খালি পায়ে হেঁটে যাওয়া এক বালকের গল্প by মনজুরুল হক
হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে আণবিক বোমা হামলার ৭০তম বার্ষিকী পালিত হবে আগামী বছর। এর ঠিক এক বছর আগে, এ বছর ৬ আগস্ট মর্মান্তিক সেই ঘটনার নিহত ব্যক্তিদের স্মরণ করার পাশাপাশি যুদ্ধ পরিহার করার জন্য শান্তিকামী মানুষের দৃঢ় প্রত্যয়ই আবার প্রতিফলিত হবে। জাপানের জনগণের এই শান্তি উদ্যোগে এখন অবশ্য পরোক্ষভাবে জড়িত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। নাগাসাকি শান্তি উদ্যানে শান্তির একটি ভাস্কর্য তৈরি করে দেওয়ার যে ঘোষণা কিছুদিন আগে জাপান সফরে এসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, আশা করা যায় ৭০তম বার্ষিকীর আগেই সেই শান্তি ভাস্কর্য বাংলাদেশ সেখানে তৈরি করে দিতে সক্ষম হবে।
হিরোশিমা আর নাগাসাকির ওপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একেবারে শেষ পর্যায়ে আণবিক বোমা হামলার মর্মান্তিকতাকে প্রতিবছর স্মরণ করা হয় যুদ্ধের প্রতি সাধারণ মানুষজনের সামগ্রিক ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ তুলে ধরার একটি উপায় হিসেবে। তার পরও বিশ্বব্যাপী কমতি নেই হানাহানি আর যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলার, কমতি নেই যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে যাওয়ার প্রয়াসে লিপ্ত হওয়ার সুপ্ত মানব আকাঙ্ক্ষার। এমনকি হিরোশিমা-নাগাসাকির মতো চরম মর্মান্তিকতার শিকার হতে হওয়া দেশ জাপানও এর বাইরে নয়। তবে তা সত্ত্বেও শান্তির প্রতি অবিচল আস্থা রেখে যাওয়া মানুষের ঘাটতি জাপানে হিরোশিমা-নাগাসাকির ঘটনার পর একেবারেই ছিল না এবং এখনো নেই।
তার পরও শান্তির ট্রেনকে লাইনচ্যুত করতে পারার নানা রকম প্রয়াস অশান্তির বার্তাবাহকেরা বারবার করে এসেছেন এবং এখনো করে চলেছেন। হিরোশিমার বোমা হামলার অসহায় এক শিকার, ছয় বছর বয়সী বালক গেনের জীবনের মর্মান্তিকতাকে কেন্দ্র করে লেখা কমিকস কাহিনিকে ঘিরে জাপানের শিমানে জেলার শিক্ষা কর্তৃপক্ষের সাম্প্রতিক কিছু পাঁয়তারা এবং অবশেষে পিছু হাঁটার ঘটনা শান্তিবাদীদের শক্তিরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। সেই মূল প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে বালক গেন আর তার বেঁচে থাকার সংগ্রামের দিকে আলোকপাত করা যুক্তিসংগত।
জাপানের কার্টুন গল্প বা কমিকস কাহিনির সঙ্গে বাংলাদেশের পাঠকদের পরিচয় না থাকাই স্বাভাবিক। আগে যে বালক গেনের কথা বলা হয়েছে, সে-ও হচ্ছে কার্টুন কাহিনিরই এক চরিত্র। শুধু তা-ই নয়, গল্পের নায়কও হচ্ছে বোমা বিধ্বস্ত হিরোশিমা শহরজুড়ে খালি পায়ে দৌড়ে বাবা-মা আর ভাইবোনকে খুঁজে বেড়ানো সেই বালক গেন। জাপানি ভাষায় ‘হাদাশি গেন’, আক্ষরিক অনুবাদে যেটা হবে ‘খালি পায়ের গেন’—এই নামে কমিকস উপন্যাসটি প্রথম ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে শুরু করে ১৯৭২ সালে জনপ্রিয় কমিকস সাপ্তাহিক শুকান শোনেন জাম্প-এ। সেই সাময়িকীর গ্রাহকসংখ্যা তখন ছিল কুড়ি লাখের বেশি। লেখক কেইজি নাকাজাওয়া বালক গেনের মধ্যে দিয়ে বস্তুত নিজের অভিজ্ঞতার কথাই সেখানে তুলে ধরেছেন।
