বাংলালায়নে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা
বাংলালায়ন ওয়ারল্যাস ইন্টারনেট প্রযুক্তি
ব্যবহার করে চলছে অবৈধ ভয়েস ওভার ইন্টারন্টে প্রটোকল (ভিওআইপি) গ্রে
ব্যবসা। বাংলানিউজের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভয়েস ব্যান্ডউইথ এর মূল্য কম বলে
তারবিহীন ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ব্যবসায়ীরা।
একসঙ্গে
একইসময়ে অনেক ভয়েস প্যাকেট আপলোড ও ডাউনলোড করার ব্যাপারটি জানলেও সে
বিষয়ে কোন সচেতনতা নেই বলে অভিযোগ রয়েছে বাংলালায়ন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ
ব্যাপারে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (বিটিআরসি) সতর্কতাও
মানছে না বাংলালায়ন।
একজন
ভিওআইপি ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে জানান, সাধারণত যেসব ব্যবসায়ী লাইসেন্স নিয়ে
ব্যবসায় নামেন, তাদের অনেক বিনিয়োগ থাকে। তারা ইন্টারনেট সার্ভিস
প্রোভাইডারকে (আইএসপি) মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেন। তবে অবৈধ ব্যবসায়ীরা
লুকিয়ে ভিওআইপি ব্যবসা চালানোর জন্যেই ব্যবহার করছেন বাংলালায়ন। তার না
থাকাতে শুধুমাত্র ল্যাপটপ আর কয়েকটি মডেম নিয়েই চালানো যায় এ ব্যবসা। ফলে
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ধরা খাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে না।
এই ব্যবসায়ী জানান, একসময় ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ছিল হাতেগোনা কয়েকটি। যেমন, জেআইপি, অগ্নি, ভি-সেট ইত্যাদি। এসব সংযোগ তারের (ক্যাবল) মাধ্যমে নিতে হতো। ক্যাবল সংযোগ নেওয়ার সময় গ্রাহককে জানাতে হতো ব্যবসার জন্যে এ সংযোগ ব্যবহার করা হবে নাকি বাড়িতে ব্যক্তিগত কাজে। এসময় গ্রাহক সংযোগ কম থাকায় বিটিআরসির পক্ষেও পুরো ব্যাপারটি মনিটর করাও সহজ ছিল।
তিনি জানান, তারবিহীন ওয়ারল্যাস ইন্টারনেট সহজলভ্য হয়ে উঠলে ইন্টারনেটের গ্রাহক সংখ্যাও বেড়ে যায় দ্রুত। কিন্তু এ বিপুলসংখ্যক গ্রাহককে মনিটর করতে সরকারের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির অভাব রয়েছে। এই সুযোগে ওয়ারল্যাস ইন্টারনেট-এর সুবিধা নিয়ে ছোট পরিসরেই চলছে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা। ক্যাবল না থাকাতে বাংলালায়ন মডেম বহন করা সুবিধাজনক।
অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীদের বাংলালায়ন বেছে নেওয়ার কারণ সম্পর্কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইনফরমেশন টেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ার বাংলানিউজকে জানান, এ কোম্পানির ভয়েস ব্যান্ডউইথ-এর দাম অনেক কম। অপটিক্যাল ফাইবার আইএসপি-র তুলনায় এই খরচ চার ভাগের একভাগ।
তিনি বলেন, ভি-সেটের এক মেগাবাইট কিনতে ভিওআইপি ব্যবসায়ীদের খরচ পড়ত দুই লাখ টাকার ওপর। সেখানে কিউবি ও বাংলালায়ন-এর খরচ পড়ছে ৫০ হাজার টাকারও নিচে।
তিনি জানান, সম্প্রতি ইন্টারনেটের ব্যাপ্তি হয়েছে সব ক্ষেত্রে, কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায় এবং বাংলালায়নের এসব প্রতিরোধের প্রযুক্তি না থাকায় পার পেয়ে যাচ্ছে ভিওআইপি ব্যবসায়ীরা। এসব ক্ষেত্রে বাংলালায়নের উর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তাও জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ওয়াইম্যাক্স কোম্পানিগুলোর ব্যবহৃত লাইন পুরোপুরি ডুপ্লেক্স এবং ডেডিকেটেড নয়। সে কারণে আপলোড ও ডাউনলোডের স্প্রিড ৬ ভাগের এক ভাগ থাকে। কিন্তু গ্রে ব্যবসার প্রযুক্তি এতো উন্নতমানের যে কম স্পিড দিয়েও ব্যবসা করা যায়।
