হরতালের দ্বিতীয় দিনে চট্টগ্রামে হামলা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংর্ঘষে আহত-১৬
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা
৩৬ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিনে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ধাওয়া পাল্টা
ধাওয়া সংর্ঘষ এবং ককটেল বিস্ফোরণের মাধ্যমে হরতাল চলছে। নগরীর বিভিন্ন
স্থানে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ মিছিলে পুলিশ বাধা দিচ্ছে।
সকাল
থেকে বন্দর নিমতলা বিশ্বরোড, বায়েজিদের অক্সিজেন ইপিজেড এলাকায় পুলিশ
আওয়ামীলীগ যুবলীগের সাথে হরতালকারীদের সংর্ঘষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা
ঘটেছে। এসময় পুলিশ ফাঁকা গুলি চালায়। এতে ১৫ জন আহত হয়। এছাড়া হরতালকারীদের নিক্ষিপ্ত বোমার আঘাতে একজন স্কুল ছাত্রীও আহত হয়েছে।
হরতাল
চলাকালে বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর নিমতলা বিশ্বরোড় এলাকায় যুবদল
ছাত্রদলের মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। এতে
অন্তত ৬/৭ জন নেতা কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবী করেছেন বিএনপি।
বেলা পৌনে ১১টার দিকে নিমতলা এলাকা থেকে যুবদল ছাত্রদলের একটি মিছিল ইপিজেডে’র সমাবেশের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় পুলিশ বাধা দেয়। এসময় পুলিশের বাধা ডিঙ্গিয়ে মিছিল করতে চাইলে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাকা গুলি চালায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৩ জনকে আটক করলেও পরে ২ জনকে ছেড়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদশী আলাউদ্দিন খোকন জানান,নিমতলা বিএসসি ভবনের সামনে বিএনপির লোকজন মিছিল করার জন্য জড়ো হলে এস আই ফারুকের নেতুত্বে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে বন্দরের ৪ নং গেইটের ভীতর ডুকিয়ে দেয়। একই সময় ফকির হাট এলাকা থেকে যুবলীগ আওয়ামীলীগের লাঠিসোটা হকিস্টিক মিছিল বের করে। মিছিলটি নীমতলা দিয়ে যাওয়ার সময় গুলির শব্দ শুনা যায়।
বন্দর থানার এস আই ফারুক জানান, হরতাল বিরোধী এবং হরতালকারীদের দুটি মিছিল বের করলে সংর্ঘষের আশংকায় আমরা মিছিলে বাধ দিয়েছি। তা না হলে দু পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ লেগে যেতো।
বেলা সাড়ে ১০টার দিকে নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও কেন্দ্রিয় বিএনপি নেতা গোলাম আকবর খোন্দকার ইপিজেড এলাকায় সমাবেশে বক্তব্য দেন। এর আগে তারা মিছিল করার চেষ্টা করলে বন্দর থানা ওসি জাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে বন্দর পুলিশ বাহিনী, সাদা পোষাকদ্বারী আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, র্যাব সহ অন্যান্য বাহিনীর বাধা দেয়। তারা রাস্তার মোড়ে আইল্যান্ডের উপর দাড়িয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
এই সময় তিনি বলেন, সরকার রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকারে বারবার বাধা প্রদান করে বিশৃংঙ্খলা সৃষ্ঠি করার জন্য কিছু সংখ্যক আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় আনুগত্য রেখে বিরোধীদলকে দমন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। সময় মত এর তীব্র জবাব এই দেশের জনগন ফ্যাসীবাদী, বাকশালী ও সন্ত্রাস প্রবন আঃলীগ সরকারকে বুঝিয়ে দেবে। যথবেশী বাধা দিবেন ততবেশী আন্দোলন জোরদার হবে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন নগর সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার, বন্দর থানা বিএনপি সভাপতি এম. এ. আজিজ, মহিলা নেত্রী জেসমিন খানম, শাহেদা খানম, হাজী হানিফ সওদাগর, নুরু জাম্মান, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, কামাল উদ্দীন, যুব দল নেতা নাজিম উদ্দীন, জাবেদ আনসারী, মোঃ আব্বাস, কামুরুল, জুনু, মুন্না, ফোরখান, বন্দর থানা জাসাস নেতা আবুল কালাম, রুবেল, ছাত্রদল নেতা মুনতাছীর কাদের পাপেল, মোঃ আজম, মিঠু, রিয়াদ, সোহেল, রাসেদ প্রমুখ।
সমাবেশ শেষ করে খসরু ও গোলাম আকবর একটি এম্ব্যুলেন্সে চড়ে ইপিজেড থেকে নাসিমন ভবনের সামনে আসেন বেলা সাড়ে ১১টায়। এদিকে বেলা ১২টার দিকে নগরীর মুরাদপুর এলাকায় বিকট শব্দে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে, সকাল ৮টার দিকে নগরীর মোমিন রোডে ঝটিকা মিছিল বের করে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। এ সময় সেখান থেকে পরপর দুইটি ককটেল ছোঁড়া হয়। তাদের ছোঁড়া ককটেলে অপর্ণা চরণ সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী অন্তু বড়ুয়া আহত হন।তিনি চোখে আঘাত পান। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি ২০নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
