নীলফামারীতে দিনদিন কমছে সোনালী আঁশের আবাদ by নুর আলম
এক সময় পাট সোনালী আঁশ হিসেবে বিবেচিত হলেও দিনদিন অর্থকরী এ ফসল চাষাবাদে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন নীলফামারীর কৃষকরা। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, ভালো দাম না পাওয়া, পাট জাগ দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি ও জলাশয়ের সল্পতাসহ বিভিন্ন কারণে সোনালী আঁশ পাট চাষে আর আস্থা পাচ্ছেননা তারা।
গতবছর নীলফামারী জেলায় ১৩৩১৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হলেও এবার হয়েছে ১২১৮৫ হেক্টর জমিতে। গত এক বছরে জেলায় পাট চাষ কমেছে ১১৩০ হেক্টর জমির। এর মধ্যে এ বছর নীলফামারী সদরে ৪০৭০ হেক্টর জমিতে, সৈয়দপুরে ৮২৫, ডোমারে ১৯৫০, ডিমলায় ২০০৫, জলঢাকায় ২০৩০ ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ১৩০৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী পাট চাষ কমে যাওয়া ভাল লক্ষণ হিসেবে দেখছেন না খোদ কৃষি বিভাগ সংশ্লিষ্টরাই।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নীলফামারী অফিস সূত্র জানায়, জেলার ৬ উপজেলায় এবার ১২১৮৫ হেক্টর জমিতে দেশি ও তোষা মিলে পাট উৎপাদিত হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৬৬৬ বেল। অন্যদিকে, গত মৌসুমে উৎপাদিত হয় ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬৪২ বেল পাট।
গত কয়েকদিন নীলফামারীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি জাতের পাট মণপ্রতি ৮৫০ টাকায় এবং তোষা জাতের পাট মণপ্রতি ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে, বিঘা প্রতি পাট উৎপাদনে খরচ হয়েছে ২৫০০-৩০০০ টাকা।
বিষয়টি উদ্বেগজনক উল্লেখ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নীলফামারীর শস্য বিশেষজ্ঞ মকবুল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ভালো বাজার দর না থাকায় মূলত পাট চাষ কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে, ভুট্টা চাষ ভালজনক হওয়ায় পাটের বদলে কৃষকরা ভুট্টা চাষের প্রতি ঝুঁকছেন।
নীলফামারী সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের মোক্তার হোসেন, রশিদুল ইসলাম, পৌর এলাকার হুলু চন্দ্র রায়সহ বেশ কয়েকজন প্রান্তিক চাষি জানান, উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ার পাশাপাশি পাট জাগ দেওয়ার (পঁচানো) জায়গা এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে পাট নিয়ে বিপাকে পড়ছেন তারা।
অন্যদিকে, ডিমলা সদর ইউনিয়নের কৃষক ওয়ারেছ আলী, খালিশা চাপানী ইউনিয়নের আলতাফ হোসেন জলঢাকা পৌর এলাকার আবেদ আলী, কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাওসুল আযম অভিযোগ করে বলেন, পাট বীজ উন্নত মানের না হওয়ায় উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নীলফামারী সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাকিব আবেদীন হিরু বলেন, ‘‘পাট চাষে উৎসাহ বাড়াতে আমরা তৃণমূল পর্যায়ে কৃষকদের মাঝে উৎসাহ সৃষ্টি করছি। এছাড়াও পাট চাষে সম্পূরক কোনো সেচ দিতে হচ্ছে না এমন প্রচারণাও বাড়ানো হচ্ছে।’’
পাট জাগ দেওয়ার সমস্যার ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কমকর্তা মহসিন রেজা রুপম বলেন, আধুনিক পদ্ধতিতে পাট চাষের ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। পাট কাঠি থেকে পাটের আঁশ ছাড়াতে এখন রিবণ পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে আঁশ ছাড়ালে পাটের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং পাটের দাম তুলনামূলক বেশি পাওয়া যায়।
এদিকে, পাটের দাম কম হওয়ায় পাট ব্যবসার হাল ছাড়ছেন নীলফামারীর পলাশবাড়ি ইউনিয়নের পাট ব্যবসায়ী শ্যামল চন্দ্র রায়। গতবছর তিনি ১৫০০ মণ পাট কিনলেও এবার কিনেছেন ৩০০ মণ। লাভ না থাকায় তিনি পাট ব্যবসা এবার ছেড়ে দিবেন বলে জানান। একই কারণে পাট ব্যবসা ছেড়ে অন্য ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন মিলন চন্দ্র রায়, মঞ্জুর উল আলমসহ অনেকেই।
