চাকু দিয়ে তারা আমার চোখ উপড়ে ফেলে by জাহাঙ্গীর সুমন ও আবু তালহা
“আমি চোর না ভাই! আমি ব্যবসা করি। আমাকে
মারবেন না। তারপরও ওরা আমার কথা শোনে নি। রাতভর আমাকে অমানবিকভাবে পেটানোর
পর তারা আমার চোখে চাকু দিয়ে পাড় মারে।”
বুধবার চক্ষু
বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে পুরুষ ওয়ার্ডের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে
মিলন মিয়া এভাবেই তার নির্যাতনের বর্ণনা দেন বাংলানিউজের কাছে।
ছবি: জি এম মজিবুর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
মিলন বলেন, “কেরানীগঞ্জের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা উজ্জ্বল ও তার ছোটভাই চঞ্চলের একটি পালসার মোটরসাইকেল গত রোববার রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটুরিয়ার বাসা থেকে চুরি হয়ে যায়।
চুরির পর উজ্জ্বল সোমবার রাতে মাসুদ রানা রনি, রুবেল ও আমাকে জানায় যে, তার ছোটভাইয়ের মোটরসাইকেলটি চুরি গেছে এবং সেটি উদ্ধারের জন্য আমাদের সহযোগিতা চায় তারা।”
তিনি বলেন, “এর পর মঙ্গলবার বিকেলে উজ্জ্বল কৌশলে আমাদের তিনজনকে মোবাইল ফোনে তার বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। বাসায় নিয়ে আমাদের আটকে রেখে মোটরসাইকেল চুরির ব্যাপারে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করে ও মোটরসাইকেলটি ফেরৎ চায়।”
এসময় মিলন তাদের জানান, সে এই মোটরসাইকেল ও মোটরসাইকেল চুরির বিষয়ে কিছুই জানেননা। এর পরও উজ্জ্বল ও তার বড়ভাই চঞ্চল তাকেসহ অন্য দুইজনকে তাদের বাড়ির পাশের একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে রাতভর আটকে রাখে। সেখানে রাত ৩টার দিকে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী তার হাত-পা বেঁধে বেধড়ক পেটাতে থাকে।
মিলন বলেন, “শেষরাতে চঞ্চল ও স্থানীয় সন্ত্রাসী কালু চাকু দিয়ে আমার দুই চোখে পাঁচ থেকে ছয়টি পাড় (কোপ) মারে।”
তিনি জানান, রনিকেও তারা বেধড়ক মারপিট করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় আরেক বন্ধু রুবেলকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, রুবেলের বন্ধু শাহাব উদ্দিন অভিযোগ করেন, রাতে রুবেলকে মারধরের পর হত্যা করে তার লাশ গুম করা হয়েছে।
অপরদিকে, ভোররাতে তিনজকে মারধর করার পর উজ্জ্বল ও তার ভাই চঞ্চল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় পুলিশকে খবর দেয়।
তারা পুলিশকে জানায়, মিলন ও রনি তাদের বাসায় ডাকাতির করতে এসেছিল। ভোররাতে স্থানীয় জনতা তাদের গণপিটুনি দিয়েছে।
এর পর কেরানীগঞ্জ থানা উপপরিদর্শক শাহাদত হোসেন মিলনকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে সেখান থেকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটউটে ভর্তি করে দেন।
জানা গেছে, রনিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রনি বিএফ শাহীন কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পাস করেছে।
আহত মিলন ‘পারফেক্টিভ’ নামে একটি বিপণন কোম্পানির ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত। রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় গার্লস স্কুল রোডে সপরিবারে থাকেন। উজ্জ্বল তার পূর্ব পরিচিত।
মিলন জানান, এক সময় তিনি কেরানীগঞ্জ এলাকায় ভাড়া থাকতেন ও উজ্জ্বলের সঙ্গে সক্ষতা ছিল তার।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখওয়াত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার পর পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতাল ও চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নিয়ে গেছে।
ডাকাতির অভিযোগে আহতদের পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, “ডাকাতির কোনো ঘটনা নয়। পুরো বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি ও এ বিষয়ে মিলন ও রনির পরিবারের সদস্যরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা অভিযোগ করলে আমরা নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করে ব্যবস্থা নেবো।”
