নাইজারে নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে সাদি গাদ্দাফি
লিবিয়ার ক্ষমতাচ্যুত নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে সাদি গাদ্দাফি প্রতিবেশী দেশ নাইজারে রয়েছেন। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর ‘হেফাজতে’ আছেন তিনি। তবে কর্নেল গাদ্দাফির অবস্থান এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিশ্বব্যাংক লিবিয়ার বিদ্রোহীদের গঠিত ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলকে (এনটিসি) আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। ব্যাংকটি যুদ্ধ-পরবর্তী লিবিয়া পুনর্গঠনে মুখ্য ভূমিকা পালনেরও অঙ্গীকার করেছে।
গাদ্দাফির সাত ছেলের মধ্যে তৃতীয় সাদি। ৩৮ বছর বয়সী সাদি চলতি মাসেই ৩২ জন কর্মকর্তাসহ প্রতিবেশী দেশ নাইজারে পালিয়ে যান। তাঁদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় তিনজন জেনারেলও আছেন। নাইজারের কর্মকর্তারা জানান, গত মঙ্গলবার তিনি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের শহর আগাডেজ ছেড়ে রাজধানী নিয়ামের দিকে যান।
যুক্তরাষ্ট্র নাইজার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়, সাদি গাদ্দাফি দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড জানান, সাদিকে নাইজারের রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায় রাখা হয়েছে।
তবে গাদ্দাফি কোথায় আছেন, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি সামরিক জোট ন্যাটো। গাদ্দাফিবিরোধী অভিযানে বিদ্রোহীদের সহায়তা দেওয়া ন্যাটো জানায়, তারা লিবিয়ায় গাদ্দাফির সেনাদের ওপর হামলা চালিয়ে যাবে। তাদের হামলার লক্ষ্য গাদ্দাফি নয়।
গত ২৫ আগস্ট গাদ্দাফির প্রধান আশ্রয়স্থল ত্রিপোলির বাব আল-আজিজিয়ার পতনের পর থেকে পলাতক গাদ্দাফি। তবে প্রায়ই সিরিয়াভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আরাই ওরুবায় অডিও বার্তা পাঠিয়ে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুগত সেনাদের উদ্বুদ্ধ করছেন তিনি। কোনো কোনো অডিও বার্তায় তিনি লিবিয়াতেই আছেন বলে দাবি করেন।
লিবিয়া অভিযানবিষয়ক ন্যাটোর মুখপাত্র কর্নেল রোনাল্ড লভোই বলেন, বিভিন্ন সূত্র ও গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী গাদ্দাফি এখনো লিবিয়ায় আছেন। কিন্তু ঠিক কোথায় অবস্থান করছেন, তা এখনো জানা যায়নি। গত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথাও বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, গাদ্দাফি লিবিয়া ছেড়ে পালিয়েছেন কি না, আমরাও তা জানি না।’
বিশ্বব্যাংক গত মঙ্গলবার লিবিয়া পুনর্গঠনে কাজ করার অঙ্গীকার করে। বিশ্বব্যাংক জানায়, এনটিসি এরই মধ্যে পানি, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ অবকাঠামো পুনর্গঠনে কাজ করতে তাদের কাছে আবেদন করেছে। বাজেট ও ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠনে আইএমএফকে সঙ্গে নিয়ে এনটিসিকে সহায়তা করা হবে বলেও জানায় বিশ্বব্যাংক।
ত্রিপোলিতে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী: মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেফরি ফেল্টম্যান গতকাল বুধবার লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে এনটিসির প্রধান মুস্তাফা আবদেল জলিলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত মাসে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর ওবামা প্রশাসনের কোনো সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ত্রিপোলি সফরের ঘটনা এটাই প্রথম। তবে তিনি কবে ত্রিপোলি পৌঁছান, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিশ্বব্যাংক লিবিয়ার বিদ্রোহীদের গঠিত ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলকে (এনটিসি) আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। ব্যাংকটি যুদ্ধ-পরবর্তী লিবিয়া পুনর্গঠনে মুখ্য ভূমিকা পালনেরও অঙ্গীকার করেছে।
গাদ্দাফির সাত ছেলের মধ্যে তৃতীয় সাদি। ৩৮ বছর বয়সী সাদি চলতি মাসেই ৩২ জন কর্মকর্তাসহ প্রতিবেশী দেশ নাইজারে পালিয়ে যান। তাঁদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় তিনজন জেনারেলও আছেন। নাইজারের কর্মকর্তারা জানান, গত মঙ্গলবার তিনি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের শহর আগাডেজ ছেড়ে রাজধানী নিয়ামের দিকে যান।
যুক্তরাষ্ট্র নাইজার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়, সাদি গাদ্দাফি দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড জানান, সাদিকে নাইজারের রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায় রাখা হয়েছে।
তবে গাদ্দাফি কোথায় আছেন, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি সামরিক জোট ন্যাটো। গাদ্দাফিবিরোধী অভিযানে বিদ্রোহীদের সহায়তা দেওয়া ন্যাটো জানায়, তারা লিবিয়ায় গাদ্দাফির সেনাদের ওপর হামলা চালিয়ে যাবে। তাদের হামলার লক্ষ্য গাদ্দাফি নয়।
গত ২৫ আগস্ট গাদ্দাফির প্রধান আশ্রয়স্থল ত্রিপোলির বাব আল-আজিজিয়ার পতনের পর থেকে পলাতক গাদ্দাফি। তবে প্রায়ই সিরিয়াভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আরাই ওরুবায় অডিও বার্তা পাঠিয়ে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুগত সেনাদের উদ্বুদ্ধ করছেন তিনি। কোনো কোনো অডিও বার্তায় তিনি লিবিয়াতেই আছেন বলে দাবি করেন।
লিবিয়া অভিযানবিষয়ক ন্যাটোর মুখপাত্র কর্নেল রোনাল্ড লভোই বলেন, বিভিন্ন সূত্র ও গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী গাদ্দাফি এখনো লিবিয়ায় আছেন। কিন্তু ঠিক কোথায় অবস্থান করছেন, তা এখনো জানা যায়নি। গত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথাও বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, গাদ্দাফি লিবিয়া ছেড়ে পালিয়েছেন কি না, আমরাও তা জানি না।’
বিশ্বব্যাংক গত মঙ্গলবার লিবিয়া পুনর্গঠনে কাজ করার অঙ্গীকার করে। বিশ্বব্যাংক জানায়, এনটিসি এরই মধ্যে পানি, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ অবকাঠামো পুনর্গঠনে কাজ করতে তাদের কাছে আবেদন করেছে। বাজেট ও ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠনে আইএমএফকে সঙ্গে নিয়ে এনটিসিকে সহায়তা করা হবে বলেও জানায় বিশ্বব্যাংক।
ত্রিপোলিতে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী: মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেফরি ফেল্টম্যান গতকাল বুধবার লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে এনটিসির প্রধান মুস্তাফা আবদেল জলিলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত মাসে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর ওবামা প্রশাসনের কোনো সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ত্রিপোলি সফরের ঘটনা এটাই প্রথম। তবে তিনি কবে ত্রিপোলি পৌঁছান, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
No comments