হেফাজতে ইসলামি নিয়ে সরকারকে আগেই সতর্ক করেছে পুলিশ
হেফাজতে ইসলামি ও এর প্রধান শাহ আহমদ শফির
ব্যাপারে আগে থেকেই সরকারকে সতর্ক করেছিল পুলিশ। ২০১২ সালের ১১ এপ্রিল
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পাঠানো এক প্রতিবেদনে পুলিশ সদর দপ্তর এই সতর্কতার
কথা জানায়।
স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে পাঠানো ওই প্রতিবেদনে
হেফাজতে ইসলামির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করে পুলিশ সদর
দপ্তর। প্রতিবেদনে বলা হয়, দলটি জামায়াতে ইসলামি ও ইসলামি ঐক্যজোটের মতো
সরকারবিরোধী রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে যুক্ত।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, হেফাজতের প্রধান শাহ আহমদ শফি বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধীদলীয় জোটের সঙ্গে পরোক্ষভাবে যোগাযোগ রাখছেন। অদূর ভবিষ্যতে সরকারবিরোধী আন্দোলনে হেফাজত সমর্থন যোগাতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “শাহ আহমদ শফি সরকারের নানা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য কওমি মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের উস্কে দিচ্ছেন।”
হাটহাজারী এলাকার মাদ্রাসাগুলো নিয়ে তৈরি ওই তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফি এবং তার ছাত্র-শিক্ষকদের কর্মকাণ্ডের কারণে চাপের মুখে রয়েছে হাটহাজারী পুলিশ।
এছাড়া হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফির নেতৃত্বেই দেশের সব কওমি মাদ্রাসা চলে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দলটি দীর্ঘদিন ধরে একটি বিশেষ মতাদর্শকে কেন্দ্র করে সরকারবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে আসছে। যদিও জামায়াতের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে তারা দাবি করছে।
২০০৮ সালের ১১ এপ্রিল পুলিশ ইসলামি ঐক্যজোটের একটি মিছিলে বাধা দেয়, যার প্রতিবাদে হাটহাজারী দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা মাঠে নেমে আসে। তারা সেদিনই সন্ধ্যায় হাটহাজারী মডেল পুলিশ স্টেশনে হামলা চালায়।
প্রতিবেদন মতে, এই হামলা নিয়ে হাটহাজারী পুলিশ মামলার প্রস্তুতি নিলেও মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের চাপের মুখে হামলাকারীদের কথা উল্লেখ না করেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
এছাড়া ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশ চট্টগ্রামে হেফাজতকে মিছিল করতে দেয়নি। এরপর ওই মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পুলিশের ওপর হামলা চালায়, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে, এমনকি পুলিশের হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নেয়। ২০১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ওই ছাত্র-শিক্ষকরাই লোকনাথ ব্রহ্মচারী মন্দিরে এবং এর পরদিন হিন্দুদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এ ঘটনায় ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করা হয়।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, পুলিশ সদর দপ্তরের এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০১২ সালের আগস্ট একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে এ বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে আর জানা যায়নি।
চলতি মাসে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালানোর পাশাপাশি হেফাজত সরকারকে আল্টিমেটাম বেঁধে দিয়ে বলেছে, তাদের ১৩ দফা দাবি পূরণ না হলে ৬ এপ্রিল থেকে তারা হাজার হাজার সমর্থক নিয়ে লং মার্চ করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। তাদের ১৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে ইসলাম ও মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির অবসান ও ‘ইসলামবিরোধী’ ব্লগগুলোকে নিষিদ্ধ করা।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, হেফাজতের প্রধান শাহ আহমদ শফি বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধীদলীয় জোটের সঙ্গে পরোক্ষভাবে যোগাযোগ রাখছেন। অদূর ভবিষ্যতে সরকারবিরোধী আন্দোলনে হেফাজত সমর্থন যোগাতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “শাহ আহমদ শফি সরকারের নানা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য কওমি মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের উস্কে দিচ্ছেন।”
হাটহাজারী এলাকার মাদ্রাসাগুলো নিয়ে তৈরি ওই তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফি এবং তার ছাত্র-শিক্ষকদের কর্মকাণ্ডের কারণে চাপের মুখে রয়েছে হাটহাজারী পুলিশ।
এছাড়া হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফির নেতৃত্বেই দেশের সব কওমি মাদ্রাসা চলে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দলটি দীর্ঘদিন ধরে একটি বিশেষ মতাদর্শকে কেন্দ্র করে সরকারবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে আসছে। যদিও জামায়াতের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে তারা দাবি করছে।
২০০৮ সালের ১১ এপ্রিল পুলিশ ইসলামি ঐক্যজোটের একটি মিছিলে বাধা দেয়, যার প্রতিবাদে হাটহাজারী দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা মাঠে নেমে আসে। তারা সেদিনই সন্ধ্যায় হাটহাজারী মডেল পুলিশ স্টেশনে হামলা চালায়।
প্রতিবেদন মতে, এই হামলা নিয়ে হাটহাজারী পুলিশ মামলার প্রস্তুতি নিলেও মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের চাপের মুখে হামলাকারীদের কথা উল্লেখ না করেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
এছাড়া ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশ চট্টগ্রামে হেফাজতকে মিছিল করতে দেয়নি। এরপর ওই মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পুলিশের ওপর হামলা চালায়, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে, এমনকি পুলিশের হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নেয়। ২০১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ওই ছাত্র-শিক্ষকরাই লোকনাথ ব্রহ্মচারী মন্দিরে এবং এর পরদিন হিন্দুদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এ ঘটনায় ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করা হয়।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, পুলিশ সদর দপ্তরের এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০১২ সালের আগস্ট একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে এ বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে আর জানা যায়নি।
চলতি মাসে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালানোর পাশাপাশি হেফাজত সরকারকে আল্টিমেটাম বেঁধে দিয়ে বলেছে, তাদের ১৩ দফা দাবি পূরণ না হলে ৬ এপ্রিল থেকে তারা হাজার হাজার সমর্থক নিয়ে লং মার্চ করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। তাদের ১৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে ইসলাম ও মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির অবসান ও ‘ইসলামবিরোধী’ ব্লগগুলোকে নিষিদ্ধ করা।
No comments