‘মানসিক রোগী’ সাজিয়ে সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা!
তালাক দেওয়া লন্ডনি স্ত্রী ও তার ছেলের
ষড়যন্ত্রে ‘মানসিক রোগী’ হিসেবে দীর্ঘ এক মাস ধরে আটকে ছিলেন
সুস্থ-স্বাভাবিক আব্দুল মালিক। ৬০ বছরের অসহায় বৃদ্ধ মালিককে অবশেষে উদ্ধার
করে তার বর্তমান স্ত্রীসহ আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
এভাবে
আটকে রেখে তার আগের স্ত্রী ও ছেলে তার সম্পদ দখল করে আত্মসাতের অপচেষ্টা
চালাচ্ছিলেন বলে মালিকের অভিযোগ। অন্যদিকে তাকে আটকে রাখা শাহজালাল মানসিক
স্বাস্থ্য ও গবেষণা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এ ধরনের অনৈতিক কাজের মাধ্যমে
আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার জলডুপ কিছমত এলাকার লন্ডন ফেরত আব্দুল মালিককে (৬০) ‘মানসিক রোগী’ সাজিয়ে আটক করে রাখা হয়েছিল নগরীর শাহজালাল মানসিক স্বাস্থ্য ও গবেষণা কেন্দ্রে। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার আব্দুল মালিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে তার আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে গবেষণা কেন্দ্রটি ভিকটিম মানসিক রোগী ছিলেন বলে দাবি করছে।
টাকার লোভে শাহজালাল মানসিক স্বাস্থ্য ও গবেষণা কেন্দ্রে এর আগেও অনেক মানুষকে ‘মানসিক রোগী’ বানিয়ে আটক রাখার চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গেছে। আর এ ব্যবসা করেই অবৈধ উপায়ে মানসিক হাসপাতালটি আয় করছে লাখ লাখ টাকা।
মামলা বিবরণে জানা গেছে, আব্দুল মালিক গত ৬ মাস আগে লন্ডনে তার স্ত্রী শিরু বেগমকে তালাক দিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। দেশে আসার পর আত্মীয়-স্বজনরা তার মতামতের ভিত্তিতে শেলী বেগম নামে আরেকজনের সঙ্গে তার বিয়ে দেন।
এ খবর লন্ডনে তার সাবেক স্ত্রী শিরু বেগম ও ছেলে শাহীন জানার পর দেশে এসে আব্দুল মালিককে কৌশলে সিলেটে এনে আখালিয়ার শাহজালাল মানসিক স্বাস্থ্য ও গবেষণা কেন্দ্রে ভর্তি করিয়ে দেন।
আব্দুল মালিকের আত্মীয়-স্বজন পরে খোঁজাখুজি করে জানতে পারেন, তিনি আখালিয়ার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাকে আনতে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বর্তমান স্ত্রী শেলী বেগমের কাছে ফেরত দেননি মালিককে।
এ ব্যাপারে গত ১৮ মার্চ শেলী বেগম সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক কোতোয়ালি থানার ওসিকে বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশে দেন। এর প্রেক্ষিতে কোতোয়ালি থানার এসআই জামাল উদ্দিন বিষয়টি তদন্ত করে জেলা প্রশাসনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
জেলা প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবুল হাসানকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠান। পরে বাদী শেলী বেগমের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে সিলেটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালত কোতোয়ালি থানা পুলিশকে আব্দুল মালিককে উদ্ধার করে আদালতে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার ওই গবেষণা কেন্দ্র থেকে আব্দুল মালিককে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে তার আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শেলী বেগমের দায়ের করা মামলায় শাহজালাল মানসিক স্বাস্থ্য ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ডা. এ কে নিজাম উদ্দিন হাসানকে আসামি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, তার স্বামী একজন সুস্থ ও স্বাভাবিক হওয়া স্বত্ত্বেও অবৈধভাবে আর্থিক লাভবান হওয়ার জন্য গবেষণা কেন্দ্রে তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে আটক রাখা হয়েছে দীর্ঘ এক মাস ধরে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শাহজালাল মানসিক স্বাস্থ্য ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ডা. এ কে নিজাম উদ্দিন বলেন, আব্দুল মালিক মানসিক রোগী ছিলেন। এখন মোটামুটি সুস্থ। তার ছেলে তাকে ভর্তি করে দিয়ে লন্ডন চলে যান। লন্ডন থেকেই তার চিকিৎসা বাবদ খরচ হাসপাতালের কাছে আসতো।
তিনি জানান, প্রকৃত অভিভাবক না আসায় তাকে দেওয়া হয়নি। আদালতের নির্দেশে কোতোয়ালি থানা পুলিশ নিতে আসলে তাকে দেওয়া হয়।
যোগাযোগ করা হলে কোতয়ালী থানা পুলিশের ওসি আতাউর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে থানার একজন এসআই ঘটনাটির প্রাথমিক তদন্ত করে জমা দেন। তদন্তে ভিকটিমকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক দেখা গেছে। কৌশলে তাকে তার লন্ডনের সাবেক স্ত্রী ও পরিবার সেখানে ভর্তি করে আবার লন্ডনে চলে যায়।
মানুসিক হাসপাতালটি টাকা লাভের আশায় তাকে মানুসিক রোগী বানিয়ে হাসপাতালে একটি কেবিনে বন্দি রেখেছিলো।
এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন তৈরী করেন কোতায়ালী থানার এসআই জামাল উদ্দিন। প্রতিবেদনে তিনি বলেন, মানসিক হাসপাতালে আব্দুল মালিকের সঙ্গে কথা বলে তাকে মানুসিক অসুস্থ বলে মনে হয়নি। এছাড়া তার আত্মীয়-স্বজন, হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপে তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ বলে মনে হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ইচ্ছাকৃত ভাবে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রেখেছেন।
জানা গেছে, সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার জলডুপ কিছমত এলাকার লন্ডন ফেরত আব্দুল মালিককে (৬০) ‘মানসিক রোগী’ সাজিয়ে আটক করে রাখা হয়েছিল নগরীর শাহজালাল মানসিক স্বাস্থ্য ও গবেষণা কেন্দ্রে। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার আব্দুল মালিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে তার আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে গবেষণা কেন্দ্রটি ভিকটিম মানসিক রোগী ছিলেন বলে দাবি করছে।
টাকার লোভে শাহজালাল মানসিক স্বাস্থ্য ও গবেষণা কেন্দ্রে এর আগেও অনেক মানুষকে ‘মানসিক রোগী’ বানিয়ে আটক রাখার চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গেছে। আর এ ব্যবসা করেই অবৈধ উপায়ে মানসিক হাসপাতালটি আয় করছে লাখ লাখ টাকা।
মামলা বিবরণে জানা গেছে, আব্দুল মালিক গত ৬ মাস আগে লন্ডনে তার স্ত্রী শিরু বেগমকে তালাক দিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। দেশে আসার পর আত্মীয়-স্বজনরা তার মতামতের ভিত্তিতে শেলী বেগম নামে আরেকজনের সঙ্গে তার বিয়ে দেন।
এ খবর লন্ডনে তার সাবেক স্ত্রী শিরু বেগম ও ছেলে শাহীন জানার পর দেশে এসে আব্দুল মালিককে কৌশলে সিলেটে এনে আখালিয়ার শাহজালাল মানসিক স্বাস্থ্য ও গবেষণা কেন্দ্রে ভর্তি করিয়ে দেন।
আব্দুল মালিকের আত্মীয়-স্বজন পরে খোঁজাখুজি করে জানতে পারেন, তিনি আখালিয়ার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাকে আনতে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বর্তমান স্ত্রী শেলী বেগমের কাছে ফেরত দেননি মালিককে।
এ ব্যাপারে গত ১৮ মার্চ শেলী বেগম সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক কোতোয়ালি থানার ওসিকে বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশে দেন। এর প্রেক্ষিতে কোতোয়ালি থানার এসআই জামাল উদ্দিন বিষয়টি তদন্ত করে জেলা প্রশাসনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
জেলা প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবুল হাসানকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠান। পরে বাদী শেলী বেগমের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে সিলেটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালত কোতোয়ালি থানা পুলিশকে আব্দুল মালিককে উদ্ধার করে আদালতে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার ওই গবেষণা কেন্দ্র থেকে আব্দুল মালিককে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে তার আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শেলী বেগমের দায়ের করা মামলায় শাহজালাল মানসিক স্বাস্থ্য ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ডা. এ কে নিজাম উদ্দিন হাসানকে আসামি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, তার স্বামী একজন সুস্থ ও স্বাভাবিক হওয়া স্বত্ত্বেও অবৈধভাবে আর্থিক লাভবান হওয়ার জন্য গবেষণা কেন্দ্রে তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে আটক রাখা হয়েছে দীর্ঘ এক মাস ধরে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শাহজালাল মানসিক স্বাস্থ্য ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ডা. এ কে নিজাম উদ্দিন বলেন, আব্দুল মালিক মানসিক রোগী ছিলেন। এখন মোটামুটি সুস্থ। তার ছেলে তাকে ভর্তি করে দিয়ে লন্ডন চলে যান। লন্ডন থেকেই তার চিকিৎসা বাবদ খরচ হাসপাতালের কাছে আসতো।
তিনি জানান, প্রকৃত অভিভাবক না আসায় তাকে দেওয়া হয়নি। আদালতের নির্দেশে কোতোয়ালি থানা পুলিশ নিতে আসলে তাকে দেওয়া হয়।
যোগাযোগ করা হলে কোতয়ালী থানা পুলিশের ওসি আতাউর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে থানার একজন এসআই ঘটনাটির প্রাথমিক তদন্ত করে জমা দেন। তদন্তে ভিকটিমকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক দেখা গেছে। কৌশলে তাকে তার লন্ডনের সাবেক স্ত্রী ও পরিবার সেখানে ভর্তি করে আবার লন্ডনে চলে যায়।
মানুসিক হাসপাতালটি টাকা লাভের আশায় তাকে মানুসিক রোগী বানিয়ে হাসপাতালে একটি কেবিনে বন্দি রেখেছিলো।
এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন তৈরী করেন কোতায়ালী থানার এসআই জামাল উদ্দিন। প্রতিবেদনে তিনি বলেন, মানসিক হাসপাতালে আব্দুল মালিকের সঙ্গে কথা বলে তাকে মানুসিক অসুস্থ বলে মনে হয়নি। এছাড়া তার আত্মীয়-স্বজন, হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপে তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ বলে মনে হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ইচ্ছাকৃত ভাবে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রেখেছেন।
No comments