নিজের রক্তগঙ্গায় ডুবে মরবে ইসরাইল -ইস্তাম্বুলে জনসমুদ্রে এরদোগান
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইল যে রক্তগঙ্গা তৈরি করছে তাতেই ডুবে মরবে ইহুদিবাদী দেশটি।
এরদোগান বলেন, ‘সমস্ত অপরাধ মাথায় নিয়ে হিটলার যেমন একটি বর্ণমুক্ত (ইহুদিমুক্ত) রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল, ইসরাইলও এখন সেই লক্ষ্যে ধাবিত হচ্ছে। তারা নারীদের হত্যা করছে যাতে তারা ফিলিস্তিনি শিশুর জন্ম দিতে না পারে; তারা শিশুদের হত্যা করছে যাতে তারা বড় হতে না পারে; তারা পুরুষদের হত্যা করছে যাতে তারা নিজের দেশ রক্ষা করতে না পারে…তারা যে রক্তগঙ্গা সৃষ্টি করছে তাতেই তারা ডুবে মরবে।’
রবিবার ইস্তাম্বুলে এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এ জনসভাকে ‘জনতার সমুদ্র’ বলে মন্তব্য করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
আগামী ১০ আগস্টের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এরদোগানের জন্মভূমি ইস্তাম্বুলে এ জনসভার আয়োজন করা হয়। এটি ছিল তার সবচেয়ে বড় নির্বাচনী জনসভা।
এরদোগান বলেন, ‘সমস্ত অপরাধ মাথায় নিয়ে হিটলার যেমন একটি বর্ণমুক্ত (ইহুদিমুক্ত) রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল, ইসরাইলও এখন সেই লক্ষ্যে ধাবিত হচ্ছে। তারা নারীদের হত্যা করছে যাতে তারা ফিলিস্তিনি শিশুর জন্ম দিতে না পারে; তারা শিশুদের হত্যা করছে যাতে তারা বড় হতে না পারে; তারা পুরুষদের হত্যা করছে যাতে তারা নিজের দেশ রক্ষা করতে না পারে…তারা যে রক্তগঙ্গা সৃষ্টি করছে তাতেই তারা ডুবে মরবে।’
রবিবার ইস্তাম্বুলে এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এ জনসভাকে ‘জনতার সমুদ্র’ বলে মন্তব্য করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
আগামী ১০ আগস্টের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এরদোগানের জন্মভূমি ইস্তাম্বুলে এ জনসভার আয়োজন করা হয়। এটি ছিল তার সবচেয়ে বড় নির্বাচনী জনসভা।
তুরস্কের ৪০ লাইন বিশিষ্ট জাতীয় সংগীতের পুরোটা আবৃত্তি করে এরদোগান তার বক্তব্য শুরু করেন। তীব্র গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকা জনতা এ সময় স্লোগানে স্লোগানে আকাশ বাতাস মুখরিত করে তোলেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ৪,৬০০ বাস ও ৭৫টি জাহাজে করে ইস্তাম্বুলের বিভিন্ন শহর থেকে তার সমর্থকরা সমাবেশে যোগ দেন।
ডজন খানেক টিভি চ্যানেলে তার বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
এরগোদানের বেসবল ক্যাপ পরা এবং তার নির্বাচনী স্লোগান ‘জাতীয় আশা, জাতীয় ক্ষমতা’ লেখা পতাকা নিয়ে সমবেত হন তার সমর্থকরা।
এ সময় গাজা ইস্যুতে এরদোগানের অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে হাজার হাজার লোক ফিলিস্তিনি পতাকা বহন করেন।
ইস্তাম্বুলের সাবেক মেয়র এরদোগান এ সময় বলেন, ‘ইস্তাম্বুলে এটাই হয়তো আমাদের শেষ জনসভা। তবে আমি আপনাদেরকে, ইস্তাম্বুলকে বিদায় জানাচ্ছি না।’
‘আল্লাহর ইচ্ছায় এই শহরেই আমি কবর নিতে চাই। আমি এখানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আসিনি, প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবেও আসিনি, আমি এসেছি কাসিমপাসার (তার জন্মস্থান) এরদোগান হিসেবে’, বলেন এরদোগান।
এরদোগান বলেন, ‘আমরা এখানে জাতির প্রভু হতে আসিনি, এসেছি ভৃত্য হতে।’
‘এই রাজনৈতিক সংগ্রামে আমরা কখনো ‘আমি’ শব্দ ব্যবহার করিনি, বলেছি ‘আমরা’। এই জাতির ভালোবাসায় আমার হৃদয় গলে গেছে।’
No comments