নয়াপল্টন রণক্ষেত্রঃ ২৫ টিয়ারশেল, ৩ গাড়িতে আগুন
পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের পর নয়াপল্টন ও এর
আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক র্যাব-পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। টহল দিচ্ছে
পুলিশের রায়ট কার।
নেত্রকোনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে জনসভা করতে না দেওয়ার
প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভরত নেতা-কর্মীদের
সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশের এ সংঘর্ষ হয়।
পুলিশি বাধায় আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিএনপিকর্মীরা। পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ছাড়াও দু’টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জের পাশাপাশি কয়েক ডজন ফাঁকা গুলি ছোড়ার পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাসের অন্তত ২৫ রাউন্ড শেলও ছোড়ে তারা ।
এ সময় ১০/ ১৫ জনকে আটকও করে পুলিশ। এক পর্যায়ে বেশ কিছু নেতা-কর্মীকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে ফেলে পুলিশ। এমনকি দলীয় কার্যালয়ের ভেতরেও টিয়ারশেল ছুঁড়তে দেখা যায় পুলিশকে।
এর আগে নয়াপল্টনে একটি জিপগাড়ি ও বিজয়নগর মোড়ে যাত্রীবাহী একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হলে ওই এলাকার দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপি নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে একটি জিপগাড়িতে (ঢাকা মেট্রো ঘ- ১১-০১৫৩) আগুন ধরিয়ে দেয়। এর পর বিজয়নগর, কাকরাইল, শান্তিনগর, নয়াপল্টন ও ফকিরাপুল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
বিজয়নগর মোড়ের কাছে গাজীপুর পরিবহনের একটি বাসেও (ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৩৭৬৮) অগ্নিসযোগ করেন ক্ষুব্ধ কর্মীরা।
এক পর্যায়ে মালিবাগেও ১৮ দলীয় জোটের শরিক জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় সেখানেও একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেলও ছোড়েন। তাদের সামলাতে সেখানেও টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ।
শিবিবের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ৪ পুলিশসহ অন্তত ১০ জন পথচারী আহত হন।
সংঘর্ষে শিবিরকর্মীরা পুলিশের ২টি পিকআপ ভ্যানসহ প্রায় ৮টি প্রাইভেট গাড়ি ও ২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে।
রমনা থানার অফিসার্স ইনচার্জ শাহ আলম বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার বিকেলে মালিবাগ চৌধুরী পাড়ার একটি গলি থেকে জামায়াত-শিবির কর্মীরা মিছিল বের করতে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
শিবিরকর্মীরা কিছু দূর পিছু হটে ফিরে এসে পুলিশের ওপর হামলা চালান। তারা এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এ সময় শিবির কর্মীরা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। জবাবে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও ৬ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোঁড়ে।
শিবির কর্মীদের অতর্কিত হামলায় পুলিশের ৪ সদস্য ছাড়াও কয়েকজন পথচারী আহত হয়।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- হাবিলদার সাহাবুদ্দিন, নায়েক শফিকুল, কনস্টেল সাহাবুদ্দিন ও সিরাজুল ইসলাম।
ঘটনার সময় মালিবাগ রেলগেট থেকে রামপুরা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পল্টন থাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, “শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচির কথা বলে বিএনপির কর্মীরা গাড়িতে আগুন দিয়েছে। ভাঙচুর চালিয়েছে। তাদের সামলাতে বাধ্য হয়ে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।”
সেখান থেকে ১০/১২ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান পল্টন থানার ওসি।
এর আগে এ বছর গত ১৯ এপ্রিল ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবিতে নয়াপল্টনে এক সমাবেশ শেষে বিএনপি নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সংঘর্ষের সময়ও পুলিশ উপুর্যপুরি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
পুলিশি বাধায় আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিএনপিকর্মীরা। পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ছাড়াও দু’টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জের পাশাপাশি কয়েক ডজন ফাঁকা গুলি ছোড়ার পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাসের অন্তত ২৫ রাউন্ড শেলও ছোড়ে তারা ।
এ সময় ১০/ ১৫ জনকে আটকও করে পুলিশ। এক পর্যায়ে বেশ কিছু নেতা-কর্মীকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে ফেলে পুলিশ। এমনকি দলীয় কার্যালয়ের ভেতরেও টিয়ারশেল ছুঁড়তে দেখা যায় পুলিশকে।
এর আগে নয়াপল্টনে একটি জিপগাড়ি ও বিজয়নগর মোড়ে যাত্রীবাহী একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হলে ওই এলাকার দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপি নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে একটি জিপগাড়িতে (ঢাকা মেট্রো ঘ- ১১-০১৫৩) আগুন ধরিয়ে দেয়। এর পর বিজয়নগর, কাকরাইল, শান্তিনগর, নয়াপল্টন ও ফকিরাপুল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
বিজয়নগর মোড়ের কাছে গাজীপুর পরিবহনের একটি বাসেও (ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৩৭৬৮) অগ্নিসযোগ করেন ক্ষুব্ধ কর্মীরা।
এক পর্যায়ে মালিবাগেও ১৮ দলীয় জোটের শরিক জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় সেখানেও একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেলও ছোড়েন। তাদের সামলাতে সেখানেও টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ।
শিবিবের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ৪ পুলিশসহ অন্তত ১০ জন পথচারী আহত হন।
সংঘর্ষে শিবিরকর্মীরা পুলিশের ২টি পিকআপ ভ্যানসহ প্রায় ৮টি প্রাইভেট গাড়ি ও ২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে।
রমনা থানার অফিসার্স ইনচার্জ শাহ আলম বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার বিকেলে মালিবাগ চৌধুরী পাড়ার একটি গলি থেকে জামায়াত-শিবির কর্মীরা মিছিল বের করতে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
শিবিরকর্মীরা কিছু দূর পিছু হটে ফিরে এসে পুলিশের ওপর হামলা চালান। তারা এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এ সময় শিবির কর্মীরা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। জবাবে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও ৬ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোঁড়ে।
শিবির কর্মীদের অতর্কিত হামলায় পুলিশের ৪ সদস্য ছাড়াও কয়েকজন পথচারী আহত হয়।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- হাবিলদার সাহাবুদ্দিন, নায়েক শফিকুল, কনস্টেল সাহাবুদ্দিন ও সিরাজুল ইসলাম।
ঘটনার সময় মালিবাগ রেলগেট থেকে রামপুরা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পল্টন থাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, “শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচির কথা বলে বিএনপির কর্মীরা গাড়িতে আগুন দিয়েছে। ভাঙচুর চালিয়েছে। তাদের সামলাতে বাধ্য হয়ে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।”
সেখান থেকে ১০/১২ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান পল্টন থানার ওসি।
এর আগে এ বছর গত ১৯ এপ্রিল ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবিতে নয়াপল্টনে এক সমাবেশ শেষে বিএনপি নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সংঘর্ষের সময়ও পুলিশ উপুর্যপুরি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
No comments