বার্ষিক সভায় তোপের মুখে ডিএসইর সভাপতি, সিইও
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) সদস্যদের তোপের মুখে পড়েন সংস্থাটির সভাপতি শাকিল রিজভী, সাবেক সভাপতি ও পরিচালক রকিবুর রহমান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সতীপতী মৈত্র।
রাজধানীর একটি হোটেলে গত বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত এ সভায় সদস্যরা অভিযোগ করেন, শাকিল রিজভী সভাপতি হলেও গত এক বছর কার্যত ডিএসই চালিয়েছেন রকিবুর রহমান। এ সময় ডিএসইর আয়-ব্যয়ের হিসাবের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। একই সঙ্গে স্বাধীনভাবে কাজ না করায় সতীপতী মৈত্রর পদত্যাগও চান তাঁরা।
বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন শাকিল রিজভী। এ সময় সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এম এ হাসেম, আহমেদ রশিদ, জহিরুল ইসলাম, এম এ মোতালেব চৌধুরী, আবদুল আওয়াল, রফিকুল ইসলাম, এ এস শাহুদুল হক, মোয়াজ্জেম হোসেন, এম আকবর আলী, রকিবুর রহমান প্রমুখ।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, সভার শুরুতেই ডিএসইর সদস্য এম এ হাসেম বলেন, বার্ষিক প্রতিবেদনে পরিচালকদের প্রতিবেদনে ভবন নির্মাণের অগ্রগতির বিষয়টি থাকা দরকার ছিল। পরিচালকদের প্রতিবেদনে ভবনের বিষয়টি থাকলে বার্ষিক প্রতিবেদন নিয়ে কথা বলার কোনো সুযোগ থাকত না।
জবাবে শাকিল রিজভী বলেন, বার্ষিক প্রতিবেদনে সভাপতির বাণীতে ভবন সম্পর্কে তথ্য দেওয়া আছে।
বৈঠকে আহমেদ রশিদ বলেন, গত এজিএমে অনুমোদন হওয়া সিদ্ধান্তগুলো কার্যবিবরণী আকারে সভায় বিতরণ করা হয়নি। তিনি প্রশ্ন রাখেন, তাহলে কি গত বার্ষিক সভায় অনুমোদিত বিষয়গুলো কার্যবিবরণীতে লিপিবদ্ধ হয়নি? না হলে কেন?
আহমেদ রশিদ আরও বলেন, সভায় ডিএসইর বাজেটের কোনো অনুলিপি দেওয়া হলে সদস্যরা বার্ষিক প্রতিবেদনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে পারতেন। কিন্তু কেন তা করা হলো না, তা বোধগম্য নয়। আবার গত এজিএমের সিদ্ধান্ত অনুসারে নিরীক্ষা কমিটি করার কথা থাকলেও তা হয়েছে কি না, জানা গেল না।
এই পর্যায়ে তিনি সতীপতী মৈত্রর কাছে জানতে চান, বার্ষিক প্রতিবেদনের সব বিষয় নিরীক্ষা কমিটি হয়ে এসেছে কি না।
বৈঠক সূত্র জানায়, জবাবে সতীপতী না-সূচক উত্তর দেন। এ সময় শাকিল রিজভী বলেন, নিরীক্ষা কমিটি করার কথা তাঁর জানা নেই। তখন ডিএসইর সভাপতিকে শুধরে দিয়ে সতীপতী জানান, নিরীক্ষা কমিটি আছে।
বৈঠকে উপস্থিত একজন সদস্য তখন শাকিল রিজভীর উদ্দেশে বলেন, তিনি কিসের সভাপতি যে নিরীক্ষা কমিটি আছে কি না জানেন না? জবাবে সতীপতী বলেন, কমিটি সম্প্রতি হয়েছে, সভাপতির হয়তো মনে নেই। তবে তিনি নিরীক্ষা কমিটির সদস্য ও সভা সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে ব্যর্থ হন।
এ পর্যায়ে একজন সদস্য তাঁকে পদত্যাগ করতে বলেন।
বৈঠকে বিদেশ ভ্রমণ, অন্যান্য সেমিনার ও কার্যালয়ের ব্যয় বৃদ্ধি মাত্রাতিরিক্ত উল্লেখ করে সদস্যরা এর ব্যাখ্যা চান। কিন্তু সভাপতি বা সিইও কেউই সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
একপর্যায়ে আহমেদ রশিদ অভিযোগ করেন, পরিচালনা পর্ষদকে পাশ কাটিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে পরে তার অনুমোদন নেওয়া হয় অস্বচ্ছতা ঢাকার জন্য। এ সময় তিনি বারবার বিদেশ সফর এবং তার সুফল কী, তা জানতে চান।
আরেকজন সদস্য বলেন, শাকিল রিজভী তো নামে সভাপতি। বাস্তবে রকিবুর রহমান ডিএসই চালান।
