আর্সেনালের দুঃস্বপ্নের রাত
বিস্ময়—ইংল্যান্ডের ফুটবল আকাশে উড়ছে এই একটি শব্দ। আর্সেনাল হতভম্ব-বিস্মিত ৮ গোল খেয়ে। আর্সেনালকে ৮ গোল দেওয়ার বিস্ময় ম্যানইউ শিবিরে। আর ফুটবল অনুরাগীরা বিস্মিত ১০ গোলের অপ্রত্যাশিত এক ম্যাচ দেখে।
আর্সেনাল ম্যানইউর কাছে ২-৮ গোলে হারবে, পরশু ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যাচ শুরুর আগে কেউ হয়তো স্বপ্নেও ভাবেনি। ম্যানইউ কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসন ম্যাচ শেষে তাঁর বিস্ময় গোপন করেননি, ‘এটা সত্যিই এক বিস্ময়। কারণ, আপনি যখন আর্সেনালের বিপক্ষে খেলবেন তখন কঠিন এক ম্যাচই আশা করবেন।’ আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার আর কী বলবেন! স্তম্ভিত ওয়েঙ্গারের তাৎ ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল এ রকম, ‘আপনি যখন ৮ গোল খাবেন, লজ্জা তো লাগবেই। আমাদের জন্য এটি ভয়াবহ এক দিন।’
ম্যাচের ২২ মিনিটে ফার্গুসনের তরুণ স্ট্রাইকার ড্যানি ওয়েলবেক যখন প্রথম গোল করেন, তখন অনুমানও করা যায়নি আর্সেনালের কপালে এমন দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে। দুর্ভোগের শুরু মনে হয় এই গোলের খানিক পর থেকেই শুরু হয়েছে। ওয়েলবেকের গোল শোধ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে ‘গানার’রা। কিন্তু অধিনায়ক রবিন ফন পার্সির পেনাল্টি ঠেকিয়ে দিয়েছেন ম্যানইউর গোলরক্ষক ডেভিড গি গিয়া। ৩-১ স্কোরলাইনে শেষ হওয়া প্রথমার্ধও বাকি ৪৫ মিনিটের নাটকের পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ। দ্বিতীয়ার্ধে ছয় গোল হয়েছে, পাঁচটিই করেছে ম্যানইউ। ম্যানইউয়ের বিপক্ষে এটি তো আর্সেনালের সবচেয়ে বড় পরাজয় বটেই, ১৮৯৬ সালের পরই এত বড় ব্যবধানে হারেনি ইংলিশ ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি।
অনেকেই আর্সেনালের এই দুরবস্থার কারণ হিসেবে দেখছেন সেস ফ্যাব্রিগাস আর সামির নাসরির বিদায়কে। আর্সেনাল কোচ অবশ্য বলছেন চোট আর দুর্বলতার কথা, ‘হীনশক্তির দল আর দুর্বলতার সমন্বয় ঘটেছে এখানে। দ্বিতীয়ার্ধে শারীরিকভাবেই ভেঙে পড়েছি আমরা। আজ (পরশু) তো আমাদের ৮ জন খেলোয়াড় বাইরে ছিল (চোট আর নিষেধাজ্ঞার কারণে)। ৮ জনকে বাইরে রেখে খেললে যেকোনো দলকেই এভাবে ভুগতে হবে।’ এই পরাজয় খেলোয়াড় কেনার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তেও বলছে ওয়েঙ্গারকে, ‘ইংল্যান্ডে আপনি যখনই ম্যাচ হারবেন, খেলোয়াড় কেনাটাই সমাধান।’
খেলোয়াড় কেনার সময় ওয়েঙ্গার পাবেন কি না, এটাই এখন প্রশ্ন। ফ্যাব্রিগাস-নাসরির চলে যাওয়ার পর গানার সমর্থকেরা তাঁর এমিরেটসে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ১৫ বছরের আর্সেনাল-ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজেভাবে হারার পর সমালোচনার তীর ধেয়ে আসছে আরও। ওয়েঙ্গার কি আর্সেনাল ছেড়েটেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন? ‘না, একেবারেই না’—বলে দিয়েছেন ওয়েঙ্গার।
আর্সেনাল কোচ এই দুঃসময়ে পাশে পাচ্ছেন ম্যানইউ কোচ ফার্গুসন আর বার্সেলোনা কোচ পেপ গার্দিওলাকে। ফার্গুসনের কথা, ‘আমার মনে হয়, তাঁর দর্শন ও আর্সেনালের জন্য তিনি যা করেছেন, সেটি বিবেচনায় নিলে তাঁর সমালোচনা করাটা অন্যায় হবে।’ আর গার্দিওলা বলেছেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, ওয়েঙ্গার ফুটবলের জন্য, বিশেষ করে আর্সেনালের জন্য কী করেছেন। ম্যানচেস্টারের বিপক্ষে যা-ই হয়ে থাকুক, আর্সেনাল এখনো খুব ভালো দল। ফুটবলে এমন হয়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে, যেখানে চোটের কারণে অনেক খেলোয়াড়ই ছিল না আর্সেনালে। ফুটবলে এমন অনেক ভালো ব্যাপার আছে, যা শুধু জয়-পরাজয় দিয়ে মাপা যায় না।