হরতাল চলাকালে বায়েজিদ বিএনপির একটি মিছিলে পুলিশের নেতৃত্বে হামলা চালিয়েছে আওয়ামীলীগ যুবলীগের সন্ত্রাসীরা। এঘটনায় স্বোচ্চাসেবক দল নেতা সৈয়দ আজমসহ অন্তত ৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। বলা সাড়ে ১১টার দিকে অক্সিজেন এলাকার ওয়াপদা গেইটের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজন হলেন, বায়েজিদ থানা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম আবুল ফয়েজ, বিএনপি নেতা নূরুনন্বী মিলন, আরিচ এলাহী, আব্দুর রাজ্জাক।
আহত বিএনপি নেতা নূরুন্নবী মিলন জানান, অক্সিজেন মোড়ে আমরা সমাবেশ শেষ করে মিছিল নিয়ে বালুচরা দিকে চলে যাওয়র সময় আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী লেদু ও লোকমান বাহিনীর সন্ত্রাসীরা প্রথমে মিছিলের পিছন থেকে লাঠি সোটা ও লোহার রড় নিয়ে হামলা চালায়। ঘটনার আগ থেকে সেখানে উপস্থিত থাকা বায়েজিদ থানার ওসি সায়কুল ইসলাম, দারোগা আতিকের নেতৃত্বে পুলিশ দল নীরব দাড়িয়ে থাকে।
পরে আমরা তাদের প্রতিরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ এবং আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা পূণরায় আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে ৮/১০ নেতাকর্মী আহত হয়।
এব্যাপারে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি সায়কুল ইসলাম জানান, অক্সিজেন এলাকায় কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি। আমি এব্যাপারে জানিনা। আপনার উপস্থিতিতে হামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।
হরতাল শুরুর পর ভোর থেকেই নগরীর কাজীর দেউড়ি, নাসিমন ভবনের আশপাশের এলাকা, এনায়েত বাজার, বহদ্দারহাট, রাহাত্তারপুল, বন্দর ভবনের সামনের এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় হরতালের সমর্থনে মিছিল-সমাবেশের খবর পাওয়া গেছে। এসব কর্মসূচীতে নগর বিএনপির সভাপতি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ডা.শাহাদাৎ হোসেন নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
হরতালের দ্বিতীয় দিনেও নাশকতা মোকাবেলায় কঠোর অবস্থানে আছে পুলিশ। নগরীর অর্ধশতাধিক গুরুত্বপূর্ণ পয়েণ্টে এক হাজার ৭৬০ জন অতিরিক্ত পুলিশ ও দেড় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন আছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (বিশেষ শাখা) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের অতিরিক্ত ফোর্সের পাশাপাশি বিজিবিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে। আশা করছি হরতালকারীরা বড় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারবে না।’
বেলা পৌনে ১১টার দিকে নিমতলা এলাকা থেকে যুবদল ছাত্রদলের একটি মিছিল ইপিজেডে’র সমাবেশের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় পুলিশ বাধা দেয়। এসময় পুলিশের বাধা ডিঙ্গিয়ে মিছিল করতে চাইলে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাকা গুলি চালায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৩ জনকে আটক করলেও পরে ২ জনকে ছেড়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদশী আলাউদ্দিন খোকন জানান,নিমতলা বিএসসি ভবনের সামনে বিএনপির লোকজন মিছিল করার জন্য জড়ো হলে এস আই ফারুকের নেতুত্বে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে বন্দরের ৪ নং গেইটের ভীতর ডুকিয়ে দেয়। একই সময় ফকির হাট এলাকা থেকে যুবলীগ আওয়ামীলীগের লাঠিসোটা হকিস্টিক মিছিল বের করে। মিছিলটি নীমতলা দিয়ে যাওয়ার সময় গুলির শব্দ শুনা যায়।
বন্দর থানার এস আই ফারুক জানান, হরতাল বিরোধী এবং হরতালকারীদের দুটি মিছিল বের করলে সংর্ঘষের আশংকায় আমরা মিছিলে বাধ দিয়েছি। তা না হলে দু পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ লেগে যেতো।
বেলা সাড়ে ১০টার দিকে নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও কেন্দ্রিয় বিএনপি নেতা গোলাম আকবর খোন্দকার ইপিজেড এলাকায় সমাবেশে বক্তব্য দেন। এর আগে তারা মিছিল করার চেষ্টা করলে বন্দর থানা ওসি জাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে বন্দর পুলিশ বাহিনী, সাদা পোষাকদ্বারী আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, র্যাব সহ অন্যান্য বাহিনীর বাধা দেয়। তারা রাস্তার মোড়ে আইল্যান্ডের উপর দাড়িয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
