বড্ড ক্লান্ত বিএনপি নেতারা!
সকাল ৯টা। নগরীর নাসিমন ভবনে বিএনপির দলীয়
কার্যালয়ের সামনের সড়কে হরতালের সমর্থনে সমাবেশ চলছিল। উপস্থিত ছিলেন সব
মিলিয়ে ২০-২৫ জনের মত নেতাকর্মী।
নেতাদের মধ্যে আছেন
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার, নগর বিএনপির
সহ-সভাপতি সামশুল আলম এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান শামীম।
বক্তব্য
রাখছিলেন থানা, ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের কেউ কেউ। কিন্তু সে বক্তব্য শোনায়
আগ্রহ নেই তেমন কারও। চেয়ারে বসা নেতা গোলাম আকবর খোন্দকার এবং সামশুল আলম
দু’জনই তখন গভীর ঘুমে মগ্ন। জেগে আছেন মাহবুবুর রহমান শামীম। কিন্তু তিনিও
অধিকাংশ সময় ছিলেন পত্রিকা পড়ায় ব্যস্ত।
আর যে ক’জন নেতাকর্মী শ্রোতার সারিতে ছিলেন তারা কেউ কেউ ছিলেন খোশগল্পে মশগুল। আর কেউ টেলিভিশন ক্যামেরার আশপাশে ঘোরাফেরা করছিলেন।
হরতাল চলাকালে নাসিমন ভবনের সামনে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। খবর নিয়ে জানা গেছে, নগরীর কমপক্ষে অর্ধশত পয়েণ্টে বুধবার মিছিল-সমাবেশ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। অধিকাংশ পয়েন্টেই হরতালের সমর্থনে কর্মসূচীগুলো ছিল ঢিলেঢালা।
তবে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গোলাম আকবর খোন্দকার, আবু সুফিয়ান, সামশুল আলম, ডা.শাহাদাৎ হোসেনসহ শীর্ষ বিএনপি নেতারা একসঙ্গে সমাবেশে গেলে সেটি খুবই সরব হয়ে উঠতে দেখা গেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, হরতাল চলাকালে ভোর ৬টা ২০ মিনিটে সব নেতার আগে গোলাম আকবর খোন্দকার নাসিমন ভবনের সামনে আসেন। সেখানে কয়েকজন নেতাকর্মী নিয়ে তিনি এনায়েত বাজার মোড় ঘুরে কাজীর দেউড়িতে এসে সমাবেশ শুরু করেন।
সাড়ে ৬টার দিকে বাসা থেকে বের হন সামশুল আলম। সাড়ে ৭টার দিকে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সামশুল আলমের নেতৃত্বে একটি মিছিল কাজীর দেউড়িতে আসে। এরপর গোলাম আকবর খোন্দকারসহ বিএনপি নেতারা মিছিল নিয়ে নাসিমন ভবনের সামনে যান।
হরতালের সমর্থনে সমাবেশ শুরু করে দিয়ে নাসিমন ভবন ত্যাগ করেন আমির খসরু। এরপর তিনি বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, একে খান মোড়সহ আরও বেশ কয়েকটি স্থানে সমাবেশে যোগ দেন। মূলত তিনি নাসিমন ভবনের সামনে থেকে চলে যাবার পরই সমাবেশ ঢিলেঢালা হয়ে পড়ে। অন্য বিএনপি নেতারা ঘণ্টাখানেক নাসিমন ভবনের সামনে অবস্থান করার পর তারাও ওই স্থান ছেড়ে অন্য সমাবেশে চলে যান।
সমাবেশে ঘুমিয়ে পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম আকবর খোন্দকারের ব্যক্তিগত সহকারী অর্জুন কুমার নাথ বাংলানিউজকে বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসেও অনেকগুলো কর্মসূচী ছিল। অনেক রাত পর্যন্ত কর্মসূচী শেষ করে আবারও ভোরে হরতালের কর্মসূচী শুরু করতে হয়েছে। সেজন্য টায়ার্ড হয়ে গেছেন স্যার।’