১৯৪৫ সালের আগস্ট মাসে নাকাজাওয়ার বয়স ছিল সাত বছর এবং পরিবারের সঙ্গে হিরোশিমা শহরে তিনি বসবাস করছিলেন। সময়টা ছিল গ্রীষ্মের ছুটির সময়। সহৃদয় পাঠক, একবার চিন্তা করে দেখুন, গ্রীষ্মের দীর্ঘ ছুটিতে সাত বছরের স্কুলগামী এক বালক ঠিক কী করতে পারে। খেলার মাঠজুড়ে দাবড়ে বেড়ানো, ফড়িং আর প্রজাপতির পেছনে ছুটে যাওয়া, প্রচণ্ড গরমের দিনে দল বেঁধে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া—দেশভেদে এসবের কোনো রকম তারতম্য আদৌ লক্ষ করা যায় না। বালক নাকাজাওয়ার দিনও সেভাবেই কাটছিল, ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট সকাল আটটার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত। এর অল্প পরেই মুহূর্তের মধ্যে পাল্টে যায় তার পুরো জীবন, যার গভীর মর্মান্তিক বর্ণনা আমরা খুঁজে পাই হাদাশি গেন-এর কাহিনি আর ছবির মধ্যে। এই গল্প হচ্ছে হিরোশিমার ওপর বোমা হামলা হওয়ার ঠিক আগে ও এর পরে কী ঘটেছিল, তারই এক হৃদয়স্পর্শী বর্ণনা, ছবি আর গল্পের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরা যে কাহিনি আমাদের আবেগকেই কেবল জাগিয়ে তোলে না, সেই সঙ্গে বালক গেনের দুর্ভাগ্যের জন্য যারা দায়ী, তাদের প্রতি গভীর এক ঘৃণার বোধও আমাদের মনে তা ছড়িয়ে দেয়।
১৯৭২ সালে প্রথম ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে হিরোশিমার সেই অসহায় বালকের কাহিনি। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ১৫ বছর ধরে নাকাজাওয়া ছবি আর লেখার মধ্যে দিয়ে বর্ণনা করে গেছেন নিজের দুর্ভাগ্যের কাহিনি, পরবর্তী সময়ে বইয়ের আকারে মোট ১০ খণ্ডে যেটা প্রকাশিত হয়েছে এবং সেই কাহিনি নিয়ে জনপ্রিয় একটি কার্টুন ছবিও একসময় তৈরি করা হয়। তবে বালক গেনের মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার কাহিনি জাপানে এবং বিদেশে সবাইকে অবশ্যই সন্তুষ্ট করতে পারছে না। বিশেষ করে কাহিনির সবটা জুড়ে যুদ্ধের ভয়াবহতা ফুটে ওঠার মধ্যে দিয়ে শান্তির প্রয়োজনীয়তা পাঠকদের সামনে তা তুলে ধরায় শান্তির প্রয়োজনীয়তার ওপর যাঁরা আস্থা রাখতে পারছেন না, তাঁরা এতে মোটেও সন্তুষ্ট নন। তবে সরাসরি সে-কথা তাঁরা আবার বলতেও পারছেন না। ফলে হাদাশি গেনকে কোণঠাসা করে রাখার নানা রকম পরোক্ষ প্রয়াস তাঁদের চালাতে হচ্ছে। ঠিক সে রকম একটি প্রয়াস ছিল শিমানে জেলার শিক্ষা বিভাগের গত বছরের এক উদ্যোগ, ব্যাপক প্রতিবাদ আর ধিক্কারের মুখে শেষ পর্যন্ত যা থেকে শিক্ষা বোর্ডকে সরে আসতে হয়েছে।
প্রাথমিক ও জুনিয়র হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীরা যেন গেনের কাহিনি পাঠ করা থেকে বিরত থাকে, শিমানে জেলার শিক্ষা বোর্ড সে জন্য স্কুলের পাঠাগার থেকে বইটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ তাদের আওতাধীন স্কুলগুলোকে গত বছর দিয়েছিল। যে কারণ শিক্ষা বোর্ড দেখায় তা হলো, এ রকম সব দৃশ্য ও ভাষার বর্ণনা এতে রয়েছে, তরুণ পাঠকদের জন্য যা যথাযথ নয়।
