খালাস চেয়ে সাঈদীর আপিল
মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারের আরো একটি
মামলা গেল সুপ্রিম কোর্টে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের
নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির আদেশ থেকে খালাস চেয়ে করা আপিল
আবেদন বৃহস্পতিবার জমা দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট শাখায়।
বৃহস্পতিবার
বেলা দেড়টার দিকে সাঈদীর পক্ষে আপিল আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত
করেছেন সাঈদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন। তিনি জানান, সাঈদীর
বিরুদ্ধে আর্ন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল- ১ এর দেওয়া ফাঁসির দণ্ড বাতিল ও
খালাসের আরজি জানিয়ে এ আপিল করা হয়েছে। আপিল আবেদনের শুনানিতে নেতৃত্ব দেবেন সাঈদীর প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।
এদিকে বৃহস্পতিবারই ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সাঈদীর মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করছেন রাষ্ট্রপক্ষও। ঘোষিত রায়ে যেসব অভিযোগ প্রমাণিত হলেও সাঈদীকে ট্রাইব্যুনাল-১ শাস্তি দেননি, সেসব অভিযোগে শাস্তির আরজি জানিয়ে এবং বাকি অভিযোগগুলোকে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করা হবে।
প্রায় একমাস ধরেই আঁটঘাট বেধে আপিলের নির্ধারিত সময়সীমার শেষ দিনে আপিল আবেদন করলেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তারা জানান, ১২০ পৃষ্ঠার রায়ের প্রতিটি লাইন ধরে ধরে তারা এগিয়েছেন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আর্ন্তজাতকি অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণের মতো আটটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ার প্রেক্ষিতে এর মধ্যে দুটি অপরাধে তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন’১৯৭৩ এর বিধান অনুসারে, রায় ঘোষণার এক মাসের মধ্যে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। সে হিসেবে বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ছিল সাঈদীর মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শেষ দিন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এ রায় রায়ের দিনই প্রত্যাখ্যান করেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের সকল নেতার প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। রায় ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মলেনে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে বুধবার বাংলানিউজকে ব্যরিস্টার রাজ্জাক বলেন, “যে সকল অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ড দেওয়া হয়েছে আইনে তা কোনোভাবেই টেকে না।”
তিনি ইব্রাহীম কুট্টি হত্যার প্রসঙ্গটি টেনে বলেন, “এ ঘটনায় সাঈদী সাহেবকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি নিহত হন একাত্তর সালের অক্টোবর মাসে। ১৯৭২ সালের মার্চে এ হত্যার বিচার চেয়ে ইব্রাহিমের স্ত্রী মামলা করেছিলেন। তাতে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছিল। আসামিদের মধ্যে সাঈদী সাহেবের নাম ছিল না। ট্রাইব্যুনালে সে মামলার কাগজও আমরা জমা দিয়েছিলাম। ট্রাইব্যুনাল সেগুলো আমলে নেননি।”
‘‘আপিল বিভাগের কাছে আমরা বিষয়টি আবার স্পষ্ট করবো’’- জানান তিনি।
অন্য যে অভিযোগটিতে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে, সেটি ছিল বিসা বালী হত্যাকাণ্ড।
এ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলনে, ‘‘বিসা বালীর যে ভাইকে সাক্ষী করা হয়েছে, তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছিলেন প্রসিকিউশন। এর আগে ওই সাক্ষী নিজেই টেলিভিশনে বলেছেন, সাঈদী সাহেব বিসা বালীকে হত্যা করেননি।”
সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়াই সাঈদী সাহেবকে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘‘এ ধরনের বিভিন্ন যুক্তিতে আমরা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর খালাস চেয়ে আপিল করছি।”
উল্লেখ্য, সাঈদীর বিরুদ্ধে গঠন করা অভিযোগে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিন হাজারেরও বেশি নিরস্ত্র ব্যক্তিকে হত্যা বা হত্যায় সহযোগিতা, নয়জনেরও বেশি নারীকে ধর্ষণ, বিভিন্ন বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, ভাঙচুর এবং ১০০ থেকে ১৫০ হিন্দুকে ধর্মান্তরে বাধ্য করার ২০টি ঘটনার অভিযোগ আনা হয়।
এগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীত ভাবে ৮টি অভিযোগই প্রমাণ করতে পারায় ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১। এর মধ্যে দু’টি অভিযোগে অর্থাৎ ৮ ও ১০ নং অপরাধে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। এছাড়া ৬, ৭, ১১, ১৪, ১৬ ও ১৯নং অভিযোগ প্রমাণিত হলেও এগুলোতে কোনো সাজার কথা ঘোষণা করেননি ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল জানান, দুই অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়ায় বাকিগুলোতে আর সাজা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
আসামিপক্ষ মুলত প্রমাণিত দুই অভিযোগ নিয়ে আপিল করেছেন। আর রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণিত অথচ শাস্তি না হওয়া ৬টি এবং প্রমাণিত না হওয়া ১২টিসহ মোট ১৮টি অভিযোগ নিয়ে আপিল করতে যাচ্ছেন।
জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে এ আপিলের মধ্য দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দ্বিতীয় মামলা।
এর আগে আর্ন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর দেওয়া রায়ে সাজাপ্রাপ্ত আরেক জামায়াত নেতা আব্দুল কাদরে মোল্লা সুপ্রিম কোর্টে আপিল আবেদন করেন। আগামী রোববার ৩১ মার্চ ওই মামলায় শুনানি শুরুর দিন ধার্য করেছেন প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ। ওই শুনানরি মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচারে সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারে গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১০ সালের ২৫ মার্চ থেকে এ ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেন। বিচারিক প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করতে গত বছরের ২২ মার্চ গঠিত হয় দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল।