এই সময় তিনি বলেন, সরকার রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকারে বারবার বাধা প্রদান করে বিশৃংঙ্খলা সৃষ্ঠি করার জন্য কিছু সংখ্যক আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় আনুগত্য রেখে বিরোধীদলকে দমন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। সময় মত এর তীব্র জবাব এই দেশের জনগন ফ্যাসীবাদী, বাকশালী ও সন্ত্রাস প্রবন আঃলীগ সরকারকে বুঝিয়ে দেবে। যথবেশী বাধা দিবেন ততবেশী আন্দোলন জোরদার হবে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন নগর সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার, বন্দর থানা বিএনপি সভাপতি এম. এ. আজিজ, মহিলা নেত্রী জেসমিন খানম, শাহেদা খানম, হাজী হানিফ সওদাগর, নুরু জাম্মান, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, কামাল উদ্দীন, যুব দল নেতা নাজিম উদ্দীন, জাবেদ আনসারী, মোঃ আব্বাস, কামুরুল, জুনু, মুন্না, ফোরখান, বন্দর থানা জাসাস নেতা আবুল কালাম, রুবেল, ছাত্রদল নেতা মুনতাছীর কাদের পাপেল, মোঃ আজম, মিঠু, রিয়াদ, সোহেল, রাসেদ প্রমুখ।
সমাবেশ শেষ করে খসরু ও গোলাম আকবর একটি এম্ব্যুলেন্সে চড়ে ইপিজেড থেকে নাসিমন ভবনের সামনে আসেন বেলা সাড়ে ১১টায়। এদিকে বেলা ১২টার দিকে নগরীর মুরাদপুর এলাকায় বিকট শব্দে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে, সকাল ৮টার দিকে নগরীর মোমিন রোডে ঝটিকা মিছিল বের করে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। এ সময় সেখান থেকে পরপর দুইটি ককটেল ছোঁড়া হয়। তাদের ছোঁড়া ককটেলে অপর্ণা চরণ সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী অন্তু বড়ুয়া আহত হন।তিনি চোখে আঘাত পান। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি ২০নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
হরতাল চলাকালে বায়েজিদ বিএনপির একটি মিছিলে পুলিশের নেতৃত্বে হামলা চালিয়েছে আওয়ামীলীগ যুবলীগের সন্ত্রাসীরা। এঘটনায় স্বোচ্চাসেবক দল নেতা সৈয়দ আজমসহ অন্তত ৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। বলা সাড়ে ১১টার দিকে অক্সিজেন এলাকার ওয়াপদা গেইটের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজন হলেন, বায়েজিদ থানা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম আবুল ফয়েজ, বিএনপি নেতা নূরুনন্বী মিলন, আরিচ এলাহী, আব্দুর রাজ্জাক।
আহত বিএনপি নেতা নূরুন্নবী মিলন জানান, অক্সিজেন মোড়ে আমরা সমাবেশ শেষ করে মিছিল নিয়ে বালুচরা দিকে চলে যাওয়র সময় আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী লেদু ও লোকমান বাহিনীর সন্ত্রাসীরা প্রথমে মিছিলের পিছন থেকে লাঠি সোটা ও লোহার রড় নিয়ে হামলা চালায়। ঘটনার আগ থেকে সেখানে উপস্থিত থাকা বায়েজিদ থানার ওসি সায়কুল ইসলাম, দারোগা আতিকের নেতৃত্বে পুলিশ দল নীরব দাড়িয়ে থাকে।
পরে আমরা তাদের প্রতিরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ এবং আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা পূণরায় আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে ৮/১০ নেতাকর্মী আহত হয়।
এব্যাপারে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি সায়কুল ইসলাম জানান, অক্সিজেন এলাকায় কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি। আমি এব্যাপারে জানিনা। আপনার উপস্থিতিতে হামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।
হরতাল শুরুর পর ভোর থেকেই নগরীর কাজীর দেউড়ি, নাসিমন ভবনের আশপাশের এলাকা, এনায়েত বাজার, বহদ্দারহাট, রাহাত্তারপুল, বন্দর ভবনের সামনের এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় হরতালের সমর্থনে মিছিল-সমাবেশের খবর পাওয়া গেছে। এসব কর্মসূচীতে নগর বিএনপির সভাপতি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ডা.শাহাদাৎ হোসেন নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
হরতালের দ্বিতীয় দিনেও নাশকতা মোকাবেলায় কঠোর অবস্থানে আছে পুলিশ। নগরীর অর্ধশতাধিক গুরুত্বপূর্ণ পয়েণ্টে এক হাজার ৭৬০ জন অতিরিক্ত পুলিশ ও দেড় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন আছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (বিশেষ শাখা) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের অতিরিক্ত ফোর্সের পাশাপাশি বিজিবিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে। আশা করছি হরতালকারীরা বড় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারবে না।’
No comments