পানির বদলে গুলি
ত্রিপোলির একটি গুদামে ৫০টির বেশি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। গুদামটি মুয়াম্মার গাদ্দাফির ভয়ংকর সেনা ইউনিট খামিজ ব্রিগেডের সদর দপ্তরের পেছনে অবস্থিত। ব্রিগেডটির নেতৃত্বে ছিলেন গাদ্দাফিরই এক ছেলে। নারকীয় এ হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা বলেছেন, নিহতদের সবাই বেসামরিক। গত মঙ্গলবার গাদ্দাফি বাহিনী এ গণহত্যা চালিয়েছে।
গুদামঘরের দরজার কাছে বসে কাঁদছিলেন বৃদ্ধ ফাতাল্লাহ আবদুল্লাহ। তিনি কোনো রকমে মঙ্গলবারের গণহত্যার হাত থেকে বেঁচে গেছেন। কিন্তু তাঁর তিন ছেলে ইব্রাহিম, আবদুল হাকিম ও আলীকে বাঁচাতে পারেননি। তাঁদের চারজনকেই জ্লিতান শহর থেকে আটক করা হয়েছিল।
গুদামঘরে কঙ্কালের একটি স্তূপের দিকে ইঙ্গিত করে ফাতাল্লাহ বলেন, ‘আমি ওখানেই ছিলাম। আমার ছেলেরা ছিল পাশেই। পুরো জায়গাটা ছিল লোকজনে ঠাসা। গরু-ছাগলের মতো গাদাগাদি করে আমাদের রাখা হয়েছিল। একজন ছিলাম আরেকজনের ওপর। মাটিতে পা রাখার মতো কোনো জায়গা ছিল না।’ তিনি জানান, লিবিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ১৫০ জনের মতো লোককে এখানে ধরে আনা হয়েছিল।
ফাতাল্লাহ বলেন, বন্দীরা পানির জন্য ছটফট করছিল। প্রহরীরা সন্ধ্যায় পানি দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু বাস্তবে তারা পানি নয়, সন্ধ্যায় বন্দুক নিয়ে হাজির হয়। এর পরই শুরু করে বেপরোয়া গুলি। গুলি শেষে তাদের মধ্যে তিনজন গ্রেনেড ছুড়ে মারে। তিনি বলেন, এ সময় আরেকজন বন্দী গুদামঘরের দরজার লাথি মারলে দরজাটি খুলে যায়। সেই সুযোগে তিনি পালিয়ে গিয়ে একটি ট্রাকের নিচে আশ্রয় নেন। সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তিনি লুকিয়ে ছিলেন। এ সময় তিনি মৃত্যুমুখী মানুষের গগনবিদারী চিৎ কার শুনে শিউরে ওঠেন।
গুদামঘরের দরজার কাছে বসে কাঁদছিলেন বৃদ্ধ ফাতাল্লাহ আবদুল্লাহ। তিনি কোনো রকমে মঙ্গলবারের গণহত্যার হাত থেকে বেঁচে গেছেন। কিন্তু তাঁর তিন ছেলে ইব্রাহিম, আবদুল হাকিম ও আলীকে বাঁচাতে পারেননি। তাঁদের চারজনকেই জ্লিতান শহর থেকে আটক করা হয়েছিল।
গুদামঘরে কঙ্কালের একটি স্তূপের দিকে ইঙ্গিত করে ফাতাল্লাহ বলেন, ‘আমি ওখানেই ছিলাম। আমার ছেলেরা ছিল পাশেই। পুরো জায়গাটা ছিল লোকজনে ঠাসা। গরু-ছাগলের মতো গাদাগাদি করে আমাদের রাখা হয়েছিল। একজন ছিলাম আরেকজনের ওপর। মাটিতে পা রাখার মতো কোনো জায়গা ছিল না।’ তিনি জানান, লিবিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ১৫০ জনের মতো লোককে এখানে ধরে আনা হয়েছিল।
ফাতাল্লাহ বলেন, বন্দীরা পানির জন্য ছটফট করছিল। প্রহরীরা সন্ধ্যায় পানি দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু বাস্তবে তারা পানি নয়, সন্ধ্যায় বন্দুক নিয়ে হাজির হয়। এর পরই শুরু করে বেপরোয়া গুলি। গুলি শেষে তাদের মধ্যে তিনজন গ্রেনেড ছুড়ে মারে। তিনি বলেন, এ সময় আরেকজন বন্দী গুদামঘরের দরজার লাথি মারলে দরজাটি খুলে যায়। সেই সুযোগে তিনি পালিয়ে গিয়ে একটি ট্রাকের নিচে আশ্রয় নেন। সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তিনি লুকিয়ে ছিলেন। এ সময় তিনি মৃত্যুমুখী মানুষের গগনবিদারী চিৎ কার শুনে শিউরে ওঠেন।
No comments