লিবিয়া মিশন সমাপ্তি ঘোষণা ন্যাটোর-সবচেয়ে সফল অভিযান : রাসমুসেন
সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে লিবিয়া মিশনের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে ন্যাটো। একই সঙ্গে গত ৩১ মার্চ থেকে জাতিসংঘ কর্তৃক আরোপিত নো ফ্লাই জোন ও সমুদ্রপথ অবরোধ শেষ হলো। খবর বিবিসি, এএফপির।ন্যাটো মহাসচিব আন্দ্রেস ফগ রাসমুসেন বলেন, 'আমরা জাতিসংঘের অধীন একটি ঐতিহাসিক ও ন্যাটোর সবচেয়ে সফল মিশন শেষ করেছি।' তিনি বলেন, লিবিয়ার বেসামরিক জনগণকে রক্ষায় জাতিসংঘ কর্তৃক আরোপিত নো ফ্লাই জোন সফল করেছে ন্যাটো। ন্যাটোকে লিবিয়ায় মেয়াদ বাড়ানোর জন্য এনটিসির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে রাসমুসেন বলেন, লিবিয়ায় ন্যাটোর সামরিক মিশন শেষ হয়েছে। এ মুহূর্তে লিবিয়ার নাগরিকদের কোনো আক্রমণের সম্ভাবনা নেই।
তবে বেশ কয়েকটি কূটনৈতিক সূত্রের উদৃব্দতি দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, লিবিয়ায় নতুন সরকারকে তারা কীভাবে সহায়তা করতে পারে তা নিয়ে ভাবছে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো। মার্চ মাসের পর থেকে এ অভিযানে লিবিয়ায় ৯ হাজারেরও বেশি বোমা নিক্ষেপ করেছে ন্যাটো।
গত ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় বিদ্রোহীদের প্রধান ঘাঁটি বেনগাজির দিকে অগ্রসরমান গাদ্দাফি বাহিনীর ওপর আঘাত হানার মাধ্যমে ন্যাটোর লিবিয়া মিশন শুরু হয়। এরপর ২৬ হাজারের বেশিবার লিবিয়ার সীমানায় ন্যাটোর জঙ্গি বিমান হানা দেয় এবং প্রায় ১০ হাজার লক্ষ্যবস্তুর ওপর আঘাত হানে। তাদের হামলায় গাদ্দাফি অনুগত বাহিনীর এক হাজারের বেশি ট্যাংক, সাঁজোয়া যান ও কামান ধ্বংস হয়। গাদ্দাফির কমান্ড ও নেটওয়ার্ককে পুরোপুরি বিধ্বস্ত করে দেয় তারা। রাসমুসেন দাবি করেন, ন্যাটো সেনাবাহিনী লিবিয়াকে ব্যাপক গণহত্যা থেকে রক্ষা করে। অগণিত মানুষের জীবন বাঁচায়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোর মিশন সমাপ্তি ঘোষণা করা হলেও পাশ্চাত্য শক্তি লিবিয়াকে পুরোপুরি ত্যাগ করবে না। সেনা বিশেষজ্ঞদের একটি দল এনটিসিকে সাহায্য করতে সে দেশে অবস্থান করবে।
লুট হয়েছে মূল্যবান প্রত্নতাত্তি্বক নিদর্শন
এদিকে যুদ্ধের ডামাডোলে লুটপাটের শহরে পরিণত হয়েছে তেলসম্পদে সমৃদ্ধ লিবিয়ার বেনগাজি। বেনগাজি থেকে লুট হয়ে গেছে দুই হাজার বছরের পুরনো ৭ হাজার স্বর্ণ, রৌপ্য এবং ব্রোঞ্জের কয়েনসহ মূল্যবান বিভিন্ন অলঙ্কার। এগুলোর অধিকাংশই বেনগাজির ব্যাংক থেকে চুরি হয়ে যায়। বেনগ?াজি শহরের মাটির নিচে অবস্থিত একটি ভল্ট থেকে এ প্রত্নতাত্তি্বক নিদর্শনগুলো লুট হয়ে যায়।
