ভিন্ন খবর : কণ্ঠ ও ধ্বনি থেকে অপরাধী শনাক্ত!
কণ্ঠস্বর চেনার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতি ঘটছে। অপরাধ করেও বেঁচে যাওয়ার যেমন নানা কৌশল বের হচ্ছে, তেমনি অপরাধীকে ধরার জন্যও উদ্ভাবিত হচ্ছে বিভিন্ন কৌশল। তবে আঙুল কিংবা রক্তের ছাপের মতো প্রচলিত কৌশল ছাড়াও কণ্ঠস্বর ও ধ্বনি পর্যবেক্ষণ করে অপরাধীকে ধরার কাজ করছে জার্মানি। বিদ্যুত্, গ্যাস, আলো, তাপের মতো শব্দের কার্যকর ব্যবহারেও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। নানা মাত্রার শব্দকম্পন ব্যবহার করে এরই মধ্যে বহু অজানা তথ্য জানার কৌশল উদ্ভাবন হয়েছে।
শব্দ তথা মানুষের কণ্ঠনিঃসৃত শব্দ কিংবা ধ্বনিমালা ব্যবহার করে অপরাধী শনাক্ত এবং অপরাধমূলক ঘটনার রহস্য উদঘাটন করছেন জার্মানির ট্রিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বনিবিদ্যা বিশারদ আঙ্গেলিকা ব্রাউন। ব্যাংক ডাকাতি, ছিনতাইকারী, সন্ত্রাসী কিংবা অন্যান্য অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের তিনি চিহ্নিত করছেন তাদের কণ্ঠস্বর বিশ্লেষণ করে।
ব্রাউন বলেন, কণ্ঠস্বর থেকে মানুষের বয়স, লিঙ্গ, বংশপরিচয় এবং জাতীয়তা পর্যন্ত জানা সম্ভব। এমনকি একজন মানুষ তার কণ্ঠস্বর পরিবর্তন করে কিংবা চাপাগলায় কথা বললেও তা জানা সম্ভব হতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তার মতে, কারও কণ্ঠস্বর পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করে পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে তার বয়স জানা যেতে পারে। এ পন্থায় নির্দিষ্ট ব্যক্তির বংশপরিচয় উদ্ধার করা যায়। তবে সেক্ষেত্রে তার বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার বছর সম্পর্কে তথ্য জানতে পারলে সেটা অত্যন্ত সহায়ক হয়। আর কোনো ব্যক্তি বিদেশি ভাষায় কথা বললে, তার পদ্ধতিগত ভাষার ভুল উচ্চারণ এবং নির্দিষ্ট ধ্বনি থেকে জাতীয়তা নির্ণয় করা সহজতর, বলেন ব্রাউন।
বিজ্ঞানের এই যুগে অপরাধ কর্মের যোগসূত্র উদ্ধারে ব্রাউন সংশ্লিষ্ট ধ্বনি এবং কণ্ঠস্বরকে বিশেষায়িত কম্পিউটার সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করেন। তিনি বলেন, এর ফলে ভাষা দর্শনযোগ্য এবং পরিমাপযোগ্য হয়ে ওঠে। এই সফটওয়্যারই নিরূপণ করে যে, শব্দগুলো নিচু নাকি উচ্চকণ্ঠে করা। এমনকি শব্দধারণের গুণগত মান কমবেশি হলেও তাতে কিছুই আসে-যায় না। তবে তিনি স্বীকার করেন, ‘আমার কাছে মনে হয় যে, মানবিক ইন্দ্রিয় ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা মানুষের উচ্চারণ, ভাষা, ধ্বনি এবং ঘটনাস্থলের পারিপার্শ্বিক শব্দ নিয়ে কাজ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ এ বিষয়গুলো খুবই সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হয়। তাই যন্ত্র দিয়ে এসব কিছু স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হবে না, বরং এক্ষেত্রে মানবমস্তিষ্ক খাটানোও জরুরি।’ ফরেনসিক বিজ্ঞানের ধারার আরও উন্নতির জন্য গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি এবং তার ৬০ শিক্ষার্থীর দল।
