যশোরে কৃষি ও অটোমোবাইল শিল্পাঞ্চল স্থাপনের সুপারিশ
যশোরে উৎপাদিত মাছের রেণুপোনা, সবজি, ফুল এবং মোটরগাড়ির বডি ও যন্ত্রাংশ বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করে দেশের মোট চাহিদার একটি বড় অংশ পূরণ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে গতিশীল হচ্ছে দেশের জাতীয় অর্থনীতির চাকা।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, ২০১০’-এর আওতায় এ অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক ও অটোমোবাইল শিল্পাঞ্চল স্থাপনের দাবি জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে এ-সংক্রান্ত পৃথক দুটি প্রস্তাব শিল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসক মো. নুরুল আমিন এবং যশোরে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপমহাব্যবস্থাপক লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত সমীক্ষাপত্র দুটি খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বিসিকের সমীক্ষাপত্রে বলা হয়েছে, শহরের আশপাশের আবাসিক ও অনাবাসিক এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে শতাধিক অটোমোবাইল শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব কারখানায় মোটরগাড়ির যন্ত্রাংশ ও বাস-ট্রাকের কাঠামো উৎপাদন, অটোরিকশা ও থ্রি হুইলার সংযোজন এবং মোটরগাড়ি মেরামত করা হয়।
এই সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, বিক্ষিপ্তভাবে কারখানাগুলো গড়ে ওঠার কারণে এ অঞ্চলে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। তাই একই জায়গায় সমন্বিত অবকাঠামোগত সুবিধা দিয়ে কারখানাগুলো গড়ে তোলা হলে জাতীয় অর্থনীতি যেমন সমৃদ্ধ হবে, তেমনি এ অঞ্চলের পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করা সম্ভব হবে।
এ লক্ষ্যে শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে যশোর-নড়াইল সড়কের দাইতলা সেতুর পাশে ফতেপুর গ্রামের ফতেপুর মৌজায় এই শিল্পাঞ্চল স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। ওই স্থানে শিল্পাঞ্চল স্থাপন করা হলে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত ও শিল্পের কাঁচামাল পরিবহনের জন্য ঢাকা ও বেনাপোলের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে।
এ ছাড়া এই স্থানের পাশেই পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। ফলে শিল্পাঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সহজ হবে। উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক লাইনের ব্যবস্থা রয়েছে। স্থানটি পৌর এলকার বাইরে হওয়ায় অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে জমি অধিগ্রহণ করা যাবে। জমির ওপর ঘরবাড়ি ও গাছগাছালিও তুলনামূলক অনেক কম।
এই এলাকা ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার নানা যৌক্তিকতা তুলে ধরে সমীক্ষাপত্রে নয় দফা সুপারিশ করা হয়েছে।
৮ মে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পাঠানো সমীক্ষাপত্রে বিসিক যশোরের শিল্প সহায়ক কেন্দ্রের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন চাকলাদার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা আতিয়ার রহমানও স্বাক্ষর করেছেন।
অটোমোবাইল শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে যশোর বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুস্তাক আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘মোটর পার্টস উৎপাদনের জন্য ঢাকা-চট্টগ্রামের পরেই যশোরের অবস্থান। সবজি, ফুল ও মাছের রেণুপোনা উৎপাদনের জন্যও যশোর অত্যন্ত সমৃদ্ধ, যার জন্য যশোরে অটোমোবাইল ও কৃষিভিত্তিক পৃথক দুটি শিল্পাঞ্চল স্থাপনের দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের।’
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সঞ্জয় কুমার বণিক প্রথম আলোকে বলেন, যশোর শহরের চাঁচড়া এলাকায় উৎপাদিত মাছের রেণুপোনা, ঝিকরগাছার গদখালীর ফুল ও সবজি এ অঞ্চলের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। কিন্তু সবজি ও ফুল প্রক্রিয়াজাত ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় প্রান্তিক চাষিরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপন করা হলে কৃষকেরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি অর্থনীতির চাকাও সচল হবে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, ২০১০’-এর আওতায় এ অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক ও অটোমোবাইল শিল্পাঞ্চল স্থাপনের দাবি জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে এ-সংক্রান্ত পৃথক দুটি প্রস্তাব শিল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসক মো. নুরুল আমিন এবং যশোরে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপমহাব্যবস্থাপক লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত সমীক্ষাপত্র দুটি খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বিসিকের সমীক্ষাপত্রে বলা হয়েছে, শহরের আশপাশের আবাসিক ও অনাবাসিক এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে শতাধিক অটোমোবাইল শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব কারখানায় মোটরগাড়ির যন্ত্রাংশ ও বাস-ট্রাকের কাঠামো উৎপাদন, অটোরিকশা ও থ্রি হুইলার সংযোজন এবং মোটরগাড়ি মেরামত করা হয়।
এই সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, বিক্ষিপ্তভাবে কারখানাগুলো গড়ে ওঠার কারণে এ অঞ্চলে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। তাই একই জায়গায় সমন্বিত অবকাঠামোগত সুবিধা দিয়ে কারখানাগুলো গড়ে তোলা হলে জাতীয় অর্থনীতি যেমন সমৃদ্ধ হবে, তেমনি এ অঞ্চলের পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করা সম্ভব হবে।
এ লক্ষ্যে শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে যশোর-নড়াইল সড়কের দাইতলা সেতুর পাশে ফতেপুর গ্রামের ফতেপুর মৌজায় এই শিল্পাঞ্চল স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। ওই স্থানে শিল্পাঞ্চল স্থাপন করা হলে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত ও শিল্পের কাঁচামাল পরিবহনের জন্য ঢাকা ও বেনাপোলের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে।
এ ছাড়া এই স্থানের পাশেই পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। ফলে শিল্পাঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সহজ হবে। উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক লাইনের ব্যবস্থা রয়েছে। স্থানটি পৌর এলকার বাইরে হওয়ায় অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে জমি অধিগ্রহণ করা যাবে। জমির ওপর ঘরবাড়ি ও গাছগাছালিও তুলনামূলক অনেক কম।
এই এলাকা ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার নানা যৌক্তিকতা তুলে ধরে সমীক্ষাপত্রে নয় দফা সুপারিশ করা হয়েছে।
৮ মে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পাঠানো সমীক্ষাপত্রে বিসিক যশোরের শিল্প সহায়ক কেন্দ্রের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন চাকলাদার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা আতিয়ার রহমানও স্বাক্ষর করেছেন।
অটোমোবাইল শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে যশোর বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুস্তাক আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘মোটর পার্টস উৎপাদনের জন্য ঢাকা-চট্টগ্রামের পরেই যশোরের অবস্থান। সবজি, ফুল ও মাছের রেণুপোনা উৎপাদনের জন্যও যশোর অত্যন্ত সমৃদ্ধ, যার জন্য যশোরে অটোমোবাইল ও কৃষিভিত্তিক পৃথক দুটি শিল্পাঞ্চল স্থাপনের দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের।’
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সঞ্জয় কুমার বণিক প্রথম আলোকে বলেন, যশোর শহরের চাঁচড়া এলাকায় উৎপাদিত মাছের রেণুপোনা, ঝিকরগাছার গদখালীর ফুল ও সবজি এ অঞ্চলের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। কিন্তু সবজি ও ফুল প্রক্রিয়াজাত ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় প্রান্তিক চাষিরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপন করা হলে কৃষকেরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি অর্থনীতির চাকাও সচল হবে।
No comments