মুখোমুখি প্রতিদিন-টিটিতে এ অঞ্চলে ভালো করা খুব সম্ভব
টানা পঞ্চমবারের মতো টিটি লিগের শিরোপা জিতেছে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। সুবাদে ক্লাব সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরীও উচ্ছ্বসিত। তবে নিজের ক্লাব থেকে বেরিয়ে বৃহত্তর পরিসরে তাকালে তিনি টের পান খেলাটির দুরবস্থা। অবস্থা ফেরাতে তাঁর নিজস্ব কিছু ভাবনা আছে। কালের কণ্ঠ স্পোর্টসের মুখোমুখি হয়ে নিজের অভিজ্ঞতাপ্রসূত সেই ভাবনাগুলো সবিস্তারে জানিয়েছেন তিনিকালের কণ্ঠ স্পোর্টস : অভিনন্দন। সিনিয়র ডিভিশন টেবিল টেনিস লিগে টানা পঞ্চম শিরোপা জিতেছে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র।
নুরুল আলম চৌধুরী : ধন্যবাদ। গতকালের ম্যাচটা ছিল শুধুই নিয়ম রক্ষার, আমরা আসলে আগেই শিরোপা জিতে গেছি।
প্রশ্ন : শেষ ম্যাচে কিন্তু পাললিকের কাছে হেরেছে আপনাদের দল...
নুরুল আলম : মনে হয় এবারই একটু প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে লিগে। রানার্সআপ পাললিক ও তৃতীয় হওয়া শিশিরনও ভালো দল গড়েছিল। তাদের দলেও ভারতীয় খেলোয়াড় ছিল। আসলে আমাদের এখানে দলের বিদেশি খেলোয়াড়রাই তো গড়ে দেন পার্থক্য।
প্রশ্ন : প্রায় সব বিদেশিই আসে ভারত থেকে। এদের খেলা দেখে কি কিছু শেখার আছে আমাদের খেলোয়াড়দের? মানে এমন বিদেশিদের খেলিয়ে কি আমাদের টেবিল টেনিসের সার্বিক কোনো উন্নতি হচ্ছে?
নুরুল আলম : দলগুলো বিদেশি আনে শিরোপা জেতার জন্য, ভালো করার জন্য। সার্বিক উন্নয়নে তার প্রভাব হয়তো সামান্য। মোটা দাগে উন্নতি করতে হলে, ভালো এবং বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা লাগবে। টেবিল টেনিসের উন্নতি করতে হলে আপনাকে ঢাকার বাইরে নিয়ে যেতে হবে খেলাটাকে। যেসব জায়গায় এ খেলাটার ভালো প্রচলন আছে সেখানেই বিনিয়োগ করতে হবে। তারপর কিছু প্রতিভা খুঁজে নিয়ে এক-দুই মাসের জন্য বিদেশে পাঠানো যেতে পারে প্র্যাকটিসের জন্য। সেটা হতে পারে এমনকি আমাদের কাছের প্রতিবেশী কলকাতাও। এখন কলকাতার মান আর সর্বভারতীয় মানের মধ্যে খুব বেশি ফারাক নেই। এ রকম পরিকল্পনা করেই এগোতে হবে ফেডারেশনকে। যেভাবে চলছে সেভাবে চললে টিটির উন্নতির কোনো সুযোগ দেখি না।
প্রশ্ন : ক্লাবগুলোই তো পারে ফেডারেশনকে সঠিক পথে ফেরাতে। পরোক্ষভাবে ক্লাবের মাধ্যমেই তো খেলাটির প্রচার-প্রসার...
নুরুল আলম : এ ফেডারেশনের মেয়াদও প্রায় শেষ, তাদের আর পথ বাতলে দেওয়ার সুযোগ নেই। নতুন যারা আসবে তাদের খেলাটির উন্নয়নের ব্যাপারটা চিন্তা করতে হবে অবশ্যই। একসঙ্গে ৬৮টি জেলায় টিটি প্রচলনের কথা ভাবলে হবে না। উচ্চাভিলাষী কিছু করতে গেলেই দুই দিন পর সব বন্ধ হয়ে যাবে, ধাপে ধাপে এগোতে হবে যেন উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত থাকে। প্রাথমিকভাবে সাত-আটটি জেলা নিয়ে পরিকল্পনা করা যায়। যেমন নড়াইল, দিনাজপুর, গাইবান্ধাসহ এ রকম কয়েকটি জেলাকে বেছে নিয়ে সেখানে খেলোয়াড় তৈরি করতে হবে। তারপর ভালো প্র্যাকটিসের সুযোগ করে দিতে হবে তাদের। যেমন শিশিরন এবার তিনজন খেলোয়াড়কে কলকাতায় রেখে প্র্যাকটিস করিয়েছিল। তাদেরই একজন হাসিব, যে এবার লিগের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। আমি যেটা বুঝি, পরিকল্পনা থাকলে টেবিল টেনিসে অন্তত এ অঞ্চলে আমাদের ভালো করা খুব সম্ভব। এ জন্য বেশি টাকা-পয়সারও দরকার হবে না।
প্রশ্ন : শেষ ম্যাচে কিন্তু পাললিকের কাছে হেরেছে আপনাদের দল...