মোনশেনগ্লাডবাখ নগরীর পুলিশের মুখপাত্র ভিলি থেফেসেন বলেন, বর্তমানে অপরাধীদের শনাক্ত করতে পুলিশের কাজে সহায়তার জন্য এ ধরনের ফরেনসিক বিজ্ঞানীদের গুরুত্ব বাড়ছে। ধ্বনি, কণ্ঠ এবং ডিএনএ পর্যালোচনার মাধ্যমে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি নিশ্চিত ফল পাওয়া সম্ভব বলে উল্লেখ করেন তিনি। থেফেসেন বলেন, ধ্বনি কিংবা শব্দের ওপর ভিত্তি করে যে কোনো অপরাধের তদন্তের ক্ষেত্রে ব্রাউনই আমাদের প্রথম পছন্দ। সূত্র : ডিডব্লিউ
ব্রাউন বলেন, কণ্ঠস্বর থেকে মানুষের বয়স, লিঙ্গ, বংশপরিচয় এবং জাতীয়তা পর্যন্ত জানা সম্ভব। এমনকি একজন মানুষ তার কণ্ঠস্বর পরিবর্তন করে কিংবা চাপাগলায় কথা বললেও তা জানা সম্ভব হতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তার মতে, কারও কণ্ঠস্বর পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করে পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে তার বয়স জানা যেতে পারে। এ পন্থায় নির্দিষ্ট ব্যক্তির বংশপরিচয় উদ্ধার করা যায়। তবে সেক্ষেত্রে তার বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার বছর সম্পর্কে তথ্য জানতে পারলে সেটা অত্যন্ত সহায়ক হয়। আর কোনো ব্যক্তি বিদেশি ভাষায় কথা বললে, তার পদ্ধতিগত ভাষার ভুল উচ্চারণ এবং নির্দিষ্ট ধ্বনি থেকে জাতীয়তা নির্ণয় করা সহজতর, বলেন ব্রাউন।
বিজ্ঞানের এই যুগে অপরাধ কর্মের যোগসূত্র উদ্ধারে ব্রাউন সংশ্লিষ্ট ধ্বনি এবং কণ্ঠস্বরকে বিশেষায়িত কম্পিউটার সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করেন। তিনি বলেন, এর ফলে ভাষা দর্শনযোগ্য এবং পরিমাপযোগ্য হয়ে ওঠে। এই সফটওয়্যারই নিরূপণ করে যে, শব্দগুলো নিচু নাকি উচ্চকণ্ঠে করা। এমনকি শব্দধারণের গুণগত মান কমবেশি হলেও তাতে কিছুই আসে-যায় না। তবে তিনি স্বীকার করেন, ‘আমার কাছে মনে হয় যে, মানবিক ইন্দ্রিয় ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা মানুষের উচ্চারণ, ভাষা, ধ্বনি এবং ঘটনাস্থলের পারিপার্শ্বিক শব্দ নিয়ে কাজ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ এ বিষয়গুলো খুবই সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হয়। তাই যন্ত্র দিয়ে এসব কিছু স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হবে না, বরং এক্ষেত্রে মানবমস্তিষ্ক খাটানোও জরুরি।’ ফরেনসিক বিজ্ঞানের ধারার আরও উন্নতির জন্য গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি এবং তার ৬০ শিক্ষার্থীর দল।
মোনশেনগ্লাডবাখ নগরীর পুলিশের মুখপাত্র ভিলি থেফেসেন বলেন, বর্তমানে অপরাধীদের শনাক্ত করতে পুলিশের কাজে সহায়তার জন্য এ ধরনের ফরেনসিক বিজ্ঞানীদের গুরুত্ব বাড়ছে। ধ্বনি, কণ্ঠ এবং ডিএনএ পর্যালোচনার মাধ্যমে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি নিশ্চিত ফল পাওয়া সম্ভব বলে উল্লেখ করেন তিনি। থেফেসেন বলেন, ধ্বনি কিংবা শব্দের ওপর ভিত্তি করে যে কোনো অপরাধের তদন্তের ক্ষেত্রে ব্রাউনই আমাদের প্রথম পছন্দ। সূত্র : ডিডব্লিউ
No comments