এই ইঞ্জিনিয়ার জানান, আইএসপি-র ফুল ডুপ্লেক্স এক মেগাবাইট লাইনে আপলোড ও ডাউনলোড স্পিড থাকে এক মেগাবাইট। কিন্তু ওয়াইম্যাক্স কোম্পানিগুলোতে এক মেগাবাইট লাইন ডাউনলোড স্পিড এক এমবিপিএস, (প্রতিসেকেন্ডে এক মেগাবাইট) কিন্তু আপলোড স্পিড থাকে ১২৮ কেবিপিএস (প্রতি সেকেন্ডে ১২৮ কিলোবাইট)। এই ১২৮ কেবিপিএস-র মধ্যে ভয়েস প্যাকেট ভেঙে কমপ্রেস করে ছোট ফাইল হিসেবে পাঠানো হয়। যেটা অপর পাশে পৌঁছে প্যাকেটগুলোকে আবার কম্পাইল (গুছিয়ে) করে নেয়। এভাবেই ১২৮ কেবিপিএস আপলোড দিয়ে ব্যবসা করা হয়।
উদাহরণ হিসেবে এস্টিরিক্স প্রোটোকলের কথা উল্লেখ করেন তিনি। জানান, এই প্রটোকলের মাধ্যমে ছোট প্যাকেটে ভয়েস পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে বাংলালায়ন সবকিছু জেনেও কিছু করতে পারছে না বরং সুযোগ করে দিচ্ছে গ্রে ব্যবসার। তারবিহীন ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে লাইসেন্সবিহীন এসব ভয়েস কলের ফলে বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। বাংলালায়নের সহযোগিতায় গত পাঁচ বছরে এই গ্রে কয়েকগুণ বেড়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, এই পদ্ধতিতে গ্রাহকের ব্যবহৃত লাইন থেকে ভয়েস পাঠানোর ব্যাপারটি ধরতে পারে ওয়াইম্যাক্স কোম্পানি। কিন্তু সব জেনেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বাংলালায়ন। এছাড়া প্রতিরোধ করার প্রযুক্তি বাংলায়নের হাতেও নেই। তবে বিটিআরসি এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার বাংলালায়নকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে বললেও কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দেওয়ার অভিযোগের ব্যাপারে বাংলালায়নের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার (সিটিও) রায়ান গ্যাটলিনের সঙ্গে তিনদিন ধরে যোগাযোগের চেষ্টা হয়, তাকে পাওয়া যায়নি।
গ্যাটলিনের সঙ্গে দেখা করার জন্যে গুলশানের সিলভার টাওয়ারে বাংলালায়নের অফিসে দু’ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করেও সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। ফোনে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করলেও গ্যাটলিনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বাংলালায়নের সার্ভিস সেন্টারে ফোন দিয়ে এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে বলা হয়, “একমাত্র সিটিও ছাড়া কারও এ ব্যাপারে কথা বলার অধিকার নেই।”
এ ব্যাপারে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান সুনিল কান্তি বোস এর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্যে বুধবার ফোনে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এই ব্যবসায়ী জানান, একসময় ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ছিল হাতেগোনা কয়েকটি। যেমন, জেআইপি, অগ্নি, ভি-সেট ইত্যাদি। এসব সংযোগ তারের (ক্যাবল) মাধ্যমে নিতে হতো। ক্যাবল সংযোগ নেওয়ার সময় গ্রাহককে জানাতে হতো ব্যবসার জন্যে এ সংযোগ ব্যবহার করা হবে নাকি বাড়িতে ব্যক্তিগত কাজে। এসময় গ্রাহক সংযোগ কম থাকায় বিটিআরসির পক্ষেও পুরো ব্যাপারটি মনিটর করাও সহজ ছিল।
তিনি জানান, তারবিহীন ওয়ারল্যাস ইন্টারনেট সহজলভ্য হয়ে উঠলে ইন্টারনেটের গ্রাহক সংখ্যাও বেড়ে যায় দ্রুত। কিন্তু এ বিপুলসংখ্যক গ্রাহককে মনিটর করতে সরকারের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির অভাব রয়েছে। এই সুযোগে ওয়ারল্যাস ইন্টারনেট-এর সুবিধা নিয়ে ছোট পরিসরেই চলছে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা। ক্যাবল না থাকাতে বাংলালায়ন মডেম বহন করা সুবিধাজনক।
অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীদের বাংলালায়ন বেছে নেওয়ার কারণ সম্পর্কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইনফরমেশন টেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ার বাংলানিউজকে জানান, এ কোম্পানির ভয়েস ব্যান্ডউইথ-এর দাম অনেক কম। অপটিক্যাল ফাইবার আইএসপি-র তুলনায় এই খরচ চার ভাগের একভাগ।
