যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার আবার ঊর্ধ্বমুখী
যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার আবার বেড়ে গেছে। গত শুক্রবার মার্কিন শ্রম দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত তথ্যমতে, কর্মহীনের সংখ্যা গত এক মাসে নয় শতাংশ থেকে বেড়ে এখন নয় দশমিক এক শতাংশ। গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারে ৫৪ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যাশার অর্ধেকও কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের জনজীবনে আবার উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। ধসে পড়া মার্কিন অর্থনীতির ধীরগতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া থমকে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
জাতীয়ভাবে সরকারি পরিসংখ্যানের বাইরে কর্মহীনের সংখ্যা অনেক বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বেকারভাতা নেওয়া ব্যক্তিরা এখন আর সরকারি ভাতা পাচ্ছেন না। শ্রমবাজারে অনেক দক্ষ কর্মীকে যোগ্যতার বিচারে প্রাপ্য মজুরির চেয়ে কম মজুরিতে কাজ করতে হচ্ছে। পূর্ণকালীন কাজের বদলে সপ্তাহে খণ্ডকালীন কাজে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যে বেকারত্বের হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে বলে মার্কিন অর্থনীতিবিদেরা মনে করছেন।
গত চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রের আবাসন বাণিজ্যে ধস চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন নগরসংলগ্ন এলাকায় সারি সারি বাড়িঘরে ‘বিক্রি হবে’ নোটিশ ঝুলছে বছরের পর বছর। ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে বাড়িঘর ফেলে লোকজনের অন্যত্র চলে যাওয়ার নজিরও কম নয়।
বিপুল ঋণে জর্জরিত এসব মানুষের বাড়িঘরের বাজারমূল্য এখন অর্ধেকের চেয়েও নিচে চলে এসেছে। ব্যাপক বেকারত্বের কারণে লোকজনের পক্ষে নতুন বাড়ি কেনা এখন খুব কঠিন। একই সঙ্গে ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার বিষয়টিও জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন বাড়ির ক্রয়মূল্যের অর্ধেক নগদ দিলেও ক্রেতাদের এখন ব্যাংক ঋণ পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
মার্কিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতেও কোনো চাঞ্চল্য ফিরে আসেনি। মোটরযানের উৎপাদন এবং বিক্রিতেও ভাটা চলছে। মধ্যপন্থী অর্থনীতিবিদেরা মনে করছেন, রাজ্য সরকারগুলোকে আরও বেশি ভর্তুকি দিতে হবে। অর্থনীতি চাঙা না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতার হাত দ্রুত বাড়াতে হবে। রক্ষণশীল রিপাবলিকানদের মতে, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অর্থনৈতিক প্রণোদনা তহবিল সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সরকারি ব্যয় সংকোচনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে রিপাবলিকান দলের চাপ অব্যাহত রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ওহাইও অঙ্গরাজ্যে গত শুক্রবার এক শ্রমিক সমাবেশে দেওয়া ভাষণে বলেন, আমাদের কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে। মার্কিন অর্থনীতির দুর্বল অবস্থার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, নীতিনির্ধারকদের আরও বেশি কিছু করার তাড়না রয়েছে। গত ১৫ মাসে ২০ লাখের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হলেও আমাদের কঠিন সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। মার্কিন অর্থনীতির এ দৈন্যদশা উত্তরণে আরও দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে বলে তিনি দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
জাতীয়ভাবে সরকারি পরিসংখ্যানের বাইরে কর্মহীনের সংখ্যা অনেক বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বেকারভাতা নেওয়া ব্যক্তিরা এখন আর সরকারি ভাতা পাচ্ছেন না। শ্রমবাজারে অনেক দক্ষ কর্মীকে যোগ্যতার বিচারে প্রাপ্য মজুরির চেয়ে কম মজুরিতে কাজ করতে হচ্ছে। পূর্ণকালীন কাজের বদলে সপ্তাহে খণ্ডকালীন কাজে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যে বেকারত্বের হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে বলে মার্কিন অর্থনীতিবিদেরা মনে করছেন।
গত চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রের আবাসন বাণিজ্যে ধস চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন নগরসংলগ্ন এলাকায় সারি সারি বাড়িঘরে ‘বিক্রি হবে’ নোটিশ ঝুলছে বছরের পর বছর। ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে বাড়িঘর ফেলে লোকজনের অন্যত্র চলে যাওয়ার নজিরও কম নয়।
বিপুল ঋণে জর্জরিত এসব মানুষের বাড়িঘরের বাজারমূল্য এখন অর্ধেকের চেয়েও নিচে চলে এসেছে। ব্যাপক বেকারত্বের কারণে লোকজনের পক্ষে নতুন বাড়ি কেনা এখন খুব কঠিন। একই সঙ্গে ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার বিষয়টিও জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন বাড়ির ক্রয়মূল্যের অর্ধেক নগদ দিলেও ক্রেতাদের এখন ব্যাংক ঋণ পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
মার্কিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতেও কোনো চাঞ্চল্য ফিরে আসেনি। মোটরযানের উৎপাদন এবং বিক্রিতেও ভাটা চলছে। মধ্যপন্থী অর্থনীতিবিদেরা মনে করছেন, রাজ্য সরকারগুলোকে আরও বেশি ভর্তুকি দিতে হবে। অর্থনীতি চাঙা না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতার হাত দ্রুত বাড়াতে হবে। রক্ষণশীল রিপাবলিকানদের মতে, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অর্থনৈতিক প্রণোদনা তহবিল সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সরকারি ব্যয় সংকোচনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে রিপাবলিকান দলের চাপ অব্যাহত রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ওহাইও অঙ্গরাজ্যে গত শুক্রবার এক শ্রমিক সমাবেশে দেওয়া ভাষণে বলেন, আমাদের কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে। মার্কিন অর্থনীতির দুর্বল অবস্থার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, নীতিনির্ধারকদের আরও বেশি কিছু করার তাড়না রয়েছে। গত ১৫ মাসে ২০ লাখের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হলেও আমাদের কঠিন সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। মার্কিন অর্থনীতির এ দৈন্যদশা উত্তরণে আরও দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে বলে তিনি দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
No comments