন গাড়ি আসতে পারেনি। লোড-আনলোডও বন্ধ রাখা হয়। দ্রুত তার মুক্তি দাবি করে সড়ক অবরোধ করে রাখেন ব্যবসায়ী শ্রমিকরা। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় গোয়াইনঘাট থানা থেকে তাকে মুক্তি দিলে অবরোধ তুলে নেন ব্যবসায়ী নেতারা। এদিকে, ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির দয়ারবাজার এলাকায় স্থাপিত স্টোন ক্রাশার মেশিনের বিরুদ্ধেও অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকন উদ্দিনের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ৩৪টি মিনি ক্রাশার মেশিন ধ্বংস করা হয়। এ সময় ভোলাগঞ্জ কোয়ারিতে একটি বোমা মেশিন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এ ছাড়া, সরকারি কাজে বাধা দেয়ায় ৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ৩ দিন আগে অবৈধ ক্রাশার মেশিন মালিকদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ ক্রাশার মেশিন সরানোর নির্দেশ দেয়া সত্ত্বেও যারা কর্ণপাত করে নি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক সপ্তাহ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। অভিযানে কোম্পানীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, ওসি (তদন্ত) শফিউল কবির, বিজিবি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন অংশগ্রহণ করেন। গত দু’দিনে গোয়াইনঘাটের পর এবার জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধভাবে স্থাপিত স্টোন ক্রাশার মিলে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে প্রাথমিকভাবে ১টি মেশিন জব্দ, ২০টি মেশিনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্ব ঘোষণানুযায়ী সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর অংশের আদর্শগ্রাম, আশামপাড়া ও নলজুরী এলাকার রাস্তার পার্শ্বে অবৈধভাবে স্থাপিত স্টোন ক্রাশার মিল (টমটম) উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। এদিকে জৈন্তাপুর উপজেলায় অবৈধভাবে স্থাপিত ৬৪টি টমটম মেশিন চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০টি মেশিনে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে পাথার ভাঙার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ খালেদুর রহমান জানান, পর্যায়ক্রমে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এদিকে, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় এমপি ইমরান আহমদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, নিরাপদে ব্যবসা পরিচালনা করতে তারা স্থানীয় এমপির সহযোগিতা কামনা করবেন। আর যদি এমপি তাদের কর্ণপাত না করেন তাহলে আজ-কালের মধ্যে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করবেন তারা।
উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করে গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জের সর্বস্তরের পাথর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় না বসলে তামাবিল শুল্ক স্টেশন, দেশের সর্ববৃহৎ পাথর কোয়ারি ভোলাগঞ্জসহ উত্তর সিলেটের রাজস্বগর্ভা তিন উপজেলার পাথর সংশ্লিষ্ট সব শিল্প-কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হবে হুমকি দেয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে। তাদের দাাবি না মানলে প্রয়োজনে আরও লাগাতার কর্মসূচিও ঘোষণা করা হবে বলে আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা। এরই লক্ষ্যে রোববার দুপুরে জৈন্তাপুর উপজেলার স্থানীয় আলু বাগানস্থ একটি বাংলোয় এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জাফলং স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী ইলিয়াছ উদ্দিন লিপুর পরিচালনায় ও তামাবিল পাথর, চুনা পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা স্টোন ক্রাশার মিল ও পাথর ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল আমিন, তামাবিল পাথর, চুনা পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি গোলাম নবী ভুইয়া নবু, ব্যবসায়ী হেনরী লামিন, সারোয়ার হোসেন সেদু, জাফলং স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতির সভাপতি বাবলু বখত, জৈন্তাপুর ট্রাকচালক আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, জাফলং ট্রাকচালক সমবায় সমিতির সভাপতি ফয়জুল ইসলাম প্রমুখ। তামাবিল শুল্ক স্টেশনের আমদানিকারক মেসার্স দস্তগীর এন্টাপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মনিরুজ্জামান মিন্টুকে এ মামলায় জড়িত সন্দেহে রোববার রাতে আটকের প্রতিবাদে সোমবার ৪ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয় তামাবিল শুল্ক স্টেশনে। সকাল ৮ থেকে ১২টা পর্যন্ত সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ ছিল পুরো বন্দরে। এ সময় ভারত থেকে পণ্যবাহী কোন গাড়ি আসতে পারেনি। লোড-আনলোডও বন্ধ রাখা হয়। দ্রুত তার মুক্তি দাবি করে সড়ক অবরোধ করে রাখেন ব্যবসায়ী শ্রমিকরা। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় গোয়াইনঘাট থানা থেকে তাকে মুক্তি দিলে অবরোধ তুলে নেন ব্যবসায়ী নেতারা। এদিকে, ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির দয়ারবাজার এলাকায় স্থাপিত স্টোন ক্রাশার মেশিনের বিরুদ্ধেও অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকন উদ্দিনের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ৩৪টি মিনি ক্রাশার মেশিন ধ্বংস করা হয়। এ সময় ভোলাগঞ্জ কোয়ারিতে একটি বোমা মেশিন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এ ছাড়া, সরকারি কাজে বাধা দেয়ায় ৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ৩ দিন আগে অবৈধ ক্রাশার মেশিন মালিকদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ ক্রাশার মেশিন সরানোর নির্দেশ দেয়া সত্ত্বেও যারা কর্ণপাত করে নি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক সপ্তাহ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। অভিযানে কোম্পানীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, ওসি (তদন্ত) শফিউল কবির, বিজিবি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন অংশগ্রহণ করেন। গত দু’দিনে গোয়াইনঘাটের পর এবার জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধভাবে স্থাপিত স্টোন ক্রাশার মিলে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে প্রাথমিকভাবে ১টি মেশিন জব্দ, ২০টি মেশিনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্ব ঘোষণানুযায়ী সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর অংশের আদর্শগ্রাম, আশামপাড়া ও নলজুরী এলাকার রাস্তার পার্শ্বে অবৈধভাবে স্থাপিত স্টোন ক্রাশার মিল (টমটম) উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। এদিকে জৈন্তাপুর উপজেলায় অবৈধভাবে স্থাপিত ৬৪টি টমটম মেশিন চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০টি মেশিনে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে পাথার ভাঙার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ খালেদুর রহমান জানান, পর্যায়ক্রমে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এদিকে, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় এমপি ইমরান আহমদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, নিরাপদে ব্যবসা পরিচালনা করতে তারা স্থানীয় এমপির সহযোগিতা কামনা করবেন। আর যদি এমপি তাদের কর্ণপাত না করেন তাহলে আজ-কালের মধ্যে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করবেন তারা।
No comments