স্পিনই হবে নির্ধারক
মুত্তিয়া মুরালিধরন এখন কোথায়? কিংবা শেন ওয়ার্ন, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট অথবা চামিন্ডা ভাস? না, ঈদ পুনর্মিলনী জাতীয় কিছুর জন্য খোঁজ পড়েনি তাঁদের। ২০০৪ সালের পর আজ যখন শ্রীলঙ্কায় আবারও স্বাগতিকদের মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া, একটা সময়ে দুই দলের ট্রেডমার্ক হয়ে থাকা ক্রিকেটারদের কথা মনে পড়াই স্বাভাবিক।
আগামীকাল থেকে শুরু গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার বেশি মিস করার কথা মুরালিধরনকেই। এ মাঠে ১৫ টেস্ট খেলে পেয়েছেন ১১১ উইকেট—গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামও কম পয়মন্ত ছিল না বিশ্বসেরা এই অফ স্পিনারের জন্য। মুরালি নেই, নেই শ্রীলঙ্কার মাটিতে দুই দলের সর্বশেষ টেস্টে ৫ উইকেট নেওয়া ভাসও। সম্প্রতি লাসিথ মালিঙ্গাও টেস্ট খেলা ছেড়ে দিয়েছেন। স্থানীয় মিডিয়ার খবর, তাঁর মত বদলানোর চেষ্টা চলেছে। কারণটা অনুমেয়, মালিঙ্গাকে ছাড়া শ্রীলঙ্কার বোলিং আক্রমণ এখন অনেকটাই ধারহীন।
অধিনায়ক তিলকরত্নে দিলশান তবুও আশাবাদী। আশার কারণ, স্কোয়াডে তিনি ছাড়াও স্পিনার আছেন চারজন—অজন্তা মেন্ডিস, সুরাজ রণদিভ, রঙ্গনা হেরাথ ও সেকুগে প্রসন্ন। এদের মধ্যে শেষের জন আছেন অভিষেকের অপেক্ষায়, তবে প্রথম তিনজনের মিলিত টেস্টসংখ্যা ৪৬ টেস্ট। উপমহাদেশের কন্ডিশনে অস্ট্রেলিয়াকে বিপদে ফেলতে স্পিনের চেয়ে বড় অস্ত্র আর কী হতে পারে! তবে শুধু স্পিনারদের দিকে তাকিয়ে না থেকে স্বাগতিক অধিনায়ক কিছু চাচ্ছেন ব্যাটসম্যানদের কাছেও, ‘আমাদের বোলিংয়ে অনেক বৈচিত্র্য আছে। তবে অস্ট্রেলিয়ানদের চাপে ফেলতে স্কোরবোর্ডেও আমাদের ভালো রান তুলতে হবে। সাফল্যটা নির্ভর করবে আমরা কীভাবে ব্যাট করি তার ওপর।’
অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের কাছেও ব্যাপারটা তা-ই। যদিও সাফল্যের মন্ত্রটাকে আরও নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন মাইকেল ক্লার্ক। ‘আমার মনে হচ্ছে, উইকেটে ভালোই স্পিন ধরবে। স্পিন বোলিংটা কীভাবে খেলা হলো, দুই দলের সাফল্যে সেটাই বড় ভূমিকা রাখবে’—শেষ ওয়ানডের পর বলেছিলেন মাইকেল ক্লার্ক। স্পিন আক্রমণে শ্রীলঙ্কার চেয়ে অনেক পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া। বাঁহাতি স্পিনার মাইকেল বিয়ার এর আগে টেস্ট খেলেছেন মাত্র একটা, অফ স্পিনার নাথান লিওন তো এখনো টেস্টই খেলেননি!
তিন টেস্টের এই সিরিজ শ্রীলঙ্কার স্পিনারদের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের লড়াই যেমন, নিজেদের সঙ্গেও লড়বেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ও বর্তমান অধিনায়ক রিকি পন্টিং ও মাইকেল ক্লার্ক। অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর এটা যেমন পন্টিংয়ের প্রথম টেস্ট, অস্ট্রেলিয়া দলের পূর্ণকালীন নেতৃত্ব পাওয়ার পর প্রথম টেস্ট ক্লার্কেরও। তাঁদের জন্য এই সিরিজ নিজেদের ফিরে পাওয়ার উপলক্ষ। টেস্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের (১২,৩৬৩) মালিক পন্টিং গত ২০ ইনিংসে সেঞ্চুরি পাননি একটিও। আর ক্লার্ক সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন গত বছর মার্চে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে। পরের ১০ টেস্টে থেকেছেন সেঞ্চুরিবিহীন। ৩-২-এ জেতা ওয়ানডে সিরিজে দুটি করে ফিফটি করে ফর্মের প্রমাণ দিয়েছেন দুজনই। ক্লার্ক তো এরপর প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরিও করেছেন।
গত জানুয়ারিতে নিজেদের মাটিতে খেলা সর্বশেষ সিরিজে ইংল্যান্ডের কাছে ৩-১-এ হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। গত আট টেস্টে জয় ওই একটাই, বাকি সাত টেস্টের ছয়টিতেই হার। র্যাঙ্কিংয়ের ৫ নম্বরে চলে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া দলের জন্যই আসলে শ্রীলঙ্কা সিরিজটা আবার মাথা তুলে দাঁড়ানোর উপলক্ষ।
পারবে তো অস্ট্রেলিয়া?
