হাসপাতালের বিছানা খালি করতে ৩০০ রোগী হত্যা!
হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের
বিছানা খালি করতে ৭ জন রোগীকে হত্যা করেছেন এক ব্রাজিলিয়ান চিকিৎসক। শুধু
তাই নয়, কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে পড়ার মতো বেরিয়ে আসছে আরও ভয়ংকর সব তথ্য!
দেশটির
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, “হাসপাতালের কাগজপত্র
বলছে অন্তত আরও ৩০০ রোগীর মৃত্যুর পেছনেও অভিযুক্ত চিকিৎসকের হাত থাকতে
পারে!”
দক্ষিণাঞ্চলের পারানা প্রদেশের সরকার পক্ষের কৌঁসুলিরা জানান, প্রদেশের প্রধান শহর কিউরিতিবা’র ইভাঙ্গেলিকাল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ভার্জিনিয়া সোয়ারেজ দ্য সুজা ও তার চিকিৎসক দল এসব রোগীকে পেশীর শক্তিহানিকর এক ধরনের ঔষধ সেবন করান। তারপর তাদের অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দেন। ফলে শ্বাসকষ্টে ভুগে মারা যান ওই সব রোগী!
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৫৬ বছর বয়সী নারী ডাক্তার সুজা গত মাসে গ্রেফতার হন। এখন পর্যন্ত ৭ জন রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় তার জড়িত থাকার প্রমাণ নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন তদন্ত দলের কর্মকর্তারা। এজন্য সুজার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার সঙ্গে থাকা অপর তিন জন ডাক্তার, তিন জন সেবিকা ও একজন ফিজিওথেরাপিস্টের বিরুদ্ধেও খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
পারানা রাজ্যের কৌঁসুলিরা দাবি করেন, সুজার গোপন ফোনালাপে অন্য রোগীদের জন্য হাসপাতালের বিছানা খালি করতে রোগী হত্যার আলামত সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সুজার ফোনালাপে তিনি বলেন, “আমি আমাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (আইসিইউ) খালি রাখতে চাই, এটা আমাকে বিরক্ত করে তুলছে। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের অভিযান হয়তো আরেকটি জীবনের জন্যই ফলপ্রসূ হচ্ছে...।”
তবে সুজার আইনজীবী ইলিয়াস মাতার আসাদ দাবি করেন, “তদন্ত দল তাঁকে (সুজা) ভুল বুঝছেন...ফোনালাপে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন কিভাবে আইসিইউ’র কাজের গতি বাড়ানো যায়।”
তদন্ত দল সূত্র জানায়, গত সাত বছরে এই হাসপাতালে অন্তত ১৭০০ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সুজা আইসিইউতে দায়িত্ব পালন করেন।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দায়িত্ব প্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা ডা. মারিও লাবাতো বলেন, “এই ৭টি মৃত্যুর ঘটনা ছাড়াও ইতোমধ্যে আরও ২০টি মৃত্যুর ঘটনায় তার জড়িত থাকার আলামত পেয়েছি, এছাড়া তদন্ত চলছে আরও ৩০০টি মৃত্যুর ঘটনার।”
লাবাতো জানান, “হাসপাতালের কাগজপত্র বলছে মৃত্যুর আগে অনেক রোগীই সচেতন ছিলেন। হঠাৎ করে তাদের মারা যাওয়াটা সন্দেহজনক।”
কৌঁসুলিদের অভিযোগপত্র মতে, অনেক মামলায় সুজা হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকলেও ফোনালাপের মাধ্যমে তার চিকিৎসক দলকে রোগীর জীবন নাশ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
যদিও গত সপ্তাহে সুজা ও তার চিকিৎসক দলকে মুক্তির আদেশ দেন কিউরিতিবার একটি আদালত। কিন্তু কৌঁসুলিরা গত সোমবার তাদের পুলিশি হেফাজতে রাখার আবেদন করেন। কারণ এসব খুনের ঘটনায় তিনি ও তার দলের প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে।
এছাড়া, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পুলিশি তদন্তের আবেদনও জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কর্মকর্তারা।
ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যম বলছে, যদি তদন্ত কর্মকর্তারা প্রমাণ করতে পারেন সুজা এই ৩০০ রোগীকে হত্যা করেছেন, তবে এটা বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর ‘সিরিয়াল কিলিং’ হিসেবে ‘ভয়ংকর রেকর্ড’ গড়বে।
দক্ষিণাঞ্চলের পারানা প্রদেশের সরকার পক্ষের কৌঁসুলিরা জানান, প্রদেশের প্রধান শহর কিউরিতিবা’র ইভাঙ্গেলিকাল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ভার্জিনিয়া সোয়ারেজ দ্য সুজা ও তার চিকিৎসক দল এসব রোগীকে পেশীর শক্তিহানিকর এক ধরনের ঔষধ সেবন করান। তারপর তাদের অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দেন। ফলে শ্বাসকষ্টে ভুগে মারা যান ওই সব রোগী!