এ ছাড়া বেনগাজির ব্যাংকে রাখা প্রাচীন বৃহদাকার পদক, ব্রেসলেট, পায়ের অলঙ্কার, কানের দুল, হাতের আংটি এবং বাজুবন্দসহ ছোট ছোট অমূল্য পাথর লুট হয়ে গেছে। সঞ্চিত এ অমূল্য সম্পদের ভাণ্ডারকে বলা হতো 'ট্রেজার অব বেনগাজি'। এ প্রত্নতাত্তি্বক নিদর্শন চুরি বা লুটের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় ঘটনা। চুরি হয়ে যাওয়া এসব শিল্পকর্ম মিসরে পাচার হয়ে গেছে বলে দাবি করেছে লিবিয়ার এনটিসি সরকার। লিবিয়ায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই বিভিন্ন সম্পদ লুটের ঘটনা গণমাধ্যমে আসছিল। কিন্তু তখন বিদ্রোহীদের গঠিত এনটিসি থেকে ঘটনাগুলো উড়িয়ে দেওয়া হয়।
গত ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় বিদ্রোহীদের প্রধান ঘাঁটি বেনগাজির দিকে অগ্রসরমান গাদ্দাফি বাহিনীর ওপর আঘাত হানার মাধ্যমে ন্যাটোর লিবিয়া মিশন শুরু হয়। এরপর ২৬ হাজারের বেশিবার লিবিয়ার সীমানায় ন্যাটোর জঙ্গি বিমান হানা দেয় এবং প্রায় ১০ হাজার লক্ষ্যবস্তুর ওপর আঘাত হানে। তাদের হামলায় গাদ্দাফি অনুগত বাহিনীর এক হাজারের বেশি ট্যাংক, সাঁজোয়া যান ও কামান ধ্বংস হয়। গাদ্দাফির কমান্ড ও নেটওয়ার্ককে পুরোপুরি বিধ্বস্ত করে দেয় তারা। রাসমুসেন দাবি করেন, ন্যাটো সেনাবাহিনী লিবিয়াকে ব্যাপক গণহত্যা থেকে রক্ষা করে। অগণিত মানুষের জীবন বাঁচায়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোর মিশন সমাপ্তি ঘোষণা করা হলেও পাশ্চাত্য শক্তি লিবিয়াকে পুরোপুরি ত্যাগ করবে না। সেনা বিশেষজ্ঞদের একটি দল এনটিসিকে সাহায্য করতে সে দেশে অবস্থান করবে।
লুট হয়েছে মূল্যবান প্রত্নতাত্তি্বক নিদর্শন
এদিকে যুদ্ধের ডামাডোলে লুটপাটের শহরে পরিণত হয়েছে তেলসম্পদে সমৃদ্ধ লিবিয়ার বেনগাজি। বেনগাজি থেকে লুট হয়ে গেছে দুই হাজার বছরের পুরনো ৭ হাজার স্বর্ণ, রৌপ্য এবং ব্রোঞ্জের কয়েনসহ মূল্যবান বিভিন্ন অলঙ্কার। এগুলোর অধিকাংশই বেনগাজির ব্যাংক থেকে চুরি হয়ে যায়। বেনগ?াজি শহরের মাটির নিচে অবস্থিত একটি ভল্ট থেকে এ প্রত্নতাত্তি্বক নিদর্শনগুলো লুট হয়ে যায়।
এ ছাড়া বেনগাজির ব্যাংকে রাখা প্রাচীন বৃহদাকার পদক, ব্রেসলেট, পায়ের অলঙ্কার, কানের দুল, হাতের আংটি এবং বাজুবন্দসহ ছোট ছোট অমূল্য পাথর লুট হয়ে গেছে। সঞ্চিত এ অমূল্য সম্পদের ভাণ্ডারকে বলা হতো 'ট্রেজার অব বেনগাজি'। এ প্রত্নতাত্তি্বক নিদর্শন চুরি বা লুটের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় ঘটনা। চুরি হয়ে যাওয়া এসব শিল্পকর্ম মিসরে পাচার হয়ে গেছে বলে দাবি করেছে লিবিয়ার এনটিসি সরকার। লিবিয়ায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই বিভিন্ন সম্পদ লুটের ঘটনা গণমাধ্যমে আসছিল। কিন্তু তখন বিদ্রোহীদের গঠিত এনটিসি থেকে ঘটনাগুলো উড়িয়ে দেওয়া হয়।
No comments