বিজ্ঞাপন বাবদ ৪৮ লাখ টাকা খরচের প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে সতীপতী জানান, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) নিয়োগের জন্য কয়েকটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। এ সময় সদস্যদের পক্ষ থেকে বলা হয়, একজন সিওও থাকতে আরেকজন নিয়োগ দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই।
আকবর আলী নামের একজন সদস্য বলেন, ডিএসইর টাকায় হানিমুন করা যাবে না। ‘এমএসএ প্লাস’ করার নামে কোটি কোটি টাকা নষ্ট করা হচ্ছে। ডিএসই পর্ষদে যাঁরা আছেন, তাঁদের ভোট দিয়ে বসানো হয় লুটপাট করার জন্য নয়।
সমালোচনার জবাবে রকিবুর রহমান বলেন, ডিএসইতে নির্বাচিত সভাপতির বাইরে অন্য কোনো সভাপতি নেই। যদি কেউ থেকে থাকেন, তাহলে তাঁর সরে যাওয়া উচিত।
রকিবুর রহমান দাবি করেন, তিনি সভাপতি থাকাকালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালে চার বিঘা জমি মাত্র চার কোটি টাকায় দিয়েছেন। যার এখনকার দাম ৩০ কোটি টাকা। স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থা চালুর জন্য ৫ শতাংশ সুদে আট কোটি টাকার ব্যবস্থাও তাঁর করা। এটি না করলে ডিএসইরই লাইসেন্স বাতিল হয়ে যেত।
শাকিল রিজভী অনেক ভালোভাবে স্টক এক্সচেঞ্জ চালাচ্ছেন উল্লেখ করে রকিবুর রহমান বলেন, তাঁকে সবার সাহায্য করা উচিত।
সভায় আওয়ামী লীগের সাংসদ ও ডিএসইর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, সদস্যরা ভিন্ন ভিন্ন দলের সমর্থন করতে পারেন। কিন্তু ডিএসইর স্বার্থে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
বৈঠক সূত্র জানায়, সভার শেষ পর্যায়ে আহমেদ ইকবাল হাসান পর্ষদের পক্ষ থেকে উপস্থিত সব সদস্যের কাছে ক্ষমা চান।
পরে এজিএমে ২০০৯-১০ অর্থবছরের পরিচালনা পর্ষদের প্রতিবেদন গ্রহণ, বিবেচনা ও ৩০ জুন ২০১০ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব এবং নিরীক্ষকের প্রতিবেদন গ্রহণ, বিবেচনা সর্বসম্মতভাবে অনুমোদিত হয়।
রাজধানীর একটি হোটেলে গত বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত এ সভায় সদস্যরা অভিযোগ করেন, শাকিল রিজভী সভাপতি হলেও গত এক বছর কার্যত ডিএসই চালিয়েছেন রকিবুর রহমান। এ সময় ডিএসইর আয়-ব্যয়ের হিসাবের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। একই সঙ্গে স্বাধীনভাবে কাজ না করায় সতীপতী মৈত্রর পদত্যাগও চান তাঁরা।
বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন শাকিল রিজভী। এ সময় সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এম এ হাসেম, আহমেদ রশিদ, জহিরুল ইসলাম, এম এ মোতালেব চৌধুরী, আবদুল আওয়াল, রফিকুল ইসলাম, এ এস শাহুদুল হক, মোয়াজ্জেম হোসেন, এম আকবর আলী, রকিবুর রহমান প্রমুখ।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, সভার শুরুতেই ডিএসইর সদস্য এম এ হাসেম বলেন, বার্ষিক প্রতিবেদনে পরিচালকদের প্রতিবেদনে ভবন নির্মাণের অগ্রগতির বিষয়টি থাকা দরকার ছিল। পরিচালকদের প্রতিবেদনে ভবনের বিষয়টি থাকলে বার্ষিক প্রতিবেদন নিয়ে কথা বলার কোনো সুযোগ থাকত না।
জবাবে শাকিল রিজভী বলেন, বার্ষিক প্রতিবেদনে সভাপতির বাণীতে ভবন সম্পর্কে তথ্য দেওয়া আছে।
বৈঠকে আহমেদ রশিদ বলেন, গত এজিএমে অনুমোদন হওয়া সিদ্ধান্তগুলো কার্যবিবরণী আকারে সভায় বিতরণ করা হয়নি। তিনি প্রশ্ন রাখেন, তাহলে কি গত বার্ষিক সভায় অনুমোদিত বিষয়গুলো কার্যবিবরণীতে লিপিবদ্ধ হয়নি? না হলে কেন?