তবে তৃপ্তিকর দিকটি হলো, বালক গেনের মর্মান্তিকতার কাহিনিকে বাঁচিয়ে রেখে শান্তির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরার প্রয়াসও জাপানজুড়ে সব সময় লক্ষ করা যায়। হিরোশিমার বার্ষিকী এগিয়ে আসার মুখে টোকিওর পার্শ্ববর্তী সাইতামা জেলার একটি জাদুঘর যেমন আয়োজন করেছে হাদাশি গেন-এর ২৪টি মূল রঙিন ছবির বিশেষ এক প্রদর্শনীর। সেই সঙ্গে স্মরণ করা হচ্ছে ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে ৭৩ বছর বয়সে লোকান্তরিত হওয়া, বালক গেনের কাহিনি আমাদের সামনে তুলে ধরা লেখক-শিল্পী কেইজি নাকাজাওয়াকে।
(টোকিও, ৪ আগস্ট ২০১৪)
মনজুরুল হক: শিক্ষক ও সাংবাদিক৷
হিরোশিমা আর নাগাসাকির ওপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একেবারে শেষ পর্যায়ে আণবিক বোমা হামলার মর্মান্তিকতাকে প্রতিবছর স্মরণ করা হয় যুদ্ধের প্রতি সাধারণ মানুষজনের সামগ্রিক ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ তুলে ধরার একটি উপায় হিসেবে। তার পরও বিশ্বব্যাপী কমতি নেই হানাহানি আর যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলার, কমতি নেই যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে যাওয়ার প্রয়াসে লিপ্ত হওয়ার সুপ্ত মানব আকাঙ্ক্ষার। এমনকি হিরোশিমা-নাগাসাকির মতো চরম মর্মান্তিকতার শিকার হতে হওয়া দেশ জাপানও এর বাইরে নয়। তবে তা সত্ত্বেও শান্তির প্রতি অবিচল আস্থা রেখে যাওয়া মানুষের ঘাটতি জাপানে হিরোশিমা-নাগাসাকির ঘটনার পর একেবারেই ছিল না এবং এখনো নেই।
তার পরও শান্তির ট্রেনকে লাইনচ্যুত করতে পারার নানা রকম প্রয়াস অশান্তির বার্তাবাহকেরা বারবার করে এসেছেন এবং এখনো করে চলেছেন। হিরোশিমার বোমা হামলার অসহায় এক শিকার, ছয় বছর বয়সী বালক গেনের জীবনের মর্মান্তিকতাকে কেন্দ্র করে লেখা কমিকস কাহিনিকে ঘিরে জাপানের শিমানে জেলার শিক্ষা কর্তৃপক্ষের সাম্প্রতিক কিছু পাঁয়তারা এবং অবশেষে পিছু হাঁটার ঘটনা শান্তিবাদীদের শক্তিরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। সেই মূল প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে বালক গেন আর তার বেঁচে থাকার সংগ্রামের দিকে আলোকপাত করা যুক্তিসংগত।
জাপানের কার্টুন গল্প বা কমিকস কাহিনির সঙ্গে বাংলাদেশের পাঠকদের পরিচয় না থাকাই স্বাভাবিক। আগে যে বালক গেনের কথা বলা হয়েছে, সে-ও হচ্ছে কার্টুন কাহিনিরই এক চরিত্র। শুধু তা-ই নয়, গল্পের নায়কও হচ্ছে বোমা বিধ্বস্ত হিরোশিমা শহরজুড়ে খালি পায়ে দৌড়ে বাবা-মা আর ভাইবোনকে খুঁজে বেড়ানো সেই বালক গেন। জাপানি ভাষায় ‘হাদাশি গেন’, আক্ষরিক অনুবাদে যেটা হবে ‘খালি পায়ের গেন’—এই নামে কমিকস উপন্যাসটি প্রথম ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে শুরু করে ১৯৭২ সালে জনপ্রিয় কমিকস সাপ্তাহিক শুকান শোনেন জাম্প-এ। সেই সাময়িকীর গ্রাহকসংখ্যা তখন ছিল কুড়ি লাখের বেশি। লেখক কেইজি নাকাজাওয়া বালক গেনের মধ্যে দিয়ে বস্তুত নিজের অভিজ্ঞতার কথাই সেখানে তুলে ধরেছেন।
