তালেবানি নৃশংসতায় কাঁদছে পাকিস্তান
রক্তস্রোতে ভাসছে পাকিস্তান। একের পর এক
বর্বর সন্ত্রাসী হামলায় ব্যর্থ রাষ্ট্রের উদাহরণ হয়ে উঠেছে এশিয়ার এ ইসলামি
প্রজাতন্ত্র। পাকিস্তানে তালেবানের হামলা থেকে সামরিক এবং পুলিশ বাহিনীর
কার্যালয় থেকে শুরু করে মুক্ত নেই বাজার, মসজিদ বা শিশুদের
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তালেবানের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে বারবার আলোচনায় উঠে
আসছে পাকিস্তান। সর্বশেষ মঙ্গলবারের হামলায় নিহত হয়েছে প্রায় দেড়শ’ স্কুল
শিক্ষার্থী। নৃশংস হামলার বর্ণনা দিয়েছেন একজন শিশু।
‘বন্দুক হাতে ওই আংকেলরা খুব রাগি আর বাজে’ জঙ্গি কবল থেকে মুক্ত হয়ে এভাবেই বলল ছোট্ট শিশু। ছুটতে ছুটতে সেনাবাহিনীর কাছে এসেই ৫ বছরের ছোট্ট মেয়েটার মুখে হাসি ফুটল। নিজে থেকেই ও বলে উঠল, ওই দুষ্টু আংকেলগুলোর দাড়ি আছে, তারা আরবিতে কি যেন বলছিলেন। তারপর ওই শিশু জানাল, বন্দুক হাতে ওই আংকেলরা খুব খারাপ, খুব বাজে। ওদের বড় করতে আমাদের ২০ বছর লেগে গেছে, আর ওরা ২০ মিনিটে সব শেষ করে দিল-বললেন এক ছাত্রের বাবা।
ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নামে চরমপন্থা রূপ নিয়ে একের পর এক সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এই তালেবান গ্রুপ। পশতুন আন্দোলন থেকেই মূলত তালেবান আন্দোলনের সূত্রপাত। ১৯৯৪ সালে আফগানিস্তানে তারা প্রসিদ্ধি লাভ করে। এ আন্দোলনের প্রথম সূচনা হয় ধর্মীয় সভা-সেমিনার থেকে। বিশেষ করে সৌদি আরব থেকে ধর্মের বাণী প্রচারের নামে বিভিন্ন দেশে অর্থপ্রাপ্তির পথ ধরে। তালেবানরা ক্ষমতায় গেলে পাকিস্তানের পশতুন এবং আফগানিস্তানে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা এবং শরিয়া তথা ইসলামি আইন অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনার অঙ্গীকার করে। তারা ইসলামি বিচারব্যবস্থার কথা বলে জনসমর্থন আদায়ে সমর্থ হয়। শুধু তাই নয়, তারা সাধারণ মানুষকে ইসলামি শরিয়া প্রতিপালন এবং নারীদের জন্য বোরকা পরিধান বাধ্যতামূলক করে। একইভাবে তালেবানরা টেলিভিশন, গান, সিনেমা ইত্যাদি বন্ধ করে দেয় এবং আট বছর বয়স থেকে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ করে।
তালেবানরা ১৯৯৫ সালের সেপ্টেম্বরে ইরান-সীমান্তবর্তী হেরাত প্রদেশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়। এর এক বছরের মাথায় তারা আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলে নিয়ে নেয়। তৎকালীন আফগান প্রেসিডেন্ট বোরহানউদ্দিন রব্বানী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী আহমদ শাহ মাসুদকেও পরাজিত করে তারা। এরপর ১৯৯৮ সালের দিকে তারা আফগানিস্তানের ৯০ ভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে সক্ষম হয়। তালেবানদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও স্থাপনা ধ্বংসের অভিযোগ ওঠে। ২০০১ সালে তারা আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি লংঘন করে বামিয়ানে গৌতম বুদ্ধের ঐতিহ্যবাহী মূর্তি ভেঙে