স্বস্তি আর মুক্তির উচ্ছ্বাস এখন নারায়ণগঞ্জে by শরিফুল হাসান
কখনো উদ্বেগ, কখনো উৎকণ্ঠা, কখনো উচ্ছ্বাস। এভাবেই গত একটি মাস কেটেছে নারায়ণগঞ্জবাসীর। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই ছিল এমন পরিস্থিতি। তবে সব উৎকণ্ঠা কেটে শেষ পর্যন্ত ভোটের উৎসব ছড়িয়েছে নারায়ণগঞ্জ। আর নির্বাচনের ফলাফলের পর পুরো শহরই যেন ভাসছে মুক্তির আনন্দে।
একটি শহরের উচ্ছ্বাস, উৎকণ্ঠা, আনন্দ, উদ্বেগ—সবই বোঝা যায়, সেই শহরের মানুষের মুখচ্ছবিতে। আর নারায়ণগঞ্জ শহরের মানুষের সেই মুখচ্ছবি সবচেয়ে বেশি খুঁজে পাওয়া যায় শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ার পৌর শহীদ মিনারে। দিন-রাত সব সময়ই এখানে মানুষের ভিড় থাকে। তাদের মুখচ্ছবিতেই ভেসে ওঠে শহরের চিত্র।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় শহীদ মিনারের সামনে গিয়ে দেখা গেল কয়েক শ মানুষ। তাদের চোখেমুখে বিজয়ের আনন্দ। আড্ডারত এক তরুণ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইফুল ইসলাম। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করবেন না, আমরা কতটা আনন্দে আছি। মনে হচ্ছে, আমরা মুক্তি পেয়েছি।’ কিসের থেকে মুক্তি— জানতে চাইলে হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘ভাই, এ কথা আর কি বলার প্রয়োজন আছে? এক কথায় বলি, সন্ত্রাস আর সন্ত্রাসী থেকে মুক্তি।’
সরকারি তোলারাম কলেজের ছাত্র খালেকুজ্জামান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের মানুষ ভোটের ফলাফলে অনেক খুশি। আমরা সবাই আনন্দে আছি।’
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রুমন রেজা প্রথম আলোকে বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষের সব উৎকণ্ঠা কেটে গেছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হয়েছে। ভোটের ফলাফলের পর সহিংসতার কোনো ঘটনা তো ঘটেইনি বরং সবার মধ্যে একধরনের উচ্ছ্বাস আছে।
নারায়ণগঞ্জের পোশাক রপ্তানিকারক, এমএইচ ট্রেড লিংক ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিবুল হক বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের মানুষ উৎসাহ নিয়ে ভোট দিয়েছে। ভোটের ফলাফল দেখে তারা আরও উল্লসিত। মনে হচ্ছে, আমরা মুক্তির আনন্দে আছি।’
পলাশের এই কথার প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাওয়া গেল সব মানুষের মধ্যে। তবে শামীম ওসমানের বাড়ি চাষাঢ়ার হীরা মহলের সামনে প্রতিদিন যেখানে অনেক লোক থাকে, সেই এলাকায় গতকাল তেমন কোনো ভিড় ছিল না। প্রতিদিন সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের যেসব নেতা-কর্মী সেখানে থাকেন, তাঁদের গতকাল সেখানে দেখা যায়নি।
শহরের চাষাঢ়া যেমন নিষ্প্রাণ, তেমনি দেওভোগ এলাকায় এখন বেশ ভিড়। বিশেষ করে সেলিনা হায়াৎ আইভীর বাড়ির সামনে দিনভরই সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল। লোকজন ফুল হাতে সেখানে যাচ্ছেন, হাসতে হাসতে বের হচ্ছেন। সেখানে কেবলই জয়ের আনন্দ।
নারায়ণগঞ্জ শহরে এখনো কালো পোশাকধারী র্যাবের প্রাধান্য। বিভিন্ন সড়কে টহল দিচ্ছে তারা। তবে মানুষের মধ্যে আতঙ্কের বদলে এক ধরনের স্বস্তি দেখা গেল। আর দুপুরে তাই একদল র্যাব সদস্য যখন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিফ্রিং করতে এল, তখন সেখানে ছিল জনতার ভিড়।
র্যাবের আইন ও জনসংযোগ শাখার পরিচালক এম সোহায়েল এ সময় বলেন, নির্বাচন-পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে। কোথাও কোনো ধরনের সহিংস বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ঘটতেও দেওয়া হবে না। পুরো নারায়ণগঞ্জই র্যাবের পর্যবেক্ষণে আছে।
সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ায় নারায়ণগঞ্জবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সোহায়েল বলেন, নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ, গণমাধ্যমকর্মী ও আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী, সবার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হয়েছে।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কোনো কৌশল ছিল কি না, জানতে চাইলে সোহায়েল বলেন, ‘আমরা ১৬৩টি কেন্দ্রকে সমানভাবেই গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছি। সব জায়গায় গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ছিল। প্রতিটি কেন্দ্রে আমাদের র্যাবের লোকজন ছিল। পুলিশ, আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও র্যাবের মধ্যে চমৎকার সমন্বয় ছিল।’