১৯৪৫ সালের আগস্ট মাসে নাকাজাওয়ার বয়স ছিল সাত বছর এবং পরিবারের সঙ্গে হিরোশিমা শহরে তিনি বসবাস করছিলেন। সময়টা ছিল গ্রীষ্মের ছুটির সময়। সহৃদয় পাঠক, একবার চিন্তা করে দেখুন, গ্রীষ্মের দীর্ঘ ছুটিতে সাত বছরের স্কুলগামী এক বালক ঠিক কী করতে পারে। খেলার মাঠজুড়ে দাবড়ে বেড়ানো, ফড়িং আর প্রজাপতির পেছনে ছুটে যাওয়া, প্রচণ্ড গরমের দিনে দল বেঁধে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া—দেশভেদে এসবের কোনো রকম তারতম্য আদৌ লক্ষ করা যায় না। বালক নাকাজাওয়ার দিনও সেভাবেই কাটছিল, ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট সকাল আটটার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত। এর অল্প পরেই মুহূর্তের মধ্যে পাল্টে যায় তার পুরো জীবন, যার গভীর মর্মান্তিক বর্ণনা আমরা খুঁজে পাই হাদাশি গেন-এর কাহিনি আর ছবির মধ্যে। এই গল্প হচ্ছে হিরোশিমার ওপর বোমা হামলা হওয়ার ঠিক আগে ও এর পরে কী ঘটেছিল, তারই এক হৃদয়স্পর্শী বর্ণনা, ছবি আর গল্পের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরা যে কাহিনি আমাদের আবেগকেই কেবল জাগিয়ে তোলে না, সেই সঙ্গে বালক গেনের দুর্ভাগ্যের জন্য যারা দায়ী, তাদের প্রতি গভীর এক ঘৃণার বোধও আমাদের মনে তা ছড়িয়ে দেয়।
১৯৭২ সালে প্রথম ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে হিরোশিমার সেই অসহায় বালকের কাহিনি। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ১৫ বছর ধরে নাকাজাওয়া ছবি আর লেখার মধ্যে দিয়ে বর্ণনা করে গেছেন নিজের দুর্ভাগ্যের কাহিনি, পরবর্তী সময়ে বইয়ের আকারে মোট ১০ খণ্ডে যেটা প্রকাশিত হয়েছে এবং সেই কাহিনি নিয়ে জনপ্রিয় একটি কার্টুন ছবিও একসময় তৈরি করা হয়। তবে বালক গেনের মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার কাহিনি জাপানে এবং বিদেশে সবাইকে অবশ্যই সন্তুষ্ট করতে পারছে না। বিশেষ করে কাহিনির সবটা জুড়ে যুদ্ধের ভয়াবহতা ফুটে ওঠার মধ্যে দিয়ে শান্তির প্রয়োজনীয়তা পাঠকদের সামনে তা তুলে ধরায় শান্তির প্রয়োজনীয়তার ওপর যাঁরা আস্থা রাখতে পারছেন না, তাঁরা এতে মোটেও সন্তুষ্ট নন। তবে সরাসরি সে-কথা তাঁরা আবার বলতেও পারছেন না। ফলে হাদাশি গেনকে কোণঠাসা করে রাখার নানা রকম পরোক্ষ প্রয়াস তাঁদের চালাতে হচ্ছে। ঠিক সে রকম একটি প্রয়াস ছিল শিমানে জেলার শিক্ষা বিভাগের গত বছরের এক উদ্যোগ, ব্যাপক প্রতিবাদ আর ধিক্কারের মুখে শেষ পর্যন্ত যা থেকে শিক্ষা বোর্ডকে সরে আসতে হয়েছে।
প্রাথমিক ও জুনিয়র হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীরা যেন গেনের কাহিনি পাঠ করা থেকে বিরত থাকে, শিমানে জেলার শিক্ষা বোর্ড সে জন্য স্কুলের পাঠাগার থেকে বইটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ তাদের আওতাধীন স্কুলগুলোকে গত বছর দিয়েছিল। যে কারণ শিক্ষা বোর্ড দেখায় তা হলো, এ রকম সব দৃশ্য ও ভাষার বর্ণনা এতে রয়েছে, তরুণ পাঠকদের জন্য যা যথাযথ নয়।
তবে তৃপ্তিকর দিকটি হলো, বালক গেনের মর্মান্তিকতার কাহিনিকে বাঁচিয়ে রেখে শান্তির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরার প্রয়াসও জাপানজুড়ে সব সময় লক্ষ করা যায়। হিরোশিমার বার্ষিকী এগিয়ে আসার মুখে টোকিওর পার্শ্ববর্তী সাইতামা জেলার একটি জাদুঘর যেমন আয়োজন করেছে হাদাশি গেন-এর ২৪টি মূল রঙিন ছবির বিশেষ এক প্রদর্শনীর। সেই সঙ্গে স্মরণ করা হচ্ছে ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে ৭৩ বছর বয়সে লোকান্তরিত হওয়া, বালক গেনের কাহিনি আমাদের সামনে তুলে ধরা লেখক-শিল্পী কেইজি নাকাজাওয়াকে।
(টোকিও, ৪ আগস্ট ২০১৪)
মনজুরুল হক: শিক্ষক ও সাংবাদিক৷
No comments