আহমেদ রশিদ আরও বলেন, সভায় ডিএসইর বাজেটের কোনো অনুলিপি দেওয়া হলে সদস্যরা বার্ষিক প্রতিবেদনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে পারতেন। কিন্তু কেন তা করা হলো না, তা বোধগম্য নয়। আবার গত এজিএমের সিদ্ধান্ত অনুসারে নিরীক্ষা কমিটি করার কথা থাকলেও তা হয়েছে কি না, জানা গেল না।
এই পর্যায়ে তিনি সতীপতী মৈত্রর কাছে জানতে চান, বার্ষিক প্রতিবেদনের সব বিষয় নিরীক্ষা কমিটি হয়ে এসেছে কি না।
বৈঠক সূত্র জানায়, জবাবে সতীপতী না-সূচক উত্তর দেন। এ সময় শাকিল রিজভী বলেন, নিরীক্ষা কমিটি করার কথা তাঁর জানা নেই। তখন ডিএসইর সভাপতিকে শুধরে দিয়ে সতীপতী জানান, নিরীক্ষা কমিটি আছে।
বৈঠকে উপস্থিত একজন সদস্য তখন শাকিল রিজভীর উদ্দেশে বলেন, তিনি কিসের সভাপতি যে নিরীক্ষা কমিটি আছে কি না জানেন না? জবাবে সতীপতী বলেন, কমিটি সম্প্রতি হয়েছে, সভাপতির হয়তো মনে নেই। তবে তিনি নিরীক্ষা কমিটির সদস্য ও সভা সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে ব্যর্থ হন।
এ পর্যায়ে একজন সদস্য তাঁকে পদত্যাগ করতে বলেন।
বৈঠকে বিদেশ ভ্রমণ, অন্যান্য সেমিনার ও কার্যালয়ের ব্যয় বৃদ্ধি মাত্রাতিরিক্ত উল্লেখ করে সদস্যরা এর ব্যাখ্যা চান। কিন্তু সভাপতি বা সিইও কেউই সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
একপর্যায়ে আহমেদ রশিদ অভিযোগ করেন, পরিচালনা পর্ষদকে পাশ কাটিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে পরে তার অনুমোদন নেওয়া হয় অস্বচ্ছতা ঢাকার জন্য। এ সময় তিনি বারবার বিদেশ সফর এবং তার সুফল কী, তা জানতে চান।
আরেকজন সদস্য বলেন, শাকিল রিজভী তো নামে সভাপতি। বাস্তবে রকিবুর রহমান ডিএসই চালান।
বিজ্ঞাপন বাবদ ৪৮ লাখ টাকা খরচের প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে সতীপতী জানান, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) নিয়োগের জন্য কয়েকটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। এ সময় সদস্যদের পক্ষ থেকে বলা হয়, একজন সিওও থাকতে আরেকজন নিয়োগ দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই।
আকবর আলী নামের একজন সদস্য বলেন, ডিএসইর টাকায় হানিমুন করা যাবে না। ‘এমএসএ প্লাস’ করার নামে কোটি কোটি টাকা নষ্ট করা হচ্ছে। ডিএসই পর্ষদে যাঁরা আছেন, তাঁদের ভোট দিয়ে বসানো হয় লুটপাট করার জন্য নয়।
সমালোচনার জবাবে রকিবুর রহমান বলেন, ডিএসইতে নির্বাচিত সভাপতির বাইরে অন্য কোনো সভাপতি নেই। যদি কেউ থেকে থাকেন, তাহলে তাঁর সরে যাওয়া উচিত।
রকিবুর রহমান দাবি করেন, তিনি সভাপতি থাকাকালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালে চার বিঘা জমি মাত্র চার কোটি টাকায় দিয়েছেন। যার এখনকার দাম ৩০ কোটি টাকা। স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থা চালুর জন্য ৫ শতাংশ সুদে আট কোটি টাকার ব্যবস্থাও তাঁর করা। এটি না করলে ডিএসইরই লাইসেন্স বাতিল হয়ে যেত।
শাকিল রিজভী অনেক ভালোভাবে স্টক এক্সচেঞ্জ চালাচ্ছেন উল্লেখ করে রকিবুর রহমান বলেন, তাঁকে সবার সাহায্য করা উচিত।
সভায় আওয়ামী লীগের সাংসদ ও ডিএসইর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, সদস্যরা ভিন্ন ভিন্ন দলের সমর্থন করতে পারেন। কিন্তু ডিএসইর স্বার্থে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
বৈঠক সূত্র জানায়, সভার শেষ পর্যায়ে আহমেদ ইকবাল হাসান পর্ষদের পক্ষ থেকে উপস্থিত সব সদস্যের কাছে ক্ষমা চান।
পরে এজিএমে ২০০৯-১০ অর্থবছরের পরিচালনা পর্ষদের প্রতিবেদন গ্রহণ, বিবেচনা ও ৩০ জুন ২০১০ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব এবং নিরীক্ষকের প্রতিবেদন গ্রহণ, বিবেচনা সর্বসম্মতভাবে অনুমোদিত হয়।
No comments