সামনের দিকে তাকিয়ে বোল্ট
বর্তমানের ঘটনা এক মুহূর্ত পরই অতীত। পরশু সন্ধ্যায় দেগুর ট্র্যাকে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাও বোল্টের কাছে এখন অতীত। পেছনের দিকে তাকিয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট করার মানুষ বোল্ট নন। তাই বলছেন, অতীত নিয়ে তিনি ভাবতে চান না। আগামী শুক্রবারই তাঁর আরেক ইভেন্ট ২০০ মিটার দৌড়। ইতিহাসের দ্রুততম মানব বরং প্রত্যাশার দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছেন সেদিকেই।
অনাকাঙ্ক্ষিত এক ট্র্যাজেডির শিকার হয়ে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়ছেন বোল্টও। প্রবল আত্মবিশ্বাস নিয়ে ট্র্যাকে নামা বোল্ট যখন ৫ নম্বর লেনটিতে দাঁড়িয়ে কাটা পড়লেন ফলস স্টার্টের ফাঁদে; পুরো গ্যালারি তখন স্তব্ধ, বিস্ময়ে হতবাক! আর বোল্ট? সঙ্গে সঙ্গেই গায়ের জার্সিটা নিক্ষেপ করলেন ট্র্যাকে! এতেও মনের ক্ষোভ, হতাশা না মেটায় দুহাত মাথায় তুলে তাকালেন আকাশের দিকে। ট্র্যাক থেকে বেরিয়ে গিয়ে মাথা কুটলেন দেয়ালে। কথা বলার শক্তিটাও ছিল না। ট্র্যাক ছেড়ে যাওয়ার সময় তাৎ ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শুধু জানিয়ে দেন, ধাতস্থ হতে তাঁর কিছুটা সময় প্রয়োজন।
সেই প্রয়োজনীয় সময়টা ১৮ ঘণ্টা। ট্র্যাকের ওই ট্র্যাজেডির ঠিক ১৮ ঘণ্টা পর জানা গেল বোল্টের প্রতিক্রিয়া, যা বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে তাঁর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা দল। বোল্ট বলেছেন, ‘প্রথমত আমি অভিনন্দন জানাই আমার সতীর্থ ইয়োহান ব্লেক এবং অন্য অ্যাথলেটদের, যারা পদক জিতেছে।’ অলিম্পিক ও বিশ্ব রেকর্ডধারী স্প্রিন্টার এর পরই বলেছেন, ‘অবশ্যই ফলস স্টার্টের কারণে আমার শিরোপা ধরে রাখার সুযোগ নষ্ট হওয়ায় আমি খুব হতাশ। আমি আগের রাউন্ডগুলোতে দারুণ বোধ করছিলাম, ফাইনালে দ্রুত দৌড়ানোর জন্যও প্রস্তুত ছিলাম। এই চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য প্রস্তুতি নিতে আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং সবকিছু ইতিবাচকই ছিল।’
১০০ মিটারের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেলেও দেগুতে বোল্ট-জাদু দেখার সুযোগ ফুরিয়ে যায়নি। আগামী শুক্রবারই ২০০ মিটার, এরপর আছে ৪১০০ মিটার রিলে। এই দুটি ইভেন্ট ছাড়িয়ে বোল্টের দৃষ্টি প্রসারিত বাকি মৌসুমের দিকেও, ‘যাই হোক, আমি এখন অতীত নিয়ে ভাবতে চাই না। শুক্রবারের ২০০ মিটারের দিকে মনোযোগ দিতে এবং প্রস্তুতি নিতে আমার হাতে কয়েকটা দিন সময় আছে। এর পরই আছে ৪১০০ মিটার এবং মৌসুমের শেষ দিকেও কয়েকটি দৌড় আছে। আমি জানি, আমি এখন দারুণ অবস্থায় আছি এবং আমার সব মনোযোগ এখন ২০০ মিটারে ভালোভাবে দৌড়ানো।’
বোল্ট মুখ বন্ধ রাখলেও পরশুর ওই ঘটনার পর অনেকেই ফলস স্টার্টের নিয়মটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বোল্টকে জানিয়েছেন সমবেদনা। বোল্টও শুভাকাঙ্ক্ষীদের জানিয়েছেন কৃতজ্ঞতা, ‘আমাকে শুভেচ্ছা পাঠানোয় সবাইকে ধন্যবাদ। আপনারা গর্ব করতে পারেন ২০০ মিটারে এমন কিছু করার চেষ্টাই করব আমি।’
একবার ফলস স্টার্ট করলেই বাদের নিয়মটা চালু হয়েছে ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে বিশ্বের সেরা স্প্রিন্টার এই নিয়মের বলি হওয়ার পর এটির পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। তবে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন (আইএএএফ) জানিয়েছে, এ রকম কোনো চিন্তা আপাতত নেই, ‘নিয়ম নিয়মই। এই মুহূর্তে এটাই নিয়ম। আমি যতদূর জানি, পরিষদের আগামী সভায় (দেগু চ্যাম্পিয়নশিপ শেষে) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে না।’ বোল্টের বিষয়টি ‘হতাশাজনক’ মন্তব্য করে আইএএএফের মুখপাত্র এরপর যোগ করেছেন, ‘বোল্টের এখনো ২০০ মিটার ও ৪১০০ মিটার আছে। আর বিষয়টি নিয়ে কথা বলার আগে আরও সময় দরকার। যেসব মন্তব্য আসছে, সবই তাৎ ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে আরও সময় প্রয়োজন।’
