যুক্তরাষ্ট্রকে বিন লাদেনের সন্ধান দিয়েছিলেন তালেবান নেতা
আল-কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেনের অবস্থান সম্পর্কে এক তালেবান নেতা যুক্তরাষ্ট্রকে তথ্য দিয়েছিলেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে মার্কিন কমান্ডো বাহিনী পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওসামাকে হত্যা করে। গণমাধ্যমের নতুন একটি প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
অ্যাবোটাবাদের ওই বাড়ি থেকে পাওয়া গোপন মার্কিন নথির বরাত দিয়ে সানডে মিরর পত্রিকা জানিয়েছে, ওসামা বিন লাদেনের অবস্থানের গোপন তথ্য আল-কায়েদার ঘনিষ্ঠ মিত্র ও তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল ঘানি বরোদার মার্কিন তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে ফাঁস করেছিলেন। এর প্রতিদান হিসেবে ওসামা নিহত বা আটক হওয়ার পর আফগানিস্তান থেকে ওয়াশিংটন তাদের সেনা ফিরিয়ে নেবে মর্মে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বরোদার একটি সমঝোতা হয়েছিল। এই মাসের শুরুর দিকে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের কাছে অ্যাবোটাবাদের ওই বাড়িতে মার্কিন কমান্ডোরা একচেটিয়া অভিযান চালিয়ে ওসামাকে হত্যা করে। অভিযানের পর সেখান থেকে একটি গোপন নথি পাওয়া যায়। ওই নথি থেকে সমঝোতার বিষয়টি বেরিয়ে আসে।
ওই গোপন নথির বরাত দিয়ে সানডে মিরর-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বরোদার ও আল-কায়েদার অন্যান্য গুপ্তচর লাদেনের অবস্থান সম্পর্কে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করেছেন।
এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে, আবু আহমেদ আল-কুয়েতির মুঠোফোনের সূত্র ধরে ওসামা বিন লাদেনের অবস্থান শণাক্ত করা হয়। ওসামার কুয়েতি একজন বিশ্বস্ত বার্তাবাহক ছিলেন। ওসামার সঙ্গে তিনিও মার্কিন অভিযানে নিহত হন। তবে তাদের নথির বরাত দিয়ে সানডে মিরর জানিয়েছে, বরোদারই ওসামার অবস্থান সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রকে তথ্য সরবরাহ করেছিলেন।
তালেবান নেতা মোল্লা ওমরের ঘনিষ্ঠ মিত্র বরোদার গত বছর পাকিস্তানের করাচিতে সফর করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন। এরপর কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদের পর একই বছরের অক্টোবরে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। মোল্লা বরোদার পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন কোয়েটা শুরারও নেতা।
যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ নেইল ডয়লে জানান, ‘ওসামা ও মোল্লা ওমরের ঘনিষ্ঠ মিত্র বরোদার আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ায় তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছে, ওসামা নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তারা পাকিস্তান থেকে সেনা হ্রাসের পরিকল্পনা করছে। ঘটনাটা এ অনুমানকে উসকে দিতে পারে, তালেবানের সঙ্গে করা চুক্তির প্রতিদান কি ওয়াশিংট দিতে শুরু করেছে?’
নেইল আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের সামরিক কর্মকর্তারাও বলছেন, ঘনিষ্ঠ কয়েকজন মিত্রের সঙ্গে ওসামার সম্পর্কে ফাটল দেখা দিয়েছিল বলে তাদের কাছে তথ্য আছে।’
অ্যাবোটাবাদের ওই বাড়ি থেকে পাওয়া গোপন মার্কিন নথির বরাত দিয়ে সানডে মিরর পত্রিকা জানিয়েছে, ওসামা বিন লাদেনের অবস্থানের গোপন তথ্য আল-কায়েদার ঘনিষ্ঠ মিত্র ও তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল ঘানি বরোদার মার্কিন তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে ফাঁস করেছিলেন। এর প্রতিদান হিসেবে ওসামা নিহত বা আটক হওয়ার পর আফগানিস্তান থেকে ওয়াশিংটন তাদের সেনা ফিরিয়ে নেবে মর্মে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বরোদার একটি সমঝোতা হয়েছিল। এই মাসের শুরুর দিকে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের কাছে অ্যাবোটাবাদের ওই বাড়িতে মার্কিন কমান্ডোরা একচেটিয়া অভিযান চালিয়ে ওসামাকে হত্যা করে। অভিযানের পর সেখান থেকে একটি গোপন নথি পাওয়া যায়। ওই নথি থেকে সমঝোতার বিষয়টি বেরিয়ে আসে।
ওই গোপন নথির বরাত দিয়ে সানডে মিরর-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বরোদার ও আল-কায়েদার অন্যান্য গুপ্তচর লাদেনের অবস্থান সম্পর্কে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করেছেন।
এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে, আবু আহমেদ আল-কুয়েতির মুঠোফোনের সূত্র ধরে ওসামা বিন লাদেনের অবস্থান শণাক্ত করা হয়। ওসামার কুয়েতি একজন বিশ্বস্ত বার্তাবাহক ছিলেন। ওসামার সঙ্গে তিনিও মার্কিন অভিযানে নিহত হন। তবে তাদের নথির বরাত দিয়ে সানডে মিরর জানিয়েছে, বরোদারই ওসামার অবস্থান সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রকে তথ্য সরবরাহ করেছিলেন।
তালেবান নেতা মোল্লা ওমরের ঘনিষ্ঠ মিত্র বরোদার গত বছর পাকিস্তানের করাচিতে সফর করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন। এরপর কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদের পর একই বছরের অক্টোবরে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। মোল্লা বরোদার পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন কোয়েটা শুরারও নেতা।
যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ নেইল ডয়লে জানান, ‘ওসামা ও মোল্লা ওমরের ঘনিষ্ঠ মিত্র বরোদার আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ায় তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছে, ওসামা নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তারা পাকিস্তান থেকে সেনা হ্রাসের পরিকল্পনা করছে। ঘটনাটা এ অনুমানকে উসকে দিতে পারে, তালেবানের সঙ্গে করা চুক্তির প্রতিদান কি ওয়াশিংট দিতে শুরু করেছে?’
নেইল আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের সামরিক কর্মকর্তারাও বলছেন, ঘনিষ্ঠ কয়েকজন মিত্রের সঙ্গে ওসামার সম্পর্কে ফাটল দেখা দিয়েছিল বলে তাদের কাছে তথ্য আছে।’
No comments