পাটের দাম কম থাকার কথা স্বীকার করে নীলফামারী পাট কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার বলেন, মূলত পাট পঁচানোর জায়গা না থাকা ও উন্নতমানের বীজ ব্যবহার না করায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পাট অধিদপ্তর কৃষকদের ইন্ডিয়ান জাতের পাট আবাদে নিরুৎসাহীত করার পাশাপাশি দেশি উন্নত জাতের পাট বীজ বপণে উৎসাহ দিচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নীলফামারী অফিস সূত্র জানায়, জেলার ৬ উপজেলায় এবার ১২১৮৫ হেক্টর জমিতে দেশি ও তোষা মিলে পাট উৎপাদিত হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৬৬৬ বেল। অন্যদিকে, গত মৌসুমে উৎপাদিত হয় ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬৪২ বেল পাট।
গত কয়েকদিন নীলফামারীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি জাতের পাট মণপ্রতি ৮৫০ টাকায় এবং তোষা জাতের পাট মণপ্রতি ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে, বিঘা প্রতি পাট উৎপাদনে খরচ হয়েছে ২৫০০-৩০০০ টাকা।
বিষয়টি উদ্বেগজনক উল্লেখ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নীলফামারীর শস্য বিশেষজ্ঞ মকবুল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ভালো বাজার দর না থাকায় মূলত পাট চাষ কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে, ভুট্টা চাষ ভালজনক হওয়ায় পাটের বদলে কৃষকরা ভুট্টা চাষের প্রতি ঝুঁকছেন।
নীলফামারী সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের মোক্তার হোসেন, রশিদুল ইসলাম, পৌর এলাকার হুলু চন্দ্র রায়সহ বেশ কয়েকজন প্রান্তিক চাষি জানান, উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ার পাশাপাশি পাট জাগ দেওয়ার (পঁচানো) জায়গা এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে পাট নিয়ে বিপাকে পড়ছেন তারা।
অন্যদিকে, ডিমলা সদর ইউনিয়নের কৃষক ওয়ারেছ আলী, খালিশা চাপানী ইউনিয়নের আলতাফ হোসেন জলঢাকা পৌর এলাকার আবেদ আলী, কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাওসুল আযম অভিযোগ করে বলেন, পাট বীজ উন্নত মানের না হওয়ায় উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নীলফামারী সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাকিব আবেদীন হিরু বলেন, ‘‘পাট চাষে উৎসাহ বাড়াতে আমরা তৃণমূল পর্যায়ে কৃষকদের মাঝে উৎসাহ সৃষ্টি করছি। এছাড়াও পাট চাষে সম্পূরক কোনো সেচ দিতে হচ্ছে না এমন প্রচারণাও বাড়ানো হচ্ছে।’’
পাট জাগ দেওয়ার সমস্যার ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কমকর্তা মহসিন রেজা রুপম বলেন, আধুনিক পদ্ধতিতে পাট চাষের ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। পাট কাঠি থেকে পাটের আঁশ ছাড়াতে এখন রিবণ পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে আঁশ ছাড়ালে পাটের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং পাটের দাম তুলনামূলক বেশি পাওয়া যায়।
এদিকে, পাটের দাম কম হওয়ায় পাট ব্যবসার হাল ছাড়ছেন নীলফামারীর পলাশবাড়ি ইউনিয়নের পাট ব্যবসায়ী শ্যামল চন্দ্র রায়। গতবছর তিনি ১৫০০ মণ পাট কিনলেও এবার কিনেছেন ৩০০ মণ। লাভ না থাকায় তিনি পাট ব্যবসা এবার ছেড়ে দিবেন বলে জানান। একই কারণে পাট ব্যবসা ছেড়ে অন্য ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন মিলন চন্দ্র রায়, মঞ্জুর উল আলমসহ অনেকেই।
পাটের দাম কম থাকার কথা স্বীকার করে নীলফামারী পাট কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার বলেন, মূলত পাট পঁচানোর জায়গা না থাকা ও উন্নতমানের বীজ ব্যবহার না করায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পাট অধিদপ্তর কৃষকদের ইন্ডিয়ান জাতের পাট আবাদে নিরুৎসাহীত করার পাশাপাশি দেশি উন্নত জাতের পাট বীজ বপণে উৎসাহ দিচ্ছে।
No comments