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৫৬ বছর বয়সী নারী ডাক্তার সুজা গত মাসে গ্রেফতার হন। এখন পর্যন্ত ৭ জন রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় তার জড়িত থাকার প্রমাণ নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন তদন্ত দলের কর্মকর্তারা। এজন্য সুজার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার সঙ্গে থাকা অপর তিন জন ডাক্তার, তিন জন সেবিকা ও একজন ফিজিওথেরাপিস্টের বিরুদ্ধেও খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
পারানা রাজ্যের কৌঁসুলিরা দাবি করেন, সুজার গোপন ফোনালাপে অন্য রোগীদের জন্য হাসপাতালের বিছানা খালি করতে রোগী হত্যার আলামত সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সুজার ফোনালাপে তিনি বলেন, “আমি আমাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (আইসিইউ) খালি রাখতে চাই, এটা আমাকে বিরক্ত করে তুলছে। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের অভিযান হয়তো আরেকটি জীবনের জন্যই ফলপ্রসূ হচ্ছে...।”
তবে সুজার আইনজীবী ইলিয়াস মাতার আসাদ দাবি করেন, “তদন্ত দল তাঁকে (সুজা) ভুল বুঝছেন...ফোনালাপে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন কিভাবে আইসিইউ’র কাজের গতি বাড়ানো যায়।”
তদন্ত দল সূত্র জানায়, গত সাত বছরে এই হাসপাতালে অন্তত ১৭০০ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সুজা আইসিইউতে দায়িত্ব পালন করেন।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দায়িত্ব প্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা ডা. মারিও লাবাতো বলেন, “এই ৭টি মৃত্যুর ঘটনা ছাড়াও ইতোমধ্যে আরও ২০টি মৃত্যুর ঘটনায় তার জড়িত থাকার আলামত পেয়েছি, এছাড়া তদন্ত চলছে আরও ৩০০টি মৃত্যুর ঘটনার।”
লাবাতো জানান, “হাসপাতালের কাগজপত্র বলছে মৃত্যুর আগে অনেক রোগীই সচেতন ছিলেন। হঠাৎ করে তাদের মারা যাওয়াটা সন্দেহজনক।”
কৌঁসুলিদের অভিযোগপত্র মতে, অনেক মামলায় সুজা হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকলেও ফোনালাপের মাধ্যমে তার চিকিৎসক দলকে রোগীর জীবন নাশ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
যদিও গত সপ্তাহে সুজা ও তার চিকিৎসক দলকে মুক্তির আদেশ দেন কিউরিতিবার একটি আদালত। কিন্তু কৌঁসুলিরা গত সোমবার তাদের পুলিশি হেফাজতে রাখার আবেদন করেন। কারণ এসব খুনের ঘটনায় তিনি ও তার দলের প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে।
এছাড়া, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পুলিশি তদন্তের আবেদনও জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কর্মকর্তারা।
ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যম বলছে, যদি তদন্ত কর্মকর্তারা প্রমাণ করতে পারেন সুজা এই ৩০০ রোগীকে হত্যা করেছেন, তবে এটা বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর ‘সিরিয়াল কিলিং’ হিসেবে ‘ভয়ংকর রেকর্ড’ গড়বে।
No comments