আগামীকাল থেকে শুরু গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার বেশি মিস করার কথা মুরালিধরনকেই। এ মাঠে ১৫ টেস্ট খেলে পেয়েছেন ১১১ উইকেট—গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামও কম পয়মন্ত ছিল না বিশ্বসেরা এই অফ স্পিনারের জন্য। মুরালি নেই, নেই শ্রীলঙ্কার মাটিতে দুই দলের সর্বশেষ টেস্টে ৫ উইকেট নেওয়া ভাসও। সম্প্রতি লাসিথ মালিঙ্গাও টেস্ট খেলা ছেড়ে দিয়েছেন। স্থানীয় মিডিয়ার খবর, তাঁর মত বদলানোর চেষ্টা চলেছে। কারণটা অনুমেয়, মালিঙ্গাকে ছাড়া শ্রীলঙ্কার বোলিং আক্রমণ এখন অনেকটাই ধারহীন।
অধিনায়ক তিলকরত্নে দিলশান তবুও আশাবাদী। আশার কারণ, স্কোয়াডে তিনি ছাড়াও স্পিনার আছেন চারজন—অজন্তা মেন্ডিস, সুরাজ রণদিভ, রঙ্গনা হেরাথ ও সেকুগে প্রসন্ন। এদের মধ্যে শেষের জন আছেন অভিষেকের অপেক্ষায়, তবে প্রথম তিনজনের মিলিত টেস্টসংখ্যা ৪৬ টেস্ট। উপমহাদেশের কন্ডিশনে অস্ট্রেলিয়াকে বিপদে ফেলতে স্পিনের চেয়ে বড় অস্ত্র আর কী হতে পারে! তবে শুধু স্পিনারদের দিকে তাকিয়ে না থেকে স্বাগতিক অধিনায়ক কিছু চাচ্ছেন ব্যাটসম্যানদের কাছেও, ‘আমাদের বোলিংয়ে অনেক বৈচিত্র্য আছে। তবে অস্ট্রেলিয়ানদের চাপে ফেলতে স্কোরবোর্ডেও আমাদের ভালো রান তুলতে হবে। সাফল্যটা নির্ভর করবে আমরা কীভাবে ব্যাট করি তার ওপর।’
অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের কাছেও ব্যাপারটা তা-ই। যদিও সাফল্যের মন্ত্রটাকে আরও নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন মাইকেল ক্লার্ক। ‘আমার মনে হচ্ছে, উইকেটে ভালোই স্পিন ধরবে। স্পিন বোলিংটা কীভাবে খেলা হলো, দুই দলের সাফল্যে সেটাই বড় ভূমিকা রাখবে’—শেষ ওয়ানডের পর বলেছিলেন মাইকেল ক্লার্ক। স্পিন আক্রমণে শ্রীলঙ্কার চেয়ে অনেক পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া। বাঁহাতি স্পিনার মাইকেল বিয়ার এর আগে টেস্ট খেলেছেন মাত্র একটা, অফ স্পিনার নাথান লিওন তো এখনো টেস্টই খেলেননি!
তিন টেস্টের এই সিরিজ শ্রীলঙ্কার স্পিনারদের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের লড়াই যেমন, নিজেদের সঙ্গেও লড়বেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ও বর্তমান অধিনায়ক রিকি পন্টিং ও মাইকেল ক্লার্ক। অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর এটা যেমন পন্টিংয়ের প্রথম টেস্ট, অস্ট্রেলিয়া দলের পূর্ণকালীন নেতৃত্ব পাওয়ার পর প্রথম টেস্ট ক্লার্কেরও। তাঁদের জন্য এই সিরিজ নিজেদের ফিরে পাওয়ার উপলক্ষ। টেস্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের (১২,৩৬৩) মালিক পন্টিং গত ২০ ইনিংসে সেঞ্চুরি পাননি একটিও। আর ক্লার্ক সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন গত বছর মার্চে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে। পরের ১০ টেস্টে থেকেছেন সেঞ্চুরিবিহীন। ৩-২-এ জেতা ওয়ানডে সিরিজে দুটি করে ফিফটি করে ফর্মের প্রমাণ দিয়েছেন দুজনই। ক্লার্ক তো এরপর প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরিও করেছেন।
গত জানুয়ারিতে নিজেদের মাটিতে খেলা সর্বশেষ সিরিজে ইংল্যান্ডের কাছে ৩-১-এ হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। গত আট টেস্টে জয় ওই একটাই, বাকি সাত টেস্টের ছয়টিতেই হার। র্যাঙ্কিংয়ের ৫ নম্বরে চলে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া দলের জন্যই আসলে শ্রীলঙ্কা সিরিজটা আবার মাথা তুলে দাঁড়ানোর উপলক্ষ।
পারবে তো অস্ট্রেলিয়া?
No comments