ঈদেও স্বর্ণকাররা বেকার!
প্রতিবছর ঈদ এলে স্বর্ণালংকার তৈরির কারিগরদের (স্বর্ণকার) ব্যস্ততার সীমা থাকে না। কিন্তু এবারের ঈদে পাবনার বেড়া উপজেলায় স্বর্ণালংকার তৈরির শতাধিক দোকানে কারিগরদের কোনো ব্যস্ততাই নেই। কাজের অভাবে তাঁরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। অনেকেই ইতিমধ্যে পেশা পরিবর্তন করেছেন।
স্বর্ণের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতা কমে গেছে। তাই স্বর্ণালংকার তৈরির অন্যতম ভরা এ মৌসুমে উপজেলার প্রায় এক হাজার স্বর্ণকার প্রায় বেকার হয়ে বসে আছেন। ক্রেতা না থাকায় স্বর্ণালংকার ব্যবসায়ীদের গুনতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের লোকসান।
স্বর্ণালংকার তৈরির দোকান-মালিকেরা জানান, মাস তিনেক আগেও প্রতি ভরি পাকা স্বর্ণের দাম ছিল ৪৩ হাজার টাকা। এখন দাম ৫৫ হাজার ৫০০ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। সোনার বাজার এতই অস্থির যে দু-এক দিন পরপরই দাম বেড়ে চলেছে। এভাবে দাম বেড়ে চলায় আগে যেসব স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিক্রির আদেশ নিয়েছিলেন, তাঁদের এখন লোকসান দিয়ে গ্রাহকদের স্বর্ণালংকার তৈরি করে দিতে হচ্ছে।
বেড়া বাজারের গয়না তৈরির প্রতিষ্ঠান আধুনিকা শিল্পালয়ের মালিক বাবলু কর্মকার বলেন, ‘গত ঈদে (ঈদুল ফিতর) আমার দোকানে প্রায় ৬০ ভরি সোনার গয়না তৈরি হয়েছিল। অথচ এবার ভরি দশেক সোনার গয়না তৈরি হতে পারে। তাও আগে তৈরি করে দেওয়ার আদেশ নেওয়া হয়েছিল।’
গয়না তৈরির কারিগর নীতিশ কর্মকার বলেন, ‘এবার কোনো কাজই নেই। ঈদ সামনে রেখে বাড়তি আয় তো দূরের কথা, সংসার চালানোই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
প্রীতম শিল্পালয়ের মালিক রাম কর্মকার বলেন, ‘স্বর্ণের দাম এভাবে দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় কয়েক দিনে আমার ৫০ হাজার টাকার বেশি লোকসান হয়েছে।’
জানা যায়, কাজ না থাকায় অনেক স্বর্ণালংকার ব্যবসায়ী ও কারিগর পেশা বদলে বাধ্য হচ্ছেন। বেড়া শেখপাড়া মহল্লার বাছেদ আলী তেমনই একজন। তিনি বলেন, ‘স্বর্ণের কাজ বাদ দিয়ে ছোট্ট এই মুদি দোকান দিয়েছি। এখন এতে অন্তত ডাল-ভাত জুটছে।’
বেড়া উপজেলা স্বর্ণালংকার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সাবিত্রী শিল্পালয়ের মালিক সমর কর্মকার বলেন, ‘স্বর্ণ ব্যবসায়ীসহ স্বর্ণকারদের এমন দুঃসময় আগে কখনো দেখা যায়নি।’
স্বর্ণের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতা কমে গেছে। তাই স্বর্ণালংকার তৈরির অন্যতম ভরা এ মৌসুমে উপজেলার প্রায় এক হাজার স্বর্ণকার প্রায় বেকার হয়ে বসে আছেন। ক্রেতা না থাকায় স্বর্ণালংকার ব্যবসায়ীদের গুনতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের লোকসান।
স্বর্ণালংকার তৈরির দোকান-মালিকেরা জানান, মাস তিনেক আগেও প্রতি ভরি পাকা স্বর্ণের দাম ছিল ৪৩ হাজার টাকা। এখন দাম ৫৫ হাজার ৫০০ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। সোনার বাজার এতই অস্থির যে দু-এক দিন পরপরই দাম বেড়ে চলেছে। এভাবে দাম বেড়ে চলায় আগে যেসব স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিক্রির আদেশ নিয়েছিলেন, তাঁদের এখন লোকসান দিয়ে গ্রাহকদের স্বর্ণালংকার তৈরি করে দিতে হচ্ছে।
বেড়া বাজারের গয়না তৈরির প্রতিষ্ঠান আধুনিকা শিল্পালয়ের মালিক বাবলু কর্মকার বলেন, ‘গত ঈদে (ঈদুল ফিতর) আমার দোকানে প্রায় ৬০ ভরি সোনার গয়না তৈরি হয়েছিল। অথচ এবার ভরি দশেক সোনার গয়না তৈরি হতে পারে। তাও আগে তৈরি করে দেওয়ার আদেশ নেওয়া হয়েছিল।’
গয়না তৈরির কারিগর নীতিশ কর্মকার বলেন, ‘এবার কোনো কাজই নেই। ঈদ সামনে রেখে বাড়তি আয় তো দূরের কথা, সংসার চালানোই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
প্রীতম শিল্পালয়ের মালিক রাম কর্মকার বলেন, ‘স্বর্ণের দাম এভাবে দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় কয়েক দিনে আমার ৫০ হাজার টাকার বেশি লোকসান হয়েছে।’
জানা যায়, কাজ না থাকায় অনেক স্বর্ণালংকার ব্যবসায়ী ও কারিগর পেশা বদলে বাধ্য হচ্ছেন। বেড়া শেখপাড়া মহল্লার বাছেদ আলী তেমনই একজন। তিনি বলেন, ‘স্বর্ণের কাজ বাদ দিয়ে ছোট্ট এই মুদি দোকান দিয়েছি। এখন এতে অন্তত ডাল-ভাত জুটছে।’
বেড়া উপজেলা স্বর্ণালংকার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সাবিত্রী শিল্পালয়ের মালিক সমর কর্মকার বলেন, ‘স্বর্ণ ব্যবসায়ীসহ স্বর্ণকারদের এমন দুঃসময় আগে কখনো দেখা যায়নি।’
No comments