ফেলে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে আফগানিস্তানে তালেবানরা ক্ষমতাসীন থাকার সময়ে মাত্র তিনটি দেশ তাদের স্বীকৃত দিয়েছিল। দেশ তিনটি হল- পাকিস্তান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে সে সময় মানবাধিকার লংঘনের জন্য আফগানিস্তান জাতিসংঘের স্বীকৃতি হারিয়েছিল এবং ইরান, ভারত, তুরস্ক, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্য এশিয়ার অধিকাংশ দেশ তালেবান শাসনের বিরোধিতা করেছিল এবং তালেবানবিরোধী আফগান নর্দার্ন অ্যালায়েন্সকে সাহায্য করেছিল। ক্ষমতায় থাকার সময় তালেবানরা এ যাবৎকালের সবচেয়ে কট্টোর মুসলিম শরিয়াভিত্তিক শাসন প্রতিষ্ঠা করে। নারীদের প্রতি বিরূপ আচরণের জন্য তারা আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দিতও হয়।
‘তালেবান’ শব্দের অর্থ ‘ছাত্র’। এ আন্দোলনের প্রধান ছিলেন মোল্লা মুহাম্মাদ উমার। উমারের পরেই ছিল সামরিক কমান্ডার ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের একটি মিশ্র ইউনিটের অবস্থান। এর পরে স্থান ছিল পদমর্যাদা অনুযায়ী পাকিস্তানের বিভিন্ন ধর্মীয় বিদ্যালয়ে পাঠ গ্রহণকারী ব্যক্তিদের। দক্ষিণ আফগানিস্তানের পশতুন অঞ্চল এবং পশ্চিম পাকিস্তানের কিছু অঞ্চলে তালেবান আন্দোলন সবচেয়ে ব্যাপক রূপ ধারণ করেছিল। এ ছাড়া ইউরোপ ও চীন থেকে কিছু স্বেচ্ছাসেবক সে সময় এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। তালেবানরা বিভিন্ন উৎস থেকে ভারি অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা লাভ করেছিল। পাকিস্তান সরকার বিশেষত ইন্টারসার্ভিস ইন্টেলিজেন্স তালেবানদের সহায়তার জন্য অভিযুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানে আফগান শরণার্থীদের জন্য নির্মাণ করা মাদ্রাসাগুলো থেকে অনেকেই সশস্ত্র আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। এগুলো প্রতিষ্ঠা করেছিল জামিয়াত উলামা-ই-ইসলাম। ২০০১ সালে ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর ৭ অক্টোবর মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালায় এবং একই বছরের ডিসেম্বরে তালেবান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
সে সময় তাদের নেতা মোল্লা মোহাম্মদ উমার, সিনিয়র তালেবান নেতারা, ওসামা বিন লাদেন এবং তার আল কায়দার সহযোগীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আত্মগোপন করে। বর্তমানে তালেবান সমর্থকরা পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তের উপজাতীয় অঞ্চলে ক্ষমতাসীন আফগান সরকার, অপারেশন এন্ডিউরিং ফ্রিডমে অংশগ্রহণকারী ন্যাটো সেনাবাহিনী এবং ন্যাটো পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাসিসটেন্স ফোর্সের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। বিবিসি।
এক নজরে তালেবান
সক্রিয় : ১৯৯৪-এর সেপ্টেম্বর থেকে
আদর্শ : ইসলামী মৌলবাদ এবং পশতুন জাতীয়তাবাদ
নেতৃত্ব : মোল্লা মুহাম্মদ উমর, মোল্লা উবাইদুল্লাহ আখন্দ (ধৃত)
কার্যক্রমের অঞ্চল : আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান
উৎপত্তি : আফগানিস্তানে সোভিয়েত যুদ্ধের সময় মুজাহিদিন গোষ্ঠী
মিত্র : আল-কায়দা, হিজব-ই-ইসলামী গুলবুদ্দিন, ওয়াজিরিস্তানের ইসলামী আমিরাত, উজবেকিস্তানের ইসলামী আন্দোলন
শত্র“ : ইরান, আফগানিস্তান, নর্দান অ্যালায়েন্স, আইএসএফ (ন্যাটো পরিচালিত), অপারেশন এন্ডিউরিং ফ্রিডম
‘বন্দুক হাতে ওই আংকেলরা খুব রাগি আর বাজে’ জঙ্গি কবল থেকে মুক্ত হয়ে এভাবেই বলল ছোট্ট শিশু। ছুটতে ছুটতে সেনাবাহিনীর কাছে এসেই ৫ বছরের ছোট্ট মেয়েটার মুখে হাসি ফুটল। নিজে থেকেই ও বলে উঠল, ওই দুষ্টু আংকেলগুলোর দাড়ি আছে, তারা আরবিতে কি যেন বলছিলেন। তারপর ওই শিশু জানাল, বন্দুক হাতে ওই আংকেলরা খুব খারাপ, খুব বাজে। ওদের বড় করতে আমাদের ২০ বছর লেগে গেছে, আর ওরা ২০ মিনিটে সব শেষ করে দিল-বললেন এক ছাত্রের বাবা।
ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নামে চরমপন্থা রূপ নিয়ে একের পর এক সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এই তালেবান গ্রুপ। পশতুন আন্দোলন থেকেই মূলত তালেবান আন্দোলনের সূত্রপাত। ১৯৯৪ সালে আফগানিস্তানে তারা প্রসিদ্ধি লাভ করে। এ আন্দোলনের প্রথম সূচনা হয় ধর্মীয় সভা-সেমিনার থেকে। বিশেষ করে সৌদি আরব থেকে ধর্মের বাণী প্রচারের নামে বিভিন্ন দেশে অর্থপ্রাপ্তির পথ ধরে। তালেবানরা ক্ষমতায় গেলে পাকিস্তানের পশতুন এবং আফগানিস্তানে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা এবং শরিয়া তথা ইসলামি আইন অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনার অঙ্গীকার করে। তারা ইসলামি বিচারব্যবস্থার কথা বলে জনসমর্থন আদায়ে সমর্থ হয়। শুধু তাই নয়, তারা সাধারণ মানুষকে ইসলামি শরিয়া প্রতিপালন এবং নারীদের জন্য বোরকা পরিধান বাধ্যতামূলক করে। একইভাবে তালেবানরা টেলিভিশন, গান, সিনেমা ইত্যাদি বন্ধ করে দেয় এবং আট বছর বয়স থেকে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ করে।
তালেবানরা ১৯৯৫ সালের সেপ্টেম্বরে ইরান-সীমান্তবর্তী হেরাত প্রদেশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়। এর এক বছরের মাথায় তারা আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলে নিয়ে নেয়। তৎকালীন আফগান প্রেসিডেন্ট বোরহানউদ্দিন রব্বানী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী আহমদ শাহ মাসুদকেও পরাজিত করে তারা। এরপর ১৯৯৮ সালের দিকে তারা আফগানিস্তানের ৯০ ভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে সক্ষম হয়। তালেবানদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও স্থাপনা ধ্বংসের অভিযোগ ওঠে। ২০০১ সালে তারা আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি লংঘন করে বামিয়ানে গৌতম বুদ্ধের ঐতিহ্যবাহী মূর্তি ভেঙে ফেলে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে আফগানিস্তানে তালেবানরা ক্ষমতাসীন থাকার সময়ে মাত্র তিনটি দেশ তাদের স্বীকৃত দিয়েছিল। দেশ তিনটি হল- পাকিস্তান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে সে সময় মানবাধিকার লংঘনের জন্য আফগানিস্তান জাতিসংঘের স্বীকৃতি