মশা দিয়েই ডেঙ্গু রোধ
জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি (জিএম) মশার দ্বারা ডেঙ্গু জ্বরের সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। এ ছাড়া ওই মশার দ্বারা অন্যান্য অমেরুদণ্ডী প্রাণীর মাধ্যমে সংক্রমিত রোগবালাইয়ের প্রভাব দূর করাও সম্ভব। সম্প্রতি এক গবেষণায় এ বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেনযুক্তরাজ্যভিত্তিকএকদলবিজ্ঞানী।যুক্তরাজ্যের ক্যাইমান দ্বীপ অঞ্চলে এ গবেষণা চালানো হয়। সেখানে তুলনামূলকভাবে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি। লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ এবং লিভারপুল স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে এ গবেষণা করেন। এ বিষয়ে ন্যাচার বায়োটেকনোলজি জার্নালে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানান, এডিস ইজিপ্টি নামের মশার কামড়ে মানুষের দেহে এক প্রকারের ভাইরাস সংক্রমিত হয়, যা ডেঙ্গু জ্বরের জন্ম দেয়। জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি পুরুষ মশা অর্থাৎ জিএম পুরুষ মশার সঙ্গে সাধারণ স্ত্রী মশার প্রজনন ঘটিয়ে দেখা গেছে, এতে যে মশার জন্ম হয়, তা বেড়ে ওঠার আগেই মারা যায়। অর্থাৎ এডিস মশার বংশবৃদ্ধি রোধ হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা জানান, ক্যাইমান দ্বীপ অঞ্চলে প্রথমে জিএম পুরুষ মশার সঙ্গে সেখানকার নারী মশার প্রজনন ঘটানো হয়। কয়েক সপ্তাহ পরে নারী মশার অসংখ্য ডিম্বাণু সংগ্রহের পর পরীক্ষা করে দেখা যায়, জিএম মশার সঙ্গে নারী মশার প্রজননে জিএম মশার জিন সঠিকভাবেই নারী মশার ডিম্বাণুতে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। কিন্তু ওই শূককীটগুলো পরিপূর্ণ মশা হয়ে ওঠার আগেই মারা যায়।
এ প্রসঙ্গে অঙ্ফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক লুক আলফি বলেন, 'আমরা এ ঘটনায় সত্যিই বিস্মিত। এই প্রক্রিয়ায় শুধু জিএম পুরুষ মশার সঙ্গে নারী মশার সঠিকভাবে প্রজনন ঘটানোর প্রয়োজন হয়। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডেঙ্গু রোধে বেশ সাড়া পাওয়া যাবে।'
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাবি্লউএইচও) তথ্য মতে, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। এ সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে। এর মধ্যে কয়েকটি দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক। এখন পর্যন্ত এর কোনো টিকাও আবিষ্কৃত হয়নি। সূত্র: বিবিসি অনলাইন।
গবেষণা প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা জানান, ক্যাইমান দ্বীপ অঞ্চলে প্রথমে জিএম পুরুষ মশার সঙ্গে সেখানকার নারী মশার প্রজনন ঘটানো হয়। কয়েক সপ্তাহ পরে নারী মশার অসংখ্য ডিম্বাণু সংগ্রহের পর পরীক্ষা করে দেখা যায়, জিএম মশার সঙ্গে নারী মশার প্রজননে জিএম মশার জিন সঠিকভাবেই নারী মশার ডিম্বাণুতে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। কিন্তু ওই শূককীটগুলো পরিপূর্ণ মশা হয়ে ওঠার আগেই মারা যায়।
এ প্রসঙ্গে অঙ্ফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক লুক আলফি বলেন, 'আমরা এ ঘটনায় সত্যিই বিস্মিত। এই প্রক্রিয়ায় শুধু জিএম পুরুষ মশার সঙ্গে নারী মশার সঠিকভাবে প্রজনন ঘটানোর প্রয়োজন হয়। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডেঙ্গু রোধে বেশ সাড়া পাওয়া যাবে।'
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাবি্লউএইচও) তথ্য মতে, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। এ সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে। এর মধ্যে কয়েকটি দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক। এখন পর্যন্ত এর কোনো টিকাও আবিষ্কৃত হয়নি। সূত্র: বিবিসি অনলাইন।
No comments