এ দিকে ঘটনার পর ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে কেরানীগঞ্জের ওই আওয়ামী লীগ নেতা মূল ঘটনা আড়াল করে ‘ডাকাতি’র ঘটনা হিসেবে চালানোর চেষ্টা করছেন। তবে ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক।
মিলন বলেন, “কেরানীগঞ্জের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা উজ্জ্বল ও তার ছোটভাই চঞ্চলের একটি পালসার মোটরসাইকেল গত রোববার রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটুরিয়ার বাসা থেকে চুরি হয়ে যায়।
চুরির পর উজ্জ্বল সোমবার রাতে মাসুদ রানা রনি, রুবেল ও আমাকে জানায় যে, তার ছোটভাইয়ের মোটরসাইকেলটি চুরি গেছে এবং সেটি উদ্ধারের জন্য আমাদের সহযোগিতা চায় তারা।”
তিনি বলেন, “এর পর মঙ্গলবার বিকেলে উজ্জ্বল কৌশলে আমাদের তিনজনকে মোবাইল ফোনে তার বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। বাসায় নিয়ে আমাদের আটকে রেখে মোটরসাইকেল চুরির ব্যাপারে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করে ও মোটরসাইকেলটি ফেরৎ চায়।”
এসময় মিলন তাদের জানান, সে এই মোটরসাইকেল ও মোটরসাইকেল চুরির বিষয়ে কিছুই জানেননা। এর পরও উজ্জ্বল ও তার বড়ভাই চঞ্চল তাকেসহ অন্য দুইজনকে তাদের বাড়ির পাশের একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে রাতভর আটকে রাখে। সেখানে রাত ৩টার দিকে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী তার হাত-পা বেঁধে বেধড়ক পেটাতে থাকে।
মিলন বলেন, “শেষরাতে চঞ্চল ও স্থানীয় সন্ত্রাসী কালু চাকু দিয়ে আমার দুই চোখে পাঁচ থেকে ছয়টি পাড় (কোপ) মারে।”
তিনি জানান, রনিকেও তারা বেধড়ক মারপিট করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় আরেক বন্ধু রুবেলকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, রুবেলের বন্ধু শাহাব উদ্দিন অভিযোগ করেন, রাতে রুবেলকে মারধরের পর হত্যা করে তার লাশ গুম করা হয়েছে।
অপরদিকে, ভোররাতে তিনজকে মারধর করার পর উজ্জ্বল ও তার ভাই চঞ্চল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় পুলিশকে খবর দেয়।
তারা পুলিশকে জানায়, মিলন ও রনি তাদের বাসায় ডাকাতির করতে এসেছিল। ভোররাতে স্থানীয় জনতা তাদের গণপিটুনি দিয়েছে।
এর পর কেরানীগঞ্জ থানা উপপরিদর্শক শাহাদত হোসেন মিলনকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে সেখান থেকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটউটে ভর্তি করে দেন।
জানা গেছে, রনিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রনি বিএফ শাহীন কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পাস করেছে।
আহত মিলন ‘পারফেক্টিভ’ নামে একটি বিপণন কোম্পানির ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত। রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় গার্লস স্কুল রোডে সপরিবারে থাকেন। উজ্জ্বল তার পূর্ব পরিচিত।
মিলন জানান, এক সময় তিনি কেরানীগঞ্জ এলাকায় ভাড়া থাকতেন ও উজ্জ্বলের সঙ্গে সক্ষতা ছিল তার।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখওয়াত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার পর পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতাল ও চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নিয়ে গেছে।
ডাকাতির অভিযোগে আহতদের পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, “ডাকাতির কোনো ঘটনা নয়। পুরো বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি ও এ বিষয়ে মিলন ও রনির পরিবারের সদস্যরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা অভিযোগ করলে আমরা নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করে ব্যবস্থা নেবো।”
এ দিকে ঘটনার পর ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে কেরানীগঞ্জের ওই আওয়ামী লীগ নেতা মূল ঘটনা আড়াল করে ‘ডাকাতি’র ঘটনা হিসেবে চালানোর চেষ্টা করছেন। তবে ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক।
No comments