‘মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখেছি’
(জিম্মি অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে। ছবি: রয়টার্স) পাকিস্তানের
পেশোয়ারের স্কুলে তালেবান হামলায় দুই পায়ে গুলি লাগে ওই স্কুলের ছাত্র
সালমানের (ছদ্মনাম)। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে সালমান সাংবাদিকদের বলে,
‘কেউ একজন চিৎকার করে আমাদের বলল নিচু হতে ও ডেস্কের তলায় লুকাতে।’ সে
বলে, ‘গুলি চালানোর আগে এক বন্দুকধারী “আল্লাহু আকবর” বলে চিৎকার করে উঠল।
এরপর তাঁদের মধ্যে একজন বলল, “বেঞ্চের নিচে অনেক শিশু আছে, যাও তাদের ধরে
আনো”।
‘আমি দেখলাম, কালো রঙের বড় এক জোড়া বুট আমার দিকে এগিয়ে আসছে, ওই লোকটি সম্ভবত বেঞ্চের তলায় লুকিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের খুঁজছিলেন।’
আজ মঙ্গলবার ডন অনলাইনের খবরে জানানো হয়, এর পরই সালমানের দুই হাঁটুতে গুলি করা হয়। সে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করে। মরে গেছে—এমন অভিনয় করার সিদ্ধান্ত নেয় সালমান।
সালমান বলে, ‘আমি আমার টাই ভাঁজ করে মুখের ভেতর গুঁজে রাখি যাতে আমি চিৎকার করতে না পারি। বড় বুট পরা লোকটি শিক্ষার্থীদের খোঁজার কাজটি চালিয়ে যাচ্ছিল ও তাদের শরীরে গুলি চালিয়েই যাচ্ছিল। আমি চোখ বন্ধ হয়ে যথাসম্ভব নিথর হয়ে পড়ে থাকার চেষ্টা করি এবং আবারও গুলি খাওয়ার অপেক্ষা করতে থাকি। আমার শরীর কাঁপছিল। আমি মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখেছি এবং আমার দিকে এগিয়ে আসা সেই কালো বুটের কথা কখনোই ভুলতে পারব না।’
সালমান আরও জানায়, ‘কিছু সময় পর ওই লোকটি চলে গেল। আমি কয়েক মুহূর্ত সেখানেই পড়ে রইলাম। এরপর আমি উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু আঘাতের কারণে মাটিতে পড়ে গেলাম। আমি যখন হামাগুড়ি দিয়ে পাশের ঘরে গেলাম, তখন ভয়ানক দৃশ্য দেখলাম। আমাদের অফিস সহকারীর লাশ আগুনে পুড়ছিল। তিনি একটা চেয়ারে বসেছিলেন ও পোড়া অবস্থাতেই তাঁর শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল।’
এর পরই সালমান অজ্ঞান হয়ে যায়। যখন তার জ্ঞান ফেরে, সে দেখতে পায় হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে আছে।
এ হামলার ঘটনায় নিহত ১৪ বছরের ছেলে আবদুল্লাহর লাশ নিতে এসে হাসপাতালে তার বাবা তাহির আলী বলেন, ‘সকালে আমার ছেলে স্কুল ইউনিফর্ম পরা ছিল, এখন সে কফিনে। সে ছিল আমার স্বপ্ন। আমার স্বপ্নকে খুন করা হয়েছে।’
হামলায় পায়ে গুলি লাগে ওই স্কুলের ছাত্র আবদুল্লাহ জামালের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের জানায়, হামলা শুরুর আগে সে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছিল। তারা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মেডিকেল দলের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসার ওপর একটি প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। যখন হামলা শুরু হলো, তখন প্রথম কয়েক মুহূর্ত কেউ বুঝতে পারছিল না যে কী হচ্ছে।
জামাল বলে, ‘এরপর আমি দেখলাম, যেসব শিশু কাঁদছিল ও ভয়ে চিৎকার করছিল, তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে। আমিও পড়ে গেলাম। পরে জানতে পেরেছি যে আমার পায়ে গুলি লেগেছে।’
‘আমি দেখলাম, কালো রঙের বড় এক জোড়া বুট আমার দিকে এগিয়ে আসছে, ওই লোকটি সম্ভবত বেঞ্চের তলায় লুকিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের খুঁজছিলেন।’
আজ মঙ্গলবার ডন অনলাইনের খবরে জানানো হয়, এর পরই সালমানের দুই হাঁটুতে গুলি করা হয়। সে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করে। মরে গেছে—এমন অভিনয় করার সিদ্ধান্ত নেয় সালমান।
সালমান বলে, ‘আমি আমার টাই ভাঁজ করে মুখের ভেতর গুঁজে রাখি যাতে আমি চিৎকার করতে না পারি। বড় বুট পরা লোকটি শিক্ষার্থীদের খোঁজার কাজটি চালিয়ে যাচ্ছিল ও তাদের শরীরে গুলি চালিয়েই যাচ্ছিল। আমি চোখ বন্ধ হয়ে যথাসম্ভব নিথর হয়ে পড়ে থাকার চেষ্টা করি এবং আবারও গুলি খাওয়ার অপেক্ষা করতে থাকি। আমার শরীর কাঁপছিল। আমি মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখেছি এবং আমার দিকে এগিয়ে আসা সেই কালো বুটের কথা কখনোই ভুলতে পারব না।’
সালমান আরও জানায়, ‘কিছু সময় পর ওই লোকটি চলে গেল। আমি কয়েক মুহূর্ত সেখানেই পড়ে রইলাম। এরপর আমি উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু আঘাতের কারণে মাটিতে পড়ে গেলাম। আমি যখন হামাগুড়ি দিয়ে পাশের ঘরে গেলাম, তখন ভয়ানক দৃশ্য দেখলাম। আমাদের অফিস সহকারীর লাশ আগুনে পুড়ছিল। তিনি একটা চেয়ারে বসেছিলেন ও পোড়া অবস্থাতেই তাঁর শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল।’
এর পরই সালমান অজ্ঞান হয়ে যায়। যখন তার জ্ঞান ফেরে, সে দেখতে পায় হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে আছে।
এ হামলার ঘটনায় নিহত ১৪ বছরের ছেলে আবদুল্লাহর লাশ নিতে এসে হাসপাতালে তার বাবা তাহির আলী বলেন, ‘সকালে আমার ছেলে স্কুল ইউনিফর্ম পরা ছিল, এখন সে কফিনে। সে ছিল আমার স্বপ্ন। আমার স্বপ্নকে খুন করা হয়েছে।’
হামলায় পায়ে গুলি লাগে ওই স্কুলের ছাত্র আবদুল্লাহ জামালের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের জানায়, হামলা শুরুর আগে সে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছিল। তারা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মেডিকেল দলের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসার ওপর একটি প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। যখন হামলা শুরু হলো, তখন প্রথম কয়েক মুহূর্ত কেউ বুঝতে পারছিল না যে কী হচ্ছে।
জামাল বলে, ‘এরপর আমি দেখলাম, যেসব শিশু কাঁদছিল ও ভয়ে চিৎকার করছিল, তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে। আমিও পড়ে গেলাম। পরে জানতে পেরেছি যে আমার পায়ে গুলি লেগেছে।’
No comments