নুরুল আলম : মনে হয় এবারই একটু প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে লিগে। রানার্সআপ পাললিক ও তৃতীয় হওয়া শিশিরনও ভালো দল গড়েছিল। তাদের দলেও ভারতীয় খেলোয়াড় ছিল। আসলে আমাদের এখানে দলের বিদেশি খেলোয়াড়রাই তো গড়ে দেন পার্থক্য।
প্রশ্ন : প্রায় সব বিদেশিই আসে ভারত থেকে। এদের খেলা দেখে কি কিছু শেখার আছে আমাদের খেলোয়াড়দের? মানে এমন বিদেশিদের খেলিয়ে কি আমাদের টেবিল টেনিসের সার্বিক কোনো উন্নতি হচ্ছে?
নুরুল আলম : দলগুলো বিদেশি আনে শিরোপা জেতার জন্য, ভালো করার জন্য। সার্বিক উন্নয়নে তার প্রভাব হয়তো সামান্য। মোটা দাগে উন্নতি করতে হলে, ভালো এবং বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা লাগবে। টেবিল টেনিসের উন্নতি করতে হলে আপনাকে ঢাকার বাইরে নিয়ে যেতে হবে খেলাটাকে। যেসব জায়গায় এ খেলাটার ভালো প্রচলন আছে সেখানেই বিনিয়োগ করতে হবে। তারপর কিছু প্রতিভা খুঁজে নিয়ে এক-দুই মাসের জন্য বিদেশে পাঠানো যেতে পারে প্র্যাকটিসের জন্য। সেটা হতে পারে এমনকি আমাদের কাছের প্রতিবেশী কলকাতাও। এখন কলকাতার মান আর সর্বভারতীয় মানের মধ্যে খুব বেশি ফারাক নেই। এ রকম পরিকল্পনা করেই এগোতে হবে ফেডারেশনকে। যেভাবে চলছে সেভাবে চললে টিটির উন্নতির কোনো সুযোগ দেখি না।
প্রশ্ন : ক্লাবগুলোই তো পারে ফেডারেশনকে সঠিক পথে ফেরাতে। পরোক্ষভাবে ক্লাবের মাধ্যমেই তো খেলাটির প্রচার-প্রসার...
নুরুল আলম : এ ফেডারেশনের মেয়াদও প্রায় শেষ, তাদের আর পথ বাতলে দেওয়ার সুযোগ নেই। নতুন যারা আসবে তাদের খেলাটির উন্নয়নের ব্যাপারটা চিন্তা করতে হবে অবশ্যই। একসঙ্গে ৬৮টি জেলায় টিটি প্রচলনের কথা ভাবলে হবে না। উচ্চাভিলাষী কিছু করতে গেলেই দুই দিন পর সব বন্ধ হয়ে যাবে, ধাপে ধাপে এগোতে হবে যেন উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত থাকে। প্রাথমিকভাবে সাত-আটটি জেলা নিয়ে পরিকল্পনা করা যায়। যেমন নড়াইল, দিনাজপুর, গাইবান্ধাসহ এ রকম কয়েকটি জেলাকে বেছে নিয়ে সেখানে খেলোয়াড় তৈরি করতে হবে। তারপর ভালো প্র্যাকটিসের সুযোগ করে দিতে হবে তাদের। যেমন শিশিরন এবার তিনজন খেলোয়াড়কে কলকাতায় রেখে প্র্যাকটিস করিয়েছিল। তাদেরই একজন হাসিব, যে এবার লিগের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। আমি যেটা বুঝি, পরিকল্পনা থাকলে টেবিল টেনিসে অন্তত এ অঞ্চলে আমাদের ভালো করা খুব সম্ভব। এ জন্য বেশি টাকা-পয়সারও দরকার হবে না।
No comments