তিনি বলেন, ভি-সেটের এক মেগাবাইট কিনতে ভিওআইপি ব্যবসায়ীদের খরচ পড়ত দুই লাখ টাকার ওপর। সেখানে কিউবি ও বাংলালায়ন-এর খরচ পড়ছে ৫০ হাজার টাকারও নিচে।
তিনি জানান, সম্প্রতি ইন্টারনেটের ব্যাপ্তি হয়েছে সব ক্ষেত্রে, কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায় এবং বাংলালায়নের এসব প্রতিরোধের প্রযুক্তি না থাকায় পার পেয়ে যাচ্ছে ভিওআইপি ব্যবসায়ীরা। এসব ক্ষেত্রে বাংলালায়নের উর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তাও জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ওয়াইম্যাক্স কোম্পানিগুলোর ব্যবহৃত লাইন পুরোপুরি ডুপ্লেক্স এবং ডেডিকেটেড নয়। সে কারণে আপলোড ও ডাউনলোডের স্প্রিড ৬ ভাগের এক ভাগ থাকে। কিন্তু গ্রে ব্যবসার প্রযুক্তি এতো উন্নতমানের যে কম স্পিড দিয়েও ব্যবসা করা যায়।
এই ইঞ্জিনিয়ার জানান, আইএসপি-র ফুল ডুপ্লেক্স এক মেগাবাইট লাইনে আপলোড ও ডাউনলোড স্পিড থাকে এক মেগাবাইট। কিন্তু ওয়াইম্যাক্স কোম্পানিগুলোতে এক মেগাবাইট লাইন ডাউনলোড স্পিড এক এমবিপিএস, (প্রতিসেকেন্ডে এক মেগাবাইট) কিন্তু আপলোড স্পিড থাকে ১২৮ কেবিপিএস (প্রতি সেকেন্ডে ১২৮ কিলোবাইট)। এই ১২৮ কেবিপিএস-র মধ্যে ভয়েস প্যাকেট ভেঙে কমপ্রেস করে ছোট ফাইল হিসেবে পাঠানো হয়। যেটা অপর পাশে পৌঁছে প্যাকেটগুলোকে আবার কম্পাইল (গুছিয়ে) করে নেয়। এভাবেই ১২৮ কেবিপিএস আপলোড দিয়ে ব্যবসা করা হয়।
উদাহরণ হিসেবে এস্টিরিক্স প্রোটোকলের কথা উল্লেখ করেন তিনি। জানান, এই প্রটোকলের মাধ্যমে ছোট প্যাকেটে ভয়েস পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে বাংলালায়ন সবকিছু জেনেও কিছু করতে পারছে না বরং সুযোগ করে দিচ্ছে গ্রে ব্যবসার। তারবিহীন ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে লাইসেন্সবিহীন এসব ভয়েস কলের ফলে বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। বাংলালায়নের সহযোগিতায় গত পাঁচ বছরে এই গ্রে কয়েকগুণ বেড়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, এই পদ্ধতিতে গ্রাহকের ব্যবহৃত লাইন থেকে ভয়েস পাঠানোর ব্যাপারটি ধরতে পারে ওয়াইম্যাক্স কোম্পানি। কিন্তু সব জেনেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বাংলালায়ন। এছাড়া প্রতিরোধ করার প্রযুক্তি বাংলায়নের হাতেও নেই। তবে বিটিআরসি এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার বাংলালায়নকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে বললেও কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দেওয়ার অভিযোগের ব্যাপারে বাংলালায়নের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার (সিটিও) রায়ান গ্যাটলিনের সঙ্গে তিনদিন ধরে যোগাযোগের চেষ্টা হয়, তাকে পাওয়া যায়নি।
গ্যাটলিনের সঙ্গে দেখা করার জন্যে গুলশানের সিলভার টাওয়ারে বাংলালায়নের অফিসে দু’ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করেও সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। ফোনে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করলেও গ্যাটলিনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বাংলালায়নের সার্ভিস সেন্টারে ফোন দিয়ে এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে বলা হয়, “একমাত্র সিটিও ছাড়া কারও এ ব্যাপারে কথা বলার অধিকার নেই।”
এ ব্যাপারে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান সুনিল কান্তি বোস এর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্যে বুধবার ফোনে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
No comments