‘আমি তোমার সঙ্গেই মরতে চাই’
‘যাই ঘটুক, আমরা সবাই একসঙ্গে থাকব। আমি শুধু তোমার সঙ্গে থাকতে চাই। তোমার সঙ্গেই মরতে চাই।’
১৯৬২ সালে কিউবা ক্ষেপণাস্ত্র-সংকট চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র ও তৎ কালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে এ কথা বলেছিলেন তাঁর স্ত্রী জ্যাকুলিন কেনেডি। এক সাক্ষাৎ কারে এ কথা জানান এই সাবেক ফার্স্টলেডি। গত মঙ্গলবার এবিসি নিউজে তাঁর রেকর্ড করা সেই সাক্ষাৎ কার প্রচার করা হয়।
১৯৯৪ সালে মারা যান জ্যাকুলিন ওরফে জ্যাকি। তাঁর মৃত্যুর পর এই প্রথম সাক্ষাৎ কারটি প্রচার করা হয়। এতে মার্কিন নাগরিক আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিং একজন ‘ভয়ঙ্কর ব্যক্তি’ এবং ভারতের নেত্রী ইন্দিরা গান্ধী ‘ভয়ানক এক নারী’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ ছাড়া ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট শার্ল দ্য গলকে ‘বিদ্বেষপূর্ণ মানুষ’ বলে আখ্যা দেন।
বিশ্ব গণমাধ্যমে তাঁর এই সাক্ষাৎ কারে প্রচারিত হয়। ওই সাক্ষাৎ কার নিয়ে জ্যাকুলিন কেনেডি: হিস্টোরিক কনভারসেশন অন লাইফ উইথ জন এফ কেনেডি শিরোনামে গতকাল বুধবার একটি বইও প্রকাশ করা হয়। জন এফ কেনেডি ও জ্যাকুলিন কেনেডির মেয়ে ক্যারোলিন কেনেডি বাবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার ৫০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বইটি প্রকাশ করেন।
১৯৬৩ সালে জন এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস পর মার্কিন ইতিহাসবিদ আর্থার শ্লেসিঙ্গার সাক্ষাৎ কার নেন জ্যাকুলিনের। তাঁর মৃত্যুর আগে এই সাক্ষাৎ কার প্রকাশ করা হবে না—এই শর্তে সাক্ষাৎ কার দিতে রাজি হন জ্যাকুলিন। আট ঘণ্টার এই সাক্ষাৎ কারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দফায় কিউবা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা চালায়। স্নায়ুযুদ্ধের সময় বিষয়টি নিয়ে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছায়। ১৯৬২ সালের অক্টোবরে কিউবা ও সোভিয়েত ইউনিয়ন গোপনে কিউবায় মাঝারি পাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের ঘাঁটি তৈরির কাজ শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন পারমাণবিক যুদ্ধের খুব কাছাকাছি চলে আসে। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কর্মকর্তা স্ত্রীকে দূরে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু জ্যাকুলিন স্বামী এফ কেনেডির সঙ্গেই থাকার ইচ্ছা পোষণ করেন। হোয়াইট হাউসে হামলা চালানো হলে নিরাপদ কোনো কক্ষ না থাকা সত্ত্বেও সেখানেই থাকতে চেয়েছিলেন জ্যাকুলিন।
১৯৬২ সালে কিউবা ক্ষেপণাস্ত্র-সংকট চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র ও তৎ কালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে এ কথা বলেছিলেন তাঁর স্ত্রী জ্যাকুলিন কেনেডি। এক সাক্ষাৎ কারে এ কথা জানান এই সাবেক ফার্স্টলেডি। গত মঙ্গলবার এবিসি নিউজে তাঁর রেকর্ড করা সেই সাক্ষাৎ কার প্রচার করা হয়।
১৯৯৪ সালে মারা যান জ্যাকুলিন ওরফে জ্যাকি। তাঁর মৃত্যুর পর এই প্রথম সাক্ষাৎ কারটি প্রচার করা হয়। এতে মার্কিন নাগরিক আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিং একজন ‘ভয়ঙ্কর ব্যক্তি’ এবং ভারতের নেত্রী ইন্দিরা গান্ধী ‘ভয়ানক এক নারী’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ ছাড়া ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট শার্ল দ্য গলকে ‘বিদ্বেষপূর্ণ মানুষ’ বলে আখ্যা দেন।
বিশ্ব গণমাধ্যমে তাঁর এই সাক্ষাৎ কারে প্রচারিত হয়। ওই সাক্ষাৎ কার নিয়ে জ্যাকুলিন কেনেডি: হিস্টোরিক কনভারসেশন অন লাইফ উইথ জন এফ কেনেডি শিরোনামে গতকাল বুধবার একটি বইও প্রকাশ করা হয়। জন এফ কেনেডি ও জ্যাকুলিন কেনেডির মেয়ে ক্যারোলিন কেনেডি বাবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার ৫০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বইটি প্রকাশ করেন।
১৯৬৩ সালে জন এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস পর মার্কিন ইতিহাসবিদ আর্থার শ্লেসিঙ্গার সাক্ষাৎ কার নেন জ্যাকুলিনের। তাঁর মৃত্যুর আগে এই সাক্ষাৎ কার প্রকাশ করা হবে না—এই শর্তে সাক্ষাৎ কার দিতে রাজি হন জ্যাকুলিন। আট ঘণ্টার এই সাক্ষাৎ কারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দফায় কিউবা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা চালায়। স্নায়ুযুদ্ধের সময় বিষয়টি নিয়ে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছায়। ১৯৬২ সালের অক্টোবরে কিউবা ও সোভিয়েত ইউনিয়ন গোপনে কিউবায় মাঝারি পাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের ঘাঁটি তৈরির কাজ শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন পারমাণবিক যুদ্ধের খুব কাছাকাছি চলে আসে। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কর্মকর্তা স্ত্রীকে দূরে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু জ্যাকুলিন স্বামী এফ কেনেডির সঙ্গেই থাকার ইচ্ছা পোষণ করেন। হোয়াইট হাউসে হামলা চালানো হলে নিরাপদ কোনো কক্ষ না থাকা সত্ত্বেও সেখানেই থাকতে চেয়েছিলেন জ্যাকুলিন।
No comments