পল্টনে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষঃ দুই গাড়িতে আগুন, আটক ২০
রাজধানীর পল্টনে মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পল্টন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এ ঘটনায় পুলিশসহ প্রায় অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হন। এসময় দুটি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়। রাত ৯টা পর্যন্ত পল্টন থানা পুলিশ প্রায় ২০ জনকে আটক করে। গ্রেফতার আতঙ্কে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করেন প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী।পুলিশের সাদা পোশাকের বিশেষ দল ওই এলাকায় অবস্থান নিয়েছে বলে জানা গেছে।
এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।পল্টন এলাকায় অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহন চলাচল কমে যায় বলে এলাকাবাসী দাবি করেছে।
সংঘর্ষের ব্যাপারে বিএনপি নেতাদের দাবি, পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বাঁধা দেয়ায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ দাবি করেছে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচির কথা বলে বিএনপি নেতাকর্মীরা গাড়িতে আগুন দেয়, ভাংচুর চালায়। পুলিশ জনস্বার্থে তাদের নাশকতামূলক কাজে বাঁধা দেয়। এসময় বিএনপি কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৪টার দিকে বিএনপি পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হতে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশ শুরু করে।
সমাবেশ চলাকালে পল্টনের বিএনপি কার্যালয়ের উল্টোদিকে একটি সরকারি পাজেরো গাড়িতে কে বা কারা অগ্নি সংযোগ করে।
বিএনপি নেতাকর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সন্দেহে পুলিশ সমাবেশে বাঁধা দেয় এবং মারমুখি অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণে মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রথমে বাগবিতন্ডা ও পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এসময় পুলিশ শতাধিক টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। অন্যদিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে পাল্টা আক্রমণ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
এসময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পল্টনের রাস্তায় বিভিন্ন যানবাহন থেকে যাত্রীরা নেমে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটাছুটি করতে থাকে। বিকেল ৫টার দিকে বিজয় নগরের নাইটেঙ্গেল মোড়ে আরো একটি বাসে আগুন দেয়ায় ঘটনা ঘটে। এলাকার মানুষ এসময় ভয়ে ছুটোছুটি শুরু করে।
এদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পল্টন এলাকায় ঝটিকা অভিযানে নামে র্যাব। তারা বিএনপি কর্মী সন্দেহে এলাকার শতাধিক মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। অভিযোগ রয়েছে, সাধারণ মানুষ এসময় ব্যাপক হয়রানির শিকার হন।
পুলিশের মতিঝিল জোনের এডিসি মেহেদী হাসান বার্তা২৪ ডটনেটকে বলেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচির কথা বলে বিএনপি গাড়িতে আগুন দেয় ও ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় প্রায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
তবে পল্টনের দলীয় কার্যালয়ে তাৎক্ষনিক সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, পুলিশ বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচাল করতে সমাবেশে হামলা চালায়। এসময় তারা পরিকল্পিতভাবে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটায়।
পল্টন থানার ওসি গোলাম সারোয়ার বলেন, পল্টনে নাশকতামূলক কাজে জড়িত থাকার ঘটনায় বিএনপি’র প্রায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। এখনো পুলিশের অভিযান শেষ হয়নি।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে নেত্রকোনা জেলায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অফিস ভাংচুর ও মঙ্গলবার বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের গাড়িবহরে হামলা, সেখানে বিএনপির কর্মী সমাবেশ পণ্ড হওয়ার ঘটনার জের ধরে পল্টনে বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে।
সংঘর্ষের ব্যাপারে বিএনপি নেতাদের দাবি, পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বাঁধা দেয়ায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ দাবি করেছে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচির কথা বলে বিএনপি নেতাকর্মীরা গাড়িতে আগুন দেয়, ভাংচুর চালায়। পুলিশ জনস্বার্থে তাদের নাশকতামূলক কাজে বাঁধা দেয়। এসময় বিএনপি কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৪টার দিকে বিএনপি পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হতে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশ শুরু করে।
সমাবেশ চলাকালে পল্টনের বিএনপি কার্যালয়ের উল্টোদিকে একটি সরকারি পাজেরো গাড়িতে কে বা কারা অগ্নি সংযোগ করে।
বিএনপি নেতাকর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সন্দেহে পুলিশ সমাবেশে বাঁধা দেয় এবং মারমুখি অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণে মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রথমে বাগবিতন্ডা ও পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এসময় পুলিশ শতাধিক টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। অন্যদিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে পাল্টা আক্রমণ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
এসময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পল্টনের রাস্তায় বিভিন্ন যানবাহন থেকে যাত্রীরা নেমে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটাছুটি করতে থাকে। বিকেল ৫টার দিকে বিজয় নগরের নাইটেঙ্গেল মোড়ে আরো একটি বাসে আগুন দেয়ায় ঘটনা ঘটে। এলাকার মানুষ এসময় ভয়ে ছুটোছুটি শুরু করে।
এদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পল্টন এলাকায় ঝটিকা অভিযানে নামে র্যাব। তারা বিএনপি কর্মী সন্দেহে এলাকার শতাধিক মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। অভিযোগ রয়েছে, সাধারণ মানুষ এসময় ব্যাপক হয়রানির শিকার হন।
পুলিশের মতিঝিল জোনের এডিসি মেহেদী হাসান বার্তা২৪ ডটনেটকে বলেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচির কথা বলে বিএনপি গাড়িতে আগুন দেয় ও ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় প্রায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
তবে পল্টনের দলীয় কার্যালয়ে তাৎক্ষনিক সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, পুলিশ বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচাল করতে সমাবেশে হামলা চালায়। এসময় তারা পরিকল্পিতভাবে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটায়।
পল্টন থানার ওসি গোলাম সারোয়ার বলেন, পল্টনে নাশকতামূলক কাজে জড়িত থাকার ঘটনায় বিএনপি’র প্রায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। এখনো পুলিশের অভিযান শেষ হয়নি।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে নেত্রকোনা জেলায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অফিস ভাংচুর ও মঙ্গলবার বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের গাড়িবহরে হামলা, সেখানে বিএনপির কর্মী সমাবেশ পণ্ড হওয়ার ঘটনার জের ধরে পল্টনে বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে।
No comments