পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করার চিন্তা যুক্তরাষ্ট্রের
পারস্য উপসাগরীয় এলাকায় সামরিক উপস্থিতি জোরদারের পরিকল্পনা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরাক থেকে চলতি বছরের শেষে সেনা প্রত্যাহারের পরই তারা এ এলাকায় সামরিক উপস্থিতি বাড়াতে চায়। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে কুয়েতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাও শুরু করে দিয়েছে ওবামা প্রশাসন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তা ও কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকা এ কথা জানিয়েছে।গত রবিবার ওই পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাদের নতুন করে পুনর্বিন্যাস পরিকল্পনার আওয়ায় কুয়েতে কিছু সেনা রাখা হবে।
তারা ইরাকে নিরাপত্তা পরিস্থিতি অবনতি হলে অথবা ইরানের সঙ্গে সামরিক সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হলে, তা সামাল দেবে। কুয়েতে সেনা মোতায়েন ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক জলসীমায় যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করতে চায়। এ ছাড়া ওবামা প্রশাসন উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদভুক্ত (জিসিসি) ছয় দেশ_সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী। উল্লেখ্য, আগে থেকেই উপসাগরীয় এলাকার দেশগুলোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের সামরিক সম্পর্ক রয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, উপসাগরীয় এলাকায় যুক্তরাষ্ট্র একটি নিরাপত্তা বলয় গড়ার পরিকল্পনা করেছে। এর আওতায় সেখানে বিমান ও নৌ-টহল এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ মার্কিন সেনাদের ইরাক ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তবে সেনা প্রত্যাহারের পর ওই এলাকার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে ওঠতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছে তাঁরা। এ জন্য আগামীতে ইরাকে ২০ হাজার সেনা থাকার অনুমতির জন্য ইরাক সরকারকে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে পেন্টাগন ওই এলাকায় সেনা রাখার বিকল্প চিন্তাও করেছে। এ কারণেই তারা কুয়েতের সঙ্গে আলোচনা করেছে। তবে পেন্টাগনের কর্মকর্তারা সামরিক উপস্থিতি জোরদারের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি।
১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধ এবং ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের সময় মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি ব্যাটালিয়ন বা কিছু ক্ষেত্রে পুরো একটি ব্রিগেড কুয়েতে ছিল। এ ছাড়া আরো সেনা ও অস্ত্রশস্ত্রও প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।
সেন্ট্রাল কমান্ডের চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল কার্ল আর হোর্স্ব বলেন, উপসাগরীয় এলাকায় সামরিক উপস্থিতি পরিসরে ছোট হবে। তবে এসব সেনারা হবে দক্ষ। 'আমার মতে, আগের পথেই আমরা হাঁটছি। এ এলাকায় আমরা সামরিক উপস্থিতি জোরদার করতে চাই। আমি মনে করি এটা কার্যকর হবে।'
তবে পারস্য উপসাগরীয় এলাকায় মার্কিন সামরিক উপস্থিতির জোরদারের জন্য জিসিসির অনুমোদন লাগবে। এ বিষয়ে আগামী ডিসেম্বরে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা করবেন জিসিসি নেতারা। সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস, এএফপি।
কর্মকর্তারা জানান, উপসাগরীয় এলাকায় যুক্তরাষ্ট্র একটি নিরাপত্তা বলয় গড়ার পরিকল্পনা করেছে। এর আওতায় সেখানে বিমান ও নৌ-টহল এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ মার্কিন সেনাদের ইরাক ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তবে সেনা প্রত্যাহারের পর ওই এলাকার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে ওঠতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছে তাঁরা। এ জন্য আগামীতে ইরাকে ২০ হাজার সেনা থাকার অনুমতির জন্য ইরাক সরকারকে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে পেন্টাগন ওই এলাকায় সেনা রাখার বিকল্প চিন্তাও করেছে। এ কারণেই তারা কুয়েতের সঙ্গে আলোচনা করেছে। তবে পেন্টাগনের কর্মকর্তারা সামরিক উপস্থিতি জোরদারের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি।
১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধ এবং ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের সময় মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি ব্যাটালিয়ন বা কিছু ক্ষেত্রে পুরো একটি ব্রিগেড কুয়েতে ছিল। এ ছাড়া আরো সেনা ও অস্ত্রশস্ত্রও প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।
সেন্ট্রাল কমান্ডের চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল কার্ল আর হোর্স্ব বলেন, উপসাগরীয় এলাকায় সামরিক উপস্থিতি পরিসরে ছোট হবে। তবে এসব সেনারা হবে দক্ষ। 'আমার মতে, আগের পথেই আমরা হাঁটছি। এ এলাকায় আমরা সামরিক উপস্থিতি জোরদার করতে চাই। আমি মনে করি এটা কার্যকর হবে।'
তবে পারস্য উপসাগরীয় এলাকায় মার্কিন সামরিক উপস্থিতির জোরদারের জন্য জিসিসির অনুমোদন লাগবে। এ বিষয়ে আগামী ডিসেম্বরে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা করবেন জিসিসি নেতারা। সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস, এএফপি।
No comments