আর্সেনাল ম্যানইউর কাছে ২-৮ গোলে হারবে, পরশু ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যাচ শুরুর আগে কেউ হয়তো স্বপ্নেও ভাবেনি। ম্যানইউ কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসন ম্যাচ শেষে তাঁর বিস্ময় গোপন করেননি, ‘এটা সত্যিই এক বিস্ময়। কারণ, আপনি যখন আর্সেনালের বিপক্ষে খেলবেন তখন কঠিন এক ম্যাচই আশা করবেন।’ আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার আর কী বলবেন! স্তম্ভিত ওয়েঙ্গারের তাৎ ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল এ রকম, ‘আপনি যখন ৮ গোল খাবেন, লজ্জা তো লাগবেই। আমাদের জন্য এটি ভয়াবহ এক দিন।’
ম্যাচের ২২ মিনিটে ফার্গুসনের তরুণ স্ট্রাইকার ড্যানি ওয়েলবেক যখন প্রথম গোল করেন, তখন অনুমানও করা যায়নি আর্সেনালের কপালে এমন দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে। দুর্ভোগের শুরু মনে হয় এই গোলের খানিক পর থেকেই শুরু হয়েছে। ওয়েলবেকের গোল শোধ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে ‘গানার’রা। কিন্তু অধিনায়ক রবিন ফন পার্সির পেনাল্টি ঠেকিয়ে দিয়েছেন ম্যানইউর গোলরক্ষক ডেভিড গি গিয়া। ৩-১ স্কোরলাইনে শেষ হওয়া প্রথমার্ধও বাকি ৪৫ মিনিটের নাটকের পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ। দ্বিতীয়ার্ধে ছয় গোল হয়েছে, পাঁচটিই করেছে ম্যানইউ। ম্যানইউয়ের বিপক্ষে এটি তো আর্সেনালের সবচেয়ে বড় পরাজয় বটেই, ১৮৯৬ সালের পরই এত বড় ব্যবধানে হারেনি ইংলিশ ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি।
অনেকেই আর্সেনালের এই দুরবস্থার কারণ হিসেবে দেখছেন সেস ফ্যাব্রিগাস আর সামির নাসরির বিদায়কে। আর্সেনাল কোচ অবশ্য বলছেন চোট আর দুর্বলতার কথা, ‘হীনশক্তির দল আর দুর্বলতার সমন্বয় ঘটেছে এখানে। দ্বিতীয়ার্ধে শারীরিকভাবেই ভেঙে পড়েছি আমরা। আজ (পরশু) তো আমাদের ৮ জন খেলোয়াড় বাইরে ছিল (চোট আর নিষেধাজ্ঞার কারণে)। ৮ জনকে বাইরে রেখে খেললে যেকোনো দলকেই এভাবে ভুগতে হবে।’ এই পরাজয় খেলোয়াড় কেনার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তেও বলছে ওয়েঙ্গারকে, ‘ইংল্যান্ডে আপনি যখনই ম্যাচ হারবেন, খেলোয়াড় কেনাটাই সমাধান।’
খেলোয়াড় কেনার সময় ওয়েঙ্গার পাবেন কি না, এটাই এখন প্রশ্ন। ফ্যাব্রিগাস-নাসরির চলে যাওয়ার পর গানার সমর্থকেরা তাঁর এমিরেটসে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ১৫ বছরের আর্সেনাল-ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজেভাবে হারার পর সমালোচনার তীর ধেয়ে আসছে আরও। ওয়েঙ্গার কি আর্সেনাল ছেড়েটেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন? ‘না, একেবারেই না’—বলে দিয়েছেন ওয়েঙ্গার।
আর্সেনাল কোচ এই দুঃসময়ে পাশে পাচ্ছেন ম্যানইউ কোচ ফার্গুসন আর বার্সেলোনা কোচ পেপ গার্দিওলাকে। ফার্গুসনের কথা, ‘আমার মনে হয়, তাঁর দর্শন ও আর্সেনালের জন্য তিনি যা করেছেন, সেটি বিবেচনায় নিলে তাঁর সমালোচনা করাটা অন্যায় হবে।’ আর গার্দিওলা বলেছেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, ওয়েঙ্গার ফুটবলের জন্য, বিশেষ করে আর্সেনালের জন্য কী করেছেন। ম্যানচেস্টারের বিপক্ষে যা-ই হয়ে থাকুক, আর্সেনাল এখনো খুব ভালো দল। ফুটবলে এমন হয়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে, যেখানে চোটের কারণে অনেক খেলোয়াড়ই ছিল না আর্সেনালে। ফুটবলে এমন অনেক ভালো ব্যাপার আছে, যা শুধু জয়-পরাজয় দিয়ে মাপা যায় না।
No comments