অর্থবছরের নয় মাসে শিল্পঋণ প্রবাহ বেড়েছে ৩০ শতাংশ
চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে মেয়াদি শিল্পঋণ বিতরণ দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় প্রায় সাড়ে সাত শতাংশ কমেছে। তবে সামগ্রিকভাবে নয় মাসে শিল্পঋণ বিতরণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়কালে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো মেয়াদি শিল্পঋণ হিসাবে ২৪ হাজার ৪৮৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা বিতরণ করেছে। আর ২০০৯-১০ অর্থবছরের একই সময়কালে বিতরণকৃত মেয়াদি শিল্পঋণের পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার ৪১৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০১১) মেয়াদি শিল্পঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা। আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০১০) বিতরণকৃত শিল্পঋণের পরিমাণ ছিল নয় হাজার ৪৫০ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
তবে চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বিতরণকৃত শিল্পঋণ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। ২০০৯-১০ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে মেয়াদি শিল্পঋণের পরিমাণ ছিল ছয় হাজার ২১২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বিতরণকৃত মেয়াদি শিল্পঋণের পরিমাণ ছিল সাত হাজার ৪৭৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
ধারণা করা হয়, ডিসেম্বরে এসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ন্ত্রণমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণ শুরু করার প্রভাব পড়েছে শিল্পঋণের প্রবাহের ওপর। আবার আগে বিতরণকৃত শিল্পঋণের কিছু অংশ শেয়ারবাজারে ধাবিত হয়েছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ বিতরণে তদারকি বাড়িয়েছে। এই কড়াকড়িও শিল্পঋণ-প্রবাহের গতি তৃতীয় প্রান্তিকে সামান্য কমিয়ে দিয়েছে।
অবশ্য গত অর্থবছরেও একই প্রবণতা দেখা দিয়েছিল। প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে শিল্পঋণ বেশ বাড়লেও তৃতীয় প্রান্তিকে তা খানিকটা কমে যায়। তবে চতুর্থ প্রান্তিকে এসে আবার তা বাড়ে।
সামগ্রিকভাবে গত অর্থবছরে শিল্প খাতে মেয়াদি ঋণপ্রবাহ আগের অর্থবছরের তুলনায় সাড়ে ২৯ শতাংশ বেড়েছিল। জ্বালানি ও অবকাঠামো সংকটে দেশের শিল্প খাতে শ্লথ অবস্থার সময় সামগ্রিকভাবে শিল্প খাতে মেয়াদি ঋণপ্রবাহের ব্যাপক বৃদ্ধিতে খোদ ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরাই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক অনুসন্ধান ও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতীয়মান হয় যে শিল্পঋণের নামে নেওয়া অর্থের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ শেয়ারবাজারে খাটানো হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংক-গ্রাহক পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে এটি হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংকের অজ্ঞাতসারে এটি ঘটেছে।
চলতি অর্থবছরেও এ প্রবণতা কিছুটা বহাল রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তবে রপ্তানি আয়ের উচ্চ প্রবৃদ্ধিতে শিল্পঋণের চাহিদাও এ বছর বেড়েছে। তাই শিল্পঋণ বিতরণে উচ্চ প্রবাহ বজায় আছে বলে ব্যাংকারদের অনেকেই মনে করছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বকেয়া শিল্পঋণ আদায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা। এটি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৬ শতাংশ বেশি। ২০০৯-১০ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়কালে শিল্পঋণ আদায়ের পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ২০৫ কোটি টাকা।
শুধু তাই নয়, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে আদায়কৃত বকেয়া শিল্পঋণ গত অর্থবছরের আদায়কৃত মোট বকেয়া শিল্পঋণকেও ছাড়িয়ে গেছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে আদায়কৃত মোট বকেয়া শিল্পঋণের পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার ৯৮২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকার বকেয়া শিল্পঋণ আদায় করেছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকে তা বেড়ে হয়েছে যথাক্রমে ছয় হাজার ৫৩৩ কোটি ৮৮ লাখ ও ছয় হাজার ৮৫৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়কালে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো মেয়াদি শিল্পঋণ হিসাবে ২৪ হাজার ৪৮৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা বিতরণ করেছে। আর ২০০৯-১০ অর্থবছরের একই সময়কালে বিতরণকৃত মেয়াদি শিল্পঋণের পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার ৪১৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০১১) মেয়াদি শিল্পঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা। আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০১০) বিতরণকৃত শিল্পঋণের পরিমাণ ছিল নয় হাজার ৪৫০ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
তবে চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বিতরণকৃত শিল্পঋণ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। ২০০৯-১০ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে মেয়াদি শিল্পঋণের পরিমাণ ছিল ছয় হাজার ২১২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বিতরণকৃত মেয়াদি শিল্পঋণের পরিমাণ ছিল সাত হাজার ৪৭৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
ধারণা করা হয়, ডিসেম্বরে এসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ন্ত্রণমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণ শুরু করার প্রভাব পড়েছে শিল্পঋণের প্রবাহের ওপর। আবার আগে বিতরণকৃত শিল্পঋণের কিছু অংশ শেয়ারবাজারে ধাবিত হয়েছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ বিতরণে তদারকি বাড়িয়েছে। এই কড়াকড়িও শিল্পঋণ-প্রবাহের গতি তৃতীয় প্রান্তিকে সামান্য কমিয়ে দিয়েছে।
অবশ্য গত অর্থবছরেও একই প্রবণতা দেখা দিয়েছিল। প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে শিল্পঋণ বেশ বাড়লেও তৃতীয় প্রান্তিকে তা খানিকটা কমে যায়। তবে চতুর্থ প্রান্তিকে এসে আবার তা বাড়ে।
সামগ্রিকভাবে গত অর্থবছরে শিল্প খাতে মেয়াদি ঋণপ্রবাহ আগের অর্থবছরের তুলনায় সাড়ে ২৯ শতাংশ বেড়েছিল। জ্বালানি ও অবকাঠামো সংকটে দেশের শিল্প খাতে শ্লথ অবস্থার সময় সামগ্রিকভাবে শিল্প খাতে মেয়াদি ঋণপ্রবাহের ব্যাপক বৃদ্ধিতে খোদ ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরাই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক অনুসন্ধান ও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতীয়মান হয় যে শিল্পঋণের নামে নেওয়া অর্থের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ শেয়ারবাজারে খাটানো হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংক-গ্রাহক পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে এটি হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংকের অজ্ঞাতসারে এটি ঘটেছে।
চলতি অর্থবছরেও এ প্রবণতা কিছুটা বহাল রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তবে রপ্তানি আয়ের উচ্চ প্রবৃদ্ধিতে শিল্পঋণের চাহিদাও এ বছর বেড়েছে। তাই শিল্পঋণ বিতরণে উচ্চ প্রবাহ বজায় আছে বলে ব্যাংকারদের অনেকেই মনে করছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বকেয়া শিল্পঋণ আদায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা। এটি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৬ শতাংশ বেশি। ২০০৯-১০ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়কালে শিল্পঋণ আদায়ের পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ২০৫ কোটি টাকা।
শুধু তাই নয়, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে আদায়কৃত বকেয়া শিল্পঋণ গত অর্থবছরের আদায়কৃত মোট বকেয়া শিল্পঋণকেও ছাড়িয়ে গেছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে আদায়কৃত মোট বকেয়া শিল্পঋণের পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার ৯৮২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকার বকেয়া শিল্পঋণ আদায় করেছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকে তা বেড়ে হয়েছে যথাক্রমে ছয় হাজার ৫৩৩ কোটি ৮৮ লাখ ও ছয় হাজার ৮৫৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
No comments