অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে বাদ দেব, বললেন অর্থমন্ত্রী
পদ্মা সেতু নির্মাণে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগে সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা অভিযুক্ত এক প্রতিষ্ঠানকে বাদ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি বেশ হাস্যকর। এখনো কোনো প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশই দেওয়া হয়নি। দুর্নীতির কোনো কাগজপত্রও নেই। তার পরও ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নালিশ হয়েছে। নালিশ যখন হয়েছেই, বাদ দিয়ে দেব। আরও চারটি প্রতিষ্ঠান তো থাকবে।’
পরিকল্পনা কমিশন ও বিশ্বব্যাংকের আয়োজনে ‘সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে অর্থমন্ত্রী গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের আরও জানান, বর্তমান সরকারের আড়াই বছরে বিশ্বব্যাংক মাত্র একটি দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে। কিন্তু এর আগে আরও চারটি দুর্নীতির অভিযোগ করেছিল বিশ্বব্যাংক, যা বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও বিএনপি সরকারের আমলে সংঘটিত হয়। সেসব দুর্নীতির কারণে এখনো বর্তমান সরকারকে ভুগতে হচ্ছে বলে তিনি জানান।
ওয়েস্টিন হোটেলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে আরও বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার, পরিকল্পনাসচিব মনজুর হোসেন, বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর তাহসিন সাইদ প্রমুখ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি বিনিয়োগ এখনো মোট দেশজ উৎ পাদনের মাত্র সাড়ে ৪ শতাংশ। এই হার ৬ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এ জন্য মানসম্পন্ন সরকারি বিনিয়োগ করতে হবে। আর বেসরকারি বিনিয়োগের পথ সুগম করতে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো হবে।
তিনটি কারণে সরকারি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয় বলে জানান অর্থমন্ত্রী। এগুলো হলো অর্থের অব্যবস্থাপনা, প্রকল্পের অব্যবস্থাপনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব।
আবুল মাল আবদুল মুহিত আরও বলেন, বিদেশি সহায়তা এ দেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। তবে বাংলাদেশের তা কমে আসছে। এখনো মোট বিনিয়োগ কমর্সূচির ২ শতাংশেরও কম হলো বিদেশি সহায়তা।
পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার বলেন, উচ্চ প্রবৃদ্ধির জন্য সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ দরকার। বর্তমান সরকারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মোট ব্যয়ের ৭৭ দশমিক ২ শতাংশই আসছে বেসরকারি বিনিয়োগ থেকে। আর এই বেসরকারি বিনিয়োগ উৎ সাহিত করতে মানসম্পন্ন সরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
পরিকল্পনাসচিব মনজুর হোসেন জানান, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বিদেশি সহায়তার ব্যবহার একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আর অর্থসংকটের কারণে বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোকে প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে হবে।
বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর তাহসিন সাইদ বলেন, এবারই প্রথমবারের মতো অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনার মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এই সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তারা উপকৃত হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে ভারত, তুরস্ক, ভিয়েতনাম, কোরিয়া ও ফিলিপাইনের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। গতকালের বিভিন্ন কর্ম-অধিবেশনে বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য শামসুল আলম, বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ জুংহান চু, সরকারি বিনিয়োগসংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ মুরে পেত্রি, পরিকল্পনাসচিব মনজুর হোসেন প্রমুখ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি বেশ হাস্যকর। এখনো কোনো প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশই দেওয়া হয়নি। দুর্নীতির কোনো কাগজপত্রও নেই। তার পরও ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নালিশ হয়েছে। নালিশ যখন হয়েছেই, বাদ দিয়ে দেব। আরও চারটি প্রতিষ্ঠান তো থাকবে।’
পরিকল্পনা কমিশন ও বিশ্বব্যাংকের আয়োজনে ‘সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে অর্থমন্ত্রী গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের আরও জানান, বর্তমান সরকারের আড়াই বছরে বিশ্বব্যাংক মাত্র একটি দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে। কিন্তু এর আগে আরও চারটি দুর্নীতির অভিযোগ করেছিল বিশ্বব্যাংক, যা বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও বিএনপি সরকারের আমলে সংঘটিত হয়। সেসব দুর্নীতির কারণে এখনো বর্তমান সরকারকে ভুগতে হচ্ছে বলে তিনি জানান।
ওয়েস্টিন হোটেলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে আরও বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার, পরিকল্পনাসচিব মনজুর হোসেন, বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর তাহসিন সাইদ প্রমুখ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি বিনিয়োগ এখনো মোট দেশজ উৎ পাদনের মাত্র সাড়ে ৪ শতাংশ। এই হার ৬ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এ জন্য মানসম্পন্ন সরকারি বিনিয়োগ করতে হবে। আর বেসরকারি বিনিয়োগের পথ সুগম করতে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো হবে।
তিনটি কারণে সরকারি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয় বলে জানান অর্থমন্ত্রী। এগুলো হলো অর্থের অব্যবস্থাপনা, প্রকল্পের অব্যবস্থাপনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব।
আবুল মাল আবদুল মুহিত আরও বলেন, বিদেশি সহায়তা এ দেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। তবে বাংলাদেশের তা কমে আসছে। এখনো মোট বিনিয়োগ কমর্সূচির ২ শতাংশেরও কম হলো বিদেশি সহায়তা।
পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার বলেন, উচ্চ প্রবৃদ্ধির জন্য সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ দরকার। বর্তমান সরকারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মোট ব্যয়ের ৭৭ দশমিক ২ শতাংশই আসছে বেসরকারি বিনিয়োগ থেকে। আর এই বেসরকারি বিনিয়োগ উৎ সাহিত করতে মানসম্পন্ন সরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
পরিকল্পনাসচিব মনজুর হোসেন জানান, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বিদেশি সহায়তার ব্যবহার একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আর অর্থসংকটের কারণে বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোকে প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে হবে।
বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর তাহসিন সাইদ বলেন, এবারই প্রথমবারের মতো অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনার মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এই সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তারা উপকৃত হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে ভারত, তুরস্ক, ভিয়েতনাম, কোরিয়া ও ফিলিপাইনের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। গতকালের বিভিন্ন কর্ম-অধিবেশনে বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য শামসুল আলম, বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ জুংহান চু, সরকারি বিনিয়োগসংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ মুরে পেত্রি, পরিকল্পনাসচিব মনজুর হোসেন প্রমুখ।
No comments