নিয়ম সবার জন্যই সমান। ওই মুখপাত্রের দাবি, বোল্টের বাদ পড়ার মধ্য দিয়ে এটাও প্রমাণিত হয়েছে।
অনাকাঙ্ক্ষিত এক ট্র্যাজেডির শিকার হয়ে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়ছেন বোল্টও। প্রবল আত্মবিশ্বাস নিয়ে ট্র্যাকে নামা বোল্ট যখন ৫ নম্বর লেনটিতে দাঁড়িয়ে কাটা পড়লেন ফলস স্টার্টের ফাঁদে; পুরো গ্যালারি তখন স্তব্ধ, বিস্ময়ে হতবাক! আর বোল্ট? সঙ্গে সঙ্গেই গায়ের জার্সিটা নিক্ষেপ করলেন ট্র্যাকে! এতেও মনের ক্ষোভ, হতাশা না মেটায় দুহাত মাথায় তুলে তাকালেন আকাশের দিকে। ট্র্যাক থেকে বেরিয়ে গিয়ে মাথা কুটলেন দেয়ালে। কথা বলার শক্তিটাও ছিল না। ট্র্যাক ছেড়ে যাওয়ার সময় তাৎ ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শুধু জানিয়ে দেন, ধাতস্থ হতে তাঁর কিছুটা সময় প্রয়োজন।
সেই প্রয়োজনীয় সময়টা ১৮ ঘণ্টা। ট্র্যাকের ওই ট্র্যাজেডির ঠিক ১৮ ঘণ্টা পর জানা গেল বোল্টের প্রতিক্রিয়া, যা বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে তাঁর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা দল। বোল্ট বলেছেন, ‘প্রথমত আমি অভিনন্দন জানাই আমার সতীর্থ ইয়োহান ব্লেক এবং অন্য অ্যাথলেটদের, যারা পদক জিতেছে।’ অলিম্পিক ও বিশ্ব রেকর্ডধারী স্প্রিন্টার এর পরই বলেছেন, ‘অবশ্যই ফলস স্টার্টের কারণে আমার শিরোপা ধরে রাখার সুযোগ নষ্ট হওয়ায় আমি খুব হতাশ। আমি আগের রাউন্ডগুলোতে দারুণ বোধ করছিলাম, ফাইনালে দ্রুত দৌড়ানোর জন্যও প্রস্তুত ছিলাম। এই চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য প্রস্তুতি নিতে আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং সবকিছু ইতিবাচকই ছিল।’
১০০ মিটারের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেলেও দেগুতে বোল্ট-জাদু দেখার সুযোগ ফুরিয়ে যায়নি। আগামী শুক্রবারই ২০০ মিটার, এরপর আছে ৪১০০ মিটার রিলে। এই দুটি ইভেন্ট ছাড়িয়ে বোল্টের দৃষ্টি প্রসারিত বাকি মৌসুমের দিকেও, ‘যাই হোক, আমি এখন অতীত নিয়ে ভাবতে চাই না। শুক্রবারের ২০০ মিটারের দিকে মনোযোগ দিতে এবং প্রস্তুতি নিতে আমার হাতে কয়েকটা দিন সময় আছে। এর পরই আছে ৪১০০ মিটার এবং মৌসুমের শেষ দিকেও কয়েকটি দৌড় আছে। আমি জানি, আমি এখন দারুণ অবস্থায় আছি এবং আমার সব মনোযোগ এখন ২০০ মিটারে ভালোভাবে দৌড়ানো।’
বোল্ট মুখ বন্ধ রাখলেও পরশুর ওই ঘটনার পর অনেকেই ফলস স্টার্টের নিয়মটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বোল্টকে জানিয়েছেন সমবেদনা। বোল্টও শুভাকাঙ্ক্ষীদের জানিয়েছেন কৃতজ্ঞতা, ‘আমাকে শুভেচ্ছা পাঠানোয় সবাইকে ধন্যবাদ। আপনারা গর্ব করতে পারেন ২০০ মিটারে এমন কিছু করার চেষ্টাই করব আমি।’
একবার ফলস স্টার্ট করলেই বাদের নিয়মটা চালু হয়েছে ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে বিশ্বের সেরা স্প্রিন্টার এই নিয়মের বলি হওয়ার পর এটির পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। তবে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন (আইএএএফ) জানিয়েছে, এ রকম কোনো চিন্তা আপাতত নেই, ‘নিয়ম নিয়মই। এই মুহূর্তে এটাই নিয়ম। আমি যতদূর জানি, পরিষদের আগামী সভায় (দেগু চ্যাম্পিয়নশিপ শেষে) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে না।’ বোল্টের বিষয়টি ‘হতাশাজনক’ মন্তব্য করে আইএএএফের মুখপাত্র এরপর যোগ করেছেন, ‘বোল্টের এখনো ২০০ মিটার ও ৪১০০ মিটার আছে। আর বিষয়টি নিয়ে কথা বলার আগে আরও সময় দরকার। যেসব মন্তব্য আসছে, সবই তাৎ ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে আরও সময় প্রয়োজন।’
নিয়ম সবার জন্যই সমান। ওই মুখপাত্রের দাবি, বোল্টের বাদ পড়ার মধ্য দিয়ে এটাও প্রমাণিত হয়েছে।
No comments