এর মধ্যে জামায়াতের সাবেক সদস্য (রোকন) পলাতক আবুল কালাম আজাদ বাচ্চু রাজাকার, জামায়াতের বর্তমান সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা এবং নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে বাচ্চু রাজাকার ও সাঈদীর মামলায় ফাঁসি ও কাদের মোল্লার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
এদিকে বৃহস্পতিবারই ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সাঈদীর মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করছেন রাষ্ট্রপক্ষও। ঘোষিত রায়ে যেসব অভিযোগ প্রমাণিত হলেও সাঈদীকে ট্রাইব্যুনাল-১ শাস্তি দেননি, সেসব অভিযোগে শাস্তির আরজি জানিয়ে এবং বাকি অভিযোগগুলোকে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করা হবে।
প্রায় একমাস ধরেই আঁটঘাট বেধে আপিলের নির্ধারিত সময়সীমার শেষ দিনে আপিল আবেদন করলেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তারা জানান, ১২০ পৃষ্ঠার রায়ের প্রতিটি লাইন ধরে ধরে তারা এগিয়েছেন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আর্ন্তজাতকি অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণের মতো আটটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ার প্রেক্ষিতে এর মধ্যে দুটি অপরাধে তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন’১৯৭৩ এর বিধান অনুসারে, রায় ঘোষণার এক মাসের মধ্যে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। সে হিসেবে বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ছিল সাঈদীর মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শেষ দিন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এ রায় রায়ের দিনই প্রত্যাখ্যান করেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের সকল নেতার প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। রায় ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মলেনে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে বুধবার বাংলানিউজকে ব্যরিস্টার রাজ্জাক বলেন, “যে সকল অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ড দেওয়া হয়েছে আইনে তা কোনোভাবেই টেকে না।”
তিনি ইব্রাহীম কুট্টি হত্যার প্রসঙ্গটি টেনে বলেন, “এ ঘটনায় সাঈদী সাহেবকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি নিহত হন একাত্তর সালের অক্টোবর মাসে। ১৯৭২ সালের মার্চে এ হত্যার বিচার চেয়ে ইব্রাহিমের স্ত্রী মামলা করেছিলেন। তাতে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছিল। আসামিদের মধ্যে সাঈদী সাহেবের নাম ছিল না। ট্রাইব্যুনালে সে মামলার কাগজও আমরা জমা দিয়েছিলাম। ট্রাইব্যুনাল সেগুলো আমলে নেননি।”
‘‘আপিল বিভাগের কাছে আমরা বিষয়টি আবার স্পষ্ট করবো’’- জানান তিনি।
অন্য যে অভিযোগটিতে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে, সেটি ছিল বিসা বালী হত্যাকাণ্ড।
এ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলনে, ‘‘বিসা বালীর যে ভাইকে সাক্ষী করা হয়েছে, তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছিলেন প্রসিকিউশন। এর আগে ওই সাক্ষী নিজেই টেলিভিশনে বলেছেন, সাঈদী সাহেব বিসা বালীকে হত্যা করেননি।”
সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়াই সাঈদী সাহেবকে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘‘এ ধরনের বিভিন্ন যুক্তিতে আমরা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর খালাস চেয়ে আপিল করছি।”
উল্লেখ্য, সাঈদীর বিরুদ্ধে গঠন করা অভিযোগে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিন হাজারেরও বেশি নিরস্ত্র ব্যক্তিকে হত্যা বা হত্যায় সহযোগিতা, নয়জনেরও বেশি নারীকে ধর্ষণ, বিভিন্ন বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, ভাঙচুর এবং ১০০ থেকে ১৫০ হিন্দুকে ধর্মান্তরে বাধ্য করার ২০টি ঘটনার অভিযোগ আনা হয়।
এগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীত ভাবে ৮টি অভিযোগই প্রমাণ করতে পারায় ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১। এর মধ্যে দু’টি অভিযোগে অর্থাৎ ৮ ও ১০ নং অপরাধে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। এছাড়া ৬, ৭, ১১, ১৪, ১৬ ও ১৯নং অভিযোগ প্রমাণিত হলেও এগুলোতে কোনো সাজার কথা ঘোষণা করেননি ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল জানান, দুই অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়ায় বাকিগুলোতে আর সাজা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
আসামিপক্ষ মুলত প্রমাণিত দুই অভিযোগ নিয়ে আপিল করেছেন। আর রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণিত অথচ শাস্তি না হওয়া ৬টি এবং প্রমাণিত না হওয়া ১২টিসহ মোট ১৮টি অভিযোগ নিয়ে আপিল করতে যাচ্ছেন।
জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে এ আপিলের মধ্য দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দ্বিতীয় মামলা।
এর আগে আর্ন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর দেওয়া রায়ে সাজাপ্রাপ্ত আরেক জামায়াত নেতা আব্দুল কাদরে মোল্লা সুপ্রিম কোর্টে আপিল আবেদন করেন। আগামী রোববার ৩১ মার্চ ওই মামলায় শুনানি শুরুর দিন ধার্য করেছেন প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ। ওই শুনানরি মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচারে সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারে গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১০ সালের ২৫ মার্চ থেকে এ ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেন। বিচারিক প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করতে গত বছরের ২২ মার্চ গঠিত হয় দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল।
এর মধ্যে জামায়াতের সাবেক সদস্য (রোকন) পলাতক আবুল কালাম আজাদ বাচ্চু রাজাকার, জামায়াতের বর্তমান সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা এবং নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে বাচ্চু রাজাকার ও সাঈদীর মামলায় ফাঁসি ও কাদের মোল্লার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
No comments