হারিয়েছিল এবং ইরান, ভারত, তুরস্ক, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্য এশিয়ার অধিকাংশ দেশ তালেবান শাসনের বিরোধিতা করেছিল এবং তালেবানবিরোধী আফগান নর্দার্ন অ্যালায়েন্সকে সাহায্য করেছিল। ক্ষমতায় থাকার সময় তালেবানরা এ যাবৎকালের সবচেয়ে কট্টোর মুসলিম শরিয়াভিত্তিক শাসন প্রতিষ্ঠা করে। নারীদের প্রতি বিরূপ আচরণের জন্য তারা আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দিতও হয়।
‘তালেবান’ শব্দের অর্থ ‘ছাত্র’। এ আন্দোলনের প্রধান ছিলেন মোল্লা মুহাম্মাদ উমার। উমারের পরেই ছিল সামরিক কমান্ডার ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের একটি মিশ্র ইউনিটের অবস্থান। এর পরে স্থান ছিল পদমর্যাদা অনুযায়ী পাকিস্তানের বিভিন্ন ধর্মীয় বিদ্যালয়ে পাঠ গ্রহণকারী ব্যক্তিদের। দক্ষিণ আফগানিস্তানের পশতুন অঞ্চল এবং পশ্চিম পাকিস্তানের কিছু অঞ্চলে তালেবান আন্দোলন সবচেয়ে ব্যাপক রূপ ধারণ করেছিল। এ ছাড়া ইউরোপ ও চীন থেকে কিছু স্বেচ্ছাসেবক সে সময় এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। তালেবানরা বিভিন্ন উৎস থেকে ভারি অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা লাভ করেছিল। পাকিস্তান সরকার বিশেষত ইন্টারসার্ভিস ইন্টেলিজেন্স তালেবানদের সহায়তার জন্য অভিযুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানে আফগান শরণার্থীদের জন্য নির্মাণ করা মাদ্রাসাগুলো থেকে অনেকেই সশস্ত্র আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। এগুলো প্রতিষ্ঠা করেছিল জামিয়াত উলামা-ই-ইসলাম। ২০০১ সালে ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর ৭ অক্টোবর মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালায় এবং একই বছরের ডিসেম্বরে তালেবান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
সে সময় তাদের নেতা মোল্লা মোহাম্মদ উমার, সিনিয়র তালেবান নেতারা, ওসামা বিন লাদেন এবং তার আল কায়দার সহযোগীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আত্মগোপন করে। বর্তমানে তালেবান সমর্থকরা পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তের উপজাতীয় অঞ্চলে ক্ষমতাসীন আফগান সরকার, অপারেশন এন্ডিউরিং ফ্রিডমে অংশগ্রহণকারী ন্যাটো সেনাবাহিনী এবং ন্যাটো পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাসিসটেন্স ফোর্সের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। বিবিসি।
এক নজরে তালেবান
সক্রিয় : ১৯৯৪-এর সেপ্টেম্বর থেকে
আদর্শ : ইসলামী মৌলবাদ এবং পশতুন জাতীয়তাবাদ
নেতৃত্ব : মোল্লা মুহাম্মদ উমর, মোল্লা উবাইদুল্লাহ আখন্দ (ধৃত)
কার্যক্রমের অঞ্চল : আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান
উৎপত্তি : আফগানিস্তানে সোভিয়েত যুদ্ধের সময় মুজাহিদিন গোষ্ঠী
মিত্র : আল-কায়দা, হিজব-ই-ইসলামী গুলবুদ্দিন, ওয়াজিরিস্তানের ইসলামী আমিরাত, উজবেকিস্তানের ইসলামী আন্দোলন
শত্র“ : ইরান, আফগানিস্তান, নর্দান অ্যালায়েন্স, আইএসএফ (ন্যাটো পরিচালিত), অপারেশন এন্ডিউরিং ফ্রিডম
No comments