সমাবেশের ভেতরে থাকায় গোলাম আকবর খোন্দকার ও সামশুল আলমের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নগর বিএনপির এক নেতা বলেন, ‘হরতালের পর হরতাল আবার এর মাঝে সাংগঠনিক কর্মসূচী পালন করতে গিয়ে আমরা সবাই সত্যিই ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। আসলে এভাবে আর সম্ভব হচ্ছেনা। টানা হরতালে নেতারা মাঠে থাকলেও অনেক সময় কর্মীদের পাওয়া যাচ্ছেনা। কর্মীদের মধ্যে মামলা, হামলার ভয় তো আছেই।’
আর যে ক’জন নেতাকর্মী শ্রোতার সারিতে ছিলেন তারা কেউ কেউ ছিলেন খোশগল্পে মশগুল। আর কেউ টেলিভিশন ক্যামেরার আশপাশে ঘোরাফেরা করছিলেন।
হরতাল চলাকালে নাসিমন ভবনের সামনে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। খবর নিয়ে জানা গেছে, নগরীর কমপক্ষে অর্ধশত পয়েণ্টে বুধবার মিছিল-সমাবেশ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। অধিকাংশ পয়েন্টেই হরতালের সমর্থনে কর্মসূচীগুলো ছিল ঢিলেঢালা।
তবে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গোলাম আকবর খোন্দকার, আবু সুফিয়ান, সামশুল আলম, ডা.শাহাদাৎ হোসেনসহ শীর্ষ বিএনপি নেতারা একসঙ্গে সমাবেশে গেলে সেটি খুবই সরব হয়ে উঠতে দেখা গেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, হরতাল চলাকালে ভোর ৬টা ২০ মিনিটে সব নেতার আগে গোলাম আকবর খোন্দকার নাসিমন ভবনের সামনে আসেন। সেখানে কয়েকজন নেতাকর্মী নিয়ে তিনি এনায়েত বাজার মোড় ঘুরে কাজীর দেউড়িতে এসে সমাবেশ শুরু করেন।
সাড়ে ৬টার দিকে বাসা থেকে বের হন সামশুল আলম। সাড়ে ৭টার দিকে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সামশুল আলমের নেতৃত্বে একটি মিছিল কাজীর দেউড়িতে আসে। এরপর গোলাম আকবর খোন্দকারসহ বিএনপি নেতারা মিছিল নিয়ে নাসিমন ভবনের সামনে যান।
হরতালের সমর্থনে সমাবেশ শুরু করে দিয়ে নাসিমন ভবন ত্যাগ করেন আমির খসরু। এরপর তিনি বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, একে খান মোড়সহ আরও বেশ কয়েকটি স্থানে সমাবেশে যোগ দেন। মূলত তিনি নাসিমন ভবনের সামনে থেকে চলে যাবার পরই সমাবেশ ঢিলেঢালা হয়ে পড়ে। অন্য বিএনপি নেতারা ঘণ্টাখানেক নাসিমন ভবনের সামনে অবস্থান করার পর তারাও ওই স্থান ছেড়ে অন্য সমাবেশে চলে যান।
সমাবেশে ঘুমিয়ে পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম আকবর খোন্দকারের ব্যক্তিগত সহকারী অর্জুন কুমার নাথ বাংলানিউজকে বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসেও অনেকগুলো কর্মসূচী ছিল। অনেক রাত পর্যন্ত কর্মসূচী শেষ করে আবারও ভোরে হরতালের কর্মসূচী শুরু করতে হয়েছে। সেজন্য টায়ার্ড হয়ে গেছেন স্যার।’
সমাবেশের ভেতরে থাকায় গোলাম আকবর খোন্দকার ও সামশুল আলমের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নগর বিএনপির এক নেতা বলেন, ‘হরতালের পর হরতাল আবার এর মাঝে সাংগঠনিক কর্মসূচী পালন করতে গিয়ে আমরা সবাই সত্যিই ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। আসলে এভাবে আর সম্ভব হচ্ছেনা। টানা হরতালে নেতারা মাঠে থাকলেও অনেক সময় কর্মীদের পাওয়া যাচ্ছেনা। কর্মীদের মধ্যে মামলা, হামলার ভয় তো আছেই।’
No comments