যুক্তরাষ্ট্রে দারিদ্র্যের হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে
যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯৩ সালের পর দারিদ্র্যের হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশটিতে এখন প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। গত বছর দেশটিতে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় চার কোটি ৬২ লাখে। গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত তথ্য থেকে এ কথা জানা যায়।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১০ সালের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে দারিদ্র্যের হার বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ১ শতাংশ। ১৯৯৩ সালের পর দেশটিতে দারিদ্র্যের হার এটাই সর্বোচ্চ। ২০০৯ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ। স্বাস্থ্যবিমার আওতার বাইরে থাকা মার্কিন নাগরিকের সংখ্যা সামান্য বেড়ে দাঁড়ায় চার কোটি ৯৯ লাখে। দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের সংখ্যা টানা চার বছর ধরে বেড়েছে।
চারজনের পরিবারের বার্ষিক আয় ২২ হাজার ৩১৪ ডলার বা তার কম হলে কোনো পরিবারকে এবং কোনো ব্যক্তির বার্ষিক আয় ১১ হাজার ১৩৯ ডলার বা তার কম হলে তাঁকে দরিদ্র হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ১৮ বছরের কম বয়সীদের দারিদ্র্যের হার বেড়ে দাঁড়ায় ২২ শতাংশে। ২০০৯ সালে যা ছিল ২০ দশমিক ৭ শতাংশ।
অ্যাডভোকেসি গ্রুপ দ্য চিলড্রেনস লিডারশিপ কাউন্সিল শিশুদের দারিদ্র্যের এ হারকে ‘আমেরিকায় অগ্রহণযোগ্য’ বলে বর্ণনা করেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমরা বর্তমানে শিশু দারিদ্র্যের জন্য মূল্য দিচ্ছি। সামনের দশকগুলোতেও আমাদের এ জন্য মূল্য দিতে হবে।’
২০১০ সালের হিসাবে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দারিদ্র্যের হার সর্বোচ্চ। সেখানকার ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। আর দক্ষিণাঞ্চলের ১৯ দশমিক ১ শতাংশ মানুষের স্বাস্থ্যবিমা ছিল না।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, দেশের এক কোটি চার লাখের বেশি মানুষ এখন বেকার।
সর্বশেষ প্রকাশিত পরিসংখানে এশীয় বংশোদ্ভূত লোকজনের দারিদ্র্যের হার কমে ১২ দশমিক ১-এ পৌঁছেছে। এক বছর আগে এ হার ছিল ১২ দশমিক ৫ শতাংশ।
গত এক দশককে অর্থনৈতিক তৎ পরতা হারানোর দশক হিসেবে উল্লেখ করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক লরেন্স কাইজ। তিনি বলেন, ইতিহাসে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রজন্ম আগের প্রজন্মের চেয়ে বরাবরই ভালো করেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবিত্তের অবস্থা আরও নাজুক হয়েছে।
গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ব্রুকিং ইনস্টিটিউশনের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, আগামী দশকের মধ্যভাগে আরও এক কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাবে।
ব্যাপক কর্মহীনতা ও অর্থনৈতিক মন্দাকে যুক্তরাষ্ট্রের দারিদ্র্য বৃদ্ধির জন্য দায়ী করা হচ্ছে। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ এক দিনের জন্যও কাজ করার সুযোগ পায়নি।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১০ সালের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে দারিদ্র্যের হার বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ১ শতাংশ। ১৯৯৩ সালের পর দেশটিতে দারিদ্র্যের হার এটাই সর্বোচ্চ। ২০০৯ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ। স্বাস্থ্যবিমার আওতার বাইরে থাকা মার্কিন নাগরিকের সংখ্যা সামান্য বেড়ে দাঁড়ায় চার কোটি ৯৯ লাখে। দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের সংখ্যা টানা চার বছর ধরে বেড়েছে।
চারজনের পরিবারের বার্ষিক আয় ২২ হাজার ৩১৪ ডলার বা তার কম হলে কোনো পরিবারকে এবং কোনো ব্যক্তির বার্ষিক আয় ১১ হাজার ১৩৯ ডলার বা তার কম হলে তাঁকে দরিদ্র হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ১৮ বছরের কম বয়সীদের দারিদ্র্যের হার বেড়ে দাঁড়ায় ২২ শতাংশে। ২০০৯ সালে যা ছিল ২০ দশমিক ৭ শতাংশ।
অ্যাডভোকেসি গ্রুপ দ্য চিলড্রেনস লিডারশিপ কাউন্সিল শিশুদের দারিদ্র্যের এ হারকে ‘আমেরিকায় অগ্রহণযোগ্য’ বলে বর্ণনা করেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমরা বর্তমানে শিশু দারিদ্র্যের জন্য মূল্য দিচ্ছি। সামনের দশকগুলোতেও আমাদের এ জন্য মূল্য দিতে হবে।’
২০১০ সালের হিসাবে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দারিদ্র্যের হার সর্বোচ্চ। সেখানকার ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। আর দক্ষিণাঞ্চলের ১৯ দশমিক ১ শতাংশ মানুষের স্বাস্থ্যবিমা ছিল না।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, দেশের এক কোটি চার লাখের বেশি মানুষ এখন বেকার।
সর্বশেষ প্রকাশিত পরিসংখানে এশীয় বংশোদ্ভূত লোকজনের দারিদ্র্যের হার কমে ১২ দশমিক ১-এ পৌঁছেছে। এক বছর আগে এ হার ছিল ১২ দশমিক ৫ শতাংশ।
গত এক দশককে অর্থনৈতিক তৎ পরতা হারানোর দশক হিসেবে উল্লেখ করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক লরেন্স কাইজ। তিনি বলেন, ইতিহাসে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রজন্ম আগের প্রজন্মের চেয়ে বরাবরই ভালো করেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবিত্তের অবস্থা আরও নাজুক হয়েছে।
গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ব্রুকিং ইনস্টিটিউশনের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, আগামী দশকের মধ্যভাগে আরও এক কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাবে।
ব্যাপক কর্মহীনতা ও অর্থনৈতিক মন্দাকে যুক্তরাষ্ট্রের দারিদ্র্য বৃদ্ধির জন্য দায়ী করা হচ্ছে। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ এক দিনের জন্যও কাজ করার সুযোগ পায়নি।
No comments