সোহায়েল বলেন, ‘সেনাবাহিনী না আসার সিদ্ধান্তের পর পুরো দায়িত্ব পেয়েছিল র্যাব। আমাদের ওপর কোনো ধরনের চাপ ছিল না, বরং একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা সেই কাজটিই করেছি।’
সোহায়েল বলেন, নারায়ণগঞ্জে কোথাও যেন অপ্রীতিকর কিছু না ঘটে, তাই আজও র্যাব থাকবে। কাল থেকে কিছু কিছু করে তারা চলে যাবে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় শহীদ মিনারের সামনে গিয়ে দেখা গেল কয়েক শ মানুষ। তাদের চোখেমুখে বিজয়ের আনন্দ। আড্ডারত এক তরুণ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইফুল ইসলাম। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করবেন না, আমরা কতটা আনন্দে আছি। মনে হচ্ছে, আমরা মুক্তি পেয়েছি।’ কিসের থেকে মুক্তি— জানতে চাইলে হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘ভাই, এ কথা আর কি বলার প্রয়োজন আছে? এক কথায় বলি, সন্ত্রাস আর সন্ত্রাসী থেকে মুক্তি।’
সরকারি তোলারাম কলেজের ছাত্র খালেকুজ্জামান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের মানুষ ভোটের ফলাফলে অনেক খুশি। আমরা সবাই আনন্দে আছি।’
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রুমন রেজা প্রথম আলোকে বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষের সব উৎকণ্ঠা কেটে গেছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হয়েছে। ভোটের ফলাফলের পর সহিংসতার কোনো ঘটনা তো ঘটেইনি বরং সবার মধ্যে একধরনের উচ্ছ্বাস আছে।
নারায়ণগঞ্জের পোশাক রপ্তানিকারক, এমএইচ ট্রেড লিংক ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিবুল হক বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের মানুষ উৎসাহ নিয়ে ভোট দিয়েছে। ভোটের ফলাফল দেখে তারা আরও উল্লসিত। মনে হচ্ছে, আমরা মুক্তির আনন্দে আছি।’
পলাশের এই কথার প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাওয়া গেল সব মানুষের মধ্যে। তবে শামীম ওসমানের বাড়ি চাষাঢ়ার হীরা মহলের সামনে প্রতিদিন যেখানে অনেক লোক থাকে, সেই এলাকায় গতকাল তেমন কোনো ভিড় ছিল না। প্রতিদিন সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের যেসব নেতা-কর্মী সেখানে থাকেন, তাঁদের গতকাল সেখানে দেখা যায়নি।
শহরের চাষাঢ়া যেমন নিষ্প্রাণ, তেমনি দেওভোগ এলাকায় এখন বেশ ভিড়। বিশেষ করে সেলিনা হায়াৎ আইভীর বাড়ির সামনে দিনভরই সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল। লোকজন ফুল হাতে সেখানে যাচ্ছেন, হাসতে হাসতে বের হচ্ছেন। সেখানে কেবলই জয়ের আনন্দ।
নারায়ণগঞ্জ শহরে এখনো কালো পোশাকধারী র্যাবের প্রাধান্য। বিভিন্ন সড়কে টহল দিচ্ছে তারা। তবে মানুষের মধ্যে আতঙ্কের বদলে এক ধরনের স্বস্তি দেখা গেল। আর দুপুরে তাই একদল র্যাব সদস্য যখন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিফ্রিং করতে এল, তখন সেখানে ছিল জনতার ভিড়।
র্যাবের আইন ও জনসংযোগ শাখার পরিচালক এম সোহায়েল এ সময় বলেন, নির্বাচন-পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে। কোথাও কোনো ধরনের সহিংস বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ঘটতেও দেওয়া হবে না। পুরো নারায়ণগঞ্জই র্যাবের পর্যবেক্ষণে আছে।
সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ায় নারায়ণগঞ্জবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সোহায়েল বলেন, নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ, গণমাধ্যমকর্মী ও আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী, সবার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হয়েছে।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কোনো কৌশল ছিল কি না, জানতে চাইলে সোহায়েল বলেন, ‘আমরা ১৬৩টি কেন্দ্রকে সমানভাবেই গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছি। সব জায়গায় গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ছিল। প্রতিটি কেন্দ্রে আমাদের র্যাবের লোকজন ছিল। পুলিশ, আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও র্যাবের মধ্যে চমৎকার সমন্বয় ছিল।’
সোহায়েল বলেন, ‘সেনাবাহিনী না আসার সিদ্ধান্তের পর পুরো দায়িত্ব পেয়েছিল র্যাব। আমাদের ওপর কোনো ধরনের চাপ ছিল না, বরং একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা সেই কাজটিই করেছি।’
সোহায়েল বলেন, নারায়ণগঞ্জে কোথাও যেন অপ্রীতিকর কিছু না ঘটে, তাই আজও র্যাব থাকবে। কাল থেকে কিছু কিছু করে তারা চলে যাবে।
No comments