নিত্যপণ্য আমদানির ঋণপত্র খোলা অব্যাহত রাখার নির্দেশ
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা অব্যাহত রাখতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৈদেশিক মুদ্রার সংকট বা ঘাটতির অজুহাতে যেন এসব পণ্য আমদানির ঋণপত্র খোলা ব্যাহত না হয়, সেদিকেও নজর দিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার জোগান দিয়ে সহায়তা করবে বলেও জানানো হয়েছে।
গতকাল রোববার সকালে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান এই নির্দেশ দেন। বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নররাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বলা হয়, রমজান মাসকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাবে। আর এই চাহিদা মেটাতে এসব পণ্য আমদানি করতে হবে। এ জন্য ব্যাংকে যথাসময়ে ঋণপত্র খোলা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়।
ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীরা জানান, প্রয়োজন অনুসারে দ্রুত ঋণপত্র খোলার যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে এবং আগামী দিনেও তা অ্যাহত থাকবে।
বৈঠকে চাল, গম, চিনি ও ভোজ্যতেলের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আমদানি ঋণপত্রের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়।
পর্যালোচনা অনুসারে, চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের ২৮ মে পর্যন্ত আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি মূল্যমানের অনিষ্পন্ন ঋণপত্রের চাল আমদানির জন্য অপেক্ষমাণ আছে। এই ঋণপত্রের মূল্যমান ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে চাল আমদানির ঋণপত্রের পরিমাণ ছিল ১১ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।
একই সময়কালে চিনি আমদানির জন্য গত বছরের ২৮ কোটি ৮০ লাখ ডলারের ঋণপত্রের বিপরীতে চলতি বছরের আলোচ্য সময়কালে অনিষ্পন্ন ঋণপত্রের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৪ কোটি ডলার।
পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, দুগ্ধজাত পণ্য আমদানির অনিষ্পন্ন ঋণপত্রের পরিমাণ ৩২ কোটি ৬৭ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে তিন গুণ বেশি।
এ ছাড়া ভোজ্যতেল আমদানির জন্য খোলা ঋণপত্রের মধ্যে অনিষ্পন্ন রয়েছে ৭৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। একইভাবে পেঁয়াজ আমদানির অনিষ্পন্ন ঋণপত্রের পরিমাণ চার কোটি ৪৬ লাখ ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল দুই কোটি ৪৮ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সভায় আরও জানানো হয়, অনিষ্পন্ন ঋণপত্রের পাশাপাশি এসব পণ্যের জন্য নতুন আমদানি ঋণপত্র খোলাও অব্যাহত রয়েছে। আর তাই আগামী রমজানে সরবরাহ চ্যানেলগুলো সুষ্ঠুভাবে কার্যকর রেখে অতি মুনাফার প্রবণতা পরিহার করা হলে মূল্যবৃদ্ধিজনিত অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থার উদ্ভব হবে না বলে বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবশ্য এ জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক মহল এবং ব্যাংকিং খাতকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রার সংকট বা ঘাটতির অজুহাতে যেন এসব পণ্য আমদানির ঋণপত্র খোলা ব্যাহত না হয়, সেদিকেও নজর দিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার জোগান দিয়ে সহায়তা করবে বলেও জানানো হয়েছে।
গতকাল রোববার সকালে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান এই নির্দেশ দেন। বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নররাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বলা হয়, রমজান মাসকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাবে। আর এই চাহিদা মেটাতে এসব পণ্য আমদানি করতে হবে। এ জন্য ব্যাংকে যথাসময়ে ঋণপত্র খোলা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়।
ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীরা জানান, প্রয়োজন অনুসারে দ্রুত ঋণপত্র খোলার যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে এবং আগামী দিনেও তা অ্যাহত থাকবে।
বৈঠকে চাল, গম, চিনি ও ভোজ্যতেলের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আমদানি ঋণপত্রের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়।
পর্যালোচনা অনুসারে, চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের ২৮ মে পর্যন্ত আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি মূল্যমানের অনিষ্পন্ন ঋণপত্রের চাল আমদানির জন্য অপেক্ষমাণ আছে। এই ঋণপত্রের মূল্যমান ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে চাল আমদানির ঋণপত্রের পরিমাণ ছিল ১১ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।
একই সময়কালে চিনি আমদানির জন্য গত বছরের ২৮ কোটি ৮০ লাখ ডলারের ঋণপত্রের বিপরীতে চলতি বছরের আলোচ্য সময়কালে অনিষ্পন্ন ঋণপত্রের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৪ কোটি ডলার।
পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, দুগ্ধজাত পণ্য আমদানির অনিষ্পন্ন ঋণপত্রের পরিমাণ ৩২ কোটি ৬৭ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে তিন গুণ বেশি।
এ ছাড়া ভোজ্যতেল আমদানির জন্য খোলা ঋণপত্রের মধ্যে অনিষ্পন্ন রয়েছে ৭৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। একইভাবে পেঁয়াজ আমদানির অনিষ্পন্ন ঋণপত্রের পরিমাণ চার কোটি ৪৬ লাখ ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল দুই কোটি ৪৮ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সভায় আরও জানানো হয়, অনিষ্পন্ন ঋণপত্রের পাশাপাশি এসব পণ্যের জন্য নতুন আমদানি ঋণপত্র খোলাও অব্যাহত রয়েছে। আর তাই আগামী রমজানে সরবরাহ চ্যানেলগুলো সুষ্ঠুভাবে কার্যকর রেখে অতি মুনাফার প্রবণতা পরিহার করা হলে মূল্যবৃদ্ধিজনিত অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থার উদ্ভব হবে না বলে বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবশ্য এ জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক মহল এবং ব্